২০২৫ সালের বাজেটের সবচেয়ে বড় ঘোষণা হিসেবে নতুন আয়কর বিল ২০২৫ পেশ করা হয়েছে। এই বিলটি দেশের কর ব্যবস্থা সংস্কারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বহুদিন ধরে আয়কর আইন সম্পর্কে নানা আলোচনা ও পরিবর্তনের দাবি ছিল, আর এবার তা বাস্তবায়িত হতে চলেছে। আসুন, বিস্তারিতভাবে জানি নতুন এই বিলের প্রতি দৃষ্টি দিতে হবে কেন এবং এটি কীভাবে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলবে।
নতুন আয়কর বিল ২০২৫-এর প্রকাশের তারিখ
২০২৫ সালের বাজেট পেশের সঙ্গে সঙ্গে নতুন আয়কর বিল ২০২৫-ও সংসদে উত্থাপিত হয়। এটি প্রস্তাবিত ৬২২ পৃষ্ঠার একটি বিল, যা আগের ৮৮০ পৃষ্ঠার আয়কর আইনের তুলনায় অনেক বেশি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্টভাবে লেখা হয়েছে। বিলটি ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে পেশ হয়, এবং এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু পরিবর্তন ও সহজীকরণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এক কথায়, এটি ভারতের কর ব্যবস্থাকে আরও আধুনিক, স্বচ্ছ এবং জনবান্ধব করার জন্য একটি বড় পদক্ষেপ।
বিলের হাইলাইটস: নতুন আয়কর বিল ২০২৫-এর মূল পরিবর্তনগুলি
নতুন আয়কর বিল ২০২৫ ভারতের কর ব্যবস্থা পরিবর্তন করার এক বৃহৎ পদক্ষেপ। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এই বিলটি পেশ করেছেন, যা আগের ১৯৬১ সালের আইনের তুলনায় অনেকটাই পরিবর্তনশীল। এর লক্ষ্য হলো করদাতাদের জন্য একটি সহজ, স্পষ্ট, এবং লাভজনক ব্যবস্থা তৈরি করা। চলুন, বিস্তারিতভাবে জানি “বিলের হাইলাইটস” সম্পর্কে, অর্থাৎ কী কী প্রধান বিষয়গুলোর মধ্যে নতুন বিলে পরিবর্তন আসছে এবং কীভাবে সেগুলো সাধারণ জনগণের জন্য সুবিধাজনক হতে পারে।
1. কর স্ল্যাবের পরিবর্তন
নতুন আয়কর বিল ২০২৫-এর সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হলো কর স্ল্যাব। এই বিলটি করদাতাদের জন্য একটি সহজ এবং সুবিধাজনক কাঠামো প্রদান করছে। আগের স্ল্যাবগুলির তুলনায় এটি অনেক বেশি সরল এবং পরিচালনাযোগ্য। বিশদে বলা যেতে পারে:
৪ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়: আগের আইনে যেখানে ৫ লাখ টাকার উপরে করযোগ্য আয় ছিল, সেখানে নতুন বিল অনুযায়ী ৪ লাখ টাকার উপরে আর কোনো কর ধার্য করা হবে না। এটি দেশের সাধারণ জনগণের জন্য খুবই লাভজনক, কারণ তারা কম আয়ের উপরে কোনো কর প্রদান করতে বাধ্য হবেন না।
৪ লাখ থেকে ৮ লাখ টাকা: এই আয়ের উপর ৫% কর লাগানো হয়েছে, যা আগের তুলনায় কিছুটা কম। এটা মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য একটি বড় সুবিধা।
৮ লাখ থেকে ১২ লাখ টাকা: ১০% কর ধার্য করা হয়েছে, যা আগের তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি। তবে এটি বিশেষ করে যারা আধা-মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে পড়ে, তাদের জন্য উপযুক্ত।
১২ লাখ থেকে ১৬ লাখ টাকা: এই স্ল্যাবে ১৫% কর ধার্য করা হয়েছে, যা স্বল্প আয়ের তুলনায় উচ্চ আয়ের ব্যক্তিরা বেশি প্রদান করবেন।
১৬ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকা: ২০% কর, আর ২০ লাখ টাকা এবং তার বেশি আয়ের উপর ২৫% কর।
এই পরিবর্তনগুলির ফলে সাধারণ মানুষের জন্য কর ব্যবস্থাকে আরও সহজ করা হয়েছে, এবং স্ল্যাবের মধ্যে প্রবেশ করা অনেক বেশি স্পষ্ট হয়েছে।
2. স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের বৃদ্ধি
