বীরভূম জেলার রামপুরহাটের কাছে একটি গ্রামে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর হত্যাকাণ্ড ঘিরে বৃহস্পতিবার এক উত্তাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। প্রধানত আদিবাসী বাসিন্দারা একটি উচ্চ বিদ্যালয় বন্ধ করে দেন, প্রধান শিক্ষককে মারধর করেন এবং Rampurhat-Dumka Road-এ টানা ১৩ ঘণ্টারও বেশি সময় অবরোধ করেন। এই ঘটনায় পুরো অঞ্চলে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়।
STORY HIGHLIGHTS
Rampurhat-Dumka Road অবরোধে যান চলাচল ব্যাহত
১৩ বছরের ছাত্রীর খণ্ডিত দেহ উদ্ধার, নীচের অংশ এখনো নিখোঁজ
অভিযুক্ত শিক্ষক Manoj Kumar Pal গ্রেফতার ও অপরাধ স্বীকার
প্রধান শিক্ষক সনদীপ সাহাকে মারধর, শিক্ষক সংগঠনের তীব্র নিন্দা
দ্রুত বিচারের মাধ্যমে capital punishment-এর দাবি
পুলিশি দেরি ও স্কুল কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে ওই ১৩ বছরের ছাত্রীর খণ্ডিত দেহ উদ্ধার হয়। তবে নীচের অংশ এখনো নিখোঁজ। স্কুলের সহকারী শিক্ষক Manoj Kumar Pal-কে বুধবার গ্রেফতার করা হয় এবং তিনি অপরাধ স্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, Rampurhat-Dumka Road-এ অবরোধের কারণে ঝাড়খণ্ডের দুমকাকে সংযোগকারী সড়কে সম্পূর্ণভাবে ট্রাফিক বিপর্যস্ত হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অবরোধ চলতে থাকে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বারবার মৌখিক অভিযোগ জানানো হলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা বিদ্যালয়ে ঢুকে প্রধান শিক্ষক সনদীপ সাহাকে মারধর করেন।
চন্দন মাইতি, অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস-এর সাধারণ সম্পাদক, বলেন,
“প্রধান শিক্ষককে কিছু দুষ্কৃতী মারধর করেছে। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে নিরাপদে রেখেছে। আমরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাব।”
তিনি আরও বলেন,
“শুক্রবার আমি রামপুরহাট গিয়ে আক্রান্ত প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করব।”
পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উদ্ধার করলে গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং পুলিশকে তাড়িয়ে দেন। এর পরেই স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
দিশম আদিবাসী গাঁওটার সভাপতি রবিন সরেন বলেন,
“এটি দুঃখজনক ঘটনা। গ্রামবাসীদের ক্ষোভ ন্যায্য। আমরা দ্রুত বিচারের মাধ্যমে capital punishment-এর দাবি জানাচ্ছি।”
তিনি যোগ করেন,
“অভিযুক্ত শিক্ষককে আগে আটক করা হলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল বলে গ্রামের মানুষ পুলিশের ওপর ক্ষুব্ধ।”
বিজেপি বৃহস্পতিবার রামপুরহাট থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায়। দলের বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা অভিযোগ করেন,
“পুলিশ এখনো দেহের নীচের অংশ উদ্ধার করতে ব্যর্থ। তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠনের ছদ্মবেশে গ্রামবাসী ও পরিবারকে বিভ্রান্ত করছেন।”
তিনি আরও বলেন,
“পরিবার কেন্দ্রীয় সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত এবং কেন্দ্র পরিচালিত কল্যাণী এইমসে ময়নাতদন্তের দাবি তুলেছে।”
এই ঘটনায় Rampurhat-Dumka Road দীর্ঘ সময় অচল থাকে এবং গোটা এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ছড়ায়। অভিযুক্ত শিক্ষক Manoj Kumar Pal-এর জন্য গ্রামবাসীরা capital punishment-এর দাবি জানান, পাশাপাশি স্কুল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
এভাবেই হত্যাকাণ্ড ঘিরে উত্তাল রামপুরহাটের এই গ্রাম এখন দ্রুত বিচার ও কঠোর শাস্তির দাবি তুলছে।
রামপুরহাটের এই ঘটনাটি শুধু বীরভূম নয়, গোটা রাজ্যের মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত শিক্ষক Manoj Kumar Pal-এর দ্রুত বিচার ও capital punishment-এর দাবিতে গ্রামবাসীরা উত্তাল। দীর্ঘ ১৩ ঘণ্টার অবরোধে Rampurhat-Dumka Road অচল হয়ে পড়ে, যা রাজ্যের প্রশাসনিক প্রস্তুতি ও স্কুল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্ত, অভিযুক্তের কড়া শাস্তি এবং ভবিষ্যতে এমন অপরাধ ঠেকাতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।