তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসা সরকারের প্রথম ১০০ দিন—“মোদি ৩.০” শুরুতে অনেক প্রত্যাশা ও আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এই সময়ে কিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তবে পাশাপাশি নানা জটিলতা ও প্রশ্নও উঠে এসেছে। অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং নিরাপত্তা খাতে সরকারের কাজ কেমন, তা নিয়ে নানা মতভেদ তৈরি হয়েছে। “মোদি ৩.০” এবং “মোদীর ১০০ দিন” নিয়ে এই প্রতিবেদন পড়লে বোঝা যাবে সামগ্রিক অবস্থা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা সম্পর্কে।

সূচিপত্র

মোদীর ১০০ দিনে রাস্তাঘাট ও সেতু নির্মাণ: ঘোষণার অন্তরালে গতি ও বাস্তবতা

‌ অনুমোদনের পরিসংখ্যান

  • ৬২,৫০০ কিমি সড়ক ও সেতু নির্মাণে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে মোদি ৩.০ সরকারের পরিকাঠামো উন্নয়নের অংশ হিসেবে।

  • প্রকল্পের মোট সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ₹১.৬৩ লক্ষ কোটি টাকা, যার মধ্যে মাত্র ₹৩৪,৭০০ কোটি ইতিমধ্যেই বরাদ্দ।

 গ্রামের সংযোগ পরিকল্পনা

  • ২৫,০০০ গ্রামকে সংযুক্ত করার কথা বলা হয়েছে, কিন্তু গ্রামগুলোর নাম বা অবস্থান প্রকাশ করা হয়নি।

  • গ্রামীণ সংযোগ প্রকল্পের আওতায় এই বরাদ্দ ₹৪৯,০০০ কোটি হলেও, এ পর্যন্ত বাস্তবায়িত প্রকল্প সংখ্যা মাত্র ১১%।

 বাস্তবায়নের গতির তথ্য

  • মোদীর ১০০ দিনে রাস্তাঘাট নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে মাত্র ৬,০০০ কিমিতে

  • সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন গড়ে ২৪.৫ কিমি রাস্তা নির্মাণ হয়েছে—যা আগের মোদি ২.০-র গড়ের চেয়ে কম।

 পুরনো প্রকল্পে পুনঃঘোষণা?

  • প্রকল্পের প্রায় ৩৭% আগেই অনুমোদিত ছিল, মোদি ৩.০ সরকারের পরিকাঠামো উন্নয়নের নামে পুনরায় ঘোষণা করা হয়েছে।

  • বিশেষত পশ্চিমবঙ্গের জাঙ্গিপুর-মালদা ও বিহারের মুঙ্গের-বক্সার রুটের কথা পূর্ববর্তী বাজেটে উল্লেখ ছিল।

মোদীর ১০০ দিনে রেলপথ সম্প্রসারণ: অনুমোদন বনাম নির্মাণ

 ৮টি নতুন রেল প্রকল্প

  • মোদীর ১০০ দিনে রেল প্রকল্পের মধ্যে ৮টি নতুন রুটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ৪টি পূর্বাঞ্চলভিত্তিক।

  • তবে নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে মাত্র ২টি রুটে (উত্তরপ্রদেশের গোরখপুর-বালিয়া ও ওড়িশার খোরদা-বালান্দা)।

 কর্মসংস্থানের পরিসংখ্যান

  • বলা হয়েছে এই প্রকল্পগুলি ৪.৪২ কোটি কর্মদিবস সৃষ্টি করবে।

  • বাস্তবে রেল বোর্ডের অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, এ পর্যন্ত ১.৭৫ লক্ষ অস্থায়ী শ্রমিক নিয়োগ হয়েছে, যা ৩% এরও কম।

 ভূমি অধিগ্রহণের বাধা

  • বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডে বেশ কিছু প্রকল্প ভূমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় আটকে আছে।

  • ফলে মোদীর ১০০ দিনে রেল প্রকল্পগুলির বাস্তব গতি স্পষ্টভাবে প্রশ্নবিদ্ধ।

মোদীর ১০০ দিনে বিমানবন্দর উন্নয়ন: ঘোষণার ধাঁচে ‘ট্রান্সপোর্ট পলিটিক্স’?

