সবুজ ঘাসের বুক চিরে ছুটে চলা ২২ জন ফুটবলারের পদচারণায় মুখরিত ছিল স্টেডিয়াম। দীর্ঘদিনের বিরতির পর ভারতীয় জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী যখন দেশের জার্সিতে মাঠে নামলেন, গ্যালারির উল্লাস যেন দ্বিগুণ হয়ে উঠল। সেই অপেক্ষারই যেন এক অনবদ্য পুরস্কার ছিল ভারত বনাম মালদ্বীপ ম্যাচ।
তিন তিনটে দুর্দান্ত গোল, ছেত্রীর ঐতিহাসিক কামব্যাক, আর কোচ মানোলো মার্কেজের প্রথম জয়— ভারতীয় ফুটবলের জন্য এক অবিস্মরণীয় মুহূর্ত। ছেত্রীর প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে দল যেন নতুন করে প্রাণ ফিরে পেল। মাঠ জুড়ে বলের দখল, সঠিক পাসিং আর দুরন্ত গোল—সব মিলিয়ে ভারতীয় দলের এই জয় ফুটবলপ্রেমীদের মনে উদ্দীপনার আগুন জ্বালিয়ে দিল।
💥ভারত বনাম মালদ্বীপ ম্যাচটা শুধু একটা প্রীতি ম্যাচ ছিল না, এটা ছিল ভারতীয় ফুটবলের নতুন জাগরণের সূচনা।
ম্যাচের হাইলাইটস
প্রথম গোল:
➡️ ম্যাচের ৩৪তম মিনিটে ব্র্যান্ডন ফার্নান্ডেজের কর্নার কিক থেকে রাহুল ভেকে হেড দিয়ে প্রথম গোলটি করেন।
➡️ এই গোলের মাধ্যমে ভারত ম্যাচে এগিয়ে যায়।দ্বিতীয় গোল:
➡️ ৬৬তম মিনিটে, মহেশ সিংয়ের কর্নার কিক থেকে লিস্টন কোলাসো হেড দিয়ে ভারতের দ্বিতীয় গোলটি করেন।
➡️ ভারতের পাসিং ও সেট-পিস স্ট্র্যাটেজির সফল প্রয়োগ দেখা যায় এই গোলটিতে।তৃতীয় গোল (ঐতিহাসিক গোল):
➡️ ৭৬তম মিনিটে, লিস্টন কোলাসোর ক্রসে সুনীল ছেত্রী হেডের মাধ্যমে দুর্দান্ত গোল করেন।
➡️ এই গোলটি ছেত্রীর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ৯৫তম গোল, যা তাকে বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক গোলদাতা-র মর্যাদা দেয়।
সুনীল ছেত্রীর দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন: কিংবদন্তির মাঠে ফেরার গল্প ⚽
ছেত্রীর অবসর ও প্রত্যাবর্তনের পটভূমি
২০২৪ সালের অবসর ঘোষণা:
➡️ ২০২৪ সালের জুনে, সুনীল ছেত্রী আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর ঘোষণা করেন।
➡️ অবসরের সময়, তিনি ৯৪টি আন্তর্জাতিক গোল করে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ সক্রিয় আন্তর্জাতিক গোলদাতা ছিলেন (মেসি ও রোনালদোর পর)।
➡️ ছেত্রীর বিদায় ম্যাচ ছিল ভারত বনাম কুয়েতের বিরুদ্ধে, যেখানে ভারত ১-০ গোলে জয়লাভ করেছিল।কেন ফিরলেন ছেত্রী?
