“আপনি কি জানেন, প্রতিদিনের প্রয়োজনে আপনার হাতের ওষুধটাই ধীরে ধীরে সোনার দামে উঠছে?”
সেই ঘরোয়া প্যারাসিটামল হোক কিংবা মা-বাবার ডায়াবেটিসের ওষুধ — সবকিছুর দাম যেন এখন আকাশ ছুঁয়েছে। একদিকে বাড়ছে রোগ, অন্যদিকে ফাঁকা হচ্ছে পকেট। কেন এই বিপর্যয়? চলুন খুঁজে দেখা যাক…
পশ্চিমবঙ্গে ওষুধের দাম হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। চিকিৎসার খরচ বৃদ্ধি পেয়ে অনেকেই বিপাকে পড়েছেন। এই মূল্যবৃদ্ধির ফলে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষদের চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
ওষুধের দাম বৃদ্ধির কারণ কী?
ওষুধের দাম হঠাৎ আকাশ ছুঁয়েছে—এটা শুধু বাজারের খামখেয়ালি নয়, এর পেছনে লুকিয়ে আছে অনেক জটিলতা, গোপন চক্রান্ত, আর কিছু চোখে পড়ার মতো বাস্তবতা। এবার ধাপে ধাপে দেখে নেওয়া যাক কেন পশ্চিমবঙ্গে ওষুধের দাম এমন হারে বাড়ছে—
অ্যাপ্রুভড লিস্টের উপর নির্ভরশীলতা
ভারত সরকারের NPPA (National Pharmaceutical Pricing Authority) প্রতি বছর নির্দিষ্ট কিছু Essential Medicines-এর দাম নির্ধারণ করে।
কিন্তু এই লিস্টে থাকা ওষুধের বাইরে থাকা অনেক দামি ব্র্যান্ডেড ওষুধ সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
ফলে কোম্পানিগুলি চাইলেই দাম বাড়াতে পারে, এবং এই সুযোগে বেসরকারি ওষুধের দোকানে অতিরিক্ত দাম নেওয়া হয়।
👉 অফ-লিস্ট ওষুধেই মূলত ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি লক্ষ করা যায়।
কাঁচামালের আমদানিনির্ভরতা
ভারতে প্রায় ৭০-৮০% ওষুধ তৈরির কাঁচামাল আসে চীন থেকে।
চীনে উৎপাদন ব্যাহত হলে তার ধাক্কা সরাসরি এসে পড়ে ভারতের ওষুধের বাজার পরিস্থিতি-তে।
কোভিডের পর থেকে এই সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে। ফলত পশ্চিমবঙ্গে ওষুধের দাম বেড়েছে হঠাৎ করেই।
🎯 এই আন্তর্জাতিক নির্ভরতার কারণে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সমস্যা বেড়ে গেছে।
ব্র্যান্ড VS জেনেরিক – বিভ্রান্তির কুয়াশা
বেশিরভাগ ডাক্তার এখনও ব্র্যান্ডেড ওষুধই লিখছেন, যেগুলোর দাম তুলনামূলক বেশি।
সাধারণ মানুষ জানেই না যে তার জায়গায় অনেক কম দামে জেনেরিক বিকল্প পাওয়া যায়।
📌 এটাই মূলত ওষুধ কিনতে সমস্যার এক গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
লুকোনো কর্পোরেট কৌশল
বড় বড় ফার্মা কোম্পানি বছরে হাজার কোটি টাকার মুনাফা করছে।
তারা নতুন ওষুধ বাজারে আনার নামে দাম বাড়িয়ে রাখছে।
একই উপাদান ব্যবহার করেও বিভিন্ন নামে বিভিন্ন দামে ওষুধ বিক্রি হচ্ছে – একপ্রকার ওষুধের জালিয়াতি চলছে।
🧠 এই কৌশলই রোগীদের সংকটকে আরও ঘনীভূত করছে।
সরকারি হাসপাতাল ও ওষুধের ঘাটতি
সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে ঘাটতি প্রকট।
বাধ্য হয়ে মানুষ ছুটছে বেসরকারি দোকানে, যেখানে দাম অনেক বেশি।
🆘 এই অবস্থা দরিদ্র রোগীদের জন্য ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব আরও ভয়ঙ্কর করে তুলছে।
স্বাস্থ্যবীমা থাকলেও কী লাভ?