 বাগডোগরা ও বিহতা সিভিল এনক্লেভ

  • বাগডোগরায় সিভিল এনক্লেভ সম্প্রসারণের জন্য ১৫০ একর জমি প্রয়োজন, যার মাত্র ৩৮% এখনো অধিগৃহীত।

  • বিহতার নতুন বিমানবন্দর প্রকল্প মূলত পুনঃঘোষিত — এই প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর ২০১৯-এই স্থাপিত হয়েছিল।

 লাক্ষাদ্বীপের আগাত্তি ও মিনিকয় এয়ারস্ট্রিপ

  • আগাত্তি ও মিনিকয়-তে এয়ারস্ট্রিপ উন্নয়নের জন্য ₹৩৯৫ কোটি বরাদ্দ, তবে নৌ-বাহিনীর অনুমোদন এখনো অনির্দিষ্ট

  • মোদীর ১০০ দিনে বিমানবন্দর উন্নয়নের এই ঘোষণাগুলিকে সংশ্লিষ্ট রাজ্য প্রশাসন ‘সাময়িক অনুমোদন’ বলেই চিহ্নিত করেছে।

 বাস্তব উন্নয়ন বনাম রাজনৈতিক বার্তা

  • মোদি ৩.০ সরকারের পরিকাঠামো উন্নয়নের এই পরিকল্পনাগুলি মূলত নির্বাচনী কেন্দ্রিক রাজ্যগুলিকে অগ্রাধিকার দিয়েছে (উদাহরণ: বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ)।

  • উত্তর-পূর্ব ভারতে, যেখানে অবকাঠামোর জরুরি প্রয়োজন ছিল, সেখানে এই মোদীর ১০০ দিনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটেনি।

100 days of Modi 3.0: Ministries gear up to share success stories |  Politics News - Business Standard

🌾 কৃষক কল্যাণে মোদীর ১০০ দিন: মোদি ৩.০ সরকারের পরিকাঠামো উদ্যোগে আর্থিক সাহায্য ও এমএসপি বৃদ্ধির বাস্তবতা

আর্থিক সহায়তা: কাগজের পরিসংখ্যান বনাম মাঠের চিত্র

 প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি: বিতরণের অঙ্ক

  • মোদীর ১০০ দিনে কৃষি সহায়তা প্রকল্পে ১৭তম কিস্তিতে ₹২০,০০০ কোটি বিতরণ করা হয়েছে।

  • সরকারী তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ₹৩ লক্ষ কোটি টাকা ১২.৩৩ কোটি কৃষক পরিবারের অ্যাকাউন্টে পৌঁছেছে।

 প্রকৃত বিতরণের অনুপাত

  • রিপোর্ট অনুযায়ী, মে ২০২৫ পর্যন্ত ৩.৮৭ কোটি কৃষক অ্যাকাউন্টে কিস্তি জমা হয়নি, প্রধানত e-KYC ভেরিফিকেশন অসম্পূর্ণ থাকায়।

  • রাজস্থান, বিহার ও ওড়িশার কিছু অঞ্চলে বিলম্বিত বা ভুল অ্যাকাউন্টে টাকা স্থানান্তরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

  • PM-KISAN-এর আওতায় সর্বোচ্চ সুবিধাভোগী পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্র, যেখানে কৃষকদের ৮০% আবেদনগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

 পেন-লিংক ও KYC বাধা

  • মোদীর ১০০ দিনে কৃষি সহায়তার অর্থ পৌঁছাতে পেন-আধার সংযোগ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

  • এতে প্রায় ২.৪ কোটি কৃষক এখনো পরিষেবা থেকে বাদ পড়েছেন, বিশেষত যাঁদের আধার কার্ডে ভুল তথ্য ছিল।