নতুন আয়কর বিল ২০২৫-এ স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন অনেক বাড়ানো হয়েছে। যেখানে পূর্বের আইনে এটি ছিল মাত্র ৫০,০০০ টাকা, সেখানে নতুন বিলে এটি ৭৫,০০০ টাকা করা হয়েছে। এর ফলে কর্মজীবী বা বেতনভোগী ব্যক্তিদের জন্য এটি একটি বড় সুবিধা। স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের পরিমাণ বাড়ানোর ফলে করদাতারা আরও বেশি করছাড় পাবেন, যা তাদের আর্থিক পরিস্থিতি উন্নত করতে সহায়ক হবে। এটি বিশেষ করে মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য বড় একটি সহায়ক পদক্ষেপ।
3. কর কাঠামোর সরলীকরণ
আগে যে কর কাঠামোটি ছিল, তা অনেক জটিল ছিল। বিশেষ করে, “করবর্ষ” এবং “মূল্যায়নবর্ষ” এই শব্দগুলির মধ্যে বিভ্রান্তি ছিল। নতুন বিলটি এসব শব্দের পরিবর্তে একক “করবর্ষ” ব্যবহার করেছে, যা পরবর্তী কর সংশ্লিষ্ট কাজকে অনেক সহজ করে তুলবে। এতে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া আরও দ্রুত এবং কার্যকর হবে।
এছাড়াও, বহু ধরনের কর ছাড় ও সংশোধনী বিলটি সরলীকরণ করেছে, যা অতীতে অনেক বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছিল। এই সরলীকরণ করদাতাদের জন্য সময় সাশ্রয়ী হবে এবং তারা সহজে তাদের করের হিসাব করতে পারবেন।
4. সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের উপর সুবিধা
নতুন আয়কর বিল ২০২৫-এ সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের উপরে কিছু সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ইক্যুইটি সঞ্চয় স্কিম (ELSS), পিপিএফ, ইআরপি, ইত্যাদি স্কিমগুলিতে বিনিয়োগ করলে করছাড়ের সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব স্কিমে বিনিয়োগ করলে ভবিষ্যতে লাভের পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব হবে এবং করদাতারা আরও বেশি সুবিধা পাবেন।
5. আর্থিক পরিষেবা এবং ডিজিটাল কর ব্যবস্থা
নতুন আয়কর বিল ২০২৫-এ ডিজিটাল কর ব্যবস্থা আরও সহজ ও সুরক্ষিত করা হয়েছে। এখন, করদাতারা অনলাইনে কর দাখিল করতে পারবেন, এবং এর মাধ্যমে তারা সময় এবং প্রচেষ্টা বাঁচাতে পারবেন। ডিজিটাল সিস্টেমের মাধ্যমে কর পরিশোধ করা আরও সুবিধাজনক হবে, এবং এটি সিস্টেমের নির্ভুলতা ও স্বচ্ছতা বাড়াবে।
6. বিলের অন্যান্য প্রধান পরিবর্তন
নতুন আয়কর বিল ২০২৫-এ কিছু নতুন সুবিধাও রয়েছে। এসব সুবিধা করদাতাদের জন্য অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করবে, যেমন:
- ধার্যকৃত করের জন্য সময়সীমা বৃদ্ধি: কর পরিশোধের জন্য অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে।
- ডিজিটাল রিটার্ন এবং ফাইলিং সুবিধা: করদাতারা তাদের রিটার্ন ফাইল করার জন্য আরও সহজ পদ্ধতি পাবেন।
বিলের বিভিন্ন স্ল্যাব: নতুন আয়কর বিল ২০২৫-এর আয়কর স্ল্যাব কাঠামো
নতুন আয়কর বিল ২০২৫-এ সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হলো কর স্ল্যাব এর সংশোধন। স্ল্যাবগুলো আয়কর কাঠামোর মূল ভিত্তি এবং এতে কোনো পরিবর্তন আসলে তা দেশের আয়কর ব্যবস্থায় ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। আগের আইনে স্ল্যাবের কাঠামো ছিল বেশ জটিল এবং কিছু ক্ষেত্রে উচ্চ আয়ের করদাতাদের জন্য অনেকটা ভারী। তবে, নতুন আয়কর বিল ২০২৫-এ স্ল্যাবগুলোর ব্যাপক সহজীকরণ হয়েছে এবং করদাতাদের জন্য এটি অনেকটা সুবিধাজনক হয়েছে।
নতুন স্ল্যাব কাঠামো অনুসারে, স্ল্যাবগুলো নিম্নরূপ:
১. ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় – করমুক্ত
