সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থানকে ঘিরে ভারতের বিদেশনীতি নতুন রূপ নিচ্ছে, আর তাতেই দেখা দিল রাজনৈতিক সমীকরণের সূক্ষ্ম টানাপোড়েন। অল-পার্টি প্রতিনিধিদল যখন বিশ্বমঞ্চে দেশের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে, তখন দেশের মাটিতে দলীয় বিভাজন নতুন বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে। সালমান খুরশিদের স্পষ্ট অবস্থান, শশী থারুরের বিবৃতি, কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ বিরোধ—সব মিলিয়ে প্রশ্ন উঠছে, এই সন্ত্রাসবিরোধী মঞ্চে কে আসলে ভারতের স্বার্থে কথা বলছে? কূটনৈতিক মঞ্চে ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠে কথা বললেও, ঘরের ভেতর সেই স্বর কি বিভক্ত?
সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান ও কংগ্রেস নেতাদের বিদেশ সফর: এক যৌথ উদ্যোগে দ্বৈত সুর
সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান নিয়ে কেন্দ্রের উদ্যোগে বিদেশে অল-পার্টি প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের বার্তা পৌঁছে দেওয়া। এই সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থানে কংগ্রেসের কয়েকজন শীর্ষ নেতা — বিশেষ করে শশী থারুর ও সালমান খুরশিদ — বিদেশ সফরে অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু এখানেই দেখা দেয় এক সূক্ষ্ম রাজনৈতিক দ্বিধা।
দলের মূল নেতৃত্ব এই সফরের পদ্ধতি এবং অংশগ্রহণকারীদের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে। কংগ্রেসের বক্তব্য ছিল, বিদেশে ‘সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান’ প্রচারের নামে বিজেপি ‘দলীয় প্রচার’ চালাচ্ছে। আবার দলের অন্দরেই কেউ কেউ, সেই অবস্থানকে প্রকাশ্যে সমর্থন করেন।
সালমান খুরশিদের মন্তব্য: দলের ভিতরে প্রশ্নের মুখে দলনিষ্ঠা
সালমান খুরশিদ এক্স-এ স্পষ্ট ভাষায় লেখেন,
“যখন সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান নিয়ে আমরা বিদেশে কাজ করছি, তখন দেশের ভিতর কেউ রাজনৈতিক আনুগত্যের হিসেব করছে — এটা দুঃখজনক। দেশপ্রেম দেখানো কি এত কঠিন?”
এই উক্তি থেকেই স্পষ্ট, তিনি শুধু দলের প্রতি নয়, বৃহত্তর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেও প্রশ্ন তুলছেন — সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থানে কণ্ঠ এক না হলে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের ভাবমূর্তি কীভাবে উপস্থাপিত হবে?
‘ভারত আগে’ বার্তায় কূটনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করলেন খুরশিদ
কুয়ালালামপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে খুরশিদ বলেন,
“আমি এখানে ভারত সরকারের বিরোধিতা করতে আসিনি। আমি এসেছি ভারতের পক্ষে কথা বলতে। আমার কাছে ভারত – এবং শুধুমাত্র ভারত – সবার আগে।”
এই বক্তব্যে তিনি স্পষ্ট করেন, সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থানে দলীয় মতবিরোধের উপরে উঠে আসা প্রয়োজন। তার মতে, এই মঞ্চ ছিল একটি ‘জাতীয় প্রয়োজন’-এর প্রতিফলন, যেখানে দলীয় অবস্থানের চেয়ে বড় ছিল দেশের স্বার্থ।
অল-পার্টি প্রতিনিধি দল: কাদের বাছাইয়ে প্রশ্ন উঠল?
অল-পার্টি প্রতিনিধি দলে চারজন কংগ্রেস নেতা — শশী থারুর, সালমান খুরশিদ, মনীশ তিওয়ারি ও অমর সিং — নিজ উদ্যোগে অংশ নেন। কংগ্রেস দাবি করে, এই নির্বাচনে দলের সঙ্গে কোনও পূর্ব পরামর্শ হয়নি। যদিও এই চারজনই ভারতের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি রক্ষায় কূটনৈতিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। তবুও কংগ্রেস নেতৃত্ব তাদের ভূমিকাকে ‘বিজেপি অনুগত’ বলে তির্যক মন্তব্য করে।
দলীয় দ্বন্দ্বে সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান ঘোলাটে?
কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ এক বিবৃতিতে বলেন,
“আমাদের সাংসদরা ঘুরছেন, আর জঙ্গিরাও ঘুরছে।”
এই মন্তব্যকে ঘিরে বিতর্ক আরও গভীর হয়। বিশেষত, শশী থারুরের বক্তব্য ‘সরকারের সঠিক সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান’ বলে উল্লেখ করার পরেই তাকে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ‘বিজেপির মুখপাত্র’ বলেও সমালোচনা করা হয়।
সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থানে এককতা: অভ্যন্তরীণ দ্বিধা কি বার্তা ক্ষুণ্ণ করছে?
ভারত সরকারের অল-পার্টি কূটনৈতিক দল সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থানকে সামনে রেখে বিদেশে একমত প্রদর্শন করলেও, দেশে ফিরে রাজনৈতিক ভাষ্য বিভক্ত হয়ে পড়ে। প্রশ্ন উঠছে—এই ‘সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান’ কি দলনিরপেক্ষ থাকছে, না কি তা ধীরে ধীরে রাজনৈতিক সমীকরণের অংশ হয়ে উঠছে?
বিজেপির প্রতিক্রিয়া: কংগ্রেসের অবস্থানকে ‘বেদনাদায়ক’ ও ‘বিরোধাভাসী’ বলল বিজেপি
সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান ও কংগ্রেস: বিজেপির প্রতিক্রিয়ার সূক্ষ্ম বার্তা
সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থানে কংগ্রেসের দ্বৈত সুর নিয়ে বিজেপি প্রকাশ্যে যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, তা রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। বিজেপি নেতারা এই অবস্থানকে শুধুমাত্র ‘বিরোধাভাসী’ নয়, বরং ‘বেদনাদায়ক’ বলেও চিহ্নিত করেন। মূল দীর্ঘ-শব্দীয় কীওয়ার্ড “সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান” বারবার আলোচনায় আসে বিজেপির প্রতিটি মন্তব্যে।
অমিত মালব্যর মন্তব্য: দলীয় অবস্থান নাকি কৌশলগত চ্যালেঞ্জ?
বিজেপি নেতা অমিত মালব্য সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান নিয়ে কংগ্রেসের ভূমিকা প্রসঙ্গে বলেন –
“এই ধরনের বক্তব্য শুধু বেদনাদায়ক নয়, এটি কংগ্রেসের একটি দীর্ঘমেয়াদি বিকৃত ধর্মনিরপেক্ষতার ফলাফল।”
এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি ইঙ্গিত করেন, সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান নিয়ে কংগ্রেসের মতবিরোধ দলীয় সীমার গণ্ডি ছাড়িয়ে কৌশলগত বিশ্বাসযোগ্যতার দিকেও প্রশ্ন তোলে।
মালব্যর বক্তব্য অনুযায়ী, কংগ্রেস নাকি তোষণ নীতি এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মাঝে বিভেদ তৈরি করতে চায় — এমন এক মনোভাব, যা অতীতে সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান প্রশ্নে জাতীয় ঐক্যে ফাটল ধরিয়েছে।
জাতীয় নিরাপত্তা বনাম ভোটব্যাংক: বারবার তোলা পুরনো অভিযোগ
অমিত মালব্যর ভাষ্য অনুযায়ী,
“কংগ্রেস জাতীয় নিরাপত্তার সাথে বারবার আপস করেছে, শুধুমাত্র ভোটব্যাংককে ধরে রাখতে গিয়ে।”
এই মন্তব্যে সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থানকে ঘিরে কংগ্রেসের রাজনৈতিক পরিকল্পনা যে আস্থা-ঘাটতিতে ভুগছে, তা পরোক্ষভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
