আইটিআর ফাইলিংয়ের সময়সীমা ২০২৫: সময়কে চিনুন, আইনকে সম্মান করুন
আইটিআর ফাইলিং একটি সংবেদনশীল নাগরিক কর্তব্য, এবং আইটিআর ফাইলিংয়ের সময়সীমা ২০২৫ অনুসরণ না করলে জড়িয়ে পড়তে পারেন জরিমানা, সুদ ও আইনি প্রতিবন্ধকতায়। এবার দেখে নেওয়া যাক—কার কখন ফাইলিং করতে হবে, এবং কোন কোন ফাঁদে না পড়লেই মঙ্গল।
👥 সাধারণ করদাতা: সময় ৩১ জুলাই ২০২৫
কে পড়েন এই দলে?
যাঁদের বার্ষিক আয় নিরীক্ষার আওতাভুক্ত নয়—অর্থাৎ যাঁদের টার্নওভার ₹১ কোটি (ব্যবসার ক্ষেত্রে) বা ₹৫০ লক্ষ (পেশাগত ক্ষেত্রে) এর কম, তাঁদের জন্য এই সময়সীমা প্রযোজ্য।কেন গুরুত্বপূর্ণ?
নির্ধারিত তারিখের মধ্যে আইটিআর ফাইলিং না করলে জরিমানা হতে পারে ₹৫,০০০ পর্যন্ত।
এছাড়া, সময়মতো আইটিআর ফাইলিং না করলে ব্যাঙ্ক লোন, ভিসা অ্যাপ্লিকেশন বা সরকারি অনুদানে সমস্যা হতে পারে।
🧾 নিরীক্ষাযোগ্য করদাতা: সময় ৩১ অক্টোবর ২০২৫
কে পড়েন এই তালিকায়?
যাঁদের আয় নিরীক্ষার আওতাভুক্ত—যেমন কোম্পানি, অংশীদারিত্ব সংস্থা (firm), বা যাঁদের টার্নওভার সীমার ওপরে।আইটিআর ফাইলিংয়ের এই সময়সীমা মেনে না চললে?
দায়িত্বজ্ঞানহীনতার ছাপ পড়ে আর্থিক রেকর্ডে
ভবিষ্যতে নোটিশ, স্ক্রুটিনি বা জরিমানা আসার সম্ভাবনা প্রবল
পেনাল ইন্টারেস্ট এবং ₹১০,০০০ পর্যন্ত ফাইন
🌐 আন্তর্জাতিক লেনদেন বা রিপোর্টিং সংস্থা: সময় ৩০ নভেম্বর ২০২৫
কারা এই বিভাগে পড়েন?
যাঁরা Section 92E অনুযায়ী আন্তর্জাতিক বা নির্দিষ্ট ঘরানার রিপোর্টিংয়ের সঙ্গে যুক্ত (Transfer Pricing)।বিশেষ কী আছে এখানে?
একটি অডিট রিপোর্ট দিতে হয় (Form 3CEB)
আইটিআর ফাইলিং ছাড়াও এই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে
রিপোর্টিং না করলে বা দেরিতে করলে ₹১ লক্ষ পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে
📌 গুরুত্বপূর্ণ তথ্য: সময়সীমা মিস করলে কি হয়?
শেষ তারিখ পেরিয়ে গেলে:
Belated Return ফাইল করতে হবে
সেটাও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে—৩১ ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে
এর পরও না ফাইল করলে, আইটিআর ফাইলিংয়ের সুযোগ হারাবেন এবং সেটি আইনি অপরাধ হতে পারে
সংশোধন চান?
Revised Return ফাইল করা যাবে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত
তবে প্রথমে সময়মতো আইটিআর ফাইলিং করতে হবে
🛑 ট্র্যাপ পয়েন্ট: যা অধিকাংশই জানেন না
জানেন কি?