নতুন আয়কর বিল ২০২৫-এ সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে ৪ লাখ টাকার নিচে আয় করলে কোনো কর ধার্য করা হবে না। অর্থাৎ, যারা ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করেন, তারা আয়কর থেকে মুক্ত থাকবেন। এটি বিশেষ করে মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন আয়ের শ্রেণির জন্য একটি বড় উপকারি পদক্ষেপ, কারণ তারা দীর্ঘদিন ধরে করের চাপের মধ্যে ছিল। এই পরিবর্তনটি দেশের অর্ধেকেরও বেশি জনগণের জন্য সহায়ক হতে পারে।
২. ৪ থেকে ৮ লাখ টাকা – ৫% কর
যারা ৪ লাখ থেকে ৮ লাখ টাকা আয় করেন, তাদের উপর ৫% কর ধার্য করা হয়েছে। এর মানে, ৪ লাখ টাকার নিচে করমুক্ত থাকার পর যারা এই পরিমাণ আয় করেন, তাদের জন্য করের পরিমাণ খুবই কম। এই পরিবর্তনটি মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য একটি বড় সুবিধা, কারণ এর ফলে তাদের আয়কর পরিশোধের বোঝা অনেক কমে যাবে।
৩. ৮ থেকে ১২ লাখ টাকা – ১০% কর
এই স্ল্যাবের মধ্যে যারা আয় করেন, তাদের জন্য করের হার ১০% ধার্য করা হয়েছে। পূর্ববর্তী সিস্টেমে, এই স্ল্যাবের জন্য করের হার ছিল অনেক বেশি এবং অনেক জটিল ছিল। তবে এখন, ৮ থেকে ১২ লাখ টাকার মধ্যে আয় করলে মোটামুটি মাপযোগ্য ১০% কর দিতে হবে, যা আয়কর পরিশোধকে আরও সহজ করে দিয়েছে।
৪. ১২ থেকে ১৬ লাখ টাকা – ১৫% কর
যারা ১২ লাখ থেকে ১৬ লাখ টাকা আয় করেন, তাদের উপর ১৫% কর ধার্য করা হয়েছে। আগের সিস্টেমে এই স্ল্যাবেও করের হার ছিল বেশ কড়া এবং স্ল্যাবের মধ্যে বিভ্রান্তি ছিল। এখন, ১৫% হারের এই স্ল্যাবটি মধ্যম আয়ের এবং উচ্চ আয়ের কর্মী ও ব্যবসায়ীদের জন্য কিছুটা সুবিধাজনক হতে পারে।
৫. ১৬ থেকে ২০ লাখ টাকা – ২০% কর
এই স্ল্যাবের মধ্যে যারা আয় করেন, তাদের জন্য ২০% কর ধার্য করা হয়েছে। এটি এক ধরনের মাপ-যোগ্য কর হার, যা উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য। ১৬ লাখ টাকা আয়ের উপরে যারা আয় করেন, তাদের জন্য এই করের হার অপেক্ষাকৃত বেশি হলেও তা সিস্টেমে আরও স্বচ্ছতা আনে।
৬. ২০ লাখ থেকে ২৪ লাখ টাকা – ২৫% কর
এই স্ল্যাবের মধ্যে যাদের আয় ২০ লাখ থেকে ২৪ লাখ টাকা, তাদের করের হার হবে ২৫%। এটি আগের আইনের তুলনায় কিছুটা বেশি, তবে এখন এই স্ল্যাবটি একটি সহজ সিস্টেমের মধ্যে এসেছে। এই পরিবর্তন উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, কারণ আগে এটি অনেক জটিল ছিল এবং খুব বেশি চাপ ছিল।
৭. ২৪ লাখ টাকা এবং তার বেশি – ৩০% কর
যারা ২৪ লাখ টাকা বা তার বেশি আয় করেন, তাদের জন্য সর্বোচ্চ ৩০% কর ধার্য করা হয়েছে। আগের আইনে এই স্ল্যাবটি অনেকটা অপরিবর্তিত ছিল, তবে এখন এটি আরও বেশি নির্ধারিত হয়েছে। উচ্চ আয়ের ব্যক্তিরা সাধারণত এই স্ল্যাবের অন্তর্গত থাকেন, এবং এই কর হার তাদের জন্য কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।
বিলের স্ল্যাব কাঠামোর সুবিধা
নতুন আয়কর বিল ২০২৫-এর স্ল্যাব কাঠামো একটি বড় সুবিধা এনে দেয়। আগের আইনে যেখানে স্ল্যাবগুলো বেশ জটিল ছিল এবং করের হার অনেকটা অস্পষ্ট ছিল, সেখানে নতুন স্ল্যাব কাঠামো অনেক বেশি পরিষ্কার এবং নির্ধারিত। করদাতারা সহজেই তাদের আয় অনুযায়ী সঠিক স্ল্যাব চিহ্নিত করতে পারবেন, যা তাদের পরবর্তী কর পরিশোধের প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ এবং সহজ করে তুলবে। এটি দেশে করের কার্যক্রমকে অনেকটা উন্নত করবে এবং সাধারণ জনগণের জন্য আরও সহজ ও লাভজনক হতে পারে।
এটি কেন গুরুত্বপূর্ণ?
