বাংলায় সরকারী প্রযুক্তি শিক্ষা বর্তমানে এক গভীর সংকটের মুখোমুখি। যদিও ডিজিটাল ভারতের লক্ষ্য অনুযায়ী শিক্ষাক্ষেত্রে প্রযুক্তির প্রসার ঘটছে, তবু বাংলা ভাষায় প্রযুক্তি শিক্ষার পরিকাঠামো ও পরিকল্পনা এখনও যথেষ্ট দুর্বল ও অপরিণত। গ্রামীণ ও শহরাঞ্চলে বাংলা মাধ্যমে পড়ুয়াদের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার সুযোগ সীমিত, যা ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থান ও দক্ষতা বিকাশে বাধা সৃষ্টি করছে। এই প্রেক্ষাপটে, সরকারী উদ্যোগের কার্যকারিতা, ভাষাগত অন্তরায় এবং প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষার বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। এই সংকট পেরিয়ে উত্তরণের পথ কি আদৌ আছে?

সূচিপত্র

কী হচ্ছে আসলে?

নীতি আছে, প্রয়োগ নেই — এক চিরকালীন দুর্বলতা

  • সরকারী কাগজে-পত্রে সরকারী প্রযুক্তি শিক্ষা-র অনেক নীতিই ঘোষণা করা হয়েছে।

  • কিন্তু বাংলা মাধ্যমে প্রযুক্তি শিক্ষা বাস্তবে রয়ে গেছে নিতান্তই অপ্রস্তুত।

  • প্রান্তিক জেলা কিংবা গ্রামীণ এলাকায় প্রযুক্তি শিক্ষার দুর্বলতা এখনো প্রকট।

  • উদাহরণস্বরূপ, ২০২3 সালের রাজ্যশিক্ষা দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলা মাধ্যমের প্রায় ৬৫% সরকারী বিদ্যালয়ে কম্পিউটার শিক্ষক নেই।

ভাষার নামে তথ্যপ্রযুক্তির বঞ্চনা

  • বাংলা ভাষায় প্রযুক্তি শিক্ষা বলতে গিয়ে মূলত আমরা একটি অদৃশ্য দেয়ালে আটকে গেছি—ডিজিটাল শিক্ষার ঘাটতি বাংলা মাধ্যমে আরও প্রকট করে তোলে।

  • প্রায় সব সফটওয়্যার, অনলাইন কোডিং প্ল্যাটফর্ম, এমনকি শিক্ষণমূলক ভিডিও পর্যন্ত ইংরেজিতে—ফলে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা বাংলা ভাষায় নেই বললে খুব একটা ভুল হবে না।

  • শিক্ষার্থীরা বাংলা মাধ্যমে প্রযুক্তি শিক্ষার অগ্রগতি-র নামে শুধু চিত্র দেখে বা বোতাম চেপে কাজ শিখছে, কনসেপ্ট নয়।

শিক্ষক প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তিগত অনুপযুক্ততা

  • সরকারী স্কুলে প্রযুক্তি শিক্ষার অভাব শুধু পরিকাঠামো নয়, প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রেও তীব্র।

  • অধিকাংশ বাংলা মাধ্যমে প্রযুক্তি শিক্ষা প্রদানকারী শিক্ষক আধুনিক কোডিং, অ্যালগরিদম, AI, বা মেশিন লার্নিং-এর ব্যাপারে অপরিচিত।

  • ২০২4 সালে পরিচালিত একটি সমীক্ষা জানায়—প্রায় ৭৪% সরকারী স্কুলের প্রযুক্তি শিক্ষক নিজেরাই ডিজিটাল টুল ব্যবহারে অস্বচ্ছন্দ।

ইনফ্রাস্ট্রাকচার ও ইন্টারনেটের দৌর্বল্য

  • ডিজিটাল শিক্ষা পরিকাঠামোর সমস্যা সবচেয়ে প্রকট জেলা স্কুলগুলোতে

  • বহু স্কুলে এখনও কম্পিউটার ল্যাব নেই, বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়মিত নয় এবং ইন্টারনেট সংযোগ প্রায় নামমাত্র

  • ফলে প্রযুক্তি ভিত্তিক শিক্ষা উন্নয়ন আসলে শুধুই কাগজে আছে, বাস্তবে সে পথে হাঁটার মতো সামর্থ্য নেই।

প্রতিযোগিতা থেকে পিছিয়ে পড়ার সম্ভাবনা

  • যেখানে CBSE বা ICSE বোর্ডের স্কুলগুলোতে ক্লাস ৬ থেকে কোডিং শেখানো হচ্ছে, সেখানে বাংলা মাধ্যম শিক্ষায় প্রযুক্তি সংযুক্তির অভাব শিশুদের ভবিষ্যৎকে মারাত্মকভাবে পিছিয়ে দিচ্ছে।

