আর.জি. কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ ও খুন মামলায় ফের আইনি মোড়। দণ্ডিত সঞ্জয় রায় এবার খালাস চেয়ে দ্বারস্থ হয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টে। একদিকে যাবজ্জীবনের বিরুদ্ধে তাঁর আবেদন, অন্যদিকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই চাইছে কঠোরতম শাস্তি—মৃত্যুদণ্ড। আদালত জানিয়েছে, দুটি আবেদনই একসঙ্গে শোনা হবে সেপ্টেম্বর মাসে। প্রমাণ, সাক্ষ্য ও যুক্তির চুলচেরা বিশ্লেষণে নির্ভর করছে মামলার ভবিষ্যৎ। বহুচর্চিত এই মামলায় এবার নতুন পরিণতির অপেক্ষা। আদালতের রায়েই মিলবে শেষ জবাব—দোষী না নির্দোষ?

📌 স্টোরি হাইলাইটস

  • আর.জি. কর ধর্ষণ ও খুন মামলায় দোষী সঞ্জয় রায়ের খালাস চেয়ে আবেদন

  • সিবিআই দাবি করেছে মৃত্যুদণ্ড

  • ট্রায়াল কোর্ট দিয়েছিল যাবজ্জীবন সাজা

  • হাই কোর্টে শুনানি হবে সেপ্টেম্বর মাসে

বহু আলোচিত ও স্পর্শকাতর আর.জি. কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ধর্ষণ ও খুন মামলায় নতুন মোড়। বুধবার কলকাতা হাই কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, এই মামলায় একমাত্র দোষী হিসেবে দণ্ডপ্রাপ্ত সঞ্জয় রায়ের খালাসের আবেদন আগামী সেপ্টেম্বরে শুনবে আদালত।

হাই কোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মোঃ সাব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ এদিন জানায়, সঞ্জয় রায়ের খালাসের আবেদন সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (CBI)-এর মৃত্যুদণ্ডের দাবি সংক্রান্ত আবেদনের সঙ্গেই একত্রে শোনা হবে। বিষয়টির গুরুত্ব ও সংবেদনশীলতা মাথায় রেখে আদালত পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে সেপ্টেম্বর

সঞ্জয় রায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে তাঁর আইনজীবী আদালতে বলেন,
“শুধু মাত্র প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য ও পরোক্ষ তথ্যের উপর নির্ভর করে কোনো ব্যক্তিকে আজীবন শাস্তি দেওয়া কি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী নয়?”

তিনি আরও যুক্তি দেন,
“আমার মক্কেল নির্দোষ—এমন একাধিক দৃষ্টান্ত ও প্রমাণ রয়েছে যা বিচার প্রক্রিয়ায় উপেক্ষিত হয়েছে। এই মামলার প্রত্যেকটি স্তর আরও সুক্ষ্ম তদন্ত দাবি করে।”

অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI-এর পক্ষের আইনজীবী তাঁদের অবস্থান স্পষ্ট করে জানান,
“এই ঘটনার নৃশংসতা, অপরাধের প্রমাণ এবং সমাজে এর প্রভাব বিবেচনায়, ট্রায়াল কোর্টের দেওয়া যাবজ্জীবন শাস্তি যথাযথ নয়। আমরা চাই, দোষীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হোক, যাতে বিচারিক দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়।”

উল্লেখযোগ্য, গত ২০ জানুয়ারি ট্রায়াল কোর্ট এই মামলার রায় ঘোষণা করে সঞ্জয় রায়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। তবে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই।

বর্তমানে মামলার দুটি গুরুত্বপূর্ণ দিক—একদিকে দোষীর খালাসের আরজি, অন্যদিকে সিবিআই-এর মৃত্যুদণ্ডের দাবি—দু’টি বিষয় একসঙ্গে শুনতে রাজি হয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট।

আসন্ন শুনানির দিকে তাকিয়ে এখন সারা রাজ্যের চোখ, কারণ এই মামলার রায় শুধু এক ব্যক্তির ভাগ্যই নয়, বরং বিচারব্যবস্থার প্রতি জনসাধারণের আস্থা ও প্রত্যাশার প্রতিচ্ছবি হিসেবেও বিবেচিত হতে পারে।

আর.জি. কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ধর্ষণ ও খুন মামলায় আদালতের পরবর্তী পদক্ষেপ ঘিরে তৈরি হয়েছে চরম কৌতূহল ও উত্তেজনা। একদিকে দণ্ডিত সঞ্জয় রায়ের খালাসের দাবি, অন্যদিকে সিবিআই-এর মৃত্যুদণ্ডের আর্জি—এই দ্বন্দ্বের মীমাংসা এখন আদালতের বিচারবোধের উপর নির্ভরশীল। সেপ্টেম্বর মাসের শুনানি ঘিরে জনমানসে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন—শেষ পর্যন্ত বিচার কি দেবে দৃষ্টান্ত, না কি উঠবে বিতর্কের নতুন ঝড়?

আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ! ❤️আমরা সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের জন্য তথ্যসমৃদ্ধ, আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করতে, যাতে আপনি নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পারেন। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আমাদের সঙ্গে আপনার মতামত শেয়ার করতে চান, তাহলে “যোগাযোগ করুন” ফর্ম ব্যবহার করে সরাসরি আমাদের সাথে কথা বলুন। আমরা আগ্রহের সঙ্গে আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত এবং আপনার প্রতিক্রিয়াকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করি। এছাড়াও, ভবিষ্যতের আপডেট, নতুন নিবন্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস না করতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন—একসঙ্গে জানবো, শিখবো, আর নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্ব দেখবো

Leave a Reply