সৈকত অঞ্চলে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট সংখ্যক পর্যটকের প্রবেশ অনুমোদিত, যাতে Lakshadeep দ্বীপের প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় থাকে।কোনও বাণিজ্যিক হোটেল নয়, বরং স্থানীয়দের পরিচালিত হোমস্টে ও পরিবেশবান্ধব ক্যাম্প ব্যবস্থা পর্যটকদের জন্য প্রযোজ্য।প্রতিটি পর্যটকের জন্য নির্দিষ্ট গাইড ও আচরণবিধি রয়েছে, যা Lakshadweep Beaches-এর পরিবেশগত সুরক্ষার জন্য প্রণীত।ভারতের পরিবেশ ও বন মন্ত্রকের একাধিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে থুন্ডি লাক্ষাদ্বীপ সমুদ্রসৈকত একটি “sensitive ecological buffer zone” হিসেবে চিহ্নিত।আন্তর্জাতিক সংস্থা UNEP-এর পর্যবেক্ষণে এই সৈকতটিকে “low-impact tourism zone” হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
আগাত্তি সমুদ্রসৈকত: লাক্ষাদ্বীপ সমুদ্রসৈকতের জলতল পর্যটনের এক নীরব অধ্যায়
আগাত্তি সমুদ্রসৈকত, লাক্ষাদ্বীপের অন্যতম প্রধান প্রবাল দ্বীপে অবস্থিত একটি দীর্ঘ ও সংকীর্ণ বালুকাবেলা।এই Lakshadweep Beaches অঞ্চলে জলধারার স্বচ্ছতা এমন যে সমুদ্রতলদেশের প্রবাল ও জলজপ্রাণী দৃশ্যমান থাকে, যা এই অঞ্চলকে ভিন্নতর করে তোলে।পরিবেশগত দিক থেকে এটি একটি ‘Marine Protected Area’-র অন্তর্গত, যেখানে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে পর্যটন পরিচালিত হয়।
আগাত্তির লাক্ষাদ্বীপ সমুদ্রসৈকত-এ স্নরকেলিং একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় কার্যক্রম, যেখানে পর্যটকরা স্বল্প গভীরতায় সাঁতার কেটে প্রবাল ও মাছ পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।স্থানীয় পর্যটন দফতরের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট এলাকায় স্নরকেলিং অনুমোদিত এবং অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক।এখানে দেখা যায় “Parrotfish”, “Moorish Idol”, ও “Clownfish”-এর মতো বিরল সামুদ্রিক প্রাণী।
আগাত্তি লাক্ষাদ্বীপ সমুদ্রসৈকত-এ কায়াকিংয়ের একটি উল্লেখযোগ্য আকর্ষণ হল সমুদ্রের উপর ভেসে থাকা বিস্তৃত প্রবাল দ্বীপের রেখা।পর্যটকদের জন্য নির্দিষ্ট ‘sunrise’ ও ‘sunset’ কায়াকিং রুট চালু হয়েছে, যা Lakshadweep Beaches অভিজ্ঞতার এক ব্যতিক্রমী মাত্রা যোগ করে।এই রুটগুলিতে সমুদ্রতীরবর্তী লেগুন ও পাখির আবাসস্থল চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে পর্যবেক্ষণের জন্য।আগাত্তি লাক্ষাদ্বীপ সমুদ্রসৈকত-এ স্কুবা ও স্নরকেলিংয়ের জন্য সরকার অনুমোদিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে, যেখানে সার্টিফিকেট কোর্সও করানো হয়।স্থানীয়দের দ্বারা পরিচালিত ইনফরমেশন বুথ পর্যটকদের নিয়ম-কানুন ও নিরাপত্তা বিধি সম্পর্কে অবহিত করে।