  • eKYC ব্যর্থতার ফলে অসম, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরায় কৃষকরা তুলনামূলকভাবে কম কিস্তি পেয়েছেন।

 📈 ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP) বৃদ্ধি: পরিসংখ্যানে লভ্যাংশ, বাস্তবে সীমাবদ্ধতা

 খরিফ ২০২৪-২৫ মৌসুমে MSP ঘোষণা

  • মোদীর ১০০ দিনে MSP বৃদ্ধি হয়েছে গড়ে ৬%-৮%, বিশেষত ধান, মুগডাল, অড়হর, সূর্যমুখী ও তুলো চাষে।

  • কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রকের মতে, এতে ১২ কোটি কৃষক ₹২ লক্ষ কোটি টাকার সরাসরি উপকার পেয়েছেন।

 MSP ঘোষণার সীমিত ফলপ্রসুতা

  • মাত্র ২৩টি ফসলের জন্য MSP ঘোষণা করা হয়, যার মধ্যে অধিকাংশই রাজ্য সরকার দ্বারা সরাসরি ক্রয় হয় না

  • eNAM মার্কেট প্ল্যাটফর্মে ৩৭% MSP হারের নিচে বিক্রি হয়েছে জুলাই ২০২৫-এর মধ্যে।

  • মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড় ছাড়া অন্য অধিকাংশ রাজ্যে MSP-তে সরকারি ক্রয় কম হয়েছে।

 MSP বনাম খরচ মূল্য

  • কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান MSP হার C2 খরচ ভিত্তিক নয় (C2 = জমি ভাড়া, শ্রম, বীজ, সেচ, যন্ত্রপাতি)।

  • ধান উৎপাদনে প্রতি কুইন্টাল খরচ ₹২,০১০ হলেও MSP নির্ধারিত ₹২,১৮৩—লভ্যাংশ মাত্র ₹১৭৩, যা পরিবহন ও বাজার ফি কেটে নেতিবাচকও হতে পারে।

PM Modi takes charge for third time: Details of govt's first 100-day agenda  | Politics News - Business Standard

 📊 রাজ্যভিত্তিক অগ্রগতির ফারাক

 উল্লিখিত রাজ্য যেখানে বেশি উপকৃত

  • উত্তরপ্রদেশে ১.৭২ কোটি কৃষক PM-KISAN কিস্তি পেয়েছেন, যদিও ৪০ লক্ষ আবেদন এখনো প্রক্রিয়াধীন

  • মধ্যপ্রদেশে MSP-তে সবচেয়ে বেশি সরাসরি ক্রয় হয়েছে, মূলত “ভান্ডার গ্যারান্টি স্কিম”-এর সঙ্গে সংযুক্ত থাকায়।

 পিছিয়ে থাকা অঞ্চল

  • পশ্চিমবঙ্গে মোদীর ১০০ দিনে কৃষি সহায়তার অর্থ বিতরণ হয়েছে মাত্র ১৭.৬ লক্ষ কৃষকের মধ্যে, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪২.৭ লক্ষ।

  • কেরালা ও তামিলনাড়ুতে কৃষি জমির মালিকানা সমস্যার কারণে বহু কৃষক আবেদনপত্র ফেরত পেয়েছেন।

 ⚠️ গোপন তথ্য ও কিছু অপ্রচলিত দিক

 কৃষক নন এমন ব্যক্তিরা সুবিধা পেয়েছেন?