স্বাস্থ্যবীমার আওতায় অনেক ক্ষেত্রেই ওষুধের খরচ কভার করে না।
ফলে মানুষ নিজের পকেট থেকেই টাকা দিয়ে ওষুধ কিনতে সমস্যা অনুভব করছে।
📉 চিকিৎসা খরচের চাপে সাধারণ পরিবার ভেঙে পড়ছে।
স্থানীয় ফার্মাসির অরাজকতা
অনেক ওষুধের দোকানে সরকার নির্ধারিত দাম লঙ্ঘন করে বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে।
কম জায়গায় ডিসকাউন্ট পাওয়া গেলেও শহরের বাইরে এমন সুযোগ দুর্লভ।
💬 এই অরাজকতা রোগীদের সংকট আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া: ওষুধ নয়, যেন বিষের দামে জীবন
“রোগ সারবে কীভাবে, যদি ওষুধই না কেনা যায়?”
উত্তর কলকাতার মানিকতলা এলাকার এক বৃদ্ধ বলেন, “পাঁচ বছর ধরে ডায়াবেটিস, রোজ insulin নিতাম। এখন সেটা কেনার আগে ভাবতে হয় দু’বার।“
পশ্চিমবঙ্গে ওষুধের দাম এমন জায়গায় পৌঁছেছে, যেখানে গরিব, মধ্যবিত্ত তো দূরের কথা, চাকুরিজীবী মানুষও ওষুধ কিনতে সমস্যা অনুভব করছেন।
এক মা বলেন, “বাচ্চার জ্বর হলে এখন পারা-সিটামল কিনতেও বুক কাপে।“
👉 এটি কেবল আর্থিক বিষয় নয়, এখন এটি এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্যবীমা? ওষুধ ছুঁয়েও যায় না!
বেশিরভাগ স্বাস্থ্যবীমা ও ওষুধ কেনার সমস্যা এখানেই—
বীমার আওতায় হাসপাতালের বিল ঢোকে, কিন্তু ওষুধের খরচ বাদ পড়ে।ফলে চিকিৎসা খরচের চাপে সাধারণ পরিবার একপ্রকার “আধা-বীমা” পরিস্থিতিতে দিন কাটাচ্ছে।
📌 উদাহরণ:
বহরমপুরের রিতা দেবীর কিডনির অসুখ। স্বাস্থ্যবীমা থাকলেও মাসে ৫০০০ টাকার ওষুধের খরচ বহন করতে গিয়ে তার স্বামী এখনো কিস্তি দিতে হিমশিম।
বেসরকারি দোকানে ছলচাতুরির ফাঁদ!
অনেকে অভিযোগ করছেন, সরকারি ওষুধের বিকল্প বলে বেসরকারি দোকানে এমন ওষুধ ধরিয়ে দিচ্ছে যেগুলোর দাম তিনগুণ।
ওষুধের জালিয়াতি ও মূল্যবৃদ্ধি মিলে বাজার যেন একটা সুগভীর ষড়যন্ত্রের আখড়া।
🧾 এক শিক্ষিত গ্রাহক বলেন, “একই Salt-এ একটার দাম ৩০ টাকা, অন্যটার ১০৫। অথচ ডাক্তার দামিটাই লিখে দেন! এটা কি খেলা নয়?“
“চিকিৎসা নয়, এখন সেটা একপ্রকার লাক্সারি!”
সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সমস্যা এখন একটা বাস্তব যুদ্ধক্ষেত্র।
আগে যেখানে ৫০০ টাকায় মাস চলত, এখন সেই ওষুধেই ১৫০০!
