মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান ও TMC Panchayat Leader মসিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করল দক্ষিণ কলকাতার পুলিশ। অভিযোগ, তিনি সমিতির দুই মহিলা সদস্যকে মৌখিক ও শারীরিকভাবে হেনস্থা করেছেন। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
🔎 STORY HIGHLIGHTS
অভিযুক্ত: মসিউর রহমান, TMC Panchayat Leader, চেয়ারম্যান সাগরদিঘি পঞ্চায়েত সমিতি
অভিযোগ: দুই মহিলা সহকর্মীকে মৌখিক ও শারীরিক হেনস্থা
ভুক্তভোগী: হেলেন সরদার (কর্মাধ্যক্ষ, মহিলা) ও আলিয়ারা বিবি (পঞ্চায়েত প্রধান)
নির্দেশ: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের নির্দেশ, ২৭ অগস্ট
গ্রেপ্তার: বুধবার সন্ধ্যা, পার্ক স্ট্রিট, কলকাতা
আদালত: বৃহস্পতিবার, জঙ্গিপুর কোর্ট
অভিযোগকারীরা জানান, একাধিকবার মসিউর রহমান তাঁদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন। তাঁদের মধ্যে হেলেন সরদার আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত এবং বর্তমানে সমিতির মহিলা কর্মাধ্যক্ষ। অন্যদিকে, আলিয়ারা বিবি মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি এবং বর্তমানে পঞ্চায়েত প্রধান। দুজনেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা রুজু করা হয়।
এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত শুরু করি। অভিযুক্ত দীর্ঘদিন গা-ঢাকা দিয়ে ছিলেন। অবশেষে বুধবার সন্ধ্যায় পার্ক স্ট্রিট এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
রাজনৈতিক সূত্রে খবর, ঘটনার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি নির্দেশ দেন মসিউর রহমানকে পদত্যাগ করতে। “২৭ অগস্ট তাঁর কাছে স্পষ্ট বার্তা গিয়েছিল যে, পদ ছাড়তে হবে। কিন্তু তিনি অস্বীকার করেন,” দাবি দলের এক অভ্যন্তরীণ সূত্রের।
তবে অভিযুক্ত TMC Panchayat Leader পদত্যাগ না করে কলকাতায় লুকিয়ে পড়েন। পুলিশের তৎপরতায় শেষমেশ তিনি ধরা পড়েন। বৃহস্পতিবার তাঁকে জঙ্গিপুর আদালতে তোলা হবে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, এ ঘটনা শাসক দলের ভাবমূর্তিতে সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে। সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “জনপ্রতিনিধি যদি নিজেই এভাবে হেনস্থা করেন, তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় ন্যায়বিচার পাবেন?”
অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত TMC Panchayat Leader-এর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে প্রশাসন সূত্রে ইঙ্গিত।
মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির এই ঘটনা শুধু স্থানীয় রাজনীতিতেই নয়, রাজ্যজুড়ে আলোড়ন তুলেছে। দুই মহিলা সহকর্মীর হেনস্থার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া TMC Panchayat Leader মসিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা এখন আদালতে গড়াবে। দলের তরফে পদত্যাগের নির্দেশ অমান্য করা এবং কলকাতায় লুকিয়ে থাকার ঘটনাও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। আইন কী সিদ্ধান্ত নেবে, তা সময়ই বলবে, তবে এই ঘটনায় স্পষ্ট—একজন TMC Panchayat Leader যদি দায়িত্ব ও শৃঙ্খলা মানতে ব্যর্থ হন, তবে তার পরিণতি আইনের হাত থেকে বাঁচা নয়।