  • বাংলা মাধ্যমে প্রযুক্তি শিক্ষা না থাকায় অনেক মেধাবী ছাত্রছাত্রীও ভবিষ্যতের চাকরির বাজারে জায়গা করে নিতে পারছে না।

সরকারী পরিকল্পনার ভাঁজে খুঁত

  • সরকারী প্রযুক্তি শিক্ষা পরিকল্পনার দুর্বলতা সম্পর্কে বলতে গেলে—নেতৃস্থানীয় প্রকল্প যেমন ‘ICT@Schools’ ও ‘DIKSHA’ একদিকে শহরমুখী, অন্যদিকে বাংলাভাষা-অবহেলিত।

  • সরকারী উদ্যোগে প্রযুক্তি শিক্ষা উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ হয়তো স্বীকৃত, কিন্তু এখনও পর্যন্ত রূপরেখা বাস্তবায়ন অস্বচ্ছ ও ধীর।

🔍 এক চরম বাস্তবতা:

“যেখানে স্কুল আছে, সেখানে ইন্টারনেট নেই। যেখানে ইন্টারনেট আছে, সেখানে বাংলা নেই। আর যেখানে বাংলা আছে, সেখানে প্রযুক্তির প্রবেশই হয়নি।”

বাংলা মাধ্যমে প্রযুক্তি শিক্ষার অগ্রগতি যদি সত্যি চাওয়া হয়, তাহলে শুধু নতুন প্রকল্প নয়, দরকার ভাষা-সহায়ক সফটওয়্যার, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট এবং সবচেয়ে বড় কথা—একটি সাংগঠনিক মনোভাবের পরিবর্তন

শুধু সরকারী শিক্ষা উদ্যোগ ঘোষণা করলেই হবে না—তা কতটা কার্যকরভাবে বাংলা মাধ্যমে প্রযুক্তি শিক্ষার ভবিষ্যৎ গড়ছে, সেটাই মূল প্রশ্ন।

Class struggles

কেন এই দুর্বলতা?

বাংলা মাধ্যমে প্রযুক্তি শিক্ষার দুর্বলতা শুধু কৌশলগত নয়, একাধিক স্তরে প্রোথিত। নিচে এই দুর্বলতার সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ করা হলো।

 📘 নীতিগত অস্পষ্টতা এবং কাগুজে শিক্ষা বিপ্লব

▪️ সরকারি প্রযুক্তি শিক্ষা পরিকল্পনার দুর্বলতা

  • বহু প্রকল্প যেমন “ICT@Schools”, “e-Vidya”, “DIKSHA” প্রায়শই ইংরেজিমুখী।

  • বাংলা মাধ্যমে প্রযুক্তি শিক্ষা সংযোজনের নির্দিষ্ট দিশা বা টাইমলাইন নেই।

  • সরকারি রিপোর্টে ডিজিটাল শিক্ষা কথা বলা হলেও, বাংলা ভাষায় প্রযুক্তি শিক্ষা কীভাবে চালু হবে — তার কোনও সুস্পষ্ট নীতিমালা নেই।

▪️ প্রকল্প ও বাস্তবতার ফাঁক

  • ২০২4 সালের শিক্ষানীতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে: ১,২০০+ সরকারী বাংলা মাধ্যম স্কুলে কম্পিউটার ল্যাব আছে, কিন্তু ৬৫% ল্যাব চালুই হয় না।

  • প্রকল্পের বাজেট বরাদ্দ থাকলেও, বাস্তবায়নের স্তরে ডিজিটাল শিক্ষার ঘাটতি চোখে পড়ে।

 📡 প্রযুক্তিগত পরিকাঠামোর সংকট

▪️ বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট—প্রকৃত প্রতিবন্ধক

  • গ্রামীণ ও মফস্বল অঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগ এখনও অনিয়মিত। অনেক সময় দিনে ৩-৪ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকে না।

  • সরকারী স্কুলে প্রযুক্তি শিক্ষার অভাব-এর মূল কারণ – ইন্টারনেট নেই, থাকলেও তা 2G মানের।

▪️ যন্ত্র আছে, কিন্তু চালাবার লোক নেই

  • অধিকাংশ স্কুলে ৫-৬টা কম্পিউটার থাকলেও, নষ্ট হয়ে পড়ে আছে কারণ প্রযুক্তি শিক্ষক নেই।

  • যে শিক্ষক গণিত পড়ান, তাকেই অতিরিক্ত দায়িত্বে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা বাংলা ভাষায় নেই এই শূন্যতা পূরণে লাগানো হয়।

