পুরনো কলকাতার বার সংস্কৃতি, জমিদারি বিলাস ও বউবাজার–সোনাগাছির রাতের আলোকছায়ার সঙ্গে জড়িয়ে আছে এক বিস্মৃত সামাজিক ইতিহাস। ম্লান আলোয় মদিরার টেবিল, গোপন সুরের মূর্ছনা ও অভিজাত্যের ছায়া মিলিয়ে গড়েছিল এক স্বতন্ত্র রাতের জীবন। এই সংস্কৃতি যেমন ধন ও ক্ষমতার আস্বাদনে জন্মেছিল, তেমনি বহন করেছিল বিতর্কের ভারও। আজ তা দাঁড়িয়ে আছে একইসঙ্গে ঐশ্বর্য ও জটিল উত্তরাধিকারের প্রতিচ্ছবি হয়ে।
‘বাবু’দের রাত, কলকাতার আয়না
উনিশ শতকের কলকাতা ছিল এক অদ্ভুত শহর—দু’পাশে ইউরোপীয় আভিজাত্য আর দেশজ ‘বাবু’–সংস্কৃতির মিলনস্থল। জমিদার–বাবুরা দিনের আদালত সামলে, রাত নামলে ঢুকে পড়তেন আড্ডা, মদ, নাচ–গান আর প্রণয়ের গোপন অলিন্দে। এই রাত্রিবিলাস ছিল যেমন শিল্প–সংস্কৃতির পীঠ, তেমনি নৈতিক আতঙ্কেরও কেন্দ্র। ঐতিহাসিক সুমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়েছেন—কলকাতার এলিট ও পপুলার সংস্কৃতির এই দ্বন্দ্বেই শহরের রাত্রিজীবন গড়ে উঠেছিল।
“বাবু–সংস্কৃতির ছায়ায় কলকাতার নগর–লোকসংস্কৃতি নতুন রূপ পেল।” — সংক্ষেপে বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য।
বউবাজার: ‘বৈঠকখানা’ থেকে ‘বৌ–বাজার’—নামের নেপথ্য
আজকের বউবাজারের পুরনো নাম ‘বৈঠকখানা’। মার্ক উডের ১৭৮৪ সালের মানচিত্রে এটি ‘বয়তাকন্নাহ স্ট্রিট’। নৌকোর মতোই এই রাস্তা ছিল শহরের পূর্ব–পশ্চিমের সেতু; এখানেই বাবুদের পালকি থামত, জমিদারদের বৈঠক বসত। পরের কালে জনশ্রুতি, এক ধনাঢ্য পরিবারের পুত্রবধূর নামে বাজার বসে—সেখান থেকে ‘বৌ–বাজার’।
স্থানীয় লোক–কথা ও শহর–ইতিহাসে ‘বৈঠকখানা’ নামের মূলে আবার জব চার্নকের আবাস, আর শিয়ালদহ–বৈঠকখানার প্রাচীন জনপদও আছে—অর্থাৎ বউবাজার এই শহরের চেয়েও পুরোনো এক স্মৃতি।
সোনাগাছি: ‘সোনার গাছ’ না ‘সনা–গাজি’?—উৎপত্তির দুই কাহিনি
উত্তর কলকাতার সোনাগাছি—এশিয়ার বৃহত্তম রেড–লাইট এলাকার একটি। নামের উৎস নিয়েই বিতর্ক—কারও মতে ‘সোনা–গাছি’, অর্থাৎ ‘গোল্ডেন ট্রি’; আবার ‘সনা/সোনা গাজি’ নামে এক দস্যু–পীরের কিসসা ঘিরেও নামটি প্রচলিত। কলকাতার ‘বেয়ারফুট হিস্টোরিয়ান’ পি. টি. নায়ার–এর উদ্ধৃতি টেনে ভারতীয় এক্সপ্রেস লিখেছে—সানা’উল্লাহ নামের সেই দস্যুর মৃত্যু–পর্ব, মায়ের স্বপ্নাদেশ, আর তার স্মৃতিতে এক মসজিদের কাহিনি থেকে ‘সোনাগাছি’।
