ইসরো চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন বলেন, “ইসরো কেবল বিজ্ঞান চর্চা করে না, জাতীয় নিরাপত্তার অন্তরালেও সে নির্ভরযোগ্য প্রহরী।”
আজকের দিনে, যখন সীমান্ত উত্তেজনা ও সাইবার হুমকি বেড়েই চলেছে, তখন ইসরো চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন স্পষ্ট করলেন—ভারতীয় উপগ্রহগুলি শুধু আবহাওয়া দেখে না, শত্রুর গতিবিধিও নজরে রাখে।
৫৭টি সক্রিয় উপগ্রহের কৌশলী কার্যকলাপ
বর্তমানে ইসরো পরিচালিত ৫৭টি সক্রিয় উপগ্রহ ভারতের আকাশে কাজ করছে।
এর মধ্যে অনেকগুলি রিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইট, যেগুলি পাহাড়ি সীমান্তে সেনা চলাচল, চোরাচালান পথ ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় শনাক্তে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।
🔹 এই তথ্য দর্শকদের চমক দিয়ে বলে—ইসরো মানে শুধু বিজ্ঞান নয়, তা একেবারে স্ট্র্যাটেজিক শক্তি!
সেটেলাইট ইন্টেলিজেন্সে ভারতের ক্ষমতা বিস্তার
ইসরো চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন উল্লেখ করেন—ইসরো এখন শুধু রিসার্চ নয়, “National Asset”-এ রূপান্তরিত হয়েছে।
EMISAT, RISAT-2B, Cartosat সিরিজের উপগ্রহ এখন সেনা বাহিনীর চোখ ও কান।
🔸 এখানে ব্যবহার করা হয় গোপন প্রযুক্তি, যা বিশ্বদৃশ্যে ভারতের “সাইলেন্ট পাওয়ার” হিসেবে পরিচিত।
আধুনিক রাডার ও SIGINT প্রযুক্তি
ইসরোর উপগ্রহগুলোতে আজ যে Synthetic Aperture Radar (SAR) ও Signal Intelligence (SIGINT) প্রযুক্তি যুক্ত আছে, তা এককালে শুধু মার্কিন সেনার ছিল।
এখন ভারতও নিজস্ব প্রযুক্তিতে এই কাজ করছে—এই বার্তা স্পষ্টই দিলেন ইসরো চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন।
🔹 ভাষার মধ্যে কোনো অহংকার নেই, কিন্তু মাটির নিচে আগুন রয়েছে—এটাই এই বক্তব্যের কৌশল।
| সায়েন্স সিটির ‘উপযুক্ত’ মঞ্চ
সায়েন্স সিটি-র বিজ্ঞান মনস্ক পরিবেশ এবং রামমোহন মিশন স্কুল-এর আধুনিক-ঐতিহ্য মিশ্রণ, দুই মিলে এই বক্তব্যে এক রুদ্ধশ্বাস শ্রোতা তৈরি হয়।
রাজা রামমোহন রায়ের ২৫৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এমন এক বার্তা, যেখানে যুক্তি ও প্রযুক্তি যুগলবন্দি হল।
🔸 এই নিঃশব্দ বার্তা যেন সরাসরি পাঠ্যবইয়ের বাইরে জাতীয় চেতনার ক্লাস!
সাধারণ মানুষের চোখে ভি নারায়ণন এখন ‘সায়েন্স-সুপারস্পাই’
এই বক্তব্যে ইসরো চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন সাধারণ মানুষের কাছে এক রহস্যময় চরিত্র হয়ে ওঠেন, যিনি বিজ্ঞান জানেন, কিন্তু লুকিয়ে লুকিয়ে দেশের নিরাপত্তা পাহারা দেন।
ইসরো চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন কলকাতার সায়েন্স সিটি-তে দাঁড়িয়ে দিলেন এমন এক ঘোষণার ধাক্কা, যা শুধু বিজ্ঞানীদের নয়, ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ দর্শকরাও চুপসে গিয়েছিলেন বিস্ময়ে—”ভারতের মহাকাশে প্রথম পা পড়তে চলেছে মানুষ রূপে ‘রোবট’!”