প্রতিদিন বাড়ছে চিকিৎসা খরচ, কমছে ন্যায্য চিকিৎসার সুযোগ।
স্বাস্থ্য পরিষেবায় ওষুধের ঘাটতির প্রভাব এতটাই স্পষ্ট যে, অনেকে এখন হোমিওপ্যাথি বা দেশজ চিকিৎসা-র দিকে ঝুঁকছেন।
বাজার, ডাক্তার আর সরকারের ‘মধুচক্র’ – জনতা সন্দিহান
অনেকেই বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন, এটি শুধুমাত্র বাজারের ভুল নয়— বরং এর পেছনে ওষুধ কোম্পানির লভ্যাংশ বাড়ানোর, ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ও দামি ওষুধ লেখার অভ্যাসের, এবং সরকার কতটা সাহায্য করছে—এই প্রশ্নে অনাস্থার ঝড়।
বিনামূল্যের ওষুধের অভাব যেন খোলা চোখে দেখা যায়, অথচ প্রশাসন চুপ।
📢 দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক বাসিন্দার ভাষায়, “গরিবদের বাঁচার অধিকারটাই বুঝি এখন বিলাসিতা!“
📌 একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অপ্রচলিত তথ্য:
👉 ২০২৪ সালে একটি সমীক্ষা (Consumer Voice India) জানিয়েছে,
ভারতে ৬৫%-এর বেশি মানুষ স্বাস্থ্যবীমা থাকলেও বছরে কমপক্ষে ৪-৫ বার ওষুধ কিনতে গিয়ে ব্যক্তিগত সঞ্চয় ভাঙে।
এই তথ্য স্বাস্থ্যবীমা ও ওষুধ কেনার সমস্যা-কে আরও স্পষ্ট করে তোলে।
🎤 জনতার মুখ থেকে উঠে আসা কিছু সরাসরি প্রতিক্রিয়া:
🗣️ “চিকিৎসা নয়, এটা এখন দানবের মুখোমুখি লড়াই!”
🗣️ “প্রেসক্রিপশন মানে এখন ভয়—ওষুধের দোকানে গেলে মাথা ঘুরে যায়।”
🗣️ “সরকার কি শুনছে? না কি বড় কোম্পানির মুনাফার গান গাইছে?”
🗣️ “দাম বাড়ছে, কিন্তু মজুত নেই। এইটা কেমন তামাশা?”
এই সমস্যায় সাধারণ মানুষের করণীয় কী?
বিকল্প খোঁজা, কিন্তু সচেতনভাবে
অনেকেই এখন দামি ব্র্যান্ড না কিনে Generic Medicine-এর দিকে ঝুঁকছেন।
👉 Generic ওষুধ মূলত সেই একই Salt, কিন্তু নাম-ভারে হালকা এবং দামেও অনেক সস্তা।
📌 ছোট টিপ:
Jan Aushadhi Kendras-এ একাধিক Generic ওষুধ পাওয়া যায়, যেগুলোর দাম কমপক্ষে ৫০–৭০% কম।
কিন্তু অনেক ডাক্তার এখনো সেগুলো লিখতে চান না—এটাই রোগীদের সবচেয়ে বড় বাধা।
Prescribing চাতুরী বোঝা ও প্রতিরোধ করা
ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ও দামি ওষুধ এখন একেকটা ধাঁধা।
👉 রোগী যেন জানতেই না পারে, এই ওষুধের বিকল্প কম দামেও আছে!
🔍 করণীয়:
রোগীরা এখন গুগল করে Salt চেক করছেন।
প্রেসক্রিপশন হাতে নিয়েই বলছেন, “এর Generic আছে কি?”
এতে ওষুধ কোম্পানির লভ্যাংশ কমলেও, সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সমস্যা খানিকটা হালকা হয়।
স্বাস্থ্যবীমা বেছে নিতে হবে বুঝে-শুনে
অনেক বীমা কোম্পানি শুধু হাসপাতালের বিল কভার করে।
👉 কিন্তু স্বাস্থ্যবীমা ও ওষুধ কেনার সমস্যা দূর করতে গেলে এমন পলিসি দরকার যেগুলো post-hospitalization ওষুধের খরচও কভার করে।
📢 টিপ:
Standalone OPD Health Insurance নাও—যেটা ওষুধ, ডাক্তার ফি, টেস্ট সবই কভার করে।
ডাক্তারকে প্রশ্ন করো—ভয় পাও না!