একবার আইটিআর ফাইলিংয়ের সময়সীমা মিস করলেই পরবর্তী তিন বছরে সিস্টেম রেড ফ্ল্যাগ করে রাখে
ফিনান্সিয়াল প্রোফাইলে তার ছাপ পড়ে
TDS রিফান্ড পেতেও দেরি হয়
ভবিষ্যতে Scrutiny-এর সম্ভাবনা বেড়ে যায়
🎯 সময়ের আগে সচেতন হন
আইটিআর ফাইলিং একটি আর্থিক অভিজ্ঞান, এবং আইটিআর ফাইলিংয়ের সময়সীমা ২০২৫ শুধু তারিখ নয়—এটি আপনার দায়িত্ব ও সম্মানের সীমানা। নাগরিক হিসেবে এ দায়িত্ব পালনে দেরি করা মানেই নিজেকে আইনি ঝুঁকিতে ঠেলে দেওয়া। কাজেই এখনই প্রস্তুত হন, ফাইল করুন, আর মাথা উঁচু রাখুন—কারণ আপনি একজন সচেতন ভারতীয় করদাতা।
আইটিআর ফাইলিংয়ের সময়সীমা মিস করলে কী কী জরিমানা হতে পারে? জানলে চমকে যাবেন!
সঠিক সময়ে আইটিআর ফাইলিং না করলেই কেবল অর্থনৈতিক নয়, আইনি ঝুঁকিও বেড়ে যায় বহুগুণে। আইটিআর ফাইলিংয়ের সময়সীমা ২০২৫ মিস করলেই আপনাকে গুনতে হতে পারে হাজার হাজার টাকার জরিমানা—এবং তা একেবারে ফিক্সড রেট নয়, আপনার আয়ের পরিমাণ ও দেরির সময়সীমার উপর নির্ভরশীল। এবার আসুন দেখে নেওয়া যাক, আপনি যদি ফাইলিংয়ে দেরি করেন, তবে ঠিক কী হতে পারে:
₹৫,০০০ জরিমানা: প্রথম ধাক্কা
🗓️ কখন প্রযোজ্য?
যদি আইটিআর ফাইলিংয়ের সময়সীমা অর্থাৎ ৩১ জুলাই ২০২৫ মিস করে, কিন্তু ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে রিটার্ন ফাইল করেন।
📌 ফলাফল:
এটা Belated Return হিসেবেই গৃহীত হবে।
দায়িত্বে ঢিলেমি প্রমাণ করবে, যার ফলে ভবিষ্যতে স্ক্রুটিনির সম্ভাবনা বাড়ে।
ব্যাঙ্ক লোন ও বিদেশযাত্রার মতো আর্থিক প্রয়োজনে নথি জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে অপ্রত্যাশিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
₹১০,০০০ জরিমানা: দ্বিতীয় ধাক্কা, সবচেয়ে কড়া
🗓️ কখন প্রযোজ্য?
যদি আপনি ১ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে ৩১ মার্চ ২০২৬-এর মধ্যে আইটিআর ফাইলিং করেন।
📌 বাস্তব বিপদ:
এই সময়ে ফাইলিং মানে একরকম ‘শেষ মুহূর্তের আতঙ্ক’ যা সরকারের চোখে অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন।
করদাতার PAN নম্বরের সঙ্গে ভবিষ্যতে রেড ফ্ল্যাগ লাগানো হতে পারে।
কোনো কর রিফান্ড থাকলেও তা আটকানো বা বিলম্বিত হতে পারে।
₹১,০০০ জরিমানা: সীমিত আয়ের জন্য ছাড়, তবুও জরিমানা
📉 কারা এই ছাড় পাবেন?