গগনযান: ভারতীয় মহাকাশ যুগের ‘মানব অধ্যায়’
ইসরো চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন ঘোষণা করেন, ২০২৫ সালে উৎক্ষেপণ হতে চলেছে গগনযান, ভারতের প্রথম মানব মহাকাশ অভিযান।
এই মহাকাশযাত্রায় প্রথমে যাবে একটি অত্যাধুনিক হিউম্যানয়েড রোবট, নাম—ব্যোমমিত্রা।
🔹 ব্যোমমিত্রা শুধু যান্ত্রিক নয়, সে কথা বলে, প্রশ্ন নেয়, সংকেত বোঝে এবং বিপদের পূর্বাভাসও দিতে পারে।
🔹 এই রোবট বানানো হয়েছে ভারতের নিজস্ব ল্যাবরেটরিতে, যা ভারতীয় প্রযুক্তির আত্মবিশ্বাসের অন্যতম মাইলস্টোন।
গগনযানের পিছনে লুকিয়ে থাকা আন্তর্জাতিক বার্তা
মহাকাশে মানুষ পাঠানোর দৌড়ে এতদিন রাশিয়া, আমেরিকা, চিন এগিয়ে ছিল।
এবার ইসরো চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন কলকাতার রামমোহন মিশন স্কুল ও সায়েন্স সিটি-র শ্রোতাদের সামনে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করলেন—ভারতও খেলায় আছে, মাথা উঁচু করে।
🔹 এমন এক শহরে দাঁড়িয়ে এই ঘোষণা, যেখানে রাজা রামমোহন রায়ের ২৫৩তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন হচ্ছে—তাতেই যেন যুক্ত হলো যুক্তির নতুন ছাপ।
গগনযানের দ্বিতীয় ধাপ—ভারতের নিজস্ব স্পেস স্টেশন
ভি নারায়ণন জানান, শুধু গগনযানই নয়, ২০৩৫ সালের মধ্যে ভারত গড়ে তুলবে তার নিজস্ব Space Station।
এর জন্য ইতিমধ্যেই চলছে মডিউল ডিজাইনিং, লঞ্চ ভেহিকল উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক মডেল স্টাডি।
🔹 এই স্টেশনে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা স্পেস মেডিসিন, মাইক্রোগ্র্যাভিটি, রেডিয়েশন বায়োলজি ইত্যাদি গবেষণা করবেন।
🔹 এটি হলে ভারত হবে বিশ্বের মাত্র ৪র্থ দেশ, যার নিজস্ব স্টেশন থাকবে।
কেন এই ঘোষণা কলকাতা থেকে?
কলকাতা শুধু ‘কৃষ্ণনগরের মাটি’ নয়, এটি বিজ্ঞান, সংস্কৃতি আর যুক্তির মিলনভূমি।
ইসরো চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন যখন বলেন, “এই শহরের ঐতিহ্য থেকেই ভারতীয় বিজ্ঞান নতুন রসদ পায়,” তখন তিনি কেবল সৌজন্য দেখান না, বরং বাস্তব ইতিহাসের স্বীকৃতি দেন।
🔹 রামমোহন মিশন স্কুল-এর ছাত্রছাত্রীরা এই ঘোষণার পর মুহূর্তে চেঁচিয়ে ওঠে—“গগন ছুঁবো আমরাও!”
| ব্যোমমিত্রার মুখে বাংলাও?
হ্যাঁ, ভি নারায়ণন বলেন—“ভবিষ্যতে ব্যোমমিত্রাকে বাংলা ভাষা শেখানো হবে।”এমনকী তাকে বাংলা কবিতাও পড়ানো হবে যাতে আন্তর্জাতিক মহাকাশে বাংলা পৌঁছে যায় প্রথমবারের মতো।
এটি এক ঐতিহাসিক অভিপ্রায়, যেখানে প্রযুক্তি ও ভাষা একসাথে মহাকাশে উড়বে।
অজানা তথ্য: ভি নারায়ণনের পেছনের গল্প
ইসরো চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন হচ্ছেন সেই মানুষ, যিনি ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাকে সত্যিকারের স্বনির্ভরতার রাস্তায় তুলে এনেছেন।
ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনের পথিকৃৎ:
তিনি ভারতীয় স্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সবচেয়ে জটিল ও সেন্সিটিভ বিভাগ, ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন প্রযুক্তির জনক।
২০১৪ সালে GSLV-D5 সফলভাবে উৎক্ষেপণ হয় তাঁর ডিজাইন করা ইঞ্জিনেই, যা ভারতকে অন্য দেশের প্রযুক্তি নির্ভরতা থেকে মুক্ত করে।
গোপন পরীক্ষার গল্প:
তামিলনাড়ুর মাহেন্দ্রগিরির ISRO ল্যাবরেটরিতে তিনি মাসের পর মাস রাত্রির পর রাত্রি কাটান—এক কাপ চা আর পুরোনো ফ্লাস্কে গরম জল নিয়ে—সেই সময়, ভারত সরকার পর্যন্ত নিশ্চিত ছিল না, সফল হবে কিনা।
