School Service Commission (SSC)-এর আয়োজিত এই পরীক্ষায় এবার আবেদন করেছিলেন মোট ৩,১৯,৯১৯ জন। তার মধ্যে অংশ নেন ২,৯১,১২৬ জন। আশ্চর্যজনকভাবে, এদের মধ্যে প্রায় ৩১,০০০ জন এসেছেন বিহার ও উত্তরপ্রদেশ থেকে।
📰 Story Highlights
Exam Conducted By: School Service Commission (SSC)
শূন্যপদ সংখ্যা: ২৩,২১২
মোট আবেদনকারী: ৩,১৯,৯১৯
পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী: ২,৯১,১২৬
বাইরের রাজ্য থেকে: প্রায় ৩১,০০০ জন
প্রধান উৎস রাজ্য: উত্তরপ্রদেশ ও বিহার
বিষয়ভিত্তিক চাহিদা: ভূগোল, হিন্দি, পদার্থবিজ্ঞান
SSC পরীক্ষার প্রতি বাড়তি আকর্ষণ
School Service Commission (SSC)-এর কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, এবার বাইরের রাজ্যের প্রার্থীর সংখ্যা ২০১৬ সালের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। সেই সময় প্রার্থীর সংখ্যা ছিল মাত্র ১৫,০০০-এর কম। এবার তা লাফিয়ে পৌঁছে গেছে ৩১,০০০-এ।
এক কর্মকর্তা বলেন,
“উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের মতো রাজ্যে সরকারি স্কুলে শিক্ষক শূন্যপদ দীর্ঘদিন খালি রয়েছে। কিন্তু নিয়োগ হচ্ছে না। ফলে অনেক প্রার্থী বাংলায় এসে Bengal Teacher-Selection Exam দিচ্ছেন।”
প্রার্থীদের হতাশা ও ক্ষোভ
আজমগড় থেকে আসা আজিত কুমার চৌধুরী, যিনি ভূগোল ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ডাবল এমএ করেছেন, জানান—
“গত পাঁচ বছরে উত্তরপ্রদেশে কোনো শিক্ষক-নিয়োগ পরীক্ষা হয়নি। আমরা জানিই না কবে আবার পরীক্ষা হবে। সরকার এতটাই মন্দির-মসজিদ রাজনীতিতে ব্যস্ত যে কর্মসংস্থান বা উন্নয়নের দিকে কোনো মনোযোগ নেই।”
তিনি আরও যোগ করেন,
“বেকারত্ব আমাকে বাংলায় আসতে বাধ্য করেছে। চাকরি না পেলে পরিবার চালানোই সম্ভব নয়।”
বারাণসীর প্রার্থী ওমপ্রকাশ প্রজাপতি বললেন—
“সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেখে জানতে পারি বাংলায় পরীক্ষা হচ্ছে। আমি ভূগোল শিক্ষক হতে চাই, তাই এখানে এলাম।”
এলাহাবাদ থেকে আসা এক প্রার্থী নাম প্রকাশ না করে বলেন,
“যোগী আদিত্যনাথ সরকারের সময়ে চাকরির সুযোগ একেবারেই নেই। এমনকি পরীক্ষা হলেও প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায়।”
Bengal SSC পরীক্ষার তাৎপর্য
School Service Commission (SSC)-এর এই পরীক্ষা মূলত নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের জন্য। মোট ২৩,২১২টি পদে নিয়োগ হবে। ভূগোল, হিন্দি এবং পদার্থবিজ্ঞান—এই তিনটি বিষয়ে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে।
বিহার থেকে আসা এক প্রার্থী জানান—
“আমাদের রাজ্যে কোনো সুযোগ নেই। তাই বাংলায় চাকরির আশায় পরীক্ষা দিচ্ছি।”
বাংলার জন্য চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ
শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিকের মতে, বাইরের রাজ্যের প্রার্থীদের ভিড় একদিকে যেমন প্রতিযোগিতা বাড়াচ্ছে, অন্যদিকে তা বাংলার চাকরি-বাজারকে আরও গতিশীল করছে। কিন্তু মূল প্রশ্ন রয়ে যায়—কেন এত বছর ধরে উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ?
বাংলায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনই দেশের বেকারত্ব সমস্যার এক করুণ চিত্রও উঠে আসছে এই Bengal Teacher-Selection Exam-এর মাধ্যমে।
Bengal Teacher-Selection Exam এ বাইরের রাজ্যের বিপুল প্রার্থীর অংশগ্রহণ স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে, কর্মসংস্থানের অভাব দেশের বহু রাজ্যে প্রকট আকার নিয়েছে। বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের মতো রাজ্যে শিক্ষক শূন্যপদ থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ না হওয়ায় প্রার্থীরা বাংলায় আসতে বাধ্য হচ্ছেন। এর ফলে বাংলার প্রতিযোগিতা আরও কঠিন হয়ে উঠছে।
একইসঙ্গে, School Service Commission (SSC) যে সুযোগ তৈরি করেছে, তা শুধু বাংলার শিক্ষাক্ষেত্রকে শক্তিশালী করছে না, বরং জাতীয় স্তরে বেকার যুবকদের জন্যও এক সম্ভাবনার দরজা খুলে দিচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে পরিষ্কার, Bengal Teacher-Selection Exam এখন কেবল একটি রাজ্যের নয়, বরং দেশের কর্মসংস্থানের সংকটের প্রতিচ্ছবি।
আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ! ❤️আমরা সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের জন্য তথ্যসমৃদ্ধ, আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করতে, যাতে আপনি নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পারেন। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আমাদের সঙ্গে আপনার মতামত শেয়ার করতে চান, তাহলে “যোগাযোগ করুন” ফর্ম ব্যবহার করে সরাসরি আমাদের সাথে কথা বলুন। আমরা আগ্রহের সঙ্গে আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত এবং আপনার প্রতিক্রিয়াকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করি। এছাড়াও, ভবিষ্যতের আপডেট, নতুন নিবন্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস না করতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন—একসঙ্গে জানবো, শিখবো, আর নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্ব দেখবো