যাঁদের মোট বার্ষিক আয় ₹৫,০০,০০০-এর কম।
💡 তবে সতর্ক থাকুন:
এটা একপ্রকার নমনীয়তা হলেও, এটা ভুলে যাবেন না যে সময়মতো আইটিআর ফাইলিং করলে এই জরিমানাটুকুও লাগবে না।
সরকার এই ছাড় দিয়ে দায়িত্ব এড়ানোর সুযোগ দিচ্ছে না, বরং ন্যূনতম চাপ রেখে সচেতনতা গড়ে তুলছে।
🔍 অতিরিক্ত তথ্য: যা অধিকাংশই জানেন না
ধরা পড়ার সম্ভাবনা: দেরিতে ফাইলিং করলেই আপনার রিটার্ন উচ্চ ঝুঁকির তালিকায় চলে যেতে পারে।
ইনস্ট্যান্ট রেড ফ্ল্যাগিং: কর দফতরের সফটওয়্যার এখন AI নির্ভর, যেখানে দেরি মানেই রেড অ্যালার্ট।
সুদও প্রযোজ্য: জরিমানা ছাড়াও, অব্যাহৃত কর বা TDS-এর উপর সুদ বসতে পারে Section 234A অনুযায়ী।
Reputation Risk: ভবিষ্যতে ফিনান্স কোম্পানির কাছে আপনার ITR হয়ে দাঁড়াতে পারে স্কোরের ভিত্তি—যেখানে সময়মতো ফাইলিংই হবে পাসপোর্ট।
🎯 সময়কে খেলো ভাববেন না
আইটিআর ফাইলিংয়ের সময়সীমা ২০২৫ হল একটি সীমারেখা, যা পেরোলে অর্থ শুধু ক্ষয়ে যায় না—নাগরিক ভাবমূর্তিও প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ে। ₹৫,০০০ বা ₹১০,০০০ এর জরিমানা শুধু সংখ্যাই নয়, বরং সচেতনতার মাপকাঠি। সময়ের আগে আইটিআর ফাইলিং করে আপনার আর্থিক পরিচিতিকে সুরক্ষিত রাখুন—কারণ আপনি দেরি করলেও, সরকার কিন্তু দেরি করে না!
আইটিআর-ইউ (ITR-U): ভুল শুধরানোর শেষ সুযোগ, কিন্তু শর্তসাপেক্ষ!
অনেকেই আছেন, যারা হয় তো সময়মতো আইটিআর ফাইলিং করেননি, আবার কেউ কেউ করেছেন বটে, কিন্তু তথ্য দিয়েছেন ভুল। এবার তাদের জন্য আছে একটি “অসাধারণ কিন্তু কঠিন” রাস্তা—আইটিআর-ইউ। এটি একটি ‘শেষ সুযোগ’—কিন্তু খেলা এত সহজ নয়! আসুন দেখি, কীভাবে এই আপডেটেড রিটার্ন কাজ করে এবং কোথায় কোথায় ফাঁদ লুকিয়ে থাকে।
আইটিআর-ইউ: কারা এই ফর্ম ফাইল করতে পারবেন?
✅ যোগ্য করদাতারা:
যারা পূর্বে একেবারেই আইটিআর ফাইলিং করেননি।
যাঁরা ফাইল করেছিলেন, কিন্তু আয়, কাটছাঁট, বা অন্য কোন তথ্য ভুল বা অসম্পূর্ণ ছিল।
❌ অনুপযুক্ত ব্যক্তিরা:
যদি আয় সম্পূর্ণ করমুক্ত হয় এবং অতিরিক্ত কর প্রযোজ্য না হয়, তবে এই ফর্ম ব্যবহার করা যাবে না।
করদাতা যদি ফ্রড করে থাকেন বা সরকারি তদন্তের আওতায় থাকেন, তাহলেও এই সুবিধা প্রযোজ্য নয়।
সময়সীমা: দেরি করলেও শেষ নয়, কিন্তু সীমিত সময়
📆 আপডেট করার সময়সীমা:
প্রাসঙ্গিক অর্থবছরের শেষ হওয়ার পর দুই বছর পর্যন্ত আপডেটেড রিটার্ন ফাইল করা যায়।
📌 উদাহরণ:
যদি ২০২২-২৩ সালের জন্য আপনার আইটিআর ফাইলিংয়ের সময়সীমা মিস হয়ে যায়, তবে আপনি ৩১ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত আইটিআর-ইউ ব্যবহার করতে পারেন।
🔴 মনে রাখবেন:
সময় যত গড়াবে, অতিরিক্ত করের হার ও জরিমানার হার তত বাড়বে।
ফাইন এবং অতিরিক্ত কর: ছাড় নয়, বরং দ্বিগুণ ভার
💸 জরিমানার কাঠামো:
প্রথম বছরে আপডেট করলে অতিরিক্ত ২৫% কর ও সুদ দিতে হবে।
দ্বিতীয় বছরে আপডেট করলে এই হার বেড়ে হয় ৫০%।
⚠️ সুদ ও Surcharge:
Income Tax Act-এর Section 234A, 234B, ও 234C অনুযায়ী সুদ বসবে।
সুদের হার হতে পারে বার্ষিক ১% করে প্রতি মাসে, যা সর্বসাধারণের অজানা।
আইটিআর-ইউ ফাইলিং পদ্ধতি: অনলাইনেই হোক পরিষ্কার
🌐 কীভাবে ফাইল করবেন?