“সোনাগাছি—নামে সোনা, মনে এক মুসলিম সাধক; ‘পাপ’–পল্লির ভিতরে দাঁড়িয়ে আছে এক ‘পীর’–কথা।” — ভারতীয় এক্সপ্রেসের নিবন্ধভাষ্য।
চিৎপুর–রবীন্দ্র সরণির ধার ঘেঁষে তাওয়ায়েফ–কোর্টিসানদের আনাগোনা, গানের ‘বৈঠকি’ সংস্কৃতি—এরই পাশে বদ্ধ পল্লি, লক–হাসপাতাল, পুলিশের নজরদারি মিলিয়ে যে ‘রাতের শহর’ তৈরি হয়, তা কলকাতার আধুনিকতারও কণ্টকাকীর্ণ জন্মকথা।
জমিদারি–বাবুদের রাতের মানচিত্র: বার, আড্ডা, ‘ঘর’
উনিশ শতকের ‘বাবু’–সমাজে নাচ–গান, পানভোজন, কবিগান, বাঈজির আসর—এসবই ছিল শ্রেণি–প্রতিষ্ঠার বাহন। শহরের বিভিন্ন ‘কোয়ার্টার’–এ বাঈজি–বাড়ি ছিল পানশালার সমান্তরাল সামাজিক ক্ষেত্র—যেখানে মদ, সঙ্গীত, নৃত্য ও প্রণয় ভেসে বেড়াত। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যায়, উপনিবেশিক বাংলায় ‘ব্রথেল’–ঘরগুলো ছিল মদেরও ‘সামাজিক পরিসর’—বাবু ও মধ্যবিত্ত সরকারি–কর্মচারীরা নিয়মিত যেতেন।
কিন্তু এই আনন্দলোকের ভিতরেই ছিল রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের কণ্টক—১৮৬৪–৮৬–র Contagious Diseases Acts–এর জালে ‘লক–হাসপাতাল’, বাধ্যতামূলক পরীক্ষা, পুলিশের গোমস্তা–চৌধুরানিদের অতিরিক্ত ক্ষমতা—সব মিলিয়ে নারীদের শরীর–নীতি নিয়ন্ত্রণের ইতিহাস। “ব্রিটিশ আমলে ‘লক–হাসপাতাল’–এ সন্দেহভাজন নারীদের আটকে রাখা হতো”—ঐতিহাসিক মেডিক্যাল গবেষণার সারকথা।
আইন, নৈতিকতা ও ‘বিতর্কিত’ বাস্তব
উপনিবেশিক ‘সংযম’–আদর্শের প্রভাবে একদিকে চলছিল ‘স্যানিটেশন’–অভিযান, অন্যদিকে দেশীয় ‘ভিক্টোরিয়ান’ ভদ্রসমাজও পতিতাবৃত্তি বিরোধী প্রচার চালায়। এই দ্বন্দ্বই রাতে–দিনে কলকাতাকে দুই শহরে ভাগ করে দেয়—পথ্য–অপথ্য, ভদ্র–অভদ্র।
স্বাধীনতার পরও আইনগত দ্বিধা থেকেই যায়—ITPA–র (Immoral Traffic Prevention Act) অধীনে ‘সোলিসিটেশন’ অপরাধ, অথচ প্রাপ্তবয়স্ক, স্বেচ্ছাসেবী যৌনকর্মের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বিভ্রান্ত। হার্ভার্ড ল–জার্নালের বিশ্লেষণ বলছে—আইন প্রায়ই ‘যৌনকর্ম’ আর ‘ট্রাফিকিং’–কে গুলিয়ে ফেলে।
সাম্প্রতিক মোড়
২০২২–এ ভারতের সুপ্রিম কোর্ট পরিষ্কার ভাষায় বলেছে: “Sex workers are entitled to equal protection of the law.”—প্রাপ্তবয়স্ক, সম্মতিতে পেশায় থাকলে পুলিশি হেনস্থা চলবে না।
সোনাগাছি মডেল: ক্ষমতায়ন না ‘আপসের রাজনীতি’?
