পশ্চিমবঙ্গের বহুল আলোচিত Teacher Recruitment Scam-এ ফের চাঞ্চল্য। ED সোমবার গ্রেপ্তার করল TMC MLA Jiban Saha-কে। মুর্শিদাবাদের বুরোয়ানের বিধায়ক সাহাকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে, বিচারক তাকে ৬ দিনের জন্য ED হেফাজতে পাঠান। অভিযোগ, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে সাহা শুধু যুক্ত নন, তদন্তে সহযোগিতা করতে অস্বীকার করেছেন। এই ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে চাপ বাড়িয়েছে, কারণ এর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্যর পর এটি তৃণমূলের তৃতীয় বড় গ্রেপ্তার। ২০২৬-এর আগে Teacher Recruitment Scam যে বড় ইস্যু হবে, তা স্পষ্ট।
STORY HIGHLIGHTS
Teacher Recruitment Scam মামলায় ফের গ্রেপ্তার TMC MLA Jiban Saha
Bankshall Court দিল ED হেফাজতে ৬ দিনের নির্দেশ
তল্লাশি অভিযানে পালানোর চেষ্টা, মোবাইল ফোন নর্দমায় ফেলা
দ্বিতীয়বার গ্রেপ্তার, প্রথমবার CBI গ্রেপ্তার করেছিল ২০২৩-এ
পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যর পর ফের বিতর্কে তৃণমূল
পশ্চিমবঙ্গের বহুল আলোচিত Teacher Recruitment Scam-এ ফের বড় পদক্ষেপ নিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) বিধায়ক Jiban Krishna Saha-কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি মুর্শিদাবাদের বুরোয়ানের বিধায়ক। এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ৬ দিনের জন্য ED হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পালানোর চেষ্টা ও মোবাইল ফেলার ঘটনা
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সোমবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ ED কর্মকর্তারা আঁদী গ্রামে Jiban Saha-র বাড়িতে পৌঁছান। কর্মকর্তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। প্রাচীর টপকে বেরোতে চেয়েছিলেন বলে জানা গেছে। সেই সময় তিনি একটি মোবাইল ফোন নর্দমায় ফেলে দেন। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাকে আটক করেন এবং পরে সেই মোবাইল উদ্ধার হয়। তদন্তকারীদের দাবি, তার সঙ্গে থাকা দুটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
একাধিক জায়গায় তল্লাশি
ED জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল থেকেই একাধিক জায়গায় সমান্তরালভাবে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সাহার শ্বশুরবাড়ি (মুর্শিদাবাদ) এবং তাঁর কাকিমা তথা তৃণমূল কাউন্সিলর মায়া সাহার বীরভূমের বাড়ি। এক ED আধিকারিক জানান,
“একযোগে একাধিক স্থানে অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। কিন্তু Jiban Saha তদন্তে সহযোগিতা করতে অস্বীকার করায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
আদালতের নির্দেশ
গ্রেপ্তারের পর তাকে কোলকাতায় নিয়ে আসা হয় এবং ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করা হয়। আদালত নির্দেশ দেয়, ED হেফাজতে ৬ দিন থাকতে হবে TMC MLA Jiban Saha-কে।
পূর্বের গ্রেপ্তার ও বিতর্কিত ইতিহাস
উল্লেখযোগ্য, এটি এই মামলায় সাহার দ্বিতীয় গ্রেপ্তার। ২০২৩ সালের এপ্রিলে CBI তাকে গ্রেপ্তার করেছিল। তখনও একই Teacher Recruitment Scam-এ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। ২০২৪ সালের মে মাসে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছে। জানা গেছে, গতবার অর্থাৎ ২০২৩ সালে CBI যখন তার বাড়িতে অভিযান চালায়, তখনও তিনি দুটি মোবাইল ফোন পাশের পুকুরে ফেলে দেন। সেগুলি উদ্ধারের জন্য পাম্প বসিয়ে পুকুরের জল ফেলা হয়েছিল। শ্রমিক ও মেশিন দিয়ে ফোন উদ্ধার করা হয়।
মামলার প্রেক্ষাপট
২০২২ সালের মে মাসে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে CBI এই Teacher Recruitment Scam মামলায় তদন্ত শুরু করে। অভিযোগ, সরকারি স্কুলে চাকরি দেওয়ার জন্য ৫-১৫ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়া হয়েছিল। যারা পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছিলেন, তাদের কাছ থেকেও টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ED সমান্তরালভাবে তদন্ত শুরু করে অর্থের উৎস খুঁজে বের করার জন্য।
অভিযুক্তদের তালিকায় আরও বড় নাম
এই মামলায় ইতিমধ্যেই তিনজন TMC বিধায়ক গ্রেপ্তার হয়েছেন—পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য এবং Jiban Krishna Saha। এছাড়াও তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ED ও CBI। গত সপ্তাহেই কলকাতা আদালত রাজ্যের সংশোধনাগার মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
এই গ্রেপ্তারি নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন,
“সাহা শীর্ষ তৃণমূল নেতৃত্বের এজেন্ট। এবার মোবাইল নর্দমায় পড়ল, পুকুরে নয়।”
অন্যদিকে তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী কেন্দ্রীয় সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন,
“নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি তত সক্রিয় হচ্ছে। বিস্মিত হবেন না যদি ED, CBI, NIA ও IT একসঙ্গে হানা দেয়।”
নির্বাচনের আগে নতুন চাপ
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই গ্রেপ্তার নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক সমীকরণে বড় প্রভাব ফেলবে। Teacher Recruitment Scam-এর তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই নতুন নতুন নাম উঠে আসছে, যা তৃণমূলের জন্য বড় অস্বস্তি তৈরি করছে।
Teacher Recruitment Scam মামলায় TMC MLA Jiban Saha-র ফের গ্রেপ্তার রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি করেছে। ED-র তদন্তে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে, যা শুধু তৃণমূলের জন্য নয়, গোটা রাজনীতিক মহলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আদালতের নির্দেশে এখন তিনি ৬ দিনের হেফাজতে, এবং আগামী দিনে এই মামলার তদন্তে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে আসার সম্ভাবনা প্রবল। ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই Teacher Recruitment Scam রাজ্য রাজনীতিতে বড় ইস্যু হয়ে উঠছে তা বলাই বাহুল্য।
আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ! ❤️আমরা সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের জন্য তথ্যসমৃদ্ধ, আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করতে, যাতে আপনি নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পারেন। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আমাদের সঙ্গে আপনার মতামত শেয়ার করতে চান, তাহলে “যোগাযোগ করুন” ফর্ম ব্যবহার করে সরাসরি আমাদের সাথে কথা বলুন। আমরা আগ্রহের সঙ্গে আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত এবং আপনার প্রতিক্রিয়াকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করি। এছাড়াও, ভবিষ্যতের আপডেট, নতুন নিবন্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস না করতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন—একসঙ্গে জানবো, শিখবো, আর নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্ব দেখবো