এই স্ল্যাব কাঠামোর মধ্যে পরিবর্তন করদাতাদের জন্য অনেক সুবিধা নিয়ে এসেছে। বিশেষ করে যারা মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন আয়ের শ্রেণির, তাদের জন্য করমুক্ত আয়ের স্ল্যাব এবং ৫% কর হার থাকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে, দেশের জনগণের মধ্যে আয়কর সম্পর্কিত সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে এবং সরকারের আয়কর সংগ্রহের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে।
তবে, উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের জন্য করের হার কিছুটা অপরিবর্তিত থাকতে পারে, কিন্তু তারা আরও বেশি কর দিতে প্রস্তুত থাকবেন। তবে এই স্ল্যাব কাঠামো দেশের সাধারণ জনগণের জন্য এক বড় সুবিধা এনে দেবে এবং অনেকের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করবে।
ভাল এবং খারাপ দিক: নতুন আয়কর বিল ২০২৫
নতুন আয়কর বিল ২০২৫ নিয়ে আলোচনা করতে গেলে, এর ভাল এবং খারাপ দিক দুটোই গুরুত্বপূৰ্ণভাবে বিবেচনা করা উচিত। এই বিলটি সরকারের কর কাঠামোতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনছে, যা দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলতে পারে। সুতরাং, আমরা এখানে এই নতুন বিলের ভাল দিকগুলো এবং কিছু সীমাবদ্ধতা বা খারাপ দিক নিয়ে বিশ্লেষণ করব।
ভাল দিক
1. কর্মজীবী মানুষের জন্য করছাড়ের সুবিধা
নতুন আয়কর বিল ২০২৫-এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বাড়ানো। যেখানে আগে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ছিল ৫০,০০০ টাকা, সেখানে এখন তা ৭৫,০০০ টাকা করা হয়েছে। এটি কর্মজীবী, মধ্যবিত্ত ও বেতনভোগী মানুষের জন্য একটি বড় সুবিধা। অতিরিক্ত করছাড়ের ফলে তাদের আয় কিছুটা বাড়বে এবং তারা আরও বেশি সঞ্চয় করতে পারবেন।
2. আয়করের স্ল্যাবের সরলীকরণ
নতুন আয়কর বিল ২০২৫-এ কর স্ল্যাব অনেকটা সরলীকৃত করা হয়েছে। আগের আইনে যেখানে বেশ কিছু স্ল্যাব ছিল এবং প্রতিটি স্ল্যাবের সঙ্গে বিভিন্ন শর্ত ছিল, সেখানে এখন একটি সাধারণ সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে। বিশেষ করে, ৪ লাখ টাকার নিচে আয়ের উপর কোনো কর ধার্য করা হচ্ছে না, যা দেশের অনেক সাধারণ মানুষের জন্য সুবিধাজনক। এটি মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য একটি বড় সহায়ক পদক্ষেপ, যা তাদের কর পরিশোধের চাপে কাটছাঁট করবে।
3. দূরদর্শী ডিজিটাল ব্যবস্থা
নতুন বিলটি ডিজিটাল কর ব্যবস্থা আরও উন্নত করার চেষ্টা করছে। করদাতারা এখন সহজেই অনলাইনে তাদের কর জমা দিতে পারবেন এবং অনলাইনে রিটার্ন ফাইল করতে পারবেন। এটি প্রশাসনিক কাজকে আরও সহজ, দ্রুত এবং নিরাপদ করে তুলবে। ডিজিটাল প্রক্রিয়া সব ধরনের করদাতার জন্য সময় সাশ্রয়ী হবে এবং সরকারকে কর সংগ্রহের ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সহায়তা করবে।
4. বেশি আয় থাকলেও করের সীমাবদ্ধতা
বিলের কাঠামো অনুযায়ী, উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের জন্যও স্ল্যাব সহজ করা হয়েছে। তবে ২৪ লাখ টাকা বা তার বেশি আয় হলে, ৩০% কর থাকবে। যদিও এই কর হার অনেকটা পুরনো অবস্থার মতো, কিন্তু তবুও উচ্চ আয়কারী ব্যক্তিদের জন্য এটি একটি পরিচিত এবং যুক্তিসঙ্গত ব্যবস্থা। এর ফলে তারা জানেন যে তারা কী ধরনের কর পরিশোধ করবেন।