১৯৯০–এর দশকে সোনাগাছি প্রজেক্ট ও দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটি (DMSC)—স্বাস্থ্য, কনডম, অধিকার, মাইক্রো–ফাইন্যান্স—সব মিলিয়ে ‘কমিউনিটি–লেড’ হস্তক্ষেপে এই পল্লিতে এইচআইভি–ঝুঁকি কমেছে—এমন প্রমাণও কম নয়।
“কমিউনিটি–আইডেন্টিটি যত মজবুত, নিরাপদ আচরণ তত বাড়ে”—সোনাগাছি–অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ।
তবু ‘সবই সোনার’—এমন নয়। নৃ–বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন—দুর্বার/সোনাগাছির মতো প্রকল্পে রাষ্ট্র, এনজিও, পুলিশ—সব পক্ষের সঙ্গে “প্রয়োজনীয় আপস”–এর বাস্তবতা আছে; অংশগ্রহণ–রাজনীতির ‘বিশুদ্ধ’ স্বপ্নের সঙ্গে মাঠের কাজের টানাপোড়েন চিরন্তন।
আরও তীব্র বিতর্ক—কিছু রিপোর্টে ট্রাফিকিং/অপ্রাপ্তবয়স্কদের উপস্থিতির অভিযোগ, কনডম ব্যবহারে ক্লায়েন্ট–প্রতিরোধ, এমনকি ফলাফল–জানানো নিয়েও প্রশ্ন—এগুলো নিয়ে মতভেদ প্রবল এবং অংশবিশেষ উৎসকে বিশেষজ্ঞরা ‘বিতর্কিত/আংশিক’ বলেই চিহ্নিত করেছেন। তবু জনচর্চায় এই অভিযোগগুলো টিকে আছে।
বউবাজার–সোনাগাছি: কীভাবে এই ‘পাড়া’রা তৈরি হল
কলকাতার প্রথম বিস্তার হয়েছিল নদীর ধারে ইউরোপীয় বাণিজ্যকেন্দ্র ঘিরে। বাজার, আড়ত, ছাপাখানা, জুয়েলারি–পট্টি আর রেল (শিয়ালদহ)–নির্ভর যাতায়াত এই অঞ্চলে রাত–দিনের বাজারসুলভতা তৈরি করে—আবার বৈঠকখানা–সংস্কৃতি, পালকি–স্থল, বাবু–আসরের টানাপোড়েনও জুড়ে যায়। ফলে বউবাজারে ‘মিশ্র–পাড়া’—যেখানে ভদ্রলোকের বসতি ও আড়ালের পেশা পাশাপাশি ছিল—ঐতিহাসিক নথিতেই ইঙ্গিত মেলে।
সোনাগাছি গড়ে ওঠে চিৎপুর–কর্নওয়ালিস–চত্বরের বাণিজ্য–অক্ষকে কেন্দ্র করে—ঘাট, রাস্তা, ছাপাখানা, থিয়েটার, উন্মুক্ত বাজার—সব মিলিয়ে ‘কাস্টমার–ফ্লো’–এর শহুরে অর্থনীতি। ব্রিটিশ সৈন্যবাহিনীর স্বাস্থ্যনীতি, পুলিশের নিয়মনীতির পাশাপাশি স্থানীয় দালাল–মেশিনারি মিলে ‘ঘর’–ব্যবস্থা গুঁজে দেয়; এ–ই ছিল লক–হাসপাতাল–যুগের শহুরে মরাল জিওগ্রাফি।
পার্ক স্ট্রিটের কাবারে: রাতের কলকাতার দ্বিতীয় অধ্যায়
জমিদারি–যুগের পর, ১৯৫০–৭০–এ পার্ক স্ট্রিট–কেন্দ্রিক কাবারে–বার—মুলাঁ রুজ, ট্রিঙ্কাস, ব্লু ফক্স, মোকাম্বো—কলকাতার রাতকে আবার বিশ্বমঞ্চে তোলে; জ্যাজ–কণ্ঠ, লাইভ–মিউজিক, ককটেল—সব মিলিয়ে ‘মডার্ন’ বাঙালির রাত্রি। ট্রিঙ্কাস আজও লাইভ–মিউজিকের ঐতিহ্য টিকিয়ে রেখেছে; উষা উত্থুপ–দের কণ্ঠে শহর শুনেছে ‘কলকাতা–নাইটস’।
সমালোচকের চোখে: ইতিবাচক বনাম নেতিবাচক
ইতিবাচক
শিল্প–সংস্কৃতির পীঠ: বাঈজি–আসর, কবিগান, থিয়েটার—কলকাতার রেনেসাঁস–স্বরের এক অংশ। University of Chicago Press
স্বাস্থ্য–অধিকার–কমিউনিটি: সোনাগাছি মডেল কনডম–ব্যবহার ও এইচআইভি–ঝুঁকি কমাতে বিশ্বে ‘কেস–স্টাডি’। PMCScienceDirect
