আধার কার্ডে জালিয়াতি, নাম-পরিচয়ের কৌশলী বদল, বিয়ের আসরে নাটকীয় প্রবেশ—এই ছিল উত্তরপ্রদেশের অনুরাধা পাশওয়ানের ছায়ার মতো জীবনপথ। ভুয়া বিয়ে ছিল তার পেশা, প্রতারণা ছিল নেশা। ২৫টি বিয়ে, ২৫টি পরিবার, আর প্রতিবারই রাতের আঁধারে গয়না, নগদ টাকা ও মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে নিরুদ্দেশ। সহকারী ছিল স্বামী, পরিচয়ে ভাই। ছক ছিল নিখুঁত, গতি ছিল দ্রুত। রাজস্থান থেকে মধ্যপ্রদেশ, প্রতারণার বিস্তার ছিল সুপরিকল্পিত। শেষমেশ ধরা পড়ল প্রতারক জাল, ফাঁস হল এক অভিনব ভুয়া বিয়ে প্রতারণা চক্র।

আধার কার্ড জালিয়াতির সূক্ষ্ম ছক: প্রতারণার মূল চাবিকাঠি

ভুয়া বিয়ে প্রতারণা চক্রে অনুরাধা পাশওয়ানের পরিচয় বদলের পদ্ধতি ছিল অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ও প্রযুক্তিনির্ভর। পরিচয় গোপনের জন্য আধার কার্ড ছিল তার প্রধান ঢাল।

ডুপ্লিকেট আধার

অনুরাধা পাশওয়ান তার ভুয়া বিয়ে প্রতারণা কৌশলে ব্যবহার করত একই আধার নম্বরের একাধিক রূপ। নির্দিষ্ট ফর্ম্যাটে স্ক্যানকরা আধার কার্ডের ডিজিটাল সংস্করণ এডিট করে নাম, জন্মতারিখ ও ঠিকানা পাল্টে তৈরি হতো নতুন পরিচয়। এইসব কার্ড দেখতে ছিল হুবহু আসলের মতো, যাতে সন্দেহের সুযোগ থাকত না।

মোবাইল নম্বর সংযুক্ত আধার KYC-এর মাধ্যমে করা হতো ডেটা পরিবর্তন। সিমকার্ড পোর্ট করে বা নতুন মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে অনুরাধা তার আধার ডেটা আপডেট করত, যাতে প্রতিবার নতুন ঠিকানা ও নামের সংযুক্তি হয়—এটাই ছিল ভুয়া বিয়ে প্রতারণা নেটওয়ার্কের গোপন চাল।

একাধিকবার আধার কার্ডের ছবিও পরিবর্তিত হয়েছে সফটওয়্যারের মাধ্যমে। কৃত্রিম চেহারার সামান্য রূপান্তর ঘটিয়ে এমনভাবে কার্ড তৈরি করা হতো যাতে অনুরাধা পাশওয়ানকে চেনা যায় না। আধার কার্ড জালিয়াতি যেন হয়ে উঠেছিল তার প্রতিদিনের অলংকার।

প্রতিবার নতুন শহরে প্রবেশের আগেই আধার কার্ডে পরিচয় বদলে সেই শহরের ঠিকানার উল্লেখ থাকত। ফলে স্থানীয় পুলিশ ভেরিফিকেশনে কোনও অসঙ্গতি ধরা পড়ত না। ভুয়া বিয়ে প্রতারণা এইভাবেই নয়া গন্তব্যে নির্বিঘ্নে পৌঁছে যেত।

ভুয়া কনে প্রতারণা: বিয়ে নয়, লুটের পরিকল্পনা

ভুয়া দালালের প্রবেশ

পাত্র খোঁজার দায়ে থাকত দালাল। এই দালাল ছিল চক্রের নির্দিষ্ট সদস্য, যার পরিচয় ছিল ভুয়া। ভুয়া বিয়ে প্রতারণা পরিকল্পনায় প্রতিবারই সে পাত্রের পরিবারে গিয়ে কনে অনুরাধাকে সাজিয়ে তুলত আদর্শ ‘বউ’।

দালাল বলত, মেয়ের বাবা-মা নেই। ভাই (আসলে স্বামী) দেখাশোনা করছে।দালাল কখনোই স্থায়ী ঠিকানা দিত না।সামান্য চাপাচাপিতে বিয়ে না হওয়ার অজুহাতেও টাকা ফেরত দিত, যাতে বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় থাকে।