➡️ অবসরের পর ছেত্রী বেঙ্গালুরু এফসি-র হয়ে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (ISL)-এ খেলতে থাকেন।
➡️ ২০২৪-২৫ মরসুমে ১২টি গোল ও ৪টি অ্যাসিস্ট করে দুর্দান্ত ফর্মে ফিরে আসেন।
➡️ ISL-এ তার ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দেখে জাতীয় দলের কোচ মানোলো মার্কেজ তাকে আবারও দলে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেন।
➡️ মার্কেজ বলেন:
🗣️ “ছেত্রীর মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় জাতীয় দলের জন্য অপরিহার্য। তার গোল করার দক্ষতা আমাদের এশিয়ান কাপের প্রস্তুতিতে বড় ভূমিকা রাখবে।”
ছেত্রীর রেকর্ড ও বিশ্ব ফুটবলে অবস্থান
৯৫তম আন্তর্জাতিক গোল:
➡️ এই গোলের মাধ্যমে ছেত্রী এখন বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক গোলদাতা।
➡️ বর্তমানে রেকর্ডধারীদের তালিকা:
🥇 ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (পর্তুগাল): ১২৮ গোল
🥈 আলি দাই (ইরান): ১০৯ গোল
🥉 লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা): ১০৪ গোল
🔥 সুনীল ছেত্রী (ভারত): ৯৫ গোলএশিয়ান ফুটবলে অন্যতম সেরা গোলদাতা:
➡️ ছেত্রী এখন এশিয়ান ফুটবলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক গোলদাতা।
➡️ ইরানের আলি দাইয়ের (১০৯ গোল) পরেই তিনি রয়েছেন।
➡️ জাপানের কুনিশিগে কামামোটো (৭৫ গোল)-কে অনেক আগেই ছাড়িয়ে গেছেন তিনি।
ছেত্রীর অবদানের প্রভাব
জাতীয় দলের অনুপ্রেরণা:
➡️ ছেত্রীর প্রত্যাবর্তনে ভারতীয় দলের আক্রমণভাগ আরও শক্তিশালী হয়েছে।
➡️ তার অভিজ্ঞতা তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করছে।
➡️ ম্যাচ শেষে ছেত্রী বলেন:
🗣️ “জাতীয় দলের হয়ে খেলা সবসময় বিশেষ কিছু। আমি ফিরে আসতে পেরে গর্বিত।”ফুটবলপ্রেমীদের আবেগঘন মুহূর্ত:
➡️ ছেত্রীর প্রত্যাবর্তনে গ্যালারি উল্লাসে ফেটে পড়ে।
➡️ ভুবনেশ্বরের স্টেডিয়ামে ৪০ হাজার দর্শক ছেত্রীকে অভিনন্দন জানান।
➡️ ম্যাচ শেষে গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে ছেত্রী হাত উঁচিয়ে ভক্তদের অভিবাদন জানান—যেন বলছিলেন, “আমি ফিরে এসেছি!”
কোচ মানোলো মার্কেজের প্রথম জয়: ভারতীয় ফুটবলের নতুন যুগের সূচনা
মানোলো মার্কেজ: ভারতীয় দলের নতুন হাল ধরলেন
নিয়োগের প্রেক্ষাপট:
➡️ ২০২৪ সালের অক্টোবরে, অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (AIFF) স্প্যানিশ কোচ মানোলো মার্কেজকে ভারতীয় জাতীয় ফুটবল দলের প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ করে।
➡️ তিনি এর আগে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (ISL)-এ হায়দরাবাদ এফসি-র কোচ ছিলেন এবং দলকে ২০২১-২২ মরসুমে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন।
➡️ মার্কেজকে ভারতীয় দলের কোচ করা হয় ইগর স্তিমাচের বিদায়ের পর।
➡️ AIFF-এর সভাপতি ক্যালিয়ান চৌবে বলেন:
🗣️ “মানোলো মার্কেজের অভিজ্ঞতা এবং কৌশলী দৃষ্টিভঙ্গি ভারতীয় দলকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।”কোচ হিসেবে দর্শন ও কৌশল:
➡️ মার্কেজের দর্শন হল আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা এবং মিডফিল্ডের নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখে দ্রুত কাউন্টার অ্যাটাক করা।
➡️ তিনি ৪-২-৩-১ ফরমেশনে খেলতে পছন্দ করেন, যেখানে মিডফিল্ড থেকে আক্রমণ তৈরি হয়।
➡️ তার অধীনে ভারতীয় দল অধিক বল পজিশন ধরে রেখে খেলার চেষ্টা করছে, যা দলের গেমপ্লেতে নতুনত্ব এনেছে।
ভারত বনাম মালদ্বীপ ম্যাচ: মার্কেজের প্রথম পরীক্ষা
ম্যাচের পরিস্থিতি:
➡️ ২৩ মার্চ ২০২৫, ভারত আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি ম্যাচে মালদ্বীপের বিরুদ্ধে মাঠে নামে।
➡️ এই ম্যাচটি ছিল কোচ মানোলো মার্কেজের প্রথম ম্যাচ।
➡️ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে, যেখানে প্রায় ৪০ হাজার দর্শক উপস্থিত ছিলেন।স্ট্র্যাটেজি ও দলগত পরিকল্পনা:
➡️ মার্কেজ ম্যাচে ৪-৩-৩ ফরমেশন ব্যবহার করেন, যা আক্রমণাত্মক ফুটবলের উপর জোর দেয়।
➡️ ছেত্রী, লিস্টন কোলাসো এবং মনবীর সিং-কে ফরোয়ার্ড লাইনে খেলিয়ে মালদ্বীপের রক্ষণে চাপ সৃষ্টি করা হয়।
➡️ মিডফিল্ডে অনিরুধ থাপা ও ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেস পাসের মাধ্যমে আক্রমণ তৈরি করছিলেন।
➡️ ডিফেন্সে সন্দেশ ঝিঙ্গান ও রাহুল ভেকে মালদ্বীপের আক্রমণ রুখে দিচ্ছিলেন।
ম্যাচে ভারতের আধিপত্য
প্রথমার্ধ:
➡️ ভারতীয় দল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে।
➡️ ১৬তম মিনিটে, লিস্টন কোলাসোর দুর্দান্ত শটে ভারত এগিয়ে যায় ১-০ ব্যবধানে।
➡️ মিডফিল্ডে থাপা ও ব্রেন্ডনের সমন্বয় মালদ্বীপের রক্ষণকে নড়বড়ে করে দেয়।
➡️ ভারতের বল পজিশন ছিল ৬৩%, যা প্রমাণ করে ভারত আক্রমণে প্রাধান্য বিস্তার করেছিল।দ্বিতীয়ার্ধ:
➡️ ম্যাচের ৫৮তম মিনিটে, মনবীর সিং ভারতকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন।
➡️ এরপর ৭৬তম মিনিটে, ছেত্রী তার প্রত্যাবর্তন ম্যাচে দুর্দান্ত হেডে গোল করেন, যা ভারতকে ৩-০ ব্যবধানে জয় এনে দেয়।
➡️ এই গোলটি ছেত্রীর ৯৫তম আন্তর্জাতিক গোল, যা তাকে বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক গোলদাতা করে তোলে।
কোচ মার্কেজের কৌশলগত সাফল্য
বিপক্ষকে চাপে রাখা:
➡️ মার্কেজের কৌশল ছিল শুরু থেকেই উচ্চ প্রেসিং করা এবং বিপক্ষের রক্ষণভাগে চাপ সৃষ্টি করা।
➡️ ভারতের বাঁ দিকের উইং অ্যাটাক বারবার মালদ্বীপের ডিফেন্সকে ব্যস্ত রেখেছিল।
➡️ লিস্টন ও মনবীরের উইং থেকে ক্রসগুলো ছেত্রীর মতো স্ট্রাইকারকে গোল করার সুযোগ দিচ্ছিল।ডিফেন্সিভ দৃঢ়তা:
➡️ ভারতের ডিফেন্সিংও দুর্দান্ত ছিল।
➡️ সন্দেশ ঝিঙ্গান ও রাহুল ভেকে বারবার মালদ্বীপের আক্রমণ প্রতিহত করেন।
➡️ ভারতের গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিং সান্ধু দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেভ করেন, যা ভারতের ক্লিন শিট নিশ্চিত করে।
ভারতীয় ফুটবলে নতুন দিগন্ত
কৌশলগত উন্নতি:
➡️ মার্কেজের অধীনে ভারতীয় দল আরও বেশি পজিশনাল ফুটবল খেলছে।
➡️ ছোট ছোট পাসের মাধ্যমে বলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখে আক্রমণে ওঠার পরিকল্পনা করছে।
➡️ তার কৌশলে দল সেট পিস ও ক্রসিংয়ে আরও দক্ষ হয়ে উঠছে।যুবাদের উপর আস্থা:
➡️ মার্কেজ তরুণ খেলোয়াড়দের উপর আস্থা রাখছেন।
➡️ এই ম্যাচে জিতেন্দ্র সিং ও ঈশান পাণ্ডিত-র মতো তরুণ খেলোয়াড় সুযোগ পেয়েছিলেন।
➡️ তার পরিকল্পনায় আগামী দিনে তরুণদের আরও বেশি সুযোগ দেওয়া হবে।
ভবিষ্যতের লক্ষ্য: এএফসি এশিয়ান কাপের প্রস্তুতি
এএফসি এশিয়ান কাপ: ভারতীয় ফুটবলের বড় মঞ্চ
টুর্নামেন্টের প্রেক্ষাপট:
➡️ ২০২৫ AFC এশিয়ান কাপ হবে এশিয়ার সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা।
➡️ এই টুর্নামেন্টে এশিয়ার শীর্ষ ২৪টি দল অংশগ্রহণ করবে।
➡️ ভারতীয় দল এই প্রতিযোগিতায় চতুর্থবারের মতো অংশ নিচ্ছে।
➡️ টুর্নামেন্টটি হবে চীন, কাতার এবং উজবেকিস্তানে, যেখানে ভারত গ্রুপ পর্বের ম্যাচ খেলবে।ভারতের লক্ষ্য:
➡️ ২০১৯ সালে ভারত গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল।
➡️ এবার মানোলো মার্কেজের অধীনে ভারত এশিয়ান কাপে নকআউট রাউন্ডে পৌঁছানোর লক্ষ্য নিয়েছে।
➡️ AIFF সভাপতি ক্যালিয়ান চৌবে বলেন:
🗣️ “আমাদের লক্ষ্য এবার এশিয়ান কাপে অন্তত কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছানো।”
➡️ এর জন্য দলকে ফিজিক্যাল এবং টেকটিক্যাল স্কিল বাড়াতে হবে।
সিনিয়র এবং জুনিয়রদের সমন্বয়
অনুভব এবং উদ্যমের মিশ্রণ:
➡️ এশিয়ান কাপের জন্য কোচ মার্কেজ ভারতীয় দলে সিনিয়র এবং তরুণ খেলোয়াড়ের সমন্বয় বজায় রাখার পরিকল্পনা করেছেন।
➡️ অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের মধ্যে থাকবেন:
– সুনীল ছেত্রী: দলের নেতৃত্ব দেবেন এবং তার অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
– সন্দেশ ঝিঙ্গান: ডিফেন্সে দলের অন্যতম স্তম্ভ।
– গুরপ্রীত সিং সান্ধু: অভিজ্ঞ গোলরক্ষক, যিনি বড় ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ সেভ দিতে সক্ষম।তরুণ প্রতিভা:
➡️ মার্কেজের দলে বেশ কয়েকজন তরুণ ফুটবলার সুযোগ পাবেন:
– লালিয়ানজুয়ালা ছাংতে: তার গতি এবং ড্রিবলিং এশিয়ান কাপে ভারতের অন্যতম সম্পদ হবে।
– ঈশান পাণ্ডিতা: স্ট্রাইকার পজিশনে তার ফিনিশিং দক্ষতা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
– সাহাল আব্দুল সামাদ: মিডফিল্ডে বল কন্ট্রোলের জন্য অন্যতম নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়।
ফিটনেস এবং প্রস্তুতির উপর জোর
শারীরিক সক্ষমতা উন্নতি:
➡️ এশিয়ান কাপের জন্য ভারতীয় দল ফিটনেস এবং স্ট্যামিনার উপর জোর দিচ্ছে।
➡️ AIFF দলে বিশেষ ফিটনেস কোচ এবং নিউট্রিশনিস্ট নিয়োগ করেছে, যাতে খেলোয়াড়রা দীর্ঘ সময় মাঠে শক্তি ধরে রাখতে পারে।
➡️ হাই ইন্টেন্সিটি কার্ডিও ট্রেনিং এবং বিপ টেস্ট দিয়ে খেলোয়াড়দের ফিটনেস পরীক্ষা করা হবে।চোট প্রতিরোধের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা:
➡️ এশিয়ান কাপের আগে ভারতের খেলোয়াড়দের চোট থেকে মুক্ত রাখতে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
➡️ AIFF চিকিৎসক দল নিয়মিত ফিজিওথেরাপি এবং রিহ্যাব প্রোগ্রাম চালাবে।
➡️ ক্রায়োথেরাপি এবং ম্যাসাজ থেরাপি দিয়ে খেলোয়াড়দের রিকভারি নিশ্চিত করা হবে।
প্রতিপক্ষ বিশ্লেষণ এবং কৌশলগত প্রস্তুতি
গ্রুপ পর্বের প্রতিপক্ষ:
➡️ ভারতের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ হবে কাতার, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, এবং উজবেকিস্তান।
➡️ এ দলগুলো ফিফা র্যাংকিংয়ে ভারতের চেয়ে এগিয়ে থাকলেও, ভারত তাদের বিরুদ্ধে কৌশলগত ফুটবল খেলবে।ভিডিও বিশ্লেষণ:
➡️ মানোলো মার্কেজ এবং তার কোচিং স্টাফ ম্যাচের আগে প্রতিপক্ষ দলের ভিডিও বিশ্লেষণ করবেন।
➡️ প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক, ডিফেন্স ও আক্রমণ শৈলী খুঁটিয়ে দেখে পরিকল্পনা তৈরি করা হবে।
➡️ প্রতিটি খেলোয়াড়ের জন্য বিশেষ নির্দেশনা এবং স্ট্র্যাটেজি থাকবে।
উপসংহার:
ভারতীয় ফুটবল দলের সাম্প্রতিক ভারত বনাম মালদ্বীপs ম্যাচে জয় ভারতীয় দলের এএফসি এশিয়ান কাপ ২০২৫-এর প্রস্তুতির জন্য বড় অনুপ্রেরণা। কোচ মানোলো মার্কেজের নেতৃত্বে দল আরও আক্রমণাত্মক ও পরিকল্পিত ফুটবল খেলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভারতের লক্ষ্য এবার এশিয়ান কাপে নকআউট পর্বে পৌঁছানো এবং ফিফা র্যাংকিংয়ে উন্নতি করা। ভারতীয় ফুটবল দলের সিনিয়র এবং তরুণ খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে গড়া শক্তিশালী স্কোয়াডে নতুন উচ্চতা স্পর্শ করার সম্ভাবনা রয়েছে। এই জয়ের মাধ্যমে ভারতীয় ফুটবল দল আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে এবং ভবিষ্যতে এশিয়ান কাপে ভালো পারফরম্যান্সের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ! ❤️আমরা সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের জন্য তথ্যসমৃদ্ধ, আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করতে, যাতে আপনি নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পারেন। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আমাদের সঙ্গে আপনার মতামত শেয়ার করতে চান, তাহলে “যোগাযোগ করুন” ফর্ম ব্যবহার করে সরাসরি আমাদের সাথে কথা বলুন। আমরা আগ্রহের সঙ্গে আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত এবং আপনার প্রতিক্রিয়াকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করি। এছাড়াও, ভবিষ্যতের আপডেট, নতুন নিবন্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস না করতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন—একসঙ্গে জানবো, শিখবো, আর নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্ব দেখবো