স্বাস্থ্য খাতে জবাবদিহিতা নেই: কীভাবে প্রভাব পড়ছে?
স্বাস্থ্য সাথী দুর্নীতি এবং স্বাস্থ্য সাথী অনিয়মে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি এই দুইয়ের মাঝখানে রয়েছে এক নিষ্ক্রিয় ও প্রশ্নবিদ্ধ ব্যবস্থা — স্বাস্থ্য খাতে জবাবদিহিতার অভাব। সরকার যতই সাফল্যের স্লোগান আওড়াক, বাস্তব চিত্র বলে দেয়, এখানে তথ্যের বদলে তোষণ, নীতির বদলে নীরবতা চলছে।
নথিপত্রের অস্বচ্ছতা: কাগজে সেবা, বাস্তবে গোলকধাঁধা
তথ্যের অদৃশ্য খেলা
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে খরচের হিসাব প্রকাশে স্বচ্ছতা নেই — সরকারি পোর্টালে প্রকৃত খরচ ও বেনিফিশিয়ারির সংখ্যা মাঝে মাঝেই মেলে না।
RTI (তথ্য জানার অধিকার)-এর মাধ্যমে প্রশ্ন করলেই উত্তর আসে বিলম্বিত বা অসম্পূর্ণ আকারে।
কোনো থার্ড-পার্টি নিরীক্ষা নেই
দেশের অন্য রাজ্যগুলিতে যেখানে স্বাস্থ্য প্রকল্পের নিরীক্ষা করে স্বাধীন সংস্থা, বাংলায় স্বাস্থ্য সাথী অনিয়ম তদন্তের দাবি বারবার অগ্রাহ্য হয়েছে।
এমনকি CAG-এর (Comptroller and Auditor General) পর্যবেক্ষণও এই প্রকল্পে সীমিত।
📌 “জনসেবার নামে যদি আর্থিক ধোঁকাবাজি চলে, তবে প্রকল্পের উদ্দেশ্যই প্রশ্নের মুখে পড়ে।”
অভিযোগ শোনার ব্যবস্থা — নামমাত্র, বাস্তবে শূন্য
স্বাস্থ্য সাথী হেল্পলাইন: অভিযোগের কফিন?
অনেক ভুক্তভোগী জানান, স্বাস্থ্যসাথী হেল্পলাইনে অভিযোগ জানালেও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলে না, শুধু টোকেন নম্বর ধরিয়ে দেওয়া হয়।
একটি মামলা অনুযায়ী, একজন গর্ভবতী মহিলা কলকাতার একটি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেখিয়েও ভর্তি পাননি, হেল্পলাইনে অভিযোগ করেও ফল হয়নি।
অভিযোগ নিষ্পত্তির কমিটি ‘স্বজনপোষণ’ নির্ভর
জেলা স্তরে গঠিত অভিযোগ নিষ্পত্তি কমিটিতে থাকেন স্থানীয় নেতারা ও প্রশাসনিক ঘনিষ্ঠরা — ফলে অভিযোগ খারিজ হয় ‘প্রমাণ নেই’ বলেই।
📌 “যেখানে অভিযোগকারীই হয় সন্দেহভাজন, সেখানে বিচারের আশা দুরাশা।”
প্রতিবেদন ম্যানিপুলেশন: বাস্তবকে পর্দার আড়ালে রাখা
“সব ঠিক আছে” নীতি
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে ত্রৈমাসিক রিপোর্টে প্রায় সব জায়গাতেই “সন্তোষজনক” সেবার উল্লেখ থাকে, অথচ সংবাদপত্রে উঠে আসে বহু অনিয়ম ও ভোগান্তির ছবি।
জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা অভ্যন্তরীণ চাপে নেতিবাচক তথ্য লুকাতে বাধ্য হন, এমন অভিযোগও সামনে এসেছে।
📌 “যদি চিকিৎসা হয় কাগজে, আর রোগী ঘুরে বেড়ায় অ্যাম্বুলেন্সে—তবে কীসের সাফল্য?”