চন্দ্রযান ৩: কাঁটা ঘেষে চাঁদের রাজপথ
ইসরো চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন চন্দ্রযান-৩ মিশনের টেকনিক্যাল টিমের নেতৃত্ব দেন, যা কেবল সফল নয়, ছিল গর্বজনক।
২০২৩ সালের এই অভিযানে ভারত একমাত্র দেশ হয়, যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফট ল্যান্ড করে।সায়েন্স সিটি-র বক্তৃতায় তিনি বলেন, “এটা শুধু বৈজ্ঞানিক অর্জন নয়, এটা একপ্রকার কূটনৈতিক মাইলস্টোন।”চন্দ্রযানে ব্যবহার হয় “সেমি-ক্রায়োজেনিক ট্রাস্ট” টেকনোলজি, যা ভি নারায়ণন-এর তৈরি ডিজাইন ল্যাব থেকে আসে।এর ফলে খরচ কমে ৩০% এবং সাফল্যের হার বাড়ে দ্বিগুণ।
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে, ২৫ বছরের গবেষণা, সংকল্প ও শ্রদ্ধার ফলস্বরূপ ভি নারায়ণন হন ইসরো চেয়ারম্যান।তাঁর কাজ ছিল সবসময় পর্দার আড়ালে, কিন্তু ফল ছিল সামনে—কোনো চিৎকার নেই, শুধু কার্যকারিতা।PMO ও NITI Aayog-এর যৌথ সুপারিশে, তাঁকে করা হয় চেয়ারম্যান, কারণ তাঁর নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে “বিশ্বস্ততা”।
যখন তিনি বলেন, “আমার মতো একটি মধ্যবিত্তের ছেলে যখন সায়েন্স সিটি-তে দাঁড়িয়ে ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলছে, তখন জানবেন, পরিশ্রমের ফল মেলে,” তখন হাততালির ঝড় ওঠে।
একদিকে সমাজচিন্তার স্থপতি রাজা রামমোহন রায়ের ২৫৩তম জন্মবার্ষিকী, অন্যদিকে নিঃশব্দ বিপ্লবের কারিগর ইসরো চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন—এই দুই মণীষার উপস্থিতি যেন সময় ও মহাকাশের সীমা ভেঙে দেয়, আর সায়েন্স সিটি-র এই ঐতিহাসিক মঞ্চ হয়ে ওঠে এক চেতনাসম্পৃক্ত যুগপথ।
রাজা রামমোহন রায়ের ২৫৩তম জন্মবার্ষিকী কেবল একটি স্মরণ নয়, এটি চিন্তার পুনর্জন্ম।ইসরো চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন-এর বিজ্ঞানভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি সেই চিন্তারই আধুনিক রূপ—একটানা অগ্রগতির বুনোট।
📌 রামমোহনের সমাজের আকাশ ছিল মনের মুক্তি, নারায়ণনের আকাশ মহাকাশের জয়।
এই অনন্য মঞ্চে ইসরো চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন, সায়েন্স সিটি, রামমোহন মিশন স্কুল, এবং রাজা রামমোহন রায়ের ২৫৩তম জন্মবার্ষিকী—সবাই মিলে এক মহাজাগরণে পরিণত হয়, যেখানে শিক্ষার শিকড় আর মহাকাশের শিখর মিলে গড়ে তোলে ভারতের আগামী পথ।
একটা কথাই শুধু বলা চলে—রামমোহনের যুক্তি আর নারায়ণনের প্রযুক্তি—ভারতের ভবিষ্যৎ এখন জ্বলন্ত, ঝলমলে এবং যাত্রাপ্রস্তুত।
আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ! ❤️আমরা সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের জন্য তথ্যসমৃদ্ধ, আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করতে, যাতে আপনি নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পারেন। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আমাদের সঙ্গে আপনার মতামত শেয়ার করতে চান, তাহলে “যোগাযোগ করুন” ফর্ম ব্যবহার করে সরাসরি আমাদের সাথে কথা বলুন। আমরা আগ্রহের সঙ্গে আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত এবং আপনার প্রতিক্রিয়াকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করি। এছাড়াও, ভবিষ্যতের আপডেট, নতুন নিবন্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস না করতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন—একসঙ্গে জানবো, শিখবো, আর নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্ব দেখবো