আগাত্তি বিমানবন্দর থেকে মাত্র ১০ মিনিটের দূরত্বে এই Lakshadeep সৈকতের প্রবেশদ্বার অবস্থিত।একসাথে মাত্র নির্দিষ্ট সংখ্যক পর্যটক প্রবেশ করতে পারেন, এবং বিশেষ অনুমতি ছাড়া দীর্ঘকালীন অবস্থান নিষিদ্ধ।
কাভারাত্তি সমুদ্রসৈকত: Lakshadeep-এ সামুদ্রিক সৌন্দর্য ও জলক্রীড়ার একান্ত প্রতিবেদন
কাভারাত্তি সমুদ্রসৈকত, লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসনিক রাজধানী কাভারাত্তি দ্বীপে অবস্থিত।এই Lakshadweep Beaches-এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল উচ্চমাত্রার জলের স্বচ্ছতা ও প্রাকৃতিক সবুজের সন্নিবেশ।সাদা বালুকারাশি, শান্ত সাগর ও উপকূলবর্তী নারকেলবন একত্রে একটি প্রকৃতি-ভিত্তিক পর্যটন পরিসর গড়ে তুলেছে।
কাভারাত্তি Lakshadweep Beaches-এ কাচের তলা যুক্ত নৌকাভ্রমণের ব্যবস্থা পর্যটকদের জন্য অন্যতম আকর্ষণ।এখানে Coral Garden এলাকা চিহ্নিত, যেখানে কাচের তলার নৌকা দিয়ে রঙিন প্রবাল, স্কুইড ও জেলিফিশ পর্যবেক্ষণযোগ্য।জলযানগুলোতে GPS ট্র্যাকিং ও স্থায়ী গাইডিং সিস্টেম চালু রয়েছে।এই Lakshadeep দ্বীপে প্রশিক্ষিত কর্মীদের তত্ত্বাবধানে নিয়ন্ত্রিত জেট স্কি চালনা ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে।ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলো চিহ্নিত করে বিশেষ পতাকা ও বাঁশের চিহ্ন বসানো হয়েছে।পর্যটন বিভাগের অনুমতি ছাড়া স্কুটার চালানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
কাভারাত্তির সমুদ্রতট সংলগ্ন এলাকায় সারা বছর বিভিন্ন প্রজাতির কচ্ছপ, রিফ-ফিশ ও ইভেন অক্টোপাস পর্যন্ত দেখা যায়।National Centre for Marine Biodiversity-এর মতে, এখানে ৩৫+ প্রজাতির প্রবাল ও ৬০+ প্রজাতির মাছের অস্তিত্ব নথিভুক্ত হয়েছে।Lakshadweep Beaches-এর অধীনে এই জীববৈচিত্র্য বর্তমানে গবেষণা ও প্রাকৃতিক পর্যবেক্ষণের এক বড় ক্ষেত্র।
কাভারাত্তি Lakshadeep অঞ্চলে প্রতিদিন ভোর ও সন্ধ্যায় সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার জন্য পৃথক এলাকায় দর্শন পয়েন্ট তৈরি হয়েছে।কিছু অঞ্চল ‘Eco-Watch Zone’ হিসেবে চিহ্নিত, যেখানে শব্দদূষণ ও আলোদূষণ সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রিত।এই পয়েন্টগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে সৌরচালিত পর্যবেক্ষণ টাওয়ার ও আরামকেন্দ্র।
Lakshadweep Beaches-এর এই অংশে প্লাস্টিক ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।প্রতিটি সমুদ্রতট এলাকায় জলের বোতল, খাদ্যপাত্র ও বর্জ্য পদার্থ ব্যবস্থাপনার জন্য পৃথক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।Bio-Degradable জিনিসপত্র ব্যবহারে স্থানীয় দোকানগুলিকে উৎসাহিত করা হয়েছে।
কালপেনি সমুদ্রসৈকত: Lakshadeep পর্যটনের উপকূলভিত্তিক প্রকৃতিচিত্রে এক অন্তর্মুখী বিস্তার