স্বার্থসংশ্লিষ্ট হাসপাতাল — সুবিধাপ্রাপ্ত গুটিকয়েক
সরকারি অনুমোদনের ছাপ মেলেনা বহু হাসপাতালে
স্বাস্থ্যসাথী কার্ডধারীরা বহু হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারেন, হাসপাতাল প্রকল্পে তালিকাভুক্ত নয়, যদিও সরকারি তালিকায় নাম রয়েছে।
কিছু হাসপাতাল কার্ড গ্রহণ করলেও আংশিক চিকিৎসার পরে জানিয়ে দেয় — “বাকিটা নিজের খরচে করুন”।
রোগী রেফারাল = কমিশন, নাকি বাণিজ্য?
অনেক ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মী নির্দিষ্ট হাসপাতালে রেফার করলে কমিশন পান, এমন স্বীকারোক্তি তদন্ত রিপোর্টে উঠে এসেছে।
এতে প্রকৃত চিকিৎসা নয়, লাভজনক চিকিৎসা হয় — ফলভোগ করে রোগী।
📌 “স্বাস্থ্য যখন বাজারে পরিণত হয়, তখন নৈতিকতার দাম পড়ে সবচেয়ে কম।”
বাস্তব কাহিনি: শ্রীপর্ণার অপারেশন এবং এক ফাঁকা কার্ড
শ্রীপর্ণা মজুমদার, পূর্ব মেদিনীপুরের একজন প্রাথমিক শিক্ষিকা। তার মায়ের জরুরি ক্যান্সার অপারেশনের জন্য তিনি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন।
স্থানীয় হাসপাতালে তাকে জানানো হয় — “আপনার সীমা শেষ, ৫ লক্ষ টাকা আগেই ব্যবহার হয়ে গেছে।”
অথচ গত ৩ বছরে তিনি এই কার্ড ব্যবহারই করেননি।
RTI করলে দেখা যায়, ভুয়ো ক্লেইমের মাধ্যমে তার কার্ড দিয়ে অন্য কেউ পরিষেবা নিয়েছে।
অভিযোগের পরেও কোনও তদন্ত হয়নি, কেবল একটি টোকেন নম্বর দেওয়া হয়।
📌 এই ঘটনা প্রমাণ করে, “কার্ডে নাম থাকলেই সুরক্ষা নেই, আর প্রকল্পে নাম থাকলেই দায়বদ্ধতা আসে না।”
তথ্য যেখানে নীরব, দুর্নীতি সেখানে সর্বগ্রাসী
স্বাস্থ্য খাতে জবাবদিহিতা নেই — এই কথাটি আজ আর অনুমান নয়, এটি বাংলার স্বাস্থ্য বাস্তবতার ছায়াচিত্র।
স্বাস্থ্য সাথী দুর্নীতি যত না অর্থনৈতিক, তার চেয়ে অনেক বেশি নৈতিক বিপর্যয়।
এখন প্রয়োজন প্রকল্পে স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষ নিরীক্ষা এবং স্বাস্থ্য সাথী অনিয়ম তদন্তের দাবি-কে সাংবিধানিক গুরুত্ব দেওয়া।
📣 কারণ স্বাস্থ্যের নামে দুর্নীতি হলে, মৃত্যু শুধু এক ব্যক্তির নয় — সেটি গোটা নীতির।
স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প নিয়ে মানুষের অভিযোগ: কীভাবে সমাধান সম্ভব?
যে প্রকল্পকে বলা হয় ‘জনগণের স্বাস্থ্যসাথী’, বাস্তবে তা যেন হয়ে উঠেছে দুর্বোধ্য এবং বৈষম্যমূলক চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতীক। মানুষের অভিজ্ঞতা, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের অকার্যকারিতা এবং প্রশাসনিক উদাসীনতা মিলে এই প্রকল্পকে একরকম মুনাফাভিত্তিক প্রতারণার কাঠামোয় রূপান্তরিত করেছে।
স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প নিয়ে মানুষের অভিযোগ: কোন কোনটি সবচেয়ে উদ্বেগজনক?