একটা বড় ভুল আমরা করি—ডাক্তার যা বলেন, না ভেবে শুনে নিই।
👉 অথচ জিজ্ঞেস করলে অনেক ডাক্তারই বলে দেন, “হ্যাঁ, এর সস্তা বিকল্প আছে।”
📌 এইটুকু সচেতনতা ওষুধের দাম কেন বাড়ছে তার বিরুদ্ধে একটা ব্যক্তিগত প্রতিবাদ।
🏛️ তাহলে সরকার কি আদৌ কিছু করছে?
‘জেনেরিক’ ড্রাম বাজছে, কিন্তু বাজছে কি মানুষের ঘরে?
সরকার Pradhan Mantri Jan Aushadhi Yojana চালু করেছে—মাথার উপর একটা ছাতা।
কিন্তু বাস্তবে?
👉 পশ্চিমবঙ্গের বহু জায়গায় এই দোকানগুলো হয় খোলা নেই, নয়তো stock-হীন।
📌 উদাহরণ:
মালদার একমাত্র জন-ঔষধি কেন্দ্রে insulin নেই ২ মাস ধরে!
তাহলে প্রশ্ন—সরকার কতটা সাহায্য করছে?
সরকারি হাসপাতালে ওষুধের ঘাটতি
সরকারি হাসপাতাল ও ওষুধের ঘাটতি এমন পর্যায়ে, যে অনেকে বলেন,
“সরকারি হাসপাতালে গিয়ে আবার বাইরের দোকান থেকে কেনা—এইটা কেমন দ্বিচারিতা?”
👉 বিনামূল্যের ওষুধের অভাব নিয়ে সরকারের স্পষ্ট নীতি দরকার।
মূল্য নিয়ন্ত্রণ নীতির দুর্বলতা
কিছু ওষুধ National List of Essential Medicines (NLEM)-এর আওতায় পড়লেও,
👉 নতুন ওষুধ, বিশেষ করে ক্যানসার বা হরমোনের ওষুধ, এখনো কম্পানি যা খুশি দাম ধরতে পারে।
🔍 এর ফল?
পশ্চিমবঙ্গে ওষুধের দাম কেন বাড়ছে—এর উত্তর আর খুঁজতে হয় না।
ভবিষ্যতের সম্ভাব্য সমাধান ও জনতার দাবি
NLEM তালিকাকে সময়োপযোগী করা দরকার
👉 NLEM বা National List of Essential Medicines এমন একটা সরকারি তালিকা, যার আওতায় থাকা ওষুধের দাম সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
কিন্তু—
এই তালিকাটি আপডেট হয় অনেক ধীর গতিতে
বহু প্রয়োজনীয় ওষুধ এখনো এই তালিকার বাইরে
📌 জনতার দাবি:
“সালটা ২০২৫—ক্যানসার, হার্ট, স্নায়ুর রোগের ওষুধ যদি এখনো এন.এল.ই.এম.-এ না থাকে, তাহলে কাদের জন্য এই তালিকা?”
‘জেনেরিক’ ওষুধের ব্যবহারে বাধ্যতামূলকতা দরকার
👉 ওষুধের বাজার পরিস্থিতি এখন একরকম ‘ব্র্যান্ড ডিপেন্ডেন্স’-এ পরিণত হয়েছে।
একই Salt-এর জেনেরিক ওষুধ যদি ৩০ টাকায় পাওয়া যায়, ব্র্যান্ডেড হলে তা ২০০ টাকায়!
📢 প্রস্তাবিত সমাধান:
ডাক্তারদের প্রেসক্রিপশনে Salt-এর নাম বাধ্যতামূলকভাবে উল্লেখ করতে হবে
ব্র্যান্ড নয়, Salt দিয়ে ওষুধ লিখলে ওষুধ কিনতে সমস্যা অনেকটাই কমবে
‘One Nation, One Price’ নীতি প্রয়োগ হোক
👉 এক ওষুধ, এক দেশ, অথচ দাম ভিন্ন!
পশ্চিমবঙ্গে ওষুধের দাম অনেক সময় অন্য রাজ্যের তুলনায় বেশি—এ কেমন যুক্তি?
📌 প্রস্তাব:
“One Nation, One Price” নীতি চালু হলে এক ওষুধ সব জায়গায় একই দামে মিলবে, রোগীদের জন্য বিশাল স্বস্তি।
e-Pharmacy-র মাধ্যমে বিকল্প খোঁজা
👉 আজকের দিনে ডিজিটাল স্বাস্থ্য পরিষেবা হল ভবিষ্যতের পথ।
অনলাইন ফার্মাসি থেকে অনেক সময় সস্তায় ওষুধ পাওয়া যায়
কম্পেয়ার করে দাম দেখা যায়
বাড়িতে বসে অর্ডার দেওয়া যায়
📢 তবে সাবধান!
জালিয়াত e-Pharmacy-ও বাড়ছে—সঠিক অ্যাপ/সাইট ব্যবহার করতে হবে।
(নিশ্চিত করতে হবে যেন স্বাস্থ্যবীমা ও ওষুধ কেনার সমস্যা অনলাইনেও না হয়)
স্বাস্থ্যবীমা কাভারেজে ওষুধ ও টেস্ট অন্তর্ভুক্ত হোক
👉 অধিকাংশ বীমা কেবলমাত্র হাসপাতালের খরচ কভার করে।
কিন্তু চিকিৎসার সবচেয়ে বেশি খরচ হয় যেখানটায়—ওষুধ এবং পরবর্তী চিকিৎসা—সেখানে কাভারেজ নেই!
📌 জনতার দাবিগুলোর মধ্যে এটা অন্যতম:
“স্বাস্থ্যবীমা যদি ডাক্তার ফি ও ওষুধের দাম কভার না করে, তবে সে কি সত্যি ‘স্বাস্থ্য নিরাপত্তা’?”
রাজ্য সরকারকে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে
👉 শুধু কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর দায় ঠেলে নয়, রাজ্যকেও এগিয়ে আসতে হবে।
সরকারি হাসপাতালের ওষুধের ঘাটতি পূরণ
জেলার স্তরে Jan Aushadhi Kendras বাড়ানো
ওষুধ কোম্পানির মুনাফা নিরীক্ষণ করা
📌 কারণ, সমস্যা তো পশ্চিমবঙ্গে ওষুধের দাম নিয়ে—তাহলে সমাধানও রাজ্যের হাতেই অনেকটা।
“ওষুধ যেন প্রাণের পাথেয়, ব্যবসার বস্তু না হয়”
আজকের দিনে ওষুধ কিনতে সমস্যা শুধু গরিবের নয়, মধ্যবিত্তেরও।
এই ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি আসলে এক ‘অদৃশ্য কর’—যা আমরা প্রতি দিন, চুপচাপ মেনে নিই।
কিন্তু আর নয়। এখন প্রশ্ন তোলার সময়।
👉 পশ্চিমবঙ্গে ওষুধের দাম কেন বাড়ছে—এই প্রশ্নটা আজ যেন বাংলার প্রতিটি পরিবার জিজ্ঞেস করে।
👉 চিকিৎসা খরচের চাপে সাধারণ পরিবার যেন না ভেঙে পড়ে—এই দায়িত্ব সরকারের, ডাক্তারের, এবং আমাদের সকলের।
আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ! ❤️আমরা সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের জন্য তথ্যসমৃদ্ধ, আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করতে, যাতে আপনি নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পারেন। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আমাদের সঙ্গে আপনার মতামত শেয়ার করতে চান, তাহলে “যোগাযোগ করুন” ফর্ম ব্যবহার করে সরাসরি আমাদের সাথে কথা বলুন। আমরা আগ্রহের সঙ্গে আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত এবং আপনার প্রতিক্রিয়াকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করি। এছাড়াও, ভবিষ্যতের আপডেট, নতুন নিবন্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস না করতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন—একসঙ্গে জানবো, শিখবো, আর নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্ব দেখবো