 📚 ভাষার প্রতিবন্ধকতা — সবচেয়ে উপেক্ষিত বাস্তবতা

▪️ বাংলা ভাষায় প্রযুক্তি শিক্ষা সামগ্রী বিরল

  • সরকারী ও বেসরকারী প্ল্যাটফর্মে বাংলা ভাষার জন্য ইন্টারেক্টিভ সফটওয়্যার নেই।

  • বাংলা মাধ্যমে প্রযুক্তি শিক্ষার অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয়, কারণ শিশুরা ভাষা বুঝলেও সফটওয়্যারের ভাষা বোঝে না।

▪️ কোডিং বা AI বিষয়ক পাঠ্যবই — বাংলায় নেই

  • বর্তমান AI ও মেশিন লার্নিং-এর যুগে, বাংলা মাধ্যমে এমন কোনো সিলেবাস নেই যেখানে Python বা Scratch শেখানো হয়।

  • তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা বাংলা ভাষায় নেই — এটি শুধু পরিকাঠামো নয়, পাঠ্যক্রমের গাফিলতিও।

 👩‍🏫 শিক্ষক প্রশিক্ষণের অপ্রতুলতা

▪️ প্রযুক্তি শিক্ষার জন্য প্রশিক্ষিত শিক্ষক নেই

  • ২০২3 সালের তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের সরকারী বাংলা মাধ্যম স্কুলে প্রযুক্তি ভিত্তিক শিক্ষা উন্নয়ন করার মত মাত্র ১২% শিক্ষককে ICT প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

▪️ শিক্ষক নিয়োগে টেকনোলজির অগ্রাধিকার নেই

  • WBTET, SLST-এর মতো পরীক্ষায় প্রযুক্তিগত জ্ঞানের গুরুত্ব নেই।

  • ফলে শিক্ষক নিয়োগ হয়েও সরকারী প্রযুক্তি শিক্ষা বাস্তবে হয় না।

 🧠 ছাত্রদের মানসিক বাধা এবং সামাজিক অনাগ্রহ

▪️ প্রযুক্তি মানে ইংরেজি — এই বিভ্রান্তি

  • বাংলা মাধ্যমে প্রযুক্তি শিক্ষা মানেই অনেকের কাছে দুর্বোধ্যতা, কারণ ইংরেজিতে না পারলে “টেক-স্যাভি” হওয়া যায় না — এই ভ্রান্ত ধারণা বহু ছাত্রের মধ্যে।

  • অভিভাবকরাও বাংলা মাধ্যমে ডিজিটাল শিক্ষা পরিকাঠামোর সমস্যা বোঝেন না, ফলে চাহিদা কম।

▪️ গ্লোবাল প্রতিযোগিতা থেকে পিছিয়ে পড়া

  • যেখানে অন্য রাজ্যের ছাত্ররা কিশোর বয়সে কোডিং শিখে ফ্রিল্যান্স করছে, সেখানে সরকারী প্রযুক্তি শিক্ষা পরিকল্পনার দুর্বলতা বাংলা মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পিছিয়ে রাখছে।

 🏛️ ভাষানীতিতে বৈষম্য এবং রাজনৈতিক অবহেলা

▪️ বাংলা ভাষায় প্রযুক্তি শিক্ষা প্রসারে রাজনৈতিক অগোচরতা

  • নীতি নির্ধারক মহলে বাংলা ভাষা ও প্রযুক্তিকে একসঙ্গে ভাবার প্রচেষ্টা খুবই সীমিত।

  • সরকারী উদ্যোগে প্রযুক্তি শিক্ষা উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ তখনই সুরাহা সম্ভব, যখন ভাষাভিত্তিক সমতা নীতিগতভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে।

বাংলা মাধ্যমে প্রযুক্তি শিক্ষা দুর্বলতা শুধুই অবকাঠামোর নয়, বরং এটি একটি ভাষা-নীতিগত, প্রশিক্ষণ-ভিত্তিক ও মানসিকতার সমস্যা
যতদিন না সরকারী প্রযুক্তি শিক্ষা পরিকল্পনার দুর্বলতা মিটিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা বাংলা ভাষায় নেই এই বাস্তবতাকে বদলানো যায়, ততদিন বাংলা মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা ভারতের ডিজিটাল দৌড়ে অংশ নিতে পারবে না।

Bengal: Schools lack basic infrastructure, govt spending Rs 500 cr on  painting them | Kolkata - Hindustan Times

বাস্তব চিত্র: গ্রামের স্কুলগুলোর অবস্থা

সরকারি পরিসংখ্যান আর বাস্তব অভিজ্ঞতা – এই দুইয়ের ফারাকই তুলে ধরে বাংলা মাধ্যমে প্রযুক্তি শিক্ষার দুর্বলতা কতটা গভীরে গাঁথা। গ্রামের সরকারি স্কুলে প্রযুক্তি শিক্ষার অভাব একরকম নিয়মে দাঁড়িয়েছে, আর এর ফলেই ডিজিটাল শিক্ষার ঘাটতি প্রতি বছর আরও প্রকট হয়ে উঠছে।

 💻 “কম্পিউটার আছে, কিন্তু ক্লাস হয় না” — প্রযুক্তি শুধুই প্রদর্শন

▪️ যন্ত্রপাতির উপস্থিতি ≠ কার্যকর শিক্ষা

  • বহু গ্রামের সরকারি স্কুলে কম্পিউটার থাকলেও, ৪০%-এর বেশি মেশিন নষ্ট বা অনাবশ্যক অবস্থায় পড়ে থাকে।

  • কিছু স্কুলে এখনও Windows XP চালু আছে, যার মাধ্যমে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা বাংলা ভাষায় নেই — এমন শিক্ষা দান কার্যত অসম্ভব।

▪️ “ল্যাব” মানে কাগজে-কলমে

  • গ্রামীণ স্কুলগুলিতে “কম্পিউটার ল্যাব” বলতে বোঝানো হয় একটি ছোট ঘরে পুরনো CPU আর একটি UPS — যার মধ্যে কোনও ইন্টারনেট নেই।

  • সরকারি স্কুলে প্রযুক্তি শিক্ষার অভাব এতটাই মারাত্মক যে, ছাত্ররা জানেই না কীভাবে মাউস বা কী-বোর্ড ব্যবহার করতে হয়।

 🧑‍🏫 প্রশিক্ষণবিহীন শিক্ষক, প্রযুক্তি মানেই ‘বাড়তি ঝামেলা’

▪️ শিক্ষকের উপর অতিরিক্ত চাপ

  • একজন গণিত বা ইংরেজির শিক্ষককে দিয়ে “কম্পিউটার ক্লাস” চালাতে বলা হয়, যার ফলে বাংলা মাধ্যমে প্রযুক্তি শিক্ষা কার্যকর হয় না।

  • অধিকাংশ শিক্ষক নিজেরাই কোনও আইসিটি প্রশিক্ষণ পাননি, ফলে ক্লাস নেন নামমাত্রভাবে।

▪️ “দায়িত্ব নয়, বাধ্যবাধকতা” — প্রযুক্তি শেখানো শুধুই ফর্মালিটি

  • শিক্ষকদের মধ্যে এই ধারণা তৈরি হয়েছে যে প্রযুক্তি শিক্ষাটা “অতিরিক্ত কাজ”, ফলে এতে উৎসাহ থাকে না।

  • সরকারিভাবে কোনও গাইডলাইন না থাকায়, সরকারি প্রযুক্তি শিক্ষা কার্যত শিক্ষক-নির্ভর এক অনিয়মিত প্রক্রিয়া হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 📶 প্রযুক্তির জন্য নেই ন্যূনতম পরিকাঠামো

▪️ বিদ্যুৎ = শর্তসাপেক্ষ

  • একাধিক জেলা যেমন মালদা, বাঁকুড়া বা ঝাড়গ্রামে ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকা মানে ভাগ্য। এমন জায়গায় ডিজিটাল শিক্ষার ঘাটতি অস্বাভাবিক নয়।

▪️ ইন্টারনেট? কেবল কাগজে

  • বেশিরভাগ গ্রামের সরকারি স্কুলে প্রযুক্তি শিক্ষার অভাব আছে কারণ সেগুলোর কাছে কোনো ব্রডব্যান্ড সংযোগ নেই।

  • যদি থাকে, তা এতটাই ধীরগতির যে YouTube ভিডিও বা ইন্টারেক্টিভ সফটওয়্যার চালানো অসম্ভব।

 🧒 ছাত্রদের চোখে প্রযুক্তি — “শহরের জিনিস”

▪️ ডিজিটাল ডিভাইস = টাচ ফোন, শিক্ষা নয়

  • গ্রামে থাকা ছাত্রদের কাছে “টেকনোলজি” মানে মোবাইলে YouTube দেখা বা গেম খেলা — শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে সেটিকে ভাবার অভ্যেস নেই।

  • এর প্রধান কারণ, বাংলা ভাষায় প্রযুক্তি শিক্ষা সেভাবে শুরুই হয়নি সরকারি স্তরে।

▪️ Urban-Rural divide স্পষ্ট

  • শহরের স্কুল যেখানে Scratch, Python শেখাচ্ছে, সেখানে গ্রামের ছাত্ররা এখনও Paint-এ ছবি আঁকা শিখছে।