তালিকাভুক্ত হাসপাতালের তালিকা ‘জটিল ও বিভ্রান্তিকর’
বহু মানুষই জানতে পারেন না কোন হাসপাতাল সত্যিকারের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। সরকারি পোর্টালে থাকা তালিকা অনেক সময় পুরনো, অসংলগ্ন কিংবা অকার্যকর।
কোনো কোনো হাসপাতালে পৌঁছে জানা যায়, “আমরা আগে ছিলাম, এখন নেই” — অথচ ওয়েবসাইটে নাম এখনও আছে।
📌 “ডিজিটাল ভার্সন ঠিক না থাকলে ডিজিটাল ইন্ডিয়াও শুধু শ্লোগান হয়ে দাঁড়ায়।”
রোগীকে হাসপাতালে ঘোরানো হয়, অথচ পরিষেবা মেলে না
স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের ব্যবহারযোগ্যতা নিয়ে প্রায় ৬০% অভিযোগ চিকিৎসা না পাওয়া।
হাসপাতালগুলির অন্যতম অজুহাত: “এই রোগটার জন্য স্বাস্থ্যসাথী প্রযোজ্য নয়।”
এমনকি, কোনও কোনও হাসপাতাল রোগীকে জেনারেল ওয়ার্ডে ভর্তি করিয়ে পরে বলেছে—“আপনার রোগের কোড প্যাকেজে নেই।”
স্বাস্থ্য সাথী অনিয়মে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি: ঠিক কীভাবে?
প্যাকেজ বিভ্রাট: চিকিৎসা আছে, কোড নেই
স্বাস্থ্য সাথী দুর্নীতি-র অন্যতম মোড়ল — “প্যাকেজ কোড”-এর গেম।
সরকার নির্ধারিত রোগের প্যাকেজ অনুযায়ী হাসপাতালগুলি টাকা পায়, কিন্তু সেখানে দুর্নীতি হয় কোড নিয়ে।
একই রোগের জন্য এক হাসপাতালে কোড থাকলেও, অন্য হাসপাতালে সেটা “অনুপস্থিত” দেখিয়ে রোগীকে ক্যাশ পেমেন্টে বাধ্য করা হয়।
টাকার লেনদেনের অভিযোগ
সরকার ঘোষণা করলেও, বাস্তবে অনেক হাসপাতাল ‘অফ দ্য রেকর্ড’ টাকা দাবি করে, নাহলে পরিষেবা স্থগিত থাকে।
পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা চয়ন দত্ত অভিযোগ করেছিলেন—মায়ের বাইপাস সার্জারির জন্য স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকার পরেও হাসপাতাল ৬০ হাজার টাকা দাবি করে।
টাকা না দিলে অপারেশন পিছিয়ে যায় — ‘নো রিস্ক টুডে’, এই অজুহাতে।
📌 “স্বাস্থ্য সুরক্ষা যদি ‘পেমেন্ট কনফার্মেশন’ দেখে কাজ করে, তবে সেটা সুরক্ষা নয়, সেটা বাণিজ্য।”
অভিযোগ ব্যবস্থা—নির্বাক ও নিষ্ক্রিয়
হেল্পলাইন কেবল একটি ‘ডিজিটাল ঢাকনা’
মানুষ অভিযোগ করেন, কিন্তু হেল্পলাইনে ফোন করে শুধুই নম্বর পাওয়া যায়, ফল নয়।
একটি RTI জবাব অনুযায়ী, গত এক বছরে প্রায় ১৭ হাজার অভিযোগ জমা পড়লেও নিষ্পত্তি হয়েছে মাত্র ১২%।
অভিযোগ করলেই হয়রানি
অনেকে অভিযোগ জানানোর পরে উল্টে তাদের ফাইল হারিয়ে যায় বা বিলম্বিত হয় চিকিৎসা।
যেমন উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা মিতা চক্রবর্তী অভিযোগ করেছিলেন: “আমি অভিযোগ করেছিলাম, এরপর আমার বাবার কাগজ ফেরত পেতে ১২ দিন লেগেছে।”
📌 “অভিযোগ জানালে যদি অসুবিধা আরও বাড়ে, তবে সেটা গণতান্ত্রিক কাঠামো নয়, বরং একটি শোষণমূলক পদ্ধতির প্রতিচ্ছবি।”
কীভাবে সমাধান সম্ভব? কেবল নামমাত্র সংস্কার নয়
স্বতন্ত্র নিরীক্ষা সংস্থা
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সব হাসপাতাল ও খরচের নিরীক্ষা স্বতন্ত্রভাবে করানো আবশ্যক, যা CAG-এর অন্তর্ভুক্ত নয়।
এমনকি মাসিক ভিত্তিতে অনলাইন রেটিং সিস্টেম চালু করা যেতে পারে, যাতে রোগীরাই হাসপাতালের আচরণ ও সেবার মান স্কোর করে দিতে পারেন।
ডিজিটাল ‘ট্র্যাকিং সিস্টেম’
স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের ব্যবহার ইতিহাস রোগী ও সরকারি পর্যায়ে উন্মুক্ত রাখা দরকার—যাতে কেউ ভুয়ো ক্লেইম না করতে পারে।
প্যাকেজ কোড, তার অবস্থা ও টাকা প্রদান সমস্ত তথ্য SMS বা অ্যাপের মাধ্যমে রোগীকে জানানো উচিত।
অভিযোগ নিষ্পত্তি সংস্থা — সরকারি নয়, বেসরকারি উদ্যোগে
যেহেতু সরকারি পর্যায়ে অভিযোগ নিষ্পত্তি প্রায় অকার্যকর, তাই একটি ত্রিপাক্ষিক কমিশন (স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, আইনজীবী ও সমাজকর্মী) গঠন করা জরুরি।
📌 “সরকারি বৃত্তের ভেতরে সমাধান খুঁজলে সমস্যা আরও জটিল হয়। দরকার বাইরে থেকে চাপ এবং নিরপেক্ষতা।”
অনুপ্রবেশের বিপদ: প্রকৃত সুবিধাভোগীরা বাদ পড়ে
স্বাস্থ্য সাথী কার্ড অনেক সময় পলিটিক্যাল লিঙ্ক বা ঘুষ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ আছে।
যাঁরা প্রকৃত দরিদ্র, তাঁরা কাগজপত্র জোগাড় করতে না পারায় বঞ্চিত হন।
একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে—প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত ২৫% নামই যাচাইযোগ্য নয়।
📌 “যেখানে দরকার প্রমাণ করতে হয় দরিদ্রতা, সেখানে দুর্নীতির রাস্তায় স্বাস্থ্য হয়ে পড়ে গুমনামী।”
সংস্কার না হলে, স্বাস্থ্য সাথী হবে ইতিহাস
স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প নিয়ে মানুষের অভিযোগ আজ শুধু কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়—এটি একটা সুসংবদ্ধ চিত্র, যা নির্দেশ করে প্রকল্পের কাঠামোগত দুর্বলতা ও রাজনৈতিক ‘দখলদারি’।
যদি সত্যিই সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসাথী অনিয়মে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমাতে হয়, তবে দরকার কঠোর জবাবদিহি, ডিজিটাল স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষ সংস্থা দ্বারা তদারকি।
📣 “স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পকে যদি বাঁচাতে হয়, তবে শুধুই প্রচার নয়—প্রয়োজন ন্যায়, তথ্য এবং জনতার সরাসরি অংশগ্রহণ।”
স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের ভবিষ্যৎ কী? — চ্যালেঞ্জ এবং সমাধান
স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প, যা পশ্চিমবঙ্গের জনগণের জন্য এক সময় স্বপ্ন হয়ে উঠেছিল, বর্তমানে নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে সেই রূপের বাস্তবায়ন থেকে অনেক দূরে। স্বাস্থ্য সাথী দুর্নীতি এবং স্বাস্থ্য সাথী অনিয়ম গুলি প্রকল্পের ভবিষ্যতকে এক ধরনের ধোঁয়াশায় পরিণত করেছে। যদি এই প্রকল্পের সত্যিকারের উপকারিতা মানুষের কাছে পৌঁছানোর সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তবে এর ভবিষ্যৎ চরম সংকটে পড়বে।
স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের ভবিষ্যতের সম্ভাবনা: কীভাবে সংশোধন সম্ভব?
