মেঘালয়ের পাহাড়ে নিখোঁজ দম্পতি, রহস্যে মোড়ানো খুন ও অন্তর্ধানের ছায়া
স্বপ্নের হানিমুন ভ্রমণ এক মুহূর্তেই পরিণত হল বিভীষিকায়। ইন্দোরের নবদম্পতি রাজা ও সোনম রঘুবংশীর মেঘালয় সফর ঘিরে জমে উঠেছে এক গভীর রহস্য। একদিকে রাজার পচাগলা মৃতদেহ, পাশে পড়ে থাকা ধারালো অস্ত্র, অপরদিকে স্ত্রীর নিখোঁজ অবস্থান—সব মিলিয়ে উদ্ভূত হয়েছে শিহরণজাগানো প্রশ্নের ঘূর্ণি। পাহাড়ি জঙ্গলে মিলেছে রক্তমাখা রেইনকোট, রহস্যময় ফোন কল, ছেঁড়া জামা ও ছিন্নবিচ্ছিন্ন স্মার্ট ডিভাইস। নিখোঁজ দম্পতি কাহিনি যেন একটি চলন্ত থ্রিলার—যার পর্দা উন্মোচনের অপেক্ষায় গোটা দেশ।
QUICK READ BOX (AI Generated Summary)
নিখোঁজ দম্পতি: ইন্দোর রাজা ও সোনম রঘুবংশী
সফরের উদ্দেশ্য: হানিমুন, আগমন ২২ মে
নিখোঁজ: ২৩ মে, ওসারা পাহাড়ের কাছে
রাজার মরদেহ: Wei Sawdong জলপ্রপাতের কাছে, ১১ দিন পর
প্রমাণ: ছুরি, মহিলার জামা, মোবাইল স্ক্রীন, রক্তমাখা রেইনকোট
সর্বশেষ কল: সোনম ও রাজার ভয়েস ক্লিপ
পরিবারের দাবি: সিবিআই তদন্ত
পুলিশের অবস্থা: সোনম এখনও নিখোঁজ, জঙ্গল ও বৃষ্টিতে উদ্ধার অভিযান কঠিন
ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় হানিমুন গন্তব্য হিসেবে পরিচিত মেঘালয় আজ এক দম্পতির অদৃশ্য হওয়া ও নির্মম হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে উত্তাল। ইন্দোর তরুণ দম্পতি রাজা রঘুবংশী ও সোনম রঘুবংশী মেঘালয়ে বেড়াতে এসেছিলেন—স্বপ্নের মতো একটি সফর, যা শুরু হয়েছিল ২২ মে। কিন্তু সেই সফর মাত্র একদিনের মধ্যেই এক বিপর্যয়কর মোড় নেয়। আজ, ১৪ দিনের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও সোনমের কোনও হদিস মেলেনি। আর রাজা—তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে মৃত্যুর পর, এক গভীর খাদ থেকে। তাঁর দেহে ছিল ছুরির গভীর ক্ষত, যা নিশ্চিতভাবে প্রমাণ করে যে, এটি একটি ঠাণ্ডা মাথার খুন।
ঘটনার সূত্রপাত – এক স্বপ্ন, এক দুঃস্বপ্ন
২২ মে। ইন্দোর থেকে সদ্য বিবাহিত রাজা ও সোনম মেঘালয়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসেছিলেন। পাহাড়, মেঘ ও বৃষ্টির দেশে তাঁদের হানিমুন যেন রূপকথার মতো শুরু হয়েছিল। পরদিন তাঁরা ওসারা হিলসের দিকে যান, এক পাহাড়ি পথ ধরে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে বেরিয়ে পড়া এই সফরেই ঘটে যায় অপ্রত্যাশিত ঘটনা।
পরিবারের সঙ্গে শেষ ফোনালাপে সোনম বলেছিলেন—“আমরা উঠে যাচ্ছি… পরে কথা বলব।” ফোনে বোঝা যাচ্ছিল, সোনম বেশ ক্লান্ত ও উদ্বিগ্ন ছিলেন। তিনি বলছিলেন, “পথ খুব খাড়া, কিছুই নেই চারপাশে, খাবারও পছন্দ হচ্ছেনা। হাঁটতে হাঁটতে শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।”
রাজার সাথেও কথা হয়েছিল তাঁর মায়ের। রাজা জানিয়েছিলেন, তাঁরা ফল খাচ্ছেন এবং পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছেছেন। সেদিনই ছিল তাঁদের শেষ যোগাযোগ।
তদন্তের ধাপে ধাপে উন্মোচিত রহস্য
যাত্রা শুরু হয়েছিল স্বপ্নের মতো, কিন্তু পরদিন থেকে রহস্যময়ভাবে দম্পতি ওসারা পাহাড়ের কাছে, চেরাপুঞ্জির নিকটবর্তী এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়েছেন। রাজার মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিতভাবে হত্যাকাণ্ড; কারণ তার পচে যাওয়া মৃতদেহের পাশে একটি কাটার অস্ত্র পাওয়া গেছে। তবে সোনমের খোঁজে ঘন বনাঞ্চলে তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।