  • ২০২৪ সালের মার্চ মাসে CAG রিপোর্টে জানা যায়, ১.৩৭ লক্ষ সরকারি কর্মচারী এই PM-KISAN প্রকল্পের টাকা পেয়েছেন।

  • তথ্য অনুযায়ী, ₹৭০ কোটির বেশি অর্থ অযোগ্য গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে গিয়েছে, যার মধ্যে কিছু পেনশনভোগী, ট্যাক্সদাতা ও শহুরে বাসিন্দাও ছিলেন।

 স্বচ্ছতা ও নিরীক্ষা

  • মোদি ৩.০ সরকারের কৃষক কল্যাণ প্রকল্পে Third-Party Audit এখনো চালু হয়নি

  • কৃষি মন্ত্রকের নিজস্ব পোর্টালে Disbursement Tracker থাকলেও তা প্রতিনিয়ত আপডেট হয় না।

মধ্যবিত্তের জন্য বাজেট: মোদি ৩.০ সরকারের পদক্ষেপ | করছাড়, পেনশন ও আবাসন নীতির বিশ্লেষণ

🧾 করছাড় ব্যবস্থায় মোদীর ১০০ দিনে কী বদল এসেছে?

 করছাড় স্ল্যাবের সম্প্রসারণ

  • মোদি ৩.০ সরকারের মধ্যবিত্ত বাজেটে আয়কর ছাড়ের সীমা ₹৩ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে ₹৭ লক্ষ পর্যন্ত করা হয়েছে।

  • নতুন কর ব্যবস্থা অনুসারে, ₹৭ লক্ষ পর্যন্ত বার্ষিক আয় থাকলে কোনো করযোগ্য দায় থাকছে না, তবে এটি শুধুমাত্র নিউ ট্যাক্স রেজিমে প্রযোজ্য।

 স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের পরিমার্জন

  • মোদীর ১০০ দিনে করছাড় সুবিধায় স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ₹৫০,০০০ থেকে ₹৭৫,০০০ করা হয়েছে, যা সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য কার্যকর।

  • এটি শুধুমাত্র বেতনভোগীদের উপর প্রযোজ্য, ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

 লাভবান জনসংখ্যা গোষ্ঠী

  • অর্থ মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ৬.৭ কোটি মধ্যবিত্ত আয়করদাতা এই করছাড় সুবিধার আওতায় এসেছেন।

  • রিপোর্ট অনুযায়ী, নতুন কর ব্যবস্থার আওতায় ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে ট্যাক্স রিটার্ন ফাইল করা ব্যক্তিদের সংখ্যা ১৮% পর্যন্ত বেড়েছে

 👥 ইউনিফাইড পেনশন স্কিম: স্থায়ী আয়ের প্রস্তাবনা

 ২৫ বছরের চাকরিজীবীর পেনশন কাঠামো

  • মোদীর ১০০ দিনে ইউনিফাইড পেনশন স্কিম চালু হয়েছে যেখানে গড় বেসিক বেতনের ৫০% মাসিক পেনশন হিসাবে ধার্য হবে।

  • স্কিমটি শুধু EPFO রেজিস্টার্ড চাকরিজীবীদের জন্য প্রযোজ্য, এবং বিশেষত সংগঠিত খাতের কর্মচারীদের অন্তর্ভুক্ত করে।

 ফান্ডিং স্ট্রাকচার

  • পেনশন স্কিমে বেতনভুক্তির সময় চাকরিদাতা ও চাকরিজীবী উভয়ের অবদান প্রয়োজনীয়, যার অনুপাত ১২:১২।

  • সরকারি সাবসিডি নেই, তবে কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্র যেমন MSME কর্মী ও নারী কর্মীদের জন্য আংশিক ছাড় দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের ইঙ্গিত।

 সীমাবদ্ধতা ও ব্যতিক্রম

  • এই স্কিমে আনুষ্ঠানিক চাকরির রেকর্ড বাধ্যতামূলক, ফলে চুক্তিভিত্তিক বা অসংগঠিত শ্রমজীবীরা এর বাইরে।

  • পেনশনের গণনায় কেবল মূল বেতন ও মহার্ঘ ভাতা (DA) ধরা হচ্ছে, অন্যান্য ভাতা বাদ পড়ছে।

What Modi 3.0 Delivered for Startups in 100 Days: From Major Relief to  Rs.1000 Cr Space Fund | YourStory

