মাসুদ আজহার–এই এক নামেই লুকিয়ে আছে রক্তাক্ত ইতিহাস, ধ্বংসের ছায়া। জাতিসংঘ ঘোষিত সন্ত্রাসী হিসেবে কুখ্যাত এই জইশ-ই-মোহাম্মদ প্রধানের বিরুদ্ধে ভারত চালিয়েছে এক নিঃশব্দ অথচ ধ্বংসাত্মক অভিযান—‘অপারেশন সিঁদুর’। পাকিস্তান সরকারের মদতে গড়ে ওঠা জইশ সন্ত্রাসী সাইট গুঁড়িয়ে দিয়ে ভারত প্রমাণ করল, প্রতিশোধ নয়—এটা ছিল ন্যায়ের দাবিতে শুদ্ধি অভিযান। অথচ বিপরীতে, পাকিস্তান সরকার মাসুদ আজহারের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিয়ে সন্ত্রাসকেই যেন পুরস্কৃত করল। কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব, সামরিক সাফল্য ও জাতীয় আত্মমর্যাদার এক নতুন অধ্যায় আজ বিশ্বের সামনে উদ্ভাসিত।

সূচিপত্র

অপারেশন সিঁদুরের মূল উদ্দেশ্য: এক নিখুঁত প্রতিঘাত, এক সন্ত্রাসনাশী কৌশল

‘অপারেশন সিঁদুর’—নামের মধ্যেই রয়েছে এক অদৃশ্য কৌশলের ছায়া, যার প্রকৃত লক্ষ্য ছিল শুধু প্রতিশোধ নয়, জাতিসংঘ ঘোষিত সন্ত্রাসী মাসুদ আজহার ও তার জইশ সন্ত্রাসী সাইট ধ্বংস করে ভারতের নিরাপত্তা নীতিকে এক নতুন মাত্রা দেওয়া। এ অভিযান ছিল কেবল একটি সামরিক পদক্ষেপ নয়, বরং এক দার্শনিক যুদ্ধ, যা সন্ত্রাসকে মূলোৎপাটনের অঙ্গীকার করে।

নিচে এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্যগুলি বিশ্লেষণ করা হলো, যেখানে প্রতিটি ধাপে কেন্দ্রে রয়েছে মাসুদ আজহার, জইশ সন্ত্রাসী সাইট, ও পাকিস্তান সরকারের গোপন ভূমিকা।

 ✈️ সন্ত্রাসী ঘাঁটি ধ্বংস – রাফাল জেটের নিখুঁত ‘Strike Vector’

  • অপারেশন সিঁদুরে ভারতীয় বায়ুসেনা ব্যবহার করে রাফাল জেট, যার precision-guided bomb প্রযুক্তি মুজাফফরাবাদ, বাহাওয়ালপুর, ও সিয়ালকোটে অবস্থিত জইশ সন্ত্রাসী সাইট টার্গেট করে।

  • এই জইশ সন্ত্রাসী সাইট গুলির ভেতরে আত্মঘাতী বোমার প্রশিক্ষণ, অর্থায়ন, ও ভারতে অনুপ্রবেশের পরিকল্পনা চলছিল বলে RAW-এর কাছে তথ্য ছিল।

  • অত্যন্ত গোপনীয়ভাবে চালানো এই বিমানহানায় ধ্বংস হয় তিনটি জইশ সন্ত্রাসী সাইট, যা পাকিস্তান সরকার বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে।

🔎 তথ্যসূত্র: হামলার আগের রাতে ভারতীয় উপগ্রহ থেকে ধরা পড়ে ‘জেইশ কমান্ডার ক্যাম্প’ এর তৎপরতা, যার উপর ভিত্তি করেই হামলা পরিকল্পনা করা হয়।

 ☠️ মাসুদ আজহারের পরিবারকে লক্ষ্যবস্তু – হাড়ে হাড়ে মূল্য চোকাতে বাধ্য করল ভারত

  • এই অভিযানে মাসুদ আজহারের ১০ জন আত্মীয় (তাঁর দুই ভাই, এক পুত্র ও সাতজন ভাগ্নে) এবং ৪ জন ঘনিষ্ঠ সহযোগী নিহত হন, যা জইশ সন্ত্রাসী সাইট ব্যবস্থাকে একপ্রকার মাথাবিহীন করে দেয়।

  • এর মাধ্যমে ভারত কৌশলগতভাবে প্রমাণ করে দেয় যে, কেবল জাতিসংঘ ঘোষিত সন্ত্রাসী নয়, তার পরিবারকেও সন্ত্রাসে লিপ্ত থাকলে রেহাই দেওয়া হবে না।

  • এই পদক্ষেপে পাকিস্তান সরকারের সন্ত্রাসঘেঁষা নীতি প্রকাশ্যে চলে আসে—হামলার পরেই পাকিস্তান সরকার নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়, যা আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার মুখে পড়ে।

🧨 নতুন তথ্য: মাসুদ আজহারের এক আত্মীয় ছিল জইশের ড্রোন টেকনিক্যাল বিভাগের প্রধান, যিনি অপারেশন সিঁদুরে নিহত হন—ভারতের জন্য একটি বড় সাফল্য।

 🔥 প্রতিরোধ নয়, এটি ছিল প্রতিশোধের ঊর্ধ্বে – পাহালগাম হত্যাকাণ্ডের পরিণাম

  • ২২ এপ্রিল, পাহালগামে জইশ-প্রেরিত জঙ্গিরা এক বর্বর হামলা চালিয়ে ২৬ জন নিরীহ নাগরিককে হত্যা করে। সেই হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবেই অপারেশন সিঁদুর

  • কিন্তু এ প্রতিক্রিয়া কেবল আবেগ নয়, এটি ছিল সিস্টেমেটিক রিট্যালিয়েশন

    • ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী প্রথমে জইশ সন্ত্রাসী সাইট গুলির রুটম্যাপ চিহ্নিত করে।

    • তারপর রাজনৈতিক নেতৃত্বের অনুমোদনে রাতারাতি হামলা চালানো হয়।

  • এটাই বোঝায়, ভারত সন্ত্রাসবাদকে কূটনৈতিক ভাষায় নয়, কৌশলগত হস্তক্ষেপেই জবাব দিচ্ছে।

 🧭 পাকিস্তান সরকার ও জইশ সন্ত্রাসী সাইট: রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের অদৃশ্য আঁতুড়ঘর

  • পাকিস্তান সরকার নিজে জাতিসংঘ ঘোষিত সন্ত্রাসী মাসুদ আজহারের উপস্থিতি অস্বীকার করলেও, বাস্তবে তার সাইটগুলিতে নিয়মিত আইএসআই সহায়তা দিচ্ছে।

  • “Training by day, infiltration by night”—এই নীতিতে চলে জইশ সন্ত্রাসী সাইট গুলি।

  • অপারেশন সিঁদুরের পর পাকিস্তান সরকারের প্রতিক্রিয়া ছিল প্রতারক ও দোষ ঢাকতে ব্যস্ত; যদিও বিশ্বব্যাপী প্রমাণিত হলো যে জইশ সন্ত্রাসী সাইট গুলি রাষ্ট্রীয় মদতে চলছে।

 💥 অপারেশন সিঁদুরের কৌশলগত তাৎপর্য – শুধুই যুদ্ধ নয়, বার্তা

  • অপারেশন সিঁদুর ছিল এক ‘surgical retaliation’ যার মাধ্যমে ভারত জানিয়ে দিল—

    • “সন্ত্রাস যেখানে জন্ম নেবে, সেখানেই আগুন জ্বলবে।”

  • জাতীয় গর্ব, আন্তর্জাতিক রূঢ়তা এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় স্থিতির স্পষ্ট প্রতিফলন এটি।

 অপারেশন সিঁদুর—সিঁদুর নয়, আগুনের রেখা

মাসুদ আজহার, জইশ সন্ত্রাসী সাইট, ও পাকিস্তান সরকার—এই ত্রিভুজ আজ ভারতের কৌশলগত ঘায়ে বিধ্বস্ত।
জাতিসংঘ ঘোষিত সন্ত্রাসীদের প্রতি যে কোনো রকম সহানুভূতির দিন শেষ।
অপারেশন সিঁদুর দেখিয়ে দিল—যুদ্ধ যদি অপরিহার্য হয়, তা হলে তা যেন নির্ভুল হয়।

🔥 এই সিঁদুর সজ্জার প্রতিটি দাগে লেখা আছে প্রতিরোধ নয়, নির্মূলের অঙ্গীকার।

Masood Azhar: Why China helped India put Jaish chief on UN's terror list,  and why it may not matter

পাকিস্তান সরকারের প্রতিক্রিয়া: মুখোশ খুলল রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের সত্য

অপারেশন সিঁদুর ছিল শুধু সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ নয়, এটি ছিল এক রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক অস্ত্র পরীক্ষার ক্ষেত্র। আর সেই পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি অনাবৃত হয়েছে পাকিস্তান সরকারের দ্বিচারিতা, লুকোচুরি এবং জইশ সন্ত্রাসী সাইট রক্ষায় তার নির্লজ্জ ভূমিকা। যখন একদিকে জাতিসংঘ ঘোষিত সন্ত্রাসী মাসুদ আজহারকে বিশ্বের সামনে লুকানো হচ্ছিল, অন্যদিকে তাকে “রাষ্ট্রীয় অতিথি” হিসেবে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছিল পাকিস্তানের অভ্যন্তরে।

 🎭 অস্বীকারের নাটক: পাকিস্তান সরকারের কূটনৈতিক কৌশল

  • অপারেশন সিঁদুর চালানোর ঠিক পরপরই পাকিস্তান সরকার প্রথম বিবৃতিতে জানায়—”কোনো হামলা হয়নি, ভারত মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে।”

  • অথচ, জইশ সন্ত্রাসী সাইট গুলির উপগ্রহ চিত্রে ধ্বংসস্তূপ স্পষ্ট দেখা যায়।
    ⮕ এটি ছিল এক পূর্বপরিকল্পিত damage control disinformation strategy

অস্বীকার ছিল মূলত স্বীকারোক্তির ছদ্মবেশ।

 💵 ক্ষতিপূরণ বিতরণ: সন্ত্রাসের প্রতি রাষ্ট্রীয় সহানুভূতি

  • একটি অভ্যন্তরীণ তদন্তে প্রকাশ—পাকিস্তান সরকার অপারেশন সিঁদুরে নিহত জইশ সদস্যদের পরিবারকে মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ প্রদান করে।

  • এটি সরাসরি ইঙ্গিত দেয় যে জইশ সন্ত্রাসী সাইট পাকিস্তান সরকারের গোপন তহবিল দ্বারা পরিচালিত।

🔎 এই অর্থ বিতরণ রেকর্ডে আসে ‘ন্যাশনাল রিলিফ ফান্ড’ থেকে, যেটি সাধারণত প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যবহৃত হয়। কৌশলে সন্ত্রাসে বদলে ফেলা হয়েছে।

 🛑 মাসুদ আজহার সংক্রান্ত তথ্য গোপন – জাতিসংঘের চোখে ধুলো

  • জাতিসংঘের প্রশ্নের মুখে পাকিস্তান সরকার বারবার দাবি করে—“জাতিসংঘ ঘোষিত সন্ত্রাসী মাসুদ আজহার পাকিস্তানে নেই।”

  • কিন্তু অপারেশন সিঁদুর পর পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয় যে, সে বাহাওয়ালপুরের এক সামরিক বেস ক্যাম্পে বসবাস করছিল, ISI-এর তত্ত্বাবধানে।

🔍 এটি শুধু গোপনীয়তা নয়—এটি এক রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত সন্ত্রাস মডেলের উদাহরণ।

 🔗 জইশ সন্ত্রাসী সাইট ও সামরিক যৌথতা: রাষ্ট্রীয় অস্ত্রের অপব্যবহার

  • জইশ সন্ত্রাসী সাইট গুলিকে পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটির নিকটেই স্থাপন করা হয়েছে—যেমনঃ

    • সিয়ালকোট সেনা ক্যাম্পের ৫ কিলোমিটারের মধ্যে ছিল এক প্রধান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।

    • বাহাওয়ালপুর ক্যাম্প ছিল ISI-এর সরাসরি তত্ত্বাবধানে।

📌 এই সংযুক্তিকরণই প্রমাণ করে—পাকিস্তান সরকারের সামরিক শাখা ও জইশের মধ্যে কার্যকর ‘Operational Collaboration’ বিদ্যমান।

 🕊️ আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া মোকাবিলায় নাটকীয় শান্তির অভিনয়

  • অপারেশন সিঁদুর-এর পর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়লে, পাকিস্তান সরকার দ্রুত “শান্তি বার্তা” ছড়াতে শুরু করে।

    • প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ “ডায়ালগ”-এর কথা বলেন।

    • অথচ বাস্তবে জইশের নতুন সদস্য নিয়োগ প্রক্রিয়া চুপিসারে চলতে থাকে।

এই দ্বিচারিতা বিশ্ব কূটনীতির চোখ এড়ায়নি; বরং পাকিস্তানের উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞার চাপ বাড়ায়।

 ⚖️ জাতিসংঘ ঘোষিত সন্ত্রাসী ও তার রাষ্ট্রীয় রক্ষাকবচ

  • পাকিস্তানের দৃষ্টান্তমূলক চরিত্র হলো—একদিকে নিজেই স্বাক্ষরকারী আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস বিরোধী সনদের, অথচ অন্যদিকে জাতিসংঘ ঘোষিত সন্ত্রাসী মাসুদ আজহারকে পোষে, প্রশ্রয় দেয়।

  • এমনকি চীনকেও পাশে নিয়ে জাতিসংঘে মাসুদ আজহারের বিরুদ্ধে ভারতের প্রস্তাবে ‘ভেটো’ দেওয়ায় সহায়তা নেয়।

📌 এটি এক ভয়ঙ্কর আন্তর্জাতিক প্রতারণার ছক, যেখানে সন্ত্রাসের স্রোত রাষ্ট্রীয় জালে বাঁধা।

মুখোশের আড়ালে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, আর ভারত জানে সেই মুখোশ খুলে ফেলতে

পাকিস্তান সরকার, জইশ সন্ত্রাসী সাইট এবং জাতিসংঘ ঘোষিত সন্ত্রাসী মাসুদ আজহার—এই ত্রয়ী চক্রান্তে ভারত অপারেশন সিঁদুর-এর মাধ্যমে কেবল প্রতিশোধ নেয়নি, বরং এক জোরালো বার্তা দিয়েছে।
সন্ত্রাসে প্রশ্রয় দিলে, রাষ্ট্রও দায়মুক্ত নয়।

🔥 এ এক যুদ্ধ ছিল, যেখানে পটভূমি ছিল কূটনীতি, অস্ত্র ছিল তথ্য, আর প্রতিপক্ষ এক মুখোশধারী রাষ্ট্র—যার মুখোশ খুলে দিয়েছে ভারত।

Masood Azhar Global Terrorist: Masood Azhar, Man Behind Parliament Attack,  Pulwama, Blacklisted At UN

পাকিস্তান সরকারের ক্ষতিপূরণ ঘোষণা: একটি রাষ্ট্রীয় সহানুভূতির মুখোশ?

🔴 ঘোষণার মূলসার: রাষ্ট্রীয় সহানুভূতি না সন্ত্রাসের প্রতি আনুগত্য?

  • পাকিস্তান সরকার ঘোষণা করেছে যে জইশ সন্ত্রাসী সাইট–এ ভারতীয় বিমান হামলায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারপ্রতি ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

  • এই ঘোষণার কেন্দ্রে রয়েছেন মাসুদ আজহার, যিনি একজন জাতিসংঘ ঘোষিত সন্ত্রাসী

  • তিনি দাবি করেছেন, নিহত ১৪ জন তার নিকটাত্মীয়—বোন, বোনের স্বামী, ভাতিজা, ভাতিজি ও তাদের সন্তানরা।

  • যেহেতু তিনি একমাত্র জীবিত উত্তরাধিকারী, তাই পাকিস্তান সরকার মাসুদ আজহারকে ১৪ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে চলেছে।

🔴 ক্ষতিপূরণ না পুরস্কার? মাসুদ আজহারের অর্থনৈতিক রি-বুট

  • এই ১৪ কোটি টাকাই জাতিসংঘ ঘোষিত সন্ত্রাসী মাসুদ আজহারের সংগঠন জইশ সন্ত্রাসী সাইট-এর পুনর্গঠনের ইন্ধন হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

  • পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় অর্থে যদি এক জন জঙ্গি নেতার পুনরুত্থান ঘটে, তবে সেটি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদে একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে।

  • উল্লেখযোগ্যভাবে, এই অর্থ ভারত বিরোধী জিহাদি কার্যকলাপ, অনলাইন র‌্যাডিক্যালাইজেশন এবং নতুন শিবির গঠনে ব্যবহৃত হতে পারে বলে গোয়েন্দা সূত্রের সন্দেহ।

🔴 জাতিসংঘ ঘোষিত সন্ত্রাসীর জন্য রাষ্ট্রীয় সাহায্য: আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন?

  • জাতিসংঘের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী রেজোলুশন অনুযায়ী, কোনো রাষ্ট্র জাতিসংঘ ঘোষিত সন্ত্রাসীকে আর্থিক সহায়তা দিতে পারে না।

  • পাকিস্তান সরকার যদি এই ক্ষতিপূরণ দেয়, তবে তা সরাসরি UN Security Council Resolution 1373 এবং 1267–এর লঙ্ঘন।

  • এ ধরনের কার্যকলাপ পাকিস্তানকে FATF (Financial Action Task Force)–এর ‘blacklist’-এর দিকে ঠেলে দিতে পারে।

🔴 ‘মারকাজ সুবহান আল্লাহ’ কমপ্লেক্স ও ভূ-রাজনৈতিক ফলাফল

  • বাহাওয়ালপুরে অবস্থিত ১৮ একরের জইশ সন্ত্রাসী সাইট, যাকে কেন্দ্র করেই ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালিত হয়, ছিল মাসুদ আজহারের সন্ত্রাসী স্টেটক্র্যাফটের কেন্দ্র।

  • সেখান থেকে পরিচালিত হতো ভারতবিরোধী হামলা, রিক্রুটমেন্ট ও ফান্ড রেইজিং।

  • এই কমপ্লেক্স ধ্বংস হলেও, পাকিস্তান সরকারের ১৪ কোটি টাকার ‘ক্ষতিপূরণ’ সেই ধ্বংসকেও এক ধরনের ‘পুনরুজ্জীবন’-এ রূপান্তরিত করতে পারে।

🔴 মাসুদ আজহারের ‘মানবিক চিঠি’ এবং প্রপাগান্ডার কৌশল

  • মাসুদ আজহার এক চিঠির মাধ্যমে দাবি করেছে, সে নিহতদের মৃত্যুর জন্য “ভারতের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ” দায়ী।

  • এই চিঠি পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে, যেন জাতিসংঘ ঘোষিত সন্ত্রাসীকেও ভুক্তভোগী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা যায়।

  • এটি soft sympathy manufacturing—যার মাধ্যমে পাকিস্তান সরকার এক ভয়ঙ্কর মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ চালাচ্ছে আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গিকে বিভ্রান্ত করতে।

🔴 ভারতের কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ: সঠিক বার্তা কীভাবে পৌঁছাবে?

  • ভারত সরকারের পক্ষে এই তীব্র লজ্জাজনক ও ন্যক্কারজনক পরিস্থিতির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহলকে সচেতন করাই এখন মূল চ্যালেঞ্জ।

  • বিষয়টি UN, FATF, G20 Counter Terrorism Working Group-এ তোলা হতে পারে।

 রাষ্ট্র যদি সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক হয়…

যখন একটি রাষ্ট্র জাতিসংঘ ঘোষিত সন্ত্রাসীকে ক্ষতিপূরণ নয়, বরং পুরস্কার দেয়, তখন সেই রাষ্ট্র আর একটি “রাষ্ট্র” নয়—সে হয়ে ওঠে সন্ত্রাসবাদের প্রাতিষ্ঠানিক পৃষ্ঠপোষক
এই ১৪ কোটি টাকা শুধু অর্থ নয়—এটি হল এক বিপজ্জনক বার্তা। বার্তা এই যে, পাকিস্তান সরকার নিজেই জইশ সন্ত্রাসী সাইট-এর পুনরুজ্জীবনের অর্থ জোগাতে প্রস্তুত।

India-Pakistan Conflict Highlights: “Bharat Will Not Be Deterred By Nuclear  Blackmail,” PM Modi - The Hindu BusinessLine

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও সমালোচনা: অপারেশন সিঁদুরের অভিঘাত বিশ্বমঞ্চে

অপারেশন সিঁদুর ছিল কেবল এক সামরিক পদক্ষেপ নয়, বরং এটি ছিল ভারতের আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক দাপটের সূক্ষ্ম ও সুদূরপ্রসারী নিদর্শন। এই অভিযানের পর মাসুদ আজহার, একজন জাতিসংঘ ঘোষিত সন্ত্রাসী, এবং তার জইশ সন্ত্রাসী সাইট নিয়ে বিশ্বজুড়ে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। পাকিস্তান সরকার আর চুপ থাকতে পারেনি—ভণ্ডামি উন্মোচিত হতে থাকে ধাপে ধাপে।

এখন দেখি আন্তর্জাতিক স্তরে কীভাবে এই অভিযানের অভিঘাত ছড়িয়ে পড়ে:

 🧿 জাতিসংঘের রাডারে মাসুদ আজহার: মুখোশ খোলে জইশ সন্ত্রাসী সাইট-এর

  • অপারেশন সিঁদুর সফল হতেই জাতিসংঘ আবার সক্রিয়ভাবে মাসুদ আজহার-এর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

  • বহুবার চীন ভেটো দিয়ে তাকে রক্ষা করলেও এবার চীনের অবস্থান কিছুটা শিথিল হয়—চাপ পড়ে আন্তর্জাতিক মহল থেকে।

  • জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সভায় ভারত বারবার উল্লেখ করে যে:

    “এক জাতিসংঘ ঘোষিত সন্ত্রাসী পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটির সুরক্ষায় বসবাস করছে।”

🔍 এ বক্তব্যের জেরে পাকিস্তানের উপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব আসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফে।

 🌍 পশ্চিমা বিশ্বের প্রতিক্রিয়া: সত্যের পক্ষে সরব যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স

  • অপারেশন সিঁদুর-এর পরেই যুক্তরাষ্ট্র প্রথম বিবৃতিতে জানায়:

    “ভারতের আত্মরক্ষার অধিকার আছে, এবং জইশ সন্ত্রাসী সাইট ধ্বংস একটি বৈধ সামরিক পদক্ষেপ।”

  • ফ্রান্স আরও একধাপ এগিয়ে গিয়ে মাসুদ আজহার-কে আন্তর্জাতিক অপরাধী ঘোষণা করে নিজস্ব সন্ত্রাসী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।

📌 এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি একদিকে ভারতের কূটনৈতিক সাফল্য, অন্যদিকে পাকিস্তানের বিশ্ব-চিত্রে পরাজয়ের রূপরেখা।