www.incometax.gov.in পোর্টালে লগইন করুন।
‘File Income Tax Return’ বিভাগে গিয়ে ITR-U নির্বাচন করুন।
সংশোধিত তথ্য পূরণ করে ফর্ম সাবমিট করুন।
🔍 কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি:
পূর্ববর্তী রিটার্ন কপি (যদি থাকে),
সংশোধিত ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট বা পে স্লিপ,
টিডিএস সার্টিফিকেট।
আইনি দৃষ্টিভঙ্গি: হালকা ভুল নয়, রেকর্ডে চিরস্থায়ী দাগ
🧾 তথ্য সংরক্ষণ:
আপডেটেড রিটার্ন জমা দেওয়া হলেও তা ভবিষ্যতে সরকারের রেকর্ডে থাকবে।
বারবার ITR-U জমা দিলে করদাতার প্রোফাইল “ঝুঁকিপূর্ণ” হিসাবে চিহ্নিত হতে পারে।
🔍 রিভিউ সম্ভাবনা:
আপনি আপডেটেড রিটার্ন ফাইল করলেও তা Scrutiny-র আওতায় আসতেই পারে।
ITR-U একদিকে সুযোগ, অন্যদিকে সতর্কবার্তা
আইটিআর ফাইলিংয়ের সময়সীমা ২০২৫ মিস করলেও সব হারান যায় না। কিন্তু আইটিআর-ইউ ফাইল করা মানে অতিরিক্ত খরচ, বাড়তি জটিলতা এবং সরকারের নজরে পড়ার প্রবণতা। যারা নিজেদের অর্থনৈতিক দায়িত্বে সচেতন, তাঁদের উচিত সময়মতো আইটিআর ফাইলিং করা। আর যারা পিছিয়ে পড়েছেন, তাঁদের জন্য আইটিআর-ইউ যেন এক নীরব সাবধানবাণী—সময় গেলে সাধন হবে না!
আইটিআর ফাইলিং: গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট
নতুন কর কাঠামো: মধ্যবিত্তের পক্ষে বাজেটের বড় বার্তা
▪️ আয় ₹১২.৭৫ লক্ষ পর্যন্ত করমুক্ত:
২০২৫ অর্থবছরে নতুন কর কাঠামো অনুযায়ী, যাঁদের বার্ষিক আয় ₹১২.৭৫ লক্ষ-এর মধ্যে, তাঁদের আইটিআর ফাইলিং করলেও কর দিতে হবে না। তবে এটি সম্ভব হচ্ছে ছাড় এবং ডিডাকশনের সুযুক্তির মাধ্যমে।
🧾 কার্যকরী পয়েন্ট:
₹৫০,০০০-এর স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন + ₹২৫,০০০-এর ৮০সি (LIC/PF ইত্যাদি) ধরলে মোট ছাড় দাঁড়ায় ₹৭৫,০০০।
এতে আয় ₹১২.৭৫ লক্ষ হলে মোট ট্যাক্স লায়াবিলিটি দাঁড়ায় শূন্যে, যদি সব কিছু ঠিকঠাক আইটিআর ফাইলিংয়ের সময়সীমা ২০২৫-এর মধ্যে করা হয়।
📌 দুর্লভ তথ্য:
নতুন কাঠামোতে কর ছাড়ের সীমা বৃদ্ধি করে একধাপে অনেক করদাতার ওপর বোঝা কমানো হয়েছে, যা পুরনো কাঠামোর তুলনায় তুলনামূলকভাবে সহজ এবং সরল।
স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন: নগদ বাঁচানোর ছলচাতুরি নয়, সরকারের পুরস্কার
▪️ কাকে মেলে?