  • এর ফলে বাংলা মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা বাংলা ভাষায় নেই — এই দীর্ঘস্থায়ী বৈষম্য আরও মজবুত হচ্ছে।

 📚 কন্টেন্ট নেই, থাকলেও বাংলা ভাষায় নয়

▪️ সফটওয়্যার ও পাঠ্যবই—দুই-ই ইংরেজি নির্ভর

  • বাংলা মাধ্যমে প্রযুক্তি শিক্ষার দুর্বলতা মূলত এই কারণে, যে যেসব ই-লার্নিং কনটেন্ট বা সফটওয়্যার দেওয়া হয়, সেগুলো ইংরেজিতে তৈরি।

  • শিক্ষার্থীরা পড়তে বা বুঝতেই পারে না, ফলে তা শিক্ষার কাজে লাগেই না।

▪️ শিক্ষার আঙ্গিকে বৈষম্য

  • একই রাজ্যের শহুরে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল AI চর্চা শুরু করেছে, আর গ্রামের সরকারি স্কুলে প্রযুক্তি শিক্ষার অভাব এতটাই যে, ছাত্ররা Excel বা Word-এর নামও শোনেনি।

গ্রামের স্কুলগুলির বাস্তব চিত্র সরকারি পরিসংখ্যানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। প্রযুক্তির নামে যেটুকু পরিকাঠামো আছে, তা ব্যবহারের অযোগ্য। সরকারি প্রযুক্তি শিক্ষা, বাংলা মাধ্যমে প্রযুক্তি শিক্ষা, এবং ডিজিটাল শিক্ষার ঘাটতি — এরা একত্রে এক দুর্ভেদ্য প্রতিরোধ তৈরি করেছে।

যতদিন না এই তিনটি স্তরে (পরিকাঠামো, প্রশিক্ষণ, ভাষা) একযোগে হস্তক্ষেপ করা যায়, ততদিন তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা বাংলা ভাষায় নেই — এই বাস্তবতা শুধুই থাকবে না, বরং আরও জটিল হয়ে উঠবে।

FI Reality Check: Govt schools in bad shape

সরকারি উদ্যোগ: কতটা কার্যকর?

সরকারি প্রযুক্তি শিক্ষা ব্যবস্থাকে মেরামত করার উদ্দেশ্যে প্রচুর প্রকল্প, স্কিম ও ঘোষণার জন্ম হয়েছে। কিন্তু বাস্তবের সঙ্গে মিলিয়ে দেখলে বোঝা যায়—এই উদ্যোগগুলো অধিকাংশই রয়ে গেছে শুধু ঘোষণার স্তরে। বাংলা মাধ্যমে প্রযুক্তি শিক্ষা যেন সরকারি কাগজে চর্চিত শব্দবন্ধ, বাস্তবে যার প্রয়োগ সামান্যই।

 🏛️ “Smart Classroom” প্রকল্পের স্মার্ট প্রতারনা

▪️ কোথায় বাস্তবায়ন?

  • Smart Classroom” চালু হয়েছে এমন দাবি বহু স্কুলে শোনা গেলেও বাস্তবে দেখা যায়, সেই ঘরটি তালাবদ্ধ বা পরিত্যক্ত।

  • শত শত স্কুলে সরকারি প্রযুক্তি শিক্ষা নামে LED স্ক্রিন ও প্রজেক্টর পৌঁছালেও নেই বিদ্যুৎ, নেই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক।

▪️ তথ্যপ্রযুক্তি মানেই “YouTube চালিয়ে রাখা”

  • অনেক স্কুলে “টেক ক্লাস” মানে শিক্ষক YouTube থেকে ভিডিও চালান—যার ভাষা ইংরেজি, বিষয় আধুনিক, আর ছাত্রদের বোধগম্যতার বাইরেই থাকে।

  • এই ব্যবস্থায় তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা বাংলা ভাষায় নেই – এই অভিযোগ শুধু প্রাসঙ্গিক নয়, বরং প্রমাণিত।

 📦 Free Tablets & Devices: হস্তান্তর হল, ব্যবহার হল না

▪️ সরবরাহ বনাম প্রয়োগ

  • বহু জেলায় সরকার free tablet distribution প্রকল্প চালু করেছে—কিন্তু ক’টি ছাত্র জানে কীভাবে সেটি ব্যবহার করতে হয়?