 🏠 আবাসন নীতি: সংখ্যা বাড়লেও প্রশ্ন অটুট

 প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অগ্রগতি

  • মোদীর ১০০ দিনে আবাসন নীতির আওতায় ৩ কোটি নতুন বাড়ির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

  • এগুলির মধ্যে ৭৩% বাড়ি গ্রামীণ এলাকায়, ২৭% শহরাঞ্চলে বলে গৃহ উন্নয়ন মন্ত্রকের সূত্রে জানা যায়।

 নির্মাণের বাস্তব অগ্রগতি

  • মোট অনুমোদনের তুলনায় অবকাঠামোগত সম্পূর্ণতা ৪২% (মে ২০২৫ পর্যন্ত)।

  • সবচেয়ে কম নির্মাণের হার পশ্চিমবঙ্গ (২৩%), বিহার (২১%) এবং উত্তরাখণ্ডে (১৮%)।

 মালিকানা বিতর্ক

  • “মোদীর ১০০ দিনে আবাসন নীতি” অনুযায়ী বাড়ির মালিকানা নারী সদস্যের নামে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

  • অনেক পরিবারে এই কারণে আবেদন বাতিল হয়েছে কারণ জমির দলিলে পুরুষ সদস্যের নাম ছিল।

 ঋণ সহায়তা ও সুদের হার

  • আবাসন ঋণে ৬.৫% সাবসিডি দেওয়া হচ্ছে ৬ লক্ষ পর্যন্ত বার্ষিক আয়ভুক্তদের জন্য।

  • তবে শহরাঞ্চলে জমির অভাবে অধিকাংশ প্রকল্পে আবাসন ঋণ ছাড়পত্র ব্যাহত হয়েছে।

 🔍 বিশেষ তথ্য ও ব্যতিক্রম নজরদারির প্রয়োজন

 করছাড়ে একগুচ্ছ শর্ত

  • নতুন কর ব্যবস্থায় গেলে পুরনো কর ব্যবস্থার ৮০C, HRA, LTA, হাউস লোন ইত্যাদি ছাড় পাওয়া যায় না

  • ফলে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে বিভ্রান্তি ও দ্বিধা তৈরি হয়েছে বলে আয়কর অ্যাসোসিয়েশনের অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে উল্লেখ আছে।

 ইউনিফাইড পেনশনে কিছু পুরনো ইস্যু বজায়

  • ২০১৯ সালে চালু হওয়া EPS স্কিম নিয়ে এখনো মামলা চলমান, যার কারণে অনেক পেনশন দাবিদার সিদ্ধান্তহীনতায়।

  • নতুন ইউনিফাইড স্কিমেও Ministry of Labour-এর নির্দিষ্ট ফর্ম্যালিটি সম্পন্ন না করলে আবেদন বাতিল হচ্ছে

 আবাসন প্রকল্পে অনিয়মের নজির

  • ২০২৪ সালে CAG অডিট রিপোর্টে জানা যায়, ৩,৪৮৭টি বাড়ি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে যেগুলোর নির্মাণ কাজ শুরু হলেও শেষ হয়নি।

  • কিছু জেলায় বাড়ির নির্মাণের পরে বিদ্যুৎ সংযোগ বা পানীয় জলের ব্যবস্থাও হয়নি বলে স্বীকার করেছে স্থানীয় প্রশাসন

তথ্যগত চিত্র (নিরপেক্ষ ও বিনা মন্তব্যে)

ক্ষেত্রঘোষিত পদক্ষেপবাস্তব পরিসংখ্যানপ্রতিবন্ধকতা
করছাড়₹৩-৭ লক্ষ পর্যন্ত ছাড়৬.৭ কোটি উপকারভোগীপুরনো ছাড় বাতিল
পেনশনবেসিকের ৫০%EPFO-যুক্ত কর্মীদের জন্যঅসংগঠিত খাত বাদ
আবাসন৩ কোটি বাড়ি৪২% নির্মাণ সম্পন্নজমির মালিকানা সমস্যা

Leave a Reply