তেহরানে ইজরায়েলের বিস্ফোরক প্রত্যাঘাত, বাড়ছে যুদ্ধের শঙ্কা
ইরান-ইজরায়েল দ্বন্দ্ব এক ভয়ঙ্কর মোড়ে। তেহরানে একাধিক সরকারি স্থাপনায় ইজরায়েলের পাল্টা হামলায় চাঞ্চল্য ছড়াল। নিশানায় ছিল beruchte Evin কারাগার, রেভোলিউশনারি গার্ড সদর দফতর ও পরমাণু কেন্দ্র ফোর্দো। এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাঙ্কার-বাস্টার বোমায় ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত হানে। ট্রাম্প দাবি করেছেন ইরানের পরমাণু ক্ষমতা “ধ্বংস” হয়েছে, যদিও ইরান জানিয়েছে, কূটনীতির সময় পেরিয়েছে। আন্তর্জাতিক মহল দুশ্চিন্তায়, যুদ্ধ কি তবে শুধু সময়ের অপেক্ষা?
📌 স্টোরি হাইলাইটস
ইজরায়েল তেহরানে ইরানি সরকারি স্থাপনায় আক্রমণ চালায়
লক্ষ্যবস্তু: Evin কারাগার, রেভোলিউশনারি গার্ড সদর দফতর, ফোর্দো ইউরেনিয়াম কেন্দ্র
ফোর্দো কেন্দ্র আগের দিন মার্কিন হামলারও লক্ষ্য ছিল
ট্রাম্প বলছেন, ইরানের পরমাণু ক্ষমতা “ধ্বংস”
ইরান জানায়, “কূটনীতির সময় শেষ,” আত্মরক্ষার অধিকার তুলে ধরে
মার্কিন প্রশাসন আলোচনার বার্তা দিলেও ইরান বলছে—‘এখন সময় প্রতিরোধের’
মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে নতুন মাত্রা যোগ করল ইজরায়েলের সরাসরি হামলা ইরানের রাজধানী তেহরানে। সোমবার (২৩ জুন, ২০২৫) সকালে একাধিক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল তেহরান শহর, যখন ইজরায়েল জানায় যে তারা ইরানের বেশ কিছু কৌশলগত সরকারি স্থাপনায় আঘাত হেনেছে।
এই হামলা আসে এমন এক সময়ে, যখন ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে সংঘর্ষ টানা ১১ দিন ধরে চলেছে, আর তার মাঝেই ইরান একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ইজরায়েলের দিকে নিক্ষেপ করে। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, তাদের পাল্টা হামলার মূল লক্ষ্য ছিল beruchte Evin কারাগার, যা রাজনৈতিক বন্দিদের জন্য berucht এবং বহুবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিতর্কে উঠে এসেছে। এছাড়াও তারা ইরানের আধা-সামরিক রেভোলিউশনারি গার্ড বাহিনীর নিরাপত্তা সদর দফতরেও আঘাত হানে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের আক্রমণ শুধু দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা নয়, বরং গোটা অঞ্চলে নিরাপত্তা হুমকির সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে তোলে। এর মধ্যেই আরও একবার হামলার শিকার হয়েছে ফোর্দো পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র—ইরানের একটি অতি গোপন ও নিরাপদভাবে নির্মিত পরমাণু স্থাপনা। এটি আগের দিন যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্যবস্তু ছিল এবং এখন আবার ইজরায়েলও ওই কেন্দ্রকে ধ্বংস করতে মরিয়া।
উল্লেখযোগ্য যে, রবিবার যুক্তরাষ্ট্র তীব্র বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় বাঙ্কার-বাস্টার বোমা ও মিসাইল দিয়ে হামলা চালায়। এরপর থেকেই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিক সংবাদমাধ্যমে বলেন, “আমরা ইরানের পরমাণু সক্ষমতাকে সম্পূর্ণভাবে মুছে দিয়েছি।” যদিও অন্যান্য মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা আরও সতর্ক মন্তব্য করে বলেন, এর প্রভাব এখনই পুরোপুরি নির্ধারণ করা যাচ্ছে না।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ইরান স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, মার্কিন এই পদক্ষেপ ছিল “একটি বিশাল রেড লাইন পার হওয়া,” এবং তারা এর কঠিন জবাব দিতে প্রস্তুত।
তবে ট্রাম্প প্রশাসনের বক্তব্যে আবারও উঠে এসেছে আলোচনার ইচ্ছা। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ বলেন, “আমরা ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ চাই না, বরং আলোচনায় ফিরতে আগ্রহী।” কিন্তু তেহরানের প্রতিক্রিয়া ছিল কঠোর। তারা জানায়, “কূটনীতির সময় শেষ। এখন নিজেদের আত্মরক্ষা করাই প্রাধান্য।”
এই মুহূর্তে গোটা বিশ্ব নজর রাখছে মধ্যপ্রাচ্যের এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির দিকে। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল আশঙ্কা করছে, এই দ্বন্দ্ব সীমিত থেকে আঞ্চলিক কিংবা আরও বৃহৎ রূপ নিতে পারে, যদি তৎক্ষণাৎ উত্তেজনা প্রশমন না হয়।
আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ! ❤️আমরা সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের জন্য তথ্যসমৃদ্ধ, আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করতে, যাতে আপনি নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পারেন। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আমাদের সঙ্গে আপনার মতামত শেয়ার করতে চান, তাহলে “যোগাযোগ করুন” ফর্ম ব্যবহার করে সরাসরি আমাদের সাথে কথা বলুন। আমরা আগ্রহের সঙ্গে আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত এবং আপনার প্রতিক্রিয়াকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করি। এছাড়াও, ভবিষ্যতের আপডেট, নতুন নিবন্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস না করতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন—একসঙ্গে জানবো, শিখবো, আর নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্ব দেখবো