মালব্যর মতে, যখন সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান আন্তর্জাতিক মঞ্চে দৃঢ় হওয়া উচিত ছিল, তখন কংগ্রেসের অবস্থান ছিল স্ববিরোধী এবং রাজনৈতিকভাবে বিপরীতমুখী।
কমিউনাল রাজনীতির অভিযোগ: বিজেপির নজরে কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ বিভ্রান্তি
মালব্য বলেন, কংগ্রেস এমন এক সময়েও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি চালিয়ে গিয়েছে, যখন দেশ সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান নিয়ে আন্তর্জাতিক সমর্থন চাইছে।
তিনি অভিযোগ করেন,
“কংগ্রেসের বিভাজনমূলক রাজনীতি দেশের নিরাপত্তাকে দুর্বল করেছে, এবং শত্রুদের সাহস জুগিয়েছে।”
এই বক্তব্যে স্পষ্টভাবে কংগ্রেসের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। ‘বিশ্বাসঘাতকতা’র মতো কঠিন শব্দ ব্যবহার করে মালব্য সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান প্রশ্নে দলের আভ্যন্তরীণ বিভ্রান্তিকে সামনে আনেন।
জম্মু-কাশ্মীর হামলার পর: সংহতি থেকে বিরোধিতায় রূপান্তর
২২ এপ্রিল পাহেলগামে জঙ্গি হামলার পর কংগ্রেস প্রাথমিকভাবে সরকারের সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান-এ সহমত জানায়। কিন্তু এরপরেই অল-পার্টি প্রতিনিধি দল বিদেশে গেলে, কংগ্রেস সেই উদ্যোগকেই ‘রাজনৈতিক খেলা’ বলে ব্যাখ্যা করে।
এই অবস্থান বদলের ফলে সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান নিয়ে দলটির অভ্যন্তরীণ দ্বিধা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ফলে আন্তর্জাতিক মঞ্চে যে ‘একসুর’ পৌঁছানোর কথা ছিল, তার ভিতেই তৈরি হয় সংশয়।
প্রতিনিধি দলে অংশগ্রহণকারী নেতারা: একক সিদ্ধান্ত না দলীয় কৌশল?
শশী থারুর, সালমান খুরশিদ, মনীশ তেওয়ারি এবং অমর সিং – এই চার কংগ্রেস নেতা অল-পার্টি প্রতিনিধি দলে অংশ নেন দলের অনুমতি ছাড়াই। যদিও তাঁরা কূটনৈতিকভাবে অভিজ্ঞ, তবুও কংগ্রেস তাদের এই অংশগ্রহণকে ‘স্বেচ্ছাচারী’ বলে আখ্যা দেয়।
সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান নিয়ে তারা বিদেশে সরকারের পক্ষে বক্তব্য রাখলেও, তাদের নাম কংগ্রেস প্রস্তাবিত তালিকায় ছিল না — এই তথ্যকে ঘিরেই শুরু হয় অভ্যন্তরীণ বিতর্ক।
কূটনৈতিক সফর নাকি রাজনৈতিক বিভাজন?
সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান যেখানে একত্রিত বার্তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে পৌঁছনোর কথা, সেখানে দলের ভেতরের অবস্থান-বিভাজন নতুন রাজনৈতিক আলোচনার জন্ম দেয়।
এই বিভাজন কেবল মতের মধ্যে নয়, মন্তব্য ও প্রতিক্রিয়াতেও ফুটে ওঠে।
যেমন, কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বলেন:
“আমাদের সাংসদরা ঘুরছেন, আর জঙ্গিরাও ঘুরছে।”
এই মন্তব্য সরাসরি না হলেও পরোক্ষে সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান নিয়ে প্রতিনিধি সফরের যৌক্তিকতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে।
অপারেশন ‘সিন্ধু’ ও সেনা হতাহতের প্রশ্ন: কংগ্রেসের অবস্থান কি শুধুই কৌশল?