  • এই ডিভাইসগুলোতে সফটওয়্যার ইংরেজিতে, ইন্টারফেস জটিল, আর বাংলা মাধ্যমে প্রযুক্তি শিক্ষা এখানে কার্যত অদৃশ্য।

▪️ “শুধুই দেখানোর জন্য”

  • বহু স্কুলে ট্যাবলেট বা স্মার্টফোন রয়েছে তালিকায়, কিন্তু তা রাখা আছে হেডমাস্টারের আলমারিতে – পরীক্ষার আগে ছবি তুলে পাঠানোর জন্য।

  • বাস্তবে সরকারি স্কুলে প্রযুক্তি শিক্ষার অভাব এতটাই তীব্র যে, ছাত্ররা সেই ট্যাবলেট ছুঁয়েও দেখে না।

 📘 ICT @ School Scheme – রিপোর্টে আছে, মাঠে নেই

▪️ দুর্বল পরিকল্পনা, আরও দুর্বল বাস্তবায়ন

  • ICT@School প্রকল্প চালু হয়েছিল ২০১০ সালে, যার উদ্দেশ্য ছিল সরকারি প্রযুক্তি শিক্ষাকে আধুনিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করা।

  • কিন্তু বাংলা মাধ্যমের জন্য কোনো নির্দিষ্ট সিলেবাস তৈরি হয়নি, ফলে বাংলা মাধ্যমে প্রযুক্তি শিক্ষা কেবল অনুবাদ-নির্ভর, যা ছাত্রদের কাছে অপরিচিত ও কঠিন।

▪️ একঘেয়ে ও বাস্তববর্জিত কনটেন্ট

  • পাঠ্য কনটেন্ট পুরনো, স্ক্রিপ্ট-নির্ভর এবং বাস্তবজ্ঞানহীন—যেমন: এক দশক আগের ব্রাউজার/সফটওয়্যার নিয়ে আলোচনা।

  • ফলে ডিজিটাল শিক্ষার ঘাটতি আরও বেড়ে গেছে, কারণ শেখার প্রক্রিয়াটিই সময়োপযোগী নয়।

 📢 ঘন ঘন নাম বদল, কাজের বদল নয়

▪️ স্কিমের নাম পাল্টানো ≠ ফলপ্রসূতা

  • কখনও “Digital India for Schools”, কখনও “Mission Digital Classroom”, কখনও “ICT Mission”—নামের বাহার থাকলেও সরকারি স্কুলে প্রযুক্তি শিক্ষার অভাব রয়ে গেছে অনাড়ম্বরভাবে।

▪️ হঠাৎ বন্ধ, হঠাৎ চালু – ধারাবাহিকতার অভাব

  • যেসব স্কিমে কিছুটা কাজ হচ্ছিল (যেমন: teacher ICT training), তা মাঝপথেই বন্ধ হয়েছে বরাদ্দ না আসার কারণে।

  • এই ভাঙাগড়ার মধ্যে সরকারি প্রযুক্তি শিক্ষা যেন এক কাগজে আঁকা ভবিষ্যৎ — মাটিতে যার অস্তিত্ব দুর্লভ।

 🧭 রাজ্য বনাম কেন্দ্র: দ্বৈত দায়িত্বে দ্বৈত ব্যর্থতা

▪️ কে দেবে দায়িত্ব – কেন্দ্র না রাজ্য?

  • রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা পুরোপুরি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের উপর নির্ভর করতে গিয়ে একটি দ্বিধাবোধ তৈরি করেছে—কাজটা কার?

  • এই দ্বৈততা থেকে বেরোতে না পারায় বাংলা মাধ্যমে প্রযুক্তি শিক্ষা এখনো একটি “grey zone” হয়ে দাঁড়িয়েছে।

▪️ অনুদান থাকলেও অভিপ্রায় নেই

  • বহু সরকারি প্রকল্পে বরাদ্দ হয়েছে টাকা, কিন্তু ব্যবহারের কোনো স্বচ্ছতা নেই।

  • ফলে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা বাংলা ভাষায় নেই – এই অভিযোগ শুধু ছাত্র নয়, অনেক স্কুল প্রধানেরও।

সরকারি উদ্যোগের অভ্যন্তরে এক গভীর ফাঁক তৈরি হয়েছে – পরিকল্পনার বয়ান আর মাঠের বাস্তবতা একে অপরকে চেনে না।
সরকারি প্রযুক্তি শিক্ষা যতটা প্রকাশ্য বক্তৃতায় আছে, তার এক শতাংশও পৌঁছায় না সরকারি স্কুলে প্রযুক্তি শিক্ষার অভাব দূর করতে।

বাংলা মাধ্যমে প্রযুক্তি শিক্ষা, আজও প্রধানত নামমাত্র — এবং তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা বাংলা ভাষায় নেই বলেই ডিজিটাল ইন্ডিয়ার স্বপ্ন বাংলার গ্রামগঞ্জে এখনও দূরের বাতি।