কমিশন নয়, বিনিয়োগ

ভুয়া বিয়ে প্রতারণা চক্র ‘কমিশন’ বলত, কিন্তু এটি ছিল প্রতারণার মূল মুনাফা।পাত্রের পরিবার থেকে ১.৫ থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিত ‘দালালি বাবদ’।সেই টাকার মধ্যে মেয়ের পোশাক, বিয়ের আয়োজন, অতিথি আপ্যায়ন—সব কিছু দেখভালের প্রতিশ্রুতি থাকত।প্রতিবারই টাকা নেওয়ার পর কনে পক্ষ আত্মীয়স্বজনদের নিয়ে হাজির হত, যাতে কোনও সন্দেহ না ওঠে।

মিথ্যা অভিনয়: স্বাভাবিকতা বজায় রাখার ছক

বিয়ের পর অনুরাধা পাশওয়ান কয়েকদিন থাকত স্বাভাবিক রূপে।রান্নাঘরে সময় কাটাত, মশলার খোঁজ নিত, মায়ের পাশে বসে হাত বুলিয়ে দিত।পাড়াপড়শিদের সঙ্গে হাসিমুখে গল্প করত।কিছুদিন বাদে মেয়েটির কাকা-মামা পরিচয়ে নতুন লোক বাড়িতে আসত—তারা আসলে চক্রের আরও সদস্য।

অজানা ঘুমের ওষুধ: ‘পরিবারের’ নিশ্চলতা নিশ্চিত

বিয়ের ২–৩ দিনের মধ্যেই শুরু হতো কার্যক্রম।চায়ে, খাবারে বা পানীয়তে মেশানো হতো ঘুমের ওষুধ।সম্পূর্ণ পরিবার অচেতন হয়ে পড়লে, শুরু হতো লুট।ভুয়া বিয়ে প্রতারণা চক্রের সদস্যরা রাতের মধ্যে নগদ টাকা, গয়না, মোবাইল ফোন—সবকিছু নিয়ে চুপিচুপি বেরিয়ে যেত।

বিয়ের কাগজ: আইনসঙ্গততার ছায়া

অনুরাধা পাশওয়ান ভুয়া বিয়ে প্রতারণা কৌশলে প্রতিবারই বিয়ের রেজিস্ট্রি করত না।বদলে মন্দিরে বা বাড়িতে ধর্মীয় রীতিতে বিয়ে হতো।কোনও বৈধ নথি না থাকায় পরবর্তীতে আইনি প্রতিকার কঠিন হয়ে পড়ত পাত্রপক্ষের জন্য।

ভাই না স্বামী? প্রতারণার মূল ছায়া চরিত্র

পরিচয়ের বিভ্রান্তি: ‘ভাই’ নামে প্রতিদিনের অভিনয়

ভুয়া বিয়ে প্রতারণা পরিকল্পনায় প্রতিবারই সামনে আসতেন একজন যুবক, যিনি পরিচয় দিতেন—“মেয়ের দাদা”। কিন্তু তদন্তে জানা যায়, সেই মানুষটি আসলে অনুরাধা পাশওয়ানের আইনগত স্বামী—বিশাল কুমার (বয়স ২২)।

প্রতিটি বিয়েতে বিশাল কুমার নিজেকে ভাই পরিচয় দিতেন।পাত্রপক্ষের সঙ্গে সরাসরি দরকষাকষিতে থাকতেন তিনিই।বিয়ের আগেই প্রাথমিক আত্মবিশ্বাস অর্জনের দায় ছিল তার।

সন্দেহ দেখলে চুক্তি ভাঙার দক্ষতা

বিশাল কুমারের ভূমিকা ছিল কেবল উপস্থিত থাকা নয়, বরং ভুয়া বিয়ে প্রতারণা পরিকল্পনার একটি প্রধান ‘ডিল কন্ট্রোলার’ হিসাবে কাজ করা।

যদি পাত্রপক্ষের প্রশ্ন বেড়ে যেত বা কনের পরিচয় নিয়ে সন্দেহ তৈরি হতো, তবে বিশালই জানাতেন “এই বিয়ে হবে না”।এমনকি অনেক ক্ষেত্রে অগ্রিম টাকা ফেরত দিয়ে আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করা হত, যাতে পরবর্তী ‘শিকার’ আরও সহজ হয়।তার স্বর, পোশাক, ব্যবহার ছিল সবসময় নিয়ন্ত্রিত, নিরপেক্ষ এবং নাটুকে।

যে মানুষ একজন নারীর স্বামী, তিনিই বারবার নিজের স্ত্রীকে অন্য পুরুষের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে প্রতারিত করছিলেন। ভুয়া বিয়ে প্রতারণা পরিকল্পনায় এই চরিত্রটি ছিল একেবারে জটিল।

পাত্রের পরিবারের সামনে তিনি হতেন ‘বড় ভাই’, যিনি মেয়ের সুখ চায়।কনেকে নিয়ে দরাদরি করতেন টাকা ও শর্ত নিয়ে—কিন্তু আবেগ দেখাতেন না।বিয়ের পর রাতেই হঠাৎ ‘কাজে’ চলে যাওয়ার নাম করে বাড়ি ছেড়ে দিতেন।

রাজস্থানের সোয়াই মাধোপুরে চক্র যখন ফাঁদে পড়ে, তখনও বিশাল কুমার নিজেকে ‘ভাই’ বলেই দাবি করেন।পুলিশের ফাঁদে পড়ার আগে পর্যন্ত তিনি জানতেন না যে বর সেজে থাকা ব্যক্তি একজন কনস্টেবল।গ্রেফতারের পরেই তিনি স্বীকার করেন—অনুরাধা তার স্ত্রী এবং এই ভুয়া বিয়ে প্রতারণা চক্রে তিনি গত ২ বছর ধরে সক্রিয়।

লুটের পরিণতি: ঘুমের ওষুধ, গয়না ও মোবাইল হস্তান্তর

ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বাড়ির সবাই অজ্ঞান করার পর নগদ টাকা, গয়না এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিস সংগ্রহ করা হতো। সাওয়াই মাধোপুরের ঘটনায় ভুয়া কনে অনুরাধা পাশওয়ান এক রাতের মধ্যে ১.২৫ লক্ষ টাকার গয়না, ৩০ হাজার নগদ টাকা এবং ৩০ হাজার টাকার মোবাইল নিয়ে নিখোঁজ হয়।

এই চক্রে ব্যবহৃত ঘুমের ওষুধ ছিল ফার্মেসি থেকে আনা সাধারণ সেডেটিভ, যা দুধ বা খাবারে মিশিয়ে দেওয়া হতো। প্রতিবারই পালানোর সময় একটি নির্দিষ্ট মোবাইল নম্বর বন্ধ করে, নতুন সিম কার্ড ব্যবহার করত সে।

ভুয়া কনে প্রতারণার বহর: একের পর এক ২৫টি বিয়ে

অনুরাধা পাশওয়ান অন্তত ২৫টি বিয়ে করেছিল বলে পুলিশ অনুমান করছে। তার শিকারদের বেশিরভাগই ছিলেন রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশ থেকে, যাদের মধ্যে অনেকেই আর্থিকভাবে দুর্বল, কিন্তু বিয়ের জন্য হাই প্রোফাইল কনে খুঁজছিলেন। চক্রের সদস্যরা গ্রামের দরিদ্র পুরুষদের লক্ষ্য করত এবং তাদের পরিবারকে স্বপ্ন দেখাত—উচ্চশিক্ষিত কনে, আধুনিক পরিবারের মেয়ে, এবং নগদ যৌতুকের প্রলোভন।

দৃষ্টি আকর্ষণীয় তথ্য:

  • প্রতিটি বিয়ের ভিডিও ও ছবি থাকলেও ভুয়া পরিচয়ের কারণে কোনোদিন খুঁজে পাওয়া যায়নি।

  • অন্তত ৯টি বিয়েতে ভুয়া নাম ছিল—”সঙ্গীতা”, “নেহা”, “প্রিয়াঙ্কা”, ইত্যাদি।

  • চক্রের এক সদস্য জাল হলফনামা তৈরিতে দক্ষ ছিলেন।

পুলিশের ছক ও ধরার কৌশল

ছদ্মবেশের ছকে ফাঁদ পাতে পুলিশ

ভুয়া বিয়ে প্রতারণা–এর তদন্তে একাধিক অভিযোগ জমে ওঠার পর সাওয়াই মাধোপুর জেলার পুলিশ এক বিশেষ পরিকল্পনা করে।

পাত্রপক্ষের ভূমিকায় পুলিশের একজন কনস্টেবলকে নিযুক্ত করা হয়।এই কনস্টেবল একটি আসল পাত্রের মতো পুরো পরিচয় এবং আচরণ গঠন করেন।পরিবারের অন্য সদস্য হিসেবেও পুলিশের সাদা পোশাকের কর্মীরা সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।বিয়ের আলোচনা, অনুষ্ঠানস্থল নির্বাচন, অর্থচুক্তি—সব কিছুই প্রকৃত বিয়ের মতো সাজানো হয়।

▪️ বিয়ের নাটকের পর্দা পড়ে চিত্তৌড়গড়ে

ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল সোয়াই মাধোপুরে, কিন্তু ভুয়া বিয়ে প্রতারণা চক্রের সদস্য অনুরাধা পাশওয়ান তখন চিত্তৌড়গড় জেলায় বিয়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ছিলেন।

পাত্রপক্ষের তরফ থেকে অগ্রিম টাকা নেওয়া হয়েছিল।প্রথামাফিক চুক্তি অনুযায়ী কিছু নথিপত্রও আদান-প্রদান করা হয় ‘কনের ভাই’ সেজে থাকা বিশাল কুমার সমস্ত আলোচনার মুখ্য চরিত্রে ছিলেন।পরিকল্পনা ছিল বিয়ের দিন সন্ধ্যায় হঠাৎ করে পাত্রী নিরুদ্দেশ হয়ে যাবে।

চিত্তৌড়গড় পুলিশের সহযোগিতায় বিয়ের প্রস্তুতির মুহূর্তেই অনুরাধাকে আটক করা হয়।

গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে ভুয়া বিয়ে প্রতারণা সংক্রান্ত কিছু নথি এবং একটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়।সঙ্গে ছিল নগদ ২০ হাজার টাকা, যেটি পাত্রপক্ষের তরফে ‘মুচলেকা’ হিসাবে আগে দেওয়া হয়েছিল।তদন্তে ধরা পড়ে, এই অর্থ একাধিক প্রতারণার চক্রে ঘুরে ঘুরে ব্যবহৃত হচ্ছিল।

২০ হাজার টাকা উদ্ধার হলেও, সেই অর্থ ছিল শুধু প্রমাণের একাংশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অনুরাধা ও বিশাল বিগত ২ বছরে অন্তত ৮-১০ বার এমন ভুয়া বিয়ে প্রতারণা ঘটিয়েছে।প্রত্যেকবারই নগদ টাকা নেওয়া হত ‘বিয়ের খরচ’ বা ‘সংসারের জন্য’ অগ্রিম হিসাবে।এই টাকাগুলোর বেশিরভাগই পুনরায় নতুন শহরে গিয়ে পরিচয় বদল ও নথিপত্র তৈরিতে ব্যবহার করা হত।

চিত্তৌড়গড় পুলিশের একটি সাইবার টিম অনুরাধার ফোন ট্র্যাক করে তার গতিবিধি নিরীক্ষণ করে।

ফোন কলের রেকর্ড ও লোকেশন হিস্ট্রি বিশ্লেষণ করে চক্রের অন্যান্য সদস্যদের নাম উঠে আসে।ভুয়া বিয়ে প্রতারণা চক্রে ব্যবহৃত একাধিক নাম ও ঠিকানা একই প্যাটার্নে বদলানো হত।

বর্তমান অবস্থা ও তদন্ত

বিশাল কুমার (ভুয়া ভাই) বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে। অনুরাধা পাশওয়ান ও তার স্বামী-সহযোগী ছাড়াও পাপ্পু মীনা নামের দালাল ও চক্রের পাঁচ সদস্য পলাতক। তদন্তে উঠে আসছে আরও অন্তত ১৫টি বিয়ের তথ্য যেখানে পাত্ররা ভুয়া কনে প্রতারণার শিকার হয়েছেন কিন্তু রিপোর্ট করেননি সামাজিক লজ্জার ভয়ে।

ভুয়া বিয়ে প্রতারণা চক্রের ধরায় স্পষ্ট হয়, আধুনিক প্রযুক্তি ও পুলিশি ছক একসঙ্গে মিললে জটিল প্রতারণার খেলা বন্ধ করা সম্ভব। পুলিশের ছক ও ধরার কৌশলে ধরা পড়ল ভুয়া বিয়ে প্রতারণা চক্র এই ঘটনাটি সতর্কতার পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলার কার্যকারিতার প্রমাণ। ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রতারণা রুখতে পুলিশের পাশাপাশি সাধারণ জনসাধারণকেও সচেতন থাকা জরুরি।

আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ! ❤️আমরা সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের জন্য তথ্যসমৃদ্ধ, আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করতে, যাতে আপনি নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পারেন। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আমাদের সঙ্গে আপনার মতামত শেয়ার করতে চান, তাহলে “যোগাযোগ করুন” ফর্ম ব্যবহার করে সরাসরি আমাদের সাথে কথা বলুন। আমরা আগ্রহের সঙ্গে আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত এবং আপনার প্রতিক্রিয়াকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করি। এছাড়াও, ভবিষ্যতের আপডেট, নতুন নিবন্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস না করতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন—একসঙ্গে জানবো, শিখবো, আর নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্ব দেখবো

Leave a Reply