 🧨 পাকিস্তান সরকারের অবস্থান: চুপচাপ তবুও প্রকাশ্যে ধরা পড়ে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস

  • প্রাথমিকভাবে পাকিস্তান সরকার দাবি করে যে—“কোনও জইশ সন্ত্রাসী সাইট ছিল না, ভারত মিথ্যাচার করছে।”

  • কিন্তু আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলি (MI6, CIA) উপগ্রহ চিত্র ও সিগনাল ইন্টেলিজেন্সে প্রমাণ দেয়—

    মাসুদ আজহার ওই সময় বাহাওয়ালপুরেই ছিল, এবং ISI তাকে সরিয়ে নিয়ে যায়।”

এই তথ্য ফাঁস হওয়ার পরই আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন ওঠে—“তাহলে কি পাকিস্তান সরকার সরাসরি সন্ত্রাসে অংশীদার?”

 💥 সাংবাদিক অনুসন্ধান ও বিশ্বমাধ্যমে প্রকাশ: নৈতিক চাপের উত্থান

  • The Guardian, Washington Post, Le Monde, The Hindu—এইসব প্রথম সারির আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম অপারেশন সিঁদুর-কে “Precision Counter-Terrorism Strike” বলে অভিহিত করে।

  • তারা মাসুদ আজহারকে জাতিসংঘ ঘোষিত সন্ত্রাসী হিসেবে পাকিস্তানে থাকার প্রমাণ তুলে ধরে।

📺 বিশ্বজুড়ে আলোচনায় উঠে আসে—“How long will Pakistan protect Jaish-e-Mohammad?”

 🛡️ G20, BRICS ও SCO-তে ভারতের কূটনৈতিক কৌশল

  • ভারতের পক্ষ থেকে G20 ও SCO-র বৈঠকে জইশ সন্ত্রাসী সাইট ধ্বংস এবং পাকিস্তান সরকারের দ্বিচারিতা নিয়ে সরব আলোচনা হয়।

  • ব্রিকস সম্মেলনে ভারতের প্রস্তাবে সন্ত্রাসবিরোধী যৌথ রেজোলিউশন পাস হয়—যেখানে মাসুদ আজহার-এর নাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়।

🎯 এটি ছিল ভারতের দীর্ঘমেয়াদি কূটনৈতিক জয়—যেখানে পাকিস্তান একঘরে হয়ে পড়ে।

 অপারেশন সিঁদুর এক নতুন আন্তর্জাতিক যুগের সূচনা করল

অপারেশন সিঁদুর কেবল জইশ সন্ত্রাসী সাইট ধ্বংস করেনি, এটি মাসুদ আজহার এবং পাকিস্তান সরকারের উপর এক অবর্ণনীয় কূটনৈতিক আঘাত হেনেছে।বিশ্ব আজ দেখছে—এক জাতিসংঘ ঘোষিত সন্ত্রাসী কিভাবে রাষ্ট্রীয় স্তরে প্রশ্রয় পায়, আর ভারত কিভাবে সেই মুখোশ খুলে দেয়।

🛑 এ যুদ্ধ ছিল বন্দুকের আগে তথ্য, এবং তথ্যের ওপরে সত্যের—আর সেই সত্যে ভারত জয়ী।

এভাবেই অপারেশন সিঁদুর আন্তর্জাতিক স্তরে পাকিস্তান সরকার, মাসুদ আজহার এবং জইশ সন্ত্রাসী সাইট এর গোপন চক্রান্তকে নগ্নভাবে প্রকাশ করে দেয়, আর ভারত তার রাষ্ট্রীয় মর্যাদা বজায় রেখে বিশ্বমঞ্চে এক কঠোর বার্তা পাঠায়—

“সন্ত্রাস যেখানেই থাকুক, ভারত তাকে খুঁজে বের করবে এবং নিশ্চিহ্ন করবে।”

Leave a Reply