সর্বসাধারণের জন্য এই ₹৫০,০০০ স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন, এবং পেনশনভোগীদের জন্য ₹৭৫,০০০ পর্যন্ত ছাড় প্রযোজ্য।
🔍 কৌশলগত বোধ:
যদি আপনি শুধুমাত্র চাকুরিজীবী হন, তাহলে এই স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন আপনার জন্য সর্বোচ্চ বেনিফিট আনবে।
যারা পেনশন পাচ্ছেন এবং বয়স ৬০ বছরের বেশি, তাঁরা অতিরিক্ত কিছু মেডিক্যাল এক্সপেন্সেও ছাড় পান, যেটা আইটিআর ফাইলিং-এ সঠিকভাবে উল্লেখ করলেই মেলে।
📌 চতুর উপদেশ:
বহু করদাতা এই ডিডাকশনটি অজান্তে বাদ দিয়ে দেন, যার ফলে অতিরিক্ত কর দিতে হয়। তাই সময়মতো এবং সঠিকভাবে আইটিআর ফাইলিং করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নতুন কর স্ল্যাব: আয় বাড়লে করও বাড়বে—তবে রৈখিকভাবে
▪️ স্ল্যাব বিশ্লেষণ (নতুন কাঠামো):
আয়ের পরিমাণ | কর হার |
---|---|
₹০ – ₹৩ লক্ষ | শূন্য |
₹৩ – ₹৬ লক্ষ | ৫% |
₹৬ – ₹৯ লক্ষ | ১০% |
₹৯ – ₹১২ লক্ষ | ১৫% |
₹১২ – ₹১৫ লক্ষ | ২০% |
₹১৫ লক্ষের বেশি | ৩০% |
🧾 স্মার্ট প্ল্যানিং টিপস:
যদি আপনার আয় ₹৯.৫ লক্ষ হয়, আপনি ছাড় (ডিডাকশন) ব্যবহার করে নিজেকে ₹৯ লক্ষের নিচে আনতে পারেন, যাতে কর হার হয় মাত্র ১০%।
কিন্তু সেটা সফল করতে হলে আপনাকে আইটিআর ফাইলিংয়ের সময়সীমা ২০২৫-এর আগেই সমস্ত কাগজপত্র ঠিকভাবে জমা দিতে হবে।
📌 অজানা তথ্য:
নতুন স্ল্যাবে Surcharge ও Cess-ও কমানো হয়েছে কিছু ক্যাটাগরিতে, যা পূর্বে খুব কম করদাতা জানতেন। সঠিক আইটিআর ফাইলিং-এ এই সুবিধাগুলি পাওয়া যায়।
ছোট ছাড় বড় সুবিধা এনে দেয়, যদি জানেন সঠিক নিয়ম
২০২৫ সালে আইটিআর ফাইলিং করতে গেলে শুধু তারিখ মনে রাখলেই হবে না, বরং কর কাঠামোর প্রতিটি সূক্ষ্ম বিন্দুতে নজর রাখা চাই। আইটিআর ফাইলিংয়ের সময়সীমা ২০২৫ মেনে চলা মানে কেবল পেনাল্টি এড়ানো নয়, বরং ছাড়ের পুরোপুরি সদ্ব্যবহার। ভুল তথ্য দিলে আইনি জটিলতা, আর সঠিক তথ্য দিলে কর ছাড়—পছন্দ আপনার। তবে একটাই কথা: চালাক করদাতা হন, সময়মতো ফাইল করুন!
আইটিআর ফাইলিংয়ের গুরুত্ব: আপনি না করলে ক্ষতি আপনারই!