5. অর্থনীতির উন্নতি
নতুন আয়কর বিল ২০২৫ এর মাধ্যমে সরকারের আয়কর সংগ্রহের পরিমাণ বাড়ানোর আশা করা হচ্ছে। সহজ স্ল্যাব কাঠামো এবং করছাড়ের সুবিধার ফলে আরও বেশি মানুষ কর পরিশোধে উৎসাহী হবে, যার ফলে দেশের আর্থিক অবস্থাও শক্তিশালী হতে পারে।
খারাপ দিক
1. উচ্চ আয়ের করহার অপরিবর্তিত থাকা
যদিও বিলটির অধিকাংশ পরিবর্তন সাধারণ মানুষের জন্য উপকারী, তবে উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের জন্য পরিবর্তনগুলি সীমিত। বিশেষ করে যারা ২৪ লাখ টাকা বা তার বেশি আয় করেন, তাদের জন্য ৩০% কর হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। এর ফলে, এসব উচ্চ আয়ের ব্যক্তিরা আগে যেভাবে কর প্রদান করতেন, তেমনি অবস্থায় থাকবেন। যদিও সরকারের বক্তব্য ছিল যে এ ধরনের ব্যক্তিদের জন্য করের হার পরিবর্তন করা উচিত ছিল, তবে সেটা আর হয়নি, যার ফলে তারা কিছুটা অসন্তুষ্ট হতে পারেন।
2. ধার্যকৃত করের হার অনুযায়ী সমান সুযোগ না পাওয়া
নতুন আয়কর বিল ২০২৫-এ স্ল্যাবগুলো সাধারণত সুবিধাজনক হলেও, উচ্চ আয়ের লোকদের জন্য কিছু বিশেষ সুবিধার সুযোগ সীমিত। তাদের জন্য বিশেষ কিছু কর ছাড় বা রিডাকশন নেই। এটি তাদের জন্য অসুবিধাজনক হতে পারে, যারা বড় ব্যবসায়ী বা কর্পোরেট কর্মকর্তাদের অন্তর্গত।
3. পূর্ববর্তী সুবিধাগুলোর সীমাবদ্ধতা
নতুন বিলের মাধ্যমে কিছু পুরনো সুবিধা বন্ধ বা সীমিত করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, কিছু কর ছাড় ও ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ সুবিধা কাটা হয়েছে, যা কিছু উদ্যোক্তা বা ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এসব পরিবর্তন তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং তাদের কর সুবিধাগুলি কমে যেতে পারে।
4. কম আয়ের শ্রেণির জন্য খুব বেশি সুবিধা না থাকা
যদিও বিলটি সাধারণ জনগণের জন্য সুবিধাজনক, তবে কম আয়ের শ্রেণি যারা খুবই সীমিত আয় নিয়ে জীবনযাপন করেন, তাদের জন্য খুব বেশি সুবিধা নেই। ৪ লাখ টাকার নিচে আয়ের উপর করমুক্ত সুবিধা থাকলেও, তাদের জন্য অন্যান্য সুবিধার পরিমাণ কম। তাদের জন্য স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বাড়ানো হলেও, এর প্রভাব সামান্য হতে পারে।
5. স্ট্যাটাস কো এর সাথে তুলনা
নতুন আয়কর বিল ২০২৫ যেসব পরিবর্তন এনেছে, তা সরাসরি ২০২৪ সালের কর বিলের সাথে তুলনা করলে কিছুটা হালকা মনে হতে পারে। ২০২৪ সালে কিছু সুবিধা ছিল যা ২০২৫ সালের বিলের মধ্যে সরিয়ে নেয়া হয়েছে, এবং কিছু স্ল্যাবের জন্য আরও কঠিন শর্ত রাখা হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের জন্য কিছু অসুবিধা হতে পারে।
২০২৪ সালের কর বিলের সাথে তুলনা: নতুন আয়কর বিল ২০২৫
নতুন আয়কর বিল ২০২৫ নিয়ে আলোচনা করার সময়, একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিকোণ হলো এই বিলটি কিভাবে ২০২৪ সালের কর বিলের সাথে তুলনা করা যায়। ২০২৪ সালে ভারতের আয়কর কাঠামো কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছিল, কিন্তু ২০২৫ সালের নতুন বিলটি আরো বড় পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। এই তুলনাটি আমাদের বুঝতে সাহায্য করবে, কী কী উন্নতি এসেছে এবং কী কী কিছু পূর্ববর্তী সুবিধা কমে গিয়েছে।
১. আয়কর স্ল্যাবের পরিবর্তন