West Bengal: School reopens despite government's order

ভবিষ্যতের পথ: পুনর্গঠনের জরুরি রূপরেখা

বাংলায় সরকারি প্রযুক্তি শিক্ষা ব্যবস্থা বর্তমানে ভেঙে পড়া কাঠামোর মতো — দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু কার্যত অকেজো। শুধুমাত্র ডিভাইস বিলিয়ে, কিছু মডেল স্কুলের সাফল্য তুলে ধরে বা নামমাত্র ট্রেনিং দিয়ে এই সংকট দূর করা যাবে না। দরকার সুনির্দিষ্ট, বাস্তবসম্মত ও ভাষাভিত্তিক রূপান্তরের।

 🧠 মাতৃভাষাভিত্তিক ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি

▪️ “শুধু অনুবাদ নয়, পুনর্গঠন চাই”

  • বর্তমানে ICT পাঠ্যবইগুলোর অধিকাংশই ইংরেজির সোজা অনুবাদ। এতে neither intuition nor application তৈরি হয় না।

  • বাংলা মাধ্যমে প্রযুক্তি শিক্ষা অর্থাৎ মাতৃভাষায় প্রোগ্রামিং, কোডিং ও কম্পিউটার চিন্তা শেখাতে হলে একেবারে নতুনভাবে কারিকুলাম তৈরি করতে হবে।

▪️ AI এবং ভাষা প্রযুক্তির মেলবন্ধন

  • Google-এর BARD বা Microsoft-এর Copilot-এর মতো এআই টুলগুলোতে আজ বাংলা যুক্ত হচ্ছে, অথচ তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা বাংলা ভাষায় নেই – এটি দ্বন্দ্ব।

  • বাংলা ভাষায় কোডিং শেখানোর প্ল্যাটফর্ম (যেমন: Scratch-এর অনুবাদিত ভার্সন, বা Bangla Logic Flow Diagram) তৈরি করতেই হবে।

 👩‍🏫 টেক-প্রশিক্ষিত শিক্ষক তৈরির নীতি পরিবর্তন

▪️ শিক্ষক প্রশিক্ষণ = একদিনের ওয়ার্কশপ নয়

  • অনেক সরকারি প্রযুক্তি শিক্ষা প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চলছে মাত্র ২-৩ দিনের। এতে কোনো টেক দক্ষতা তৈরি হয় না।

  • দরকার ৬ মাস থেকে ১ বছরের tiered প্রশিক্ষণ: যেমন Level-1: Basic ICT → Level-2: Content Building → Level-3: Ed-Tech Integration।

▪️ ভাষাভিত্তিক ট্রেনিং কন্টেন্ট

  • সরকারি স্কুলে প্রযুক্তি শিক্ষার অভাব দূর করতে প্রশিক্ষণ কনটেন্টকেও বাংলা করতে হবে, যাতে শিক্ষকরাও আত্মবিশ্বাস পান।

 📡 ইন্টারনেট ও ইনফ্রাস্ট্রাকচারে অঞ্চলভিত্তিক পুনর্বিন্যাস

▪️ Connectivity না থাকলে Content অর্থহীন

  • অনেক স্কুলে ট্যাব বা প্রজেক্টর আছে, কিন্তু নেই স্টেবল ইন্টারনেট বা বিদ্যুৎ। এই disconnect ডিজিটাল ব্যবস্থাকে তামাশায় পরিণত করছে।

  • ডিজিটাল শিক্ষার ঘাটতি কাটাতে সরকারকে ব্লক/গ্রামভিত্তিক ইনফ্রা ম্যাপ করতে হবে: কোথায় টাওয়ার নেই, কোথায় বিদ্যুৎ ঘাটতি সবচেয়ে বেশি।

▪️ Local Content Server মডেল

  • ইন্টারনেট না থাকলেও LAN ভিত্তিক “local server” দিয়ে ডিজিটাল কনটেন্ট চালানো সম্ভব – যেমনঃ Kolibri (by Learning Equality)। এর মাধ্যমে বাংলা মাধ্যমে প্রযুক্তি শিক্ষা বাস্তবিক হবে।

 📊 মূল্যায়নব্যবস্থার ডিজিটাল রূপান্তর

▪️ প্রযুক্তি শিক্ষা = নম্বর নয়, দক্ষতা

  • বর্তমানে আইসিটি বিষয়েও পরীক্ষায় নম্বর নির্ধারণ হয় থিওরি দিয়ে। এতে সরকারি প্রযুক্তি শিক্ষা একটি “subject” থেকে যায়, “skill” হয় না।

  • প্রয়োজন “Project-Based Assessment” — যেখানে ছাত্ররা নিজেরা প্রেজেন্টেশন, ছোট সফটওয়্যার, বা ব্লগ বানিয়ে জমা দেবে।

▪️ District Level Ed-Tech Hackathon

  • বিদ্যালয় স্তরের ছাত্রদের জন্য জেলা-ভিত্তিক “Hackathon” বা “Tech Exhibition” করলে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা বাংলা ভাষায় নেই এই ধারনাও বদলাবে ধীরে ধীরে।

 🛠️ নীতিগত সমন্বয়: রাজ্য-কেন্দ্র এক ছাদের নিচে

▪️ কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্যের ভাষা অন্তর্ভুক্তি

  • বর্তমানে কেন্দ্রীয় ডিজিটাল শিক্ষা প্রকল্পে বাংলা ভাষার গুরুত্ব প্রায় শূন্য। এটি বাংলা মাধ্যমে প্রযুক্তি শিক্ষা-কে প্রান্তিক করে দিচ্ছে।

  • শিক্ষা মন্ত্রককে বাধ্যতামূলক করতে হবে—সব স্কিমে আঞ্চলিক ভাষা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

▪️ “One State, One Vision” রূপরেখা

  • প্রত্যেক রাজ্য সরকারের উচিত সরকারি স্কুলে প্রযুক্তি শিক্ষার অভাব কাটাতে নিজের নীতি স্পষ্ট করা: কোন ক্লাসে কী শেখানো হবে, কে শেখাবে, কিভাবে মাপা হবে।

 🎯 Ed-Tech স্টার্টআপ এবং NGO-এর অংশীদারিত্ব

▪️ সরকার একা সফল হবে না

  • উদাহরণস্বরূপ, ‘Pratham Education Foundation’, ‘Agastya International’, ‘Nirman’ – এদের অনেক সফল প্রজেক্ট এখনো বাংলায় রূপান্তর হয়নি।

▪️ স্থানীয় উদ্যোগ ও গণ-অংশগ্রহণ

  • ব্লক বা পঞ্চায়েত স্তরে প্রযুক্তিবিদ, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, কলেজ ছাত্রদের নিয়ে “Community Digital Volunteer” গঠন করা যেতে পারে।

 ভবিষ্যতের দিশা শুধুই উপকরণ নয়, মনোভাবের রূপান্তর

সরকারি প্রযুক্তি শিক্ষা উন্নত করতে হলে শুধু যন্ত্র নয়—চাই উদ্দেশ্য, রূপকল্প, এবং দায়িত্বের সুনির্দিষ্টতা।
যতক্ষণ না বাংলা মাধ্যমে প্রযুক্তি শিক্ষা বাস্তবিকভাবে শ্রেণিকক্ষে ঢুকছে, ততক্ষণ সরকারি স্কুলে প্রযুক্তি শিক্ষার অভাব থেকে যাবে শুধুই সংবাদপত্রের শিরোনামে।
এই মুহূর্তেই প্রয়োজন তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা বাংলা ভাষায় নেই এই বৈষম্য ভাঙার, নতুন পথে হাঁটার, এবং ভবিষ্যৎ গড়ার।

বাংলায় সরকারি প্রযুক্তি শিক্ষা এখনো একটি অসম্পূর্ণ ও উপেক্ষিত অধ্যায়, যেখানে নীতিগত দ্ব্যর্থতা, ভাষাগত প্রতিবন্ধকতা এবং পরিকাঠামোগত দুর্বলতা একসঙ্গে মিলিত হয়েছে। বাংলা মাধ্যমে প্রযুক্তি শিক্ষা এখনো শুধুমাত্র কিছু নির্বাচিত বিদ্যালয়ে সীমাবদ্ধ, আর সরকারি স্কুলে প্রযুক্তি শিক্ষার অভাব এক গভীর বাস্তবতা। যতদিন না তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা বাংলা ভাষায় নেই এই বৈষম্য ভাঙা হচ্ছে, ততদিন ডিজিটাল ভার্সনিং, শিক্ষা সমতা ও ভবিষ্যতের দক্ষতা অর্জন শুধুই কথার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। এখনই সময়—নীতিতে, কাঠামোয় ও দৃষ্টিভঙ্গিতে এক দৃঢ় পরিবর্তনের।

আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ! ❤️আমরা সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের জন্য তথ্যসমৃদ্ধ, আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করতে, যাতে আপনি নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পারেন। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আমাদের সঙ্গে আপনার মতামত শেয়ার করতে চান, তাহলে “যোগাযোগ করুন” ফর্ম ব্যবহার করে সরাসরি আমাদের সাথে কথা বলুন। আমরা আগ্রহের সঙ্গে আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত এবং আপনার প্রতিক্রিয়াকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করি। এছাড়াও, ভবিষ্যতের আপডেট, নতুন নিবন্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস না করতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন—একসঙ্গে জানবো, শিখবো, আর নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্ব দেখবো

Leave a Reply