আইনি মর্যাদা–দিকচিহ্ন: সুপ্রিম কোর্টের ২০২২ নির্দেশ—পুলিশি হেনস্থা নয়, মর্যাদা–সুরক্ষা—এক ঐতিহাসিক সুইচ। The Diplomat
“Sex workers are entitled to equal protection of the law.” — ভারতের সুপ্রিম কোর্ট, মে ২০২২। J
নেতিবাচক/বিতর্কিত
রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে নারীর দেহনীতি: ‘লক–হাসপাতাল’–এর ইতিহাস নারীর ওপর বলপ্রয়োগের সাক্ষ্য।
আইনের দ্ব্যর্থতা: ITPA প্রায়ই ‘যৌনকর্ম’ ও ‘ট্রাফিকিং’ গুলিয়ে ফেলে—ক্ষেত্রে অন্যায় বাড়ে।
ট্রাফিকিং–বাস্তবতা ও প্রকল্প–রাজনীতি: সোনাগাছিকে ঘিরে অপ্রাপ্তবয়স্ক/জবরদস্তির অভিযোগ, কনডম–নেতিবাচকতা, তথ্য–ব্যবস্থাপনা—সবই কঠোর বিতর্কের বিষয়; একই সঙ্গে, ‘কমিউনিটি–লেড’ মডেলে আপসের রাজনীতি অনিবার্য বলে গবেষণা।
সমালোচনামূলক ‘কোটস’: শহরের রাত নিয়ে পাঁচটি ঝলক
“বাবু–সংস্কৃতি কলকাতার লোক–সংস্কৃতিকে নতুন করে গড়ল”—ইতিহাস–বিশ্লেষণ।
“সন্দেহভাজন নারীদের লক–হাসপাতালে আটক রাখা হতো”—ঔপনিবেশিক চিকিৎসা–নীতি।
“কমিউনিটি–আইডেন্টিটি ও অংশগ্রহণ কনডম–ব্যবহার বাড়ায়”—সোনাগাছি–গবেষণা।
“Sex workers… equal protection of the law”—সুপ্রিম কোর্ট, ২০২২।
“সোনাগাছির নামের আড়ালে এক ‘পীর’–কাহিনি”—শহর–ইতিহাস।
“বিতর্ক–বান্ধব” তথ্য: যা জানলে পাঠ আরও কৌতূহল–জাগানিয়া
সোনাগাছিতে Durbar–এর উদ্যোগ ১৯৯০–এর দশক থেকে স্বাস্থ্য–অধিকার কর্মসূচি চালায়; আজও ৬৫,০০০–এর বেশি সদস্য যুক্ত—এ দাবির খবর–নথি আছে, তবে ক্ষেত্র–বাস্তবের মূল্যায়নে মতভেদ বজায়। The LancetDurbar
২০২৫–এ দুর্বারের ৩০ বছর উদ্যাপনে ‘ফ্যাশন শো’ থেকে নীতি–আলোচনা—যৌনকর্মীদের পাবলিক ভিজিবিলিটি–র নতুন ভাষা তৈরি হচ্ছে। The Times of India
পার্ক স্ট্রিটের কাবারে–ইতিহাস আজ নস্টালজিয়ার স্মারক হলেও, অ্যাঙ্গলো–ইন্ডিয়ান প্রস্থান, অর্থনীতি–রাজনীতির বদলে যাওয়া—সব মিলিয়ে ‘লং নাইট’ ছোট হয়ে গেছে। Upper Crust IndiaThe Indian Express
📚 বই ও গবেষণা সূত্র-যে বইগুলো এই ইতিহাসে আলোকপাত করেছে
এই বিতর্কিত অথচ আকর্ষণীয় বিষয়ের উপর একাধিক বই রচিত হয়েছে—
- “Calcutta: The Living City” – Sukanta Chaudhuri (Edited, Oxford University Press)
দুই খণ্ডে প্রকাশিত এই বইতে কলকাতার সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের বিশদ বিবরণ আছে।
পার্ক স্ট্রিট, কাবারে ও রাতের বিনোদন বিষয়ে বিশেষ অধ্যায় পাওয়া যায়।
“City of Joy” – Dominique Lapierre
যদিও উপন্যাসধর্মী, তবে ১৯৭০-এর কলকাতার রাত্রিজীবন, গরিব-অভিজাত বৈপরীত্য ও পার্ক স্ট্রিটের জৌলুস ফুটে উঠেছে।
“Calcutta Nights” (রাতের কলকাতা) – Hemendra Kumar Roy
হেমেন্দ্রকুমার রায়ের লেখা এই বইতে বিংশ শতকের গোড়ার কলকাতার রাতের জীবনের অনন্য বর্ণনা রয়েছে।