স্বচ্ছতা এবং তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার
স্বাস্থ্য সাথী দুর্নীতি ঠেকাতে ডিজিটাল ব্যবস্থা, যেমন ব্লক চেইন প্রযুক্তি বা স্বচ্ছ অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম চালু করা আবশ্যক।
প্রত্যেক রোগীকে তাদের স্বাস্থ্য সাথী অনিয়ম তদন্তের দাবি করা এবং সমস্ত তথ্য খোলামেলা এবং যাচাইযোগ্য রাখতে হবে, যাতে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রশাসনের ভূমিকা শক্তিশালী হয়।
অভিযোগ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা
প্রতিটি স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ব্যবহারকারীর জন্য একটি নিরপেক্ষ সেলফ-চেকিং সিস্টেম তৈরি করা উচিত, যেখানে জনগণ তাদের সেবা সংক্রান্ত প্রতিটি সমস্যা সমাধান করতে পারবেন।
যে সকল হাসপাতাল বা চিকিৎসক স্বাস্থ্য সাথী সুবিধা অস্বীকার করবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে কারা জবাবদিহি করছে না এবং তাদের জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত জরুরি।
📌 “স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের ভবিষ্যৎ জবাবদিহির মধ্যে, মানুষ যদি নিরাপত্তা অনুভব করতে না পারে, তবে তার অর্থ প্রকল্পটি পুরোপুরি ব্যর্থ।”
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা: অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সুবিধা
উন্নত স্বাস্থ্যব্যবস্থার পথে
যদি স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রশাসনের ভূমিকা শক্তিশালী করা যায় এবং প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হয়, তবে এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে দুর্নীতি রোধ করা সম্ভব।
আগামী ৫ বছরে, প্রকল্পটি যদি কার্যকরী হয়, তাহলে তা পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য খাতে জবাবদিহিতা এবং স্বাস্থ্য সাথী সুবিধা না পাওয়া সঙ্কটের সমাধান হতে পারে।
বিনিয়োগ এবং সঠিক স্বাস্থ্যসেবা
এটি ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যর্থতা দূর করে পশ্চিমবঙ্গে স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি করবে।
স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে দুর্নীতি রোধ এবং সঠিক ব্যবস্থাপনা চালু হলে, এটি প্রতিটি সাধারণ মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানোর একটি শক্তিশালী পথ হতে পারে।
যদি স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে কিছু ইতিবাচক ভাবনা নিয়ে আলোচনা করতে হয়, তবে তার একমাত্র উপায় হলো প্রতিটি স্তরের জন্য স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং প্রমাণের ভিত্তিতে কাজ করা। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে স্বাস্থ্য সাথী অনিয়ম এবং স্বাস্থ্য সাথী দুর্নীতি অব্যাহত থাকলে, এটি কেবল দুর্নীতি আর প্রশাসনিক ব্যর্থতা-এর প্রতীক হয়ে দাঁড়াবে। আর এর ভবিষ্যৎ, হুমকির মুখে পড়বে।
📣 “স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প যদি সত্যিকার অর্থে জনগণের উপকারে আসে, তবে এর কাঠামো ও বাস্তবায়নকে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার হাত থেকে মুক্ত করতে হবে।”
আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ! ❤️আমরা সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের জন্য তথ্যসমৃদ্ধ, আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করতে, যাতে আপনি নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পারেন। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আমাদের সঙ্গে আপনার মতামত শেয়ার করতে চান, তাহলে “যোগাযোগ করুন” ফর্ম ব্যবহার করে সরাসরি আমাদের সাথে কথা বলুন। আমরা আগ্রহের সঙ্গে আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত এবং আপনার প্রতিক্রিয়াকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করি। এছাড়াও, ভবিষ্যতের আপডেট, নতুন নিবন্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস না করতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন—একসঙ্গে জানবো, শিখবো, আর নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্ব দেখবো