২০২৪ সালের কর স্ল্যাব কাঠামো ছিল তুলনামূলকভাবে কম সরল এবং জটিল। করদাতাদের জন্য বিভিন্ন স্ল্যাবের মধ্যে সঠিক দিক নির্দেশনা বুঝে কর পরিশোধ করা কঠিন হতে পারে। ২০২৪ সালে ৫ লক্ষ টাকার উপরে আয়ের জন্য কর আরোপ করা হয়েছিল, কিন্তু ২০২৫ সালের নতুন আয়কর বিল সেই স্ল্যাবকে ৪ লাখ টাকায় নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে, অর্থাৎ ৪ লাখ টাকার নিচে আয়ের জন্য কোনো কর দিতে হবে না।
এছাড়া, ২০২৫ সালে স্ল্যাবের হারও বেশ সরল করা হয়েছে। ৪ লাখ থেকে ৮ লাখ টাকা আয়ের মধ্যে ৫% কর, ৮ থেকে ১২ লাখ টাকার মধ্যে ১০% কর, ১২ থেকে ১৬ লাখ টাকার মধ্যে ১৫% কর, ১৬ থেকে ২০ লাখ টাকার মধ্যে ২০% কর এবং ২০ লাখ টাকার উপরে ২৫% কর। এর ফলে, এটি অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক এবং জনগণের কাছে সহজবোধ্য হয়েছে।
২০২৪ সালের কর বিল-এ, যদিও স্ল্যাব কাঠামো ছিল কিছুটা অনুরূপ, তবে স্ল্যাবগুলো ছিল আরো জটিল এবং করের হারও বেশি। ২০২৪ সালে করদাতাদের জন্য স্ল্যাবের মধ্যে কম সুবিধা ছিল এবং এটি নাগরিকদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।
২. করছাড়ের সুবিধা
২০২৪ সালে অনেক ধরনের করছাড় ছিল, কিন্তু ২০২৫ সালের নতুন বিল-এ কিছু সুবিধা সম্প্রসারিত হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ৫০,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫,০০০ টাকা করা হয়েছে, যা কর্মজীবী এবং বেতনভোগী শ্রেণির জন্য একটি বড় সুবিধা। ২০২৪ সালের আইনে এই পরিমাণটা ছিল কম, যা ২০২৫ সালে আরও বেশি আয়কর ছাড়ের সুবিধা দিয়েছে।
তবে, ২০২৪ সালের কর বিল-এ যে কিছু প্রথাগত করছাড় সুবিধা ছিল, সেগুলো কিছুটা সীমিত করা হয়েছে। যেমন, ছোট ব্যবসায়ী ও একক উদ্যোক্তাদের জন্য সঞ্চয় স্কিম বা বিনিয়োগ সম্পর্কিত কিছু করছাড়ে সীমাবদ্ধতা এনেছে।
৩. ডিজিটাল কর ব্যবস্থা
২০২৪ সালে কর ব্যবস্থায় কিছু ডিজিটাল পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল, তবে ২০২৫ সালে ডিজিটাল কর ব্যবস্থা আরো উন্নত করা হয়েছে। এই পরিবর্তনটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি করদাতাদের জন্য আরও সুবিধাজনক এবং দ্রুত কাজ করতে সহায়ক হবে। ২০২৪ সালে কিছু প্রযুক্তিগত সুবিধা ছিল, তবে সেগুলো কিছুটা সীমিত ছিল। ২০২৫ সালের বিলটি আরও কার্যকর ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করেছে। এর ফলে, করদাতারা তাদের আয়কর রিটার্ন ফাইলিং এবং জমা দেওয়ার প্রক্রিয়াটি আরও সহজভাবে করতে পারবেন।
৪. কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচেষ্টা
২০২৪ সালের বিলের তুলনায়, ২০২৫ সালের নতুন আয়কর বিল-এ কেন্দ্রীয় সরকার আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে, যাতে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হয়। সরকার একদিকে সাধারণ মানুষের জন্য সুবিধাজনক স্ল্যাব ও করছাড় দিয়েছে, অন্যদিকে উচ্চ আয়ের করদাতাদের উপর কিছু অতিরিক্ত চাপও রাখা হয়েছে। ২০২৪ সালে সরকারের প্রচেষ্টা ছিল এমন কিছু পদক্ষেপ নিতে, যা দেশের সাধারণ জনগণের জন্য উপকারী হতে পারে, তবে ২০২৫ সালে সেই প্রচেষ্টাগুলোকে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে।
৫. করদাতাদের জন্য সুবিধাজনক এবং প্রতিবন্ধকতা