আর্থিক স্বচ্ছতা: কাগজে-কলমে প্রমাণ, আপনি আয় করেন
▪️ নিজের আয়ের বৈধতা প্রমাণ:
আইটিআর ফাইলিং মানে আপনার আয়ের বিস্তারিত রেকর্ড সরকারের হাতে তুলে দেওয়া। এটি আপনার আর্থিক পরিচয় গঠন করে, যেটি শুধুমাত্র মাইনে নয়, ব্যবসা, সম্পত্তি ভাড়া, শেয়ার বা ফ্রিল্যান্স থেকেও হতে পারে।
▪️ স্বচ্ছতা মানেই বিশ্বাসযোগ্যতা:
ক্রেডিট কার্ডের উচ্চ লিমিট চাই? প্রথমেই চাওয়া হবে আপনার আইটিআর ফাইলিং কপি।
গাড়ি বা বাড়ি কেনার সময় আপনার ফিনান্স অ্যাপ্রুভাল পাবে একমাত্র আইটিআর ফাইলিংয়ের সময়সীমা ২০২৫-এর মধ্যে জমা দেওয়া ফাইলের উপর নির্ভর করে।
📌 চালাকির জায়গা:
অনেকেই ভাবেন, আয় করযোগ্য না হলে আইটিআর ফাইলিং দরকার নেই। কিন্তু ভবিষ্যতের ব্যাংক রেকর্ড বা ফিনান্সিয়াল ব্যাকআপে এই ‘শূন্য আয়’-এর রিটার্নও হতে পারে মহার্ঘ ডকুমেন্ট।
ঋণ গ্রহণে সুবিধা: আইটিআর জমা দিন, আর্থিক সম্মান পান
▪️ ব্যাংক ঋণের ‘ট্রাম্প কার্ড’:
ব্যাংক বা NBFC প্রতিষ্ঠানগুলি আগে যেটা দেখে, তা হলো পাঁচ বছরের আইটিআর ফাইলিং রেকর্ড। আপনি নিয়মিত আইটিআর ফাইলিং করলে আপনি নিজেই নিজের স্পোকেন প্রোফাইল।
▪️ ব্যবসায়িক ঋণের ক্ষেত্রেও গেমচেঞ্জার:
Start-up চালান? Angel investor-র কাছে আপনার প্রথম বিশ্বাসযোগ্যতা হয় আইটিআর।
দোকান বাড়াতে চান? Mudra loan-এ প্রথম প্রয়োজন আইটিআর ফাইলিংয়ের সময়সীমা ২০২৫-এর আগে ফাইল করা রিটার্ন কপি।
📌 অজানা তথ্য:
Microfinance loan-এর ক্ষেত্রে অনেক সংস্থা বর্তমানে Aadhaar-এর সঙ্গে আইটিআর ফাইলিং লিঙ্ক থাকা না থাকলে আবেদনই বাতিল করছে। আর্থিক ‘সিভি’ হিসেবে আইটিআর আজ সবচেয়ে প্রভাবশালী ডকুমেন্ট।
আইনি সুরক্ষা: জরিমানা, জটিলতা, তদন্ত – সব এড়াতে চাইলে আইটিআরই ঢাল
▪️ সরকারী নজরদারি এড়াতে নিয়মিত ফাইলিং:
আইটিআর ফাইলিং না করলে Income Tax Department আপনার ওপর নজর রাখতে পারে। ব্যাঙ্ক ট্রানজাকশন, ক্রেডিট কার্ড এক্সপেন্স অথবা জমি কেনাবেচার তথ্য সবই সরকারের কাছে যায়।
▪️ পুরনো বছরেও হতে পারে বিপদ:
আপনি হয়তো তিন বছর আগে একটি বড় ট্রানজাকশন করেছিলেন—কিন্তু আইটিআর দেননি। এখন তা খুঁজে পেয়ে নোটিশ পাঠানো হতে পারে।
তখন ‘আমি জানতাম না’ বলে রক্ষা নেই।
🧾 জরিমানার তালিকা:
ফাইলিংয়ের দেরি | জরিমানার পরিমাণ |
---|---|
৩১ জুলাইয়ের পরে | ₹৫,০০০ |
ডিসেম্বরের পরে | ₹১০,০০০ |
একেবারেই না দিলে | অনুসন্ধান + মামলা |
📌 চতুর বুদ্ধি:
ট্রেড লাইসেন্স রিনিউ বা সরকারি টেন্ডারে অংশগ্রহণেও এখন অনেক সময় আইটিআর ফাইলিং আবশ্যক হয়ে উঠছে। যারা এগুলোর খবর রাখেন না, তারা ভবিষ্যতের দরজা নিজেরাই বন্ধ করছেন।
সময়মতো আইটিআর মানে আর্থিক আত্মনির্ভরতা
আজকের দিনে আইটিআর ফাইলিং শুধুমাত্র কর দেওয়ার মাধ্যম নয়, বরং এটা আপনার ভবিষ্যতের বিনিয়োগ, সম্মান এবং সুরক্ষার হাতিয়ার। যারা আইটিআর ফাইলিংয়ের সময়সীমা ২০২৫ মেনে নিয়মিত রিটার্ন জমা দেন, তাঁরা আর্থিক খেলায় অনেকটা এগিয়ে। একটাই প্রশ্ন—আপনি এখনও পিছিয়ে কেন?