কাবারে, পতিতালয়, বাউবাজার সবই এখানে পাওয়া যায়।
“The Great Indian Nightlife” – Sidharth Bhatia
ভারতের নানা শহরের রাতের বিনোদনের ইতিহাস।
কলকাতার পার্ক স্ট্রিট ও কাবারে নিয়ে আলাদা অধ্যায় আছে।
প্রবন্ধ: “Cabaret in Calcutta: Modernity and Morality” – Journal of South Asian Studies
গবেষণা-ভিত্তিক একটি প্রবন্ধ, যেখানে বলা হয়েছে কীভাবে ইউরোপীয় সেনাদের প্রভাবে কাবারে ছড়িয়ে পড়ে।
“Kolkata: The Colonial City in Transition” – Swati Chattopadhyay
শহরের উপনিবেশ-পরবর্তী রূপান্তরে পার্ক স্ট্রিট ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলির বিশ্লেষণ।
পত্রিকা ও আর্কাইভ
The Statesman (British-era newspaper)
Amrita Bazar Patrika
পুরনো আর্কাইভে পার্ক স্ট্রিটের কাবারে বিজ্ঞাপন, রিভিউ ও সমালোচনা পাওয়া যায়।
“দুপুরের কলকাতা” – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় (সাহিত্যিক রূপে এই সংস্কৃতির বর্ণনা)
“In the Shadows of the City: The Sex Workers of Sonagachi” – Chaitali Dasgupta
জমিদারি থেকে জ্যাজ—রাতের কলকাতার শিক্ষা
পুরনো কলকাতার বার–নাইট–সংস্কৃতি জমিদারির সুখ–অসুখ, ব্রিটিশ রাজের নিয়ন্ত্রণ–নৈতিকতা, স্বাধীনতার পরের আইনি টানাপোড়েন, আর কমিউনিটি–অধিকারের লড়াই—সব মিলিয়ে এক ‘বহুস্বরিক’ ইতিহাস। বউবাজার–সোনাগাছির সৃষ্টি–কথা আমাদের মনে করিয়ে দেয়—শহর কেবল স্থাপত্য নয়; মানুষের চাহিদা, ভয়, আনন্দ, নীতি ও আপসের জটিল সমীকরণ। এই শহরে রাত কখনও কেবল ‘পাপ’ নয়, আবার একমাত্র ‘উৎসব’ও নয়—এটি এক দীর্ঘ বিতর্ক, যেখানে মর্যাদা ও অধিকার–নিরাপত্তার প্রশ্নটাই শেষ কথা।
আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ! ❤️আমরা সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের জন্য তথ্যসমৃদ্ধ, আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করতে, যাতে আপনি নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পারেন। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আমাদের সঙ্গে আপনার মতামত শেয়ার করতে চান, তাহলে “যোগাযোগ করুন” ফর্ম ব্যবহার করে সরাসরি আমাদের সাথে কথা বলুন। আমরা আগ্রহের সঙ্গে আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত এবং আপনার প্রতিক্রিয়াকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করি। এছাড়াও, ভবিষ্যতের আপডেট, নতুন নিবন্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস না করতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন—একসঙ্গে জানবো, শিখবো, আর নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্ব দেখবো