গঙ্গার দূষণ নিয়ে আবারও কঠোর অবস্থান নিল National Green Tribunal (NGT)। ট্রাইব্যুনালের প্রিন্সিপাল বেঞ্চ Central Pollution Control Board (CPCB)-কে নির্দেশ দিয়েছে West Bengal segment of Ganga river-এর জলমান পর্যবেক্ষণের বিস্তারিত রিপোর্ট দাখিল করতে। এই রিপোর্টে প্রাথমিক তথ্যসহ জল পরীক্ষার ফলাফল দিতে বলা হয়েছে, যাতে নদীর বাস্তব দূষণ মাত্রা স্পষ্টভাবে সামনে আসে।

এই মামলাটি ৮ অক্টোবর, ২০২৫-এ শুনানি হয়েছিল বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিশেষজ্ঞ সদস্য ড. এ. সেন্টিল ভেলের বেঞ্চে। মামলাটি মূলত গঙ্গার পুনরুদ্ধার ও ব্যাকটেরিওলজিক্যাল দূষণ নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সম্পর্কিত।

📰 STORY HIGHLIGHTS:

  • National Green Tribunal (NGT) নির্দেশ দিয়েছে ৪ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে Central Pollution Control Board (CPCB)-কে।

  • রিপোর্টে থাকতে হবে E. coli, faecal streptococci, faecal coliform ও total coliform-এর প্রাথমিক তথ্য।

  • West Bengal সরকার তাদের পক্ষ থেকে রিপোর্ট জমা দিতে আরও ৬ সপ্তাহ সময় প্রার্থনা করেছে।

  • CPCB-এর রিপোর্টে ধরা পড়েছে: রাজ্যের ৪২টি STP-এর মধ্যে ১১টি অকেজো, ২৪টি মানদণ্ডে ব্যর্থ।

  • পরবর্তী শুনানি নির্ধারিত হয়েছে ২৮ নভেম্বর, ২০২৫

NGT-এর নির্দেশে বলা হয়েছে, CPCB-কে চার সপ্তাহের মধ্যে Ganga river-এর West Bengal অংশ থেকে সংগৃহীত জল নমুনার প্রাথমিক তথ্য প্রকাশ করতে হবে। এই নমুনাগুলোতে E. coli, faecal streptococci, faecal coliform এবং total coliform-এর উপস্থিতি পরীক্ষা করা হয়েছে। এসব সূচক সাধারণত মলবাহিত দূষণ নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়, যা মানুষের ব্যবহারের অনুপযুক্ত জলমানের ইঙ্গিত দেয়।

এদিকে, রাজ্য সরকার তাদের বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য ছয় সপ্তাহের অতিরিক্ত সময় চেয়েছে। ট্রাইব্যুনালের মতে, গঙ্গার West Bengal অংশে দূষণের মাত্রা এখন এক গভীর পরিবেশগত সংকটের পর্যায়ে পৌঁছেছে।

পরিবেশ কর্মী শুভাশ দত্ত বলেন,

“গঙ্গার শেষপ্রান্ত হওয়ায় West Bengal segment-এর ওপর দূষণের চাপ অনেক বেশি। শিল্পবর্জ্য, অপরিশোধিত নর্দমা, এবং নদীর নাব্যতা হ্রাসের কারণে জলমান দ্রুত অবনতি ঘটছে।”

তিনি আরও যোগ করেন,

“কলকাতা ও হাওড়া রাজ্যের সবচেয়ে বড় দূষণ উৎস। অনেক নর্দমা পরিশোধনাগার (STP) এখন বন্ধ বা অকেজো। ড্রেজিং শুধুমাত্র জাহাজ চলাচলের জন্য হয়, কিন্তু ড্রেজ করা মাটি আবার নদীতেই ফেলে দেওয়া হয়। প্রতিমা বিসর্জনও নদীর দূষণকে আরও বাড়িয়ে দেয়।”

CPCB-এর ৬ অক্টোবর জমা দেওয়া রিপোর্টে দেখা গেছে, West Bengal-এর গঙ্গাতীরবর্তী ৩০টি শহরে অবস্থিত ৪২টি STP-এর মধ্যে ১১টি সম্পূর্ণভাবে অকেজো, এবং ২৪টি NGT নির্ধারিত মানদণ্ডে ব্যর্থ হয়েছে।

তবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের ১৩ অক্টোবর, ২০১৭-র নির্দেশ অনুযায়ী ১৭টি STP বর্তমানে মান মেনে চলছে, কিন্তু ১৪টি STP সেই মান বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, গঙ্গার এই পরিস্থিতি শুধু পরিবেশ নয়, মানবস্বাস্থ্যের জন্যও গভীর বিপদ তৈরি করছে। অপরিশোধিত বর্জ্য, শিল্পদূষণ, এবং অপর্যাপ্ত পরিশোধনাগারের ফলে নদীর জল ব্যবহারের যোগ্য থাকছে না।

Ganga river-এর শেষপ্রান্তে অবস্থানকারী West Bengal অংশে জলমান রক্ষায় প্রশাসনিক উদ্যোগ যতই নেওয়া হোক না কেন, তার বাস্তবায়নই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

এই মামলার পরবর্তী শুনানি নির্ধারিত হয়েছে ২৮ নভেম্বর, ২০২৫। এখন দেখার বিষয়, National Green Tribunal (NGT)-এর নির্দেশ অনুযায়ী Central Pollution Control Board (CPCB)-এর রিপোর্টে কী উঠে আসে এবং গঙ্গার দূষণ রোধে কতটা বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

National Green Tribunal (NGT)-এর এই নির্দেশ West Bengal segment of Ganga river-এর দূষণ সমস্যা নিয়ে নতুন করে আলোচনার দরজা খুলে দিয়েছে। গঙ্গার জলমান রক্ষায় পূর্বে বহু পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলেও তার বাস্তব ফলাফল এখনও প্রশ্নের মুখে। Central Pollution Control Board (CPCB)-এর রিপোর্ট এবং তার ভিত্তিতে নেওয়া পদক্ষেপই এখন নির্ধারণ করবে গঙ্গার ভবিষ্যৎ কতটা নিরাপদ ও টেকসই হতে পারে। গঙ্গার দূষণ রোধ শুধুমাত্র প্রশাসনিক দায় নয়, এটি সমাজের সামগ্রিক সচেতনতা ও দায়িত্ববোধেরও পরীক্ষা। যদি CPCB ও রাজ্য সরকার যৌথভাবে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়, তবে হয়তো Ganga river আবারও তার পবিত্রতা ফিরে পেতে পারে।

আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ! ❤️আমরা সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের জন্য তথ্যসমৃদ্ধ, আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করতে, যাতে আপনি নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পারেন। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আমাদের সঙ্গে আপনার মতামত শেয়ার করতে চান, তাহলে “যোগাযোগ করুন” ফর্ম ব্যবহার করে সরাসরি আমাদের সাথে কথা বলুন। আমরা আগ্রহের সঙ্গে আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত এবং আপনার প্রতিক্রিয়াকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করি। এছাড়াও, ভবিষ্যতের আপডেট, নতুন নিবন্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস না করতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন—একসঙ্গে জানবো, শিখবো, আর নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্ব দেখবো

Leave a Reply