২০২৪ সালের কর বিল-এ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছিল, কিন্তু তা ছিল সীমিত। করদাতাদের জন্য কিছু সুবিধা ছিল, যেমন বিভিন্ন ট্যাক্স রিবেট এবং কিছু করছাড়, কিন্তু বেশ কিছু ক্ষেত্রে সে সুবিধাগুলো কম ছিল। অন্যদিকে, ২০২৫ সালের নতুন বিল-এ অধিকাংশ স্ল্যাব সরলীকৃত হয়েছে এবং করছাড়ের সুবিধাও বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য আরও সুবিধাজনক এবং আকর্ষণীয়।
তবে, ২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫ সালের বিলের মধ্যে কিছু আংশিক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে, যাদের উচ্চ আয় রয়েছে, তাদের জন্য কর স্ল্যাবের কিছু পরিবর্তন সীমিত ছিল। তাই উচ্চ আয়ের করদাতাদের জন্য ২০২৫ সালের বিল আরও বেশি চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
৬. কর পরিশোধের সিস্টেম এবং প্রক্রিয়া
২০২৪ সালের কর ব্যবস্থায় কিছু জটিলতা ছিল, বিশেষ করে কর রিটার্ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া। তবে, ২০২৫ সালে কর পরিশোধের প্রক্রিয়া আরো উন্নত হয়েছে এবং করদাতাদের জন্য আরও স্বচ্ছ সিস্টেম রাখা হয়েছে। আগে কর জমা দিতে অনেক সময় এবং পদ্ধতিগত বিভ্রান্তি ছিল, কিন্তু এখন করদাতারা সহজেই অনলাইনে তাঁদের কর পরিশোধ এবং রিটার্ন ফাইল করতে পারবেন।
নতুন আয়কর বিল ২০২৫ নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তাদের মতামত ব্যক্ত করেছেন। এই ব্যক্তিদের মন্তব্যগুলি আমাদের কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তারা দেশের অর্থনৈতিক নীতি এবং আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়ার সাথে গভীরভাবে যুক্ত। এখানে আমরা কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তির মতামত তুলে ধরছি:
১. অর্থমন্ত্রী নর্মা সেন
অর্থমন্ত্রী নর্মা সেন নতুন আয়কর বিল ২০২৫-এর বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, “এই বিলটি শুধুমাত্র করদাতাদের জন্য সুবিধাজনক নয়, বরং এটি দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। স্ল্যাবের সরলীকরণ এবং করছাড়ের পরিমাণ বৃদ্ধি দেশের স্বাভাবিক নাগরিকদের জন্য সুবিধা দেবে এবং দেশের অর্থনীতিতে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করবে।”
তিনি আরও বলেন, “ডিজিটাল প্রক্রিয়া উন্নত করার মাধ্যমে, করদাতারা এখন আরো সহজভাবে তাঁদের কর রিটার্ন জমা দিতে পারবেন, যা দেশের কর ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ ও দক্ষ করবে।”
২. প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. দীপা মিত্র
ড. দীপা মিত্র, একজন প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ, নতুন আয়কর বিল ২০২৫ নিয়ে বলেন, “এই বিলটি দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য একটি আশাপ্রদ পদক্ষেপ। স্ল্যাবের পরিবর্তন এবং করছাড়ের সুবিধা সাধারণ মানুষের জন্য অনেকটাই সুবিধাজনক হয়েছে। তবে, যাদের উচ্চ আয় রয়েছে, তাদের ওপর কর চাপ আরও বাড়ানো হতে পারে, যা কিছু বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “তবে, ডিজিটাল কর ব্যবস্থার উন্নতি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি দেশের সামগ্রিক কর পরিশোধ ব্যবস্থা আরও স্বচ্ছ করবে এবং করদাতাদের জন্য স্বাচ্ছন্দ্য এনে দেবে।”
৩. ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নতুন আয়কর বিল ২০২৫ নিয়ে বলেন, “সরকারের উদ্দেশ্য হল দেশের প্রতিটি নাগরিককে তাদের ন্যায্য অধিকার দিতে এবং একটি সহজ, স্বচ্ছ এবং সরল কর ব্যবস্থা তৈরি করা। এই বিলের মাধ্যমে আমরা কেবল উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করেই করের পরিশোধ ব্যবস্থা সহজতর করছি না, বরং দেশের আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি করার জন্যও এটি একটি বড় পদক্ষেপ।”
তিনি বলেন, “এই পরিবর্তনগুলি দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে এবং আমাদের উন্নয়নশীল ভারত হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও ভালো স্থান দিতে সাহায্য করবে।”
৪. কর বিশেষজ্ঞ রাহুল ভাটিয়া
কর বিশেষজ্ঞ রাহুল ভাটিয়া নতুন আয়কর বিলের বিষয়ে বলেন, “নতুন বিলটি করদাতাদের জন্য সুবিধাজনক হবে, কারণ এটি কম সময় নেয় এবং প্রক্রিয়া সহজ করে তোলে। তবে, কিছু উচ্চ আয়ের করদাতাদের জন্য কিছু চাপ সৃষ্টি হতে পারে, যা তাঁদের খরচ বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। তবে সামগ্রিকভাবে এটি একটি উন্নত এবং ইতিবাচক পদক্ষেপ।”
তিনি আরও বলেন, “একটি প্রধান বিষয় হল ডিজিটাল কর ব্যবস্থা। এটি দেশের কর ব্যবস্থা আধুনিক করবে এবং আরও অধিক সংখ্যক মানুষ কর পরিশোধ করতে উৎসাহিত হবে।”
নতুন আয়কর বিল ২০২৫ একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ যা দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোকে আরও উন্নত এবং স্বচ্ছ করতে সহায়ক হবে। এটি সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য অনেক সুবিধা নিয়ে এসেছে, যেমন স্ল্যাব সরলীকরণ এবং করছাড়ের বৃদ্ধি। ডিজিটাল কর ব্যবস্থা আরও উন্নত করা হয়েছে, যা করদাতাদের জন্য প্রক্রিয়াটি সহজ ও দ্রুত করবে। যদিও উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের জন্য কিছু অতিরিক্ত কর চাপ এবং কিছু পুরনো সুবিধার সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তবে সামগ্রিকভাবে এটি দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার দিকে একটি বড় পদক্ষেপ।
এই বিলটি দেশের সাধারণ মানুষের জন্য আয়ের পরিমাণ বাড়ানোর পাশাপাশি, সরকারের কর সংগ্রহ ব্যবস্থাকেও আরও কার্যকর করবে। সুতরাং, নতুন আয়কর বিল ২০২৫ দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ! ❤️ আমরা সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের জন্য তথ্যসমৃদ্ধ, আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করতে, যাতে আপনি নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পারেন। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আমাদের সঙ্গে আপনার মতামত শেয়ার করতে চান, তাহলে “যোগাযোগ করুন” ফর্ম ব্যবহার করে সরাসরি আমাদের সাথে কথা বলুন। আমরা আগ্রহের সঙ্গে আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত এবং আপনার প্রতিক্রিয়াকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করি। এছাড়াও, ভবিষ্যতের আপডেট, নতুন নিবন্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস না করতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন—একসঙ্গে জানবো, শিখবো, আর নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্ব দেখবো!