অপারেশন ‘সিন্ধু’-কে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান নিয়ে কংগ্রেসের প্রশ্ন উঠে আসে এক সংবেদনশীল পরিপ্রেক্ষিতে। সেনা জওয়ানদের মৃত্যু এবং সন্ত্রাস দমন অভিযান নিয়ে দলটি সরকারকে সরাসরি জবাবদিহির মুখে দাঁড় করাতে চায়। এই সময়ে সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান নিয়ে দলের অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
কংগ্রেস নেতারা বলেন, “সরকার কেন স্পষ্ট করে জানাচ্ছে না অপারেশনে সেনা সদস্যরা কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন?”
এই প্রশ্ন তোলার সঙ্গে সঙ্গে বিজেপি পক্ষ থেকে পাল্টা প্রতিক্রিয়া আসে: এই ধরনের মন্তব্য কি অপারেশনের মনোবলকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে না?
এই ধরণের জিজ্ঞাসা ঘিরে শুরু হয় রাজনৈতিক টানাপোড়েন, যেখানে সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান স্পষ্ট করার বদলে তৈরি হয় সন্দেহ ও বিতর্কের আবহ।
জয়রাম রমেশের তির্যক মন্তব্য: রাজনৈতিক কৌশল না অস্বস্তি সৃষ্টিকারী কৌশল?
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন:
“আমাদের সাংসদরা বিদেশে ঘুরছেন, আর জঙ্গিরাও ঘুরে বেড়াচ্ছে।”
এই বক্তব্য স্পষ্টতই এক বহুমাত্রিক বার্তা বহন করে—
বিদেশ সফরকারী সাংসদদের কার্যকলাপ নিয়ে কটাক্ষ
সরকারের সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর অপ্রত্যক্ষ প্রশ্ন
একই সঙ্গে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের নিরর্থকতা নিয়ে বিতর্কের জন্ম
এই মন্তব্যকে বিজেপি ‘গভীরভাবে দায়িত্বহীন’ বলে উল্লেখ করে, এবং জানায়— “এই ধরনের মন্তব্যে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভারতের অবস্থান দুর্বল হতে পারে।”
শশী থারুরের অবস্থান ও কংগ্রেসের দ্বৈততা: ‘সুপার মুখপাত্র’ বিতর্ক
শশী থারুর, যিনি প্যানামায় ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থানকে জোরালোভাবে তুলে ধরেন, তিনিই আবার কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ তিরস্কারের মুখে পড়েন।
থারুর বলেন, “সন্ত্রাস দমনে সরকারের ভূমিকাকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে দৃঢ়ভাবে তুলে ধরা জরুরি।”
এর জবাবে কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ মহল তাঁকে ‘বিজেপির সুপার মুখপাত্র’ বলে অভিহিত করে।
এই মন্তব্যে স্পষ্ট হয় দলের অভ্যন্তরে মতভেদের রেখা, যেখানে একজন সিনিয়র সাংসদ নিজ দেশে ফেরা পর্যন্ত দল থেকে আলাদা সুরে কথা বলেন। থারুরের প্রতিক্রিয়া ছিল সংযত:
“ফিরে সহকর্মীদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করব।”
এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান নিয়ে কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ নীতি বিভাজন এবং পরিচালনার দুর্বলতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া: কৌশল নাকি ভুল সমন্বয়?
সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান নিয়ে সরকারপক্ষ ও বিরোধীপক্ষের বক্তব্যের মধ্যে যে তীব্র দ্বন্দ্ব ফুটে উঠছে, তাতে একাধিক প্রশ্ন জেগে ওঠে:
বিদেশ সফরকারী প্রতিনিধিদলের তালিকা নিয়ে স্পষ্টতা ছিল কি?
অপারেশন ‘সিন্ধু’-র সেনা মৃত্যু নিয়ে প্রকাশ্যে প্রশ্ন তোলার সময়টি আদৌ উপযুক্ত ছিল কি?
শশী থারুরের মতো প্রাক্তন বিদেশ প্রতিমন্ত্রীর ভূমিকা দলের ভিতরেই কেন বিতর্কের কারণ হলো?
এইসব প্রশ্নের নিরুত্তর উপস্থিতি সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান সংক্রান্ত কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ও অভ্যন্তরীণ সমন্বয় নিয়ে সন্দেহের পরিসর তৈরি করে।