কালপেনি দ্বীপটি Lakshadeep দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত, যেখানে Lakshadweep Beaches-এর মধ্যে অন্যতম বিস্তৃত ও অপেক্ষাকৃত শান্ত সমুদ্রতট দেখা যায়।এখানকার উপকূলীয় রেখা হালকা বক্রাকারে বাঁকানো, যা স্নরকেলিং ও কায়াকিংয়ের জন্য স্বাভাবিক জোয়ার-ভাটার ছন্দে সহায়ক বলে চিহ্নিত।প্রবাল প্রাচীর বা Coral Reef প্রাকৃতিক বাধা হিসেবে কাজ করায় এখানে ঢেউয়ের উচ্চতা অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত।
কালপেনি Lakshadweep Beaches-এ হালকা কাঠের তৈরি বিশেষ কায়াক নৌকা ব্যবহার করা হয়।প্রশিক্ষিত কর্মীদের পর্যবেক্ষণে নির্দিষ্ট দিকনির্দেশ অনুযায়ী সমুদ্রের স্থিতিশীল অংশে কায়াক চালনার ব্যবস্থা রয়েছে।সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত কায়াকিং সেশনের অনুমতি দেওয়া হয়, সমুদ্রের জোয়ারের উপর নির্ভর করে।স্নরকেলিং-এর জন্য পূর্বদিকের জলসীমা নির্ধারিত যেখানে জল গভীরতা ১.৫–২.৫ মিটারের মধ্যে থাকে।প্রবাল প্রাচীরের সংলগ্ন এলাকায় স্নরকেলিং-এর জন্য চিহ্নিত ৩টি স্পট রয়েছে, যেগুলো নিয়মিতভাবে Lakshadeep প্রশাসনের অধীনে পরিচর্যা করা হয়।ন্যূনতম সাঁতারের জ্ঞান ছাড়া প্রবেশ নিষিদ্ধ এবং লাইফ গিয়ার বাধ্যতামূলক।
কালপেনি দ্বীপের পশ্চিম প্রান্তে ১৯ শতকের লাইটহাউসটি বর্তমানেও কার্যকর।এই লাইটহাউস থেকে India’s Most Famous Tourist Spot তালিকাভুক্ত Lakshadweep দ্বীপমালার বিস্তৃত দৃশ্য দেখা যায়।লাইটহাউসের চূড়ায় স্থাপন করা হয়েছে অপটিক্যাল লেন্স সিস্টেম, যার মাধ্যমে রাতের বেলায় সমুদ্রপথ পর্যবেক্ষণ সহজতর।
কালপেনির উপকূলবর্তী এলাকা Lakshadweep Beaches-এর মধ্যে প্রবাল বৃদ্ধির জন্য উচ্চমানের বলে গবেষণা প্রতিবেদনে প্রকাশিত।এখানে National Coral Survey Team নিয়মিতভাবে প্রবালগুলোর রং, বর্ণনাকৃতি ও বৃদ্ধির হার পরীক্ষা করে।রিপোর্ট অনুযায়ী, এই এলাকায় ব্লিচিং-এর হার অন্যান্য উপকূলের তুলনায় কম, এবং জলের লবণমাত্রা ৩৪.৭ PSU (Practical Salinity Unit)-এর মধ্যে থাকে।
কালপেনি Lakshadeep দ্বীপে প্রতিটি সমুদ্রক্রিয়া নজরদারি ক্যামেরা ও কোস্টাল প্যাট্রোল ইউনিটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত।স্থানীয় প্রশাসন ‘Tourist Activity Logbook’ সংরক্ষণ করে যেখানে প্রতিটি কায়াক বা স্নরকেলিংয়ের সময়, অবস্থান ও অংশগ্রহণকারীর তথ্য অন্তর্ভুক্ত হয়।জরুরি অবস্থায় ব্যবহারের জন্য লাইফবোট ও হেলিপ্যাড সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখা হয়।২০২৪ সালে ভারতীয় সমুদ্রবিজ্ঞান গবেষণা সংস্থার (INCOIS) উদ্যোগে কালপেনিতে পর্যটকদের জন্য প্রাথমিক সামুদ্রিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়।