পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষিত যুবকদের মধ্যে চাকরির সংকট আজ একটি বড় সামাজিক বাস্তবতা। 📉 উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করেও বহু তরুণ-তরুণী দীর্ঘদিন ধরে বেকার। সরকারি চাকরির সংখ্যা সীমিত, আর বেসরকারি ক্ষেত্রে নিয়োগের সুযোগ কমছে। 💼 ফলে, কর্মসংস্থানের অভাব ক্রমশ বাড়ছে, যা রাজ্যের অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলছে।

সূচিপত্র

চাকরি পেতে এত ঝক্কি কেন?

একটা সময় ছিল, যখন ডিগ্রি থাকলেই চাকরি মিলত। এখন? হাজার হাজার আবেদন, তবু হাতে অফার লেটার নেই! 🎓💼

সরকারি চাকরির সংখ্যা কমছে, বেসরকারি ক্ষেত্রে নিয়োগের গতি মন্থর। শিল্প ও বিনিয়োগের অভাবে পশ্চিমবঙ্গে কর্মসংস্থানের বিকল্প পথ খুঁজতে হচ্ছে তরুণ প্রজন্মকে।

এই পরিস্থিতি থেকে বেরোনোর উপায় কী? স্টার্টআপ, স্কিল ডেভেলপমেন্ট, ভোকেশনাল ট্রেনিং—নতুন দিক খুলছে, কিন্তু সবার জন্য সমান সুযোগ কি আছে?

এই লেখায় শিক্ষিত বেকারত্বের কারণ ও সমাধান নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হবে, যাতে বাস্তবসম্মত পথ খুঁজে পাওয়া যায়।

পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষিত বেকারত্বের কারণ: কোথায় ভুল, কেন বাধা?

একটা সময়ে ডিগ্রি থাকলেই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত ছিল। কিন্তু এখন? বাড়ছে শিক্ষিত তরুণ-তরুণী, কমছে কর্মসংস্থানের সুযোগ! কেন এমন হচ্ছে?

সরকারি চাকরির সংকট: সংখ্যা কম, প্রতিযোগিতা তীব্র

  • প্রতি বছর হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বসছেন, কিন্তু চাকরির সংখ্যা তুলনায় নগণ্য
  • এক একটি পদের জন্য হাজারে হাজারে আবেদন জমা পড়ছে, ফলে প্রতিযোগিতা চরমে পৌঁছেছে।
  • অনেক ক্ষেত্রে নিয়োগ প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে, পরীক্ষা হলেও ফলাফল প্রকাশে দেরি

বেসরকারি চাকরির অভাব: শিল্পের পরিকাঠামো দুর্বল

  • পশ্চিমবঙ্গে বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা সীমিত, ফলে বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্র সংকীর্ণ
  • তথ্যপ্রযুক্তি (IT) ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাত বাড়লেও, এখনো বেঙ্গালুরুর মতো কর্মসংস্থানের কেন্দ্র হয়ে ওঠেনি কলকাতা
  • অনেক সংস্থা অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক কর্মসংস্থানের পথে হাঁটছে, নিরাপদ ও দীর্ঘস্থায়ী চাকরি পাওয়া কঠিন

ডিগ্রি আছে, দক্ষতা নেই? শিক্ষাব্যবস্থার ফাঁকফোকর

  • বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা তত্ত্বগত হলেও প্রায়োগিক দক্ষতার অভাব
  • ভোকেশনাল ট্রেনিং ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট যথেষ্ট গুরুত্ব পায়নি, ফলে পড়ুয়ারা চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে।
  • কোম্পানিগুলো চাই অভিজ্ঞ কর্মী, কিন্তু নতুন গ্র্যাজুয়েটদের হাতে সেই অভিজ্ঞতা নেই!

শিল্প ও বিনিয়োগের অভাব: বড় সমস্যার শিকড়

  • অনেক বড় সংস্থা পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগে আগ্রহী নয়, ফলে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে না
  • অবকাঠামো, নীতি এবং কর ব্যবস্থার কিছু জটিলতার কারণে বিনিয়োগকারীরা অন্য রাজ্যের দিকে ঝুঁকছেন
  • ছোট ও মাঝারি শিল্প (MSME) বাড়লেও, তাতে বৃহৎ সংখ্যক শিক্ষিত যুবকের কর্মসংস্থান নিশ্চিত হচ্ছে না

চাকরির বদলে উদ্যোগ—সবাই কি সফল?

  • স্টার্টআপ এবং স্বনির্ভরতার দিকে অনেকেই এগোচ্ছেন, কিন্তু উদ্যোক্তা হওয়া সহজ নয়
  • পুঁজি, অভিজ্ঞতা ও সঠিক গাইডলাইনের অভাবে অনেক নতুন ব্যবসা টিকে থাকতে পারে না
  • সরকারী অনুদান এবং সহজ ঋণের ব্যবস্থা থাকলেও, অনেকেই তথ্যের অভাবে সেগুলোর সদ্ব্যবহার করতে পারছেন না

শিক্ষিত যুবকদের ভবিষ্যৎ: সমস্যা না সমাধান?

শিক্ষার আলোয় আলোকিত হয়ে যারা ডিগ্রির সার্টিফিকেট হাতে পেলেও চাকরির বাজারে তাদের স্থান সংকীর্ণ, তাদের ভবিষ্যৎ কি শুধু হতাশার দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকবে? না কি তারা নিজেদের নতুন পথে চালিত করবে? পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষিত যুবকদের ভবিষ্যৎ আদৌ সমস্যা নাকি সমাধান, তা নির্ভর করছে তাদের মানসিকতা, দক্ষতা আর নতুন দিগন্ত অন্বেষণের ওপর। চলুন, এই সংকটের গভীরে ঢুকে খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করি।

 চাকরির সংকটের ফাঁদে আটকে পড়া: প্রথাগত চিন্তার জালে জড়িয়ে থাকা

অনেক শিক্ষিত যুবক চাকরি পাওয়াটাকেই একমাত্র লক্ষ্য হিসেবে ধরে নেয়। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় শুধু চাকরির অপেক্ষায় বসে থাকা মানে মরীচিকার পিছনে ছোটা।

  • চিরাচরিত সরকারি চাকরির মোহ:
    সরকারি চাকরি পাওয়া যেন এখন লটারি জেতার মতো! হাজার হাজার আবেদন, কিন্তু পদ হাতে গোনা। তবু সরকারি চাকরির মোহ কাটে না। ফল? বছরের পর বছর পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে গিয়ে মূল্যবান সময় নষ্ট।

  • বেসরকারি চাকরির মরীচিকা:
    বড় বড় কর্পোরেট অফিসে চাকরি পেয়ে জীবন সাজানোর স্বপ্নে বিভোর অনেকেই। কিন্তু বাস্তবতা? দক্ষতা আর যোগাযোগ ছাড়া এই চাকরি মেলে না। অনেক ক্ষেত্রেই বেতনও আশানুরূপ হয় না।

Bengal election: Where are the jobs?

 স্কিল গ্যাপ: চাকরির বাজার আর শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে দূরত্ব

শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে চাকরির বাজারের মিল না থাকায় সমস্যায় পড়ছে যুবসমাজ। ডিগ্রি থাকলেও প্রয়োজনীয় দক্ষতার অভাবে তারা পিছিয়ে পড়ছে।

  • অপ্রাসঙ্গিক সিলেবাস:
    কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো বিষয়গুলি অনেক ক্ষেত্রেই বাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কোডিং, ডেটা অ্যানালিটিক্স, ডিজিটাল মার্কেটিং-এর মতো আধুনিক স্কিলের শিক্ষায় ঘাটতি রয়েছে।

  • ইন্টার্নশিপের অভাব:
    পড়াশোনার সঙ্গে বাস্তব অভিজ্ঞতা না থাকলে চাকরির বাজারে টিকে থাকা কঠিন। অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইন্টার্নশিপ বাধ্যতামূলক করে না, ফলে অভিজ্ঞতা ছাড়াই চাকরির ইন্টারভিউ দিতে হয়।

Can you suggest some measures in the education system to mitigate the  problem of the educated unemployed?

 মানসিক চাপ ও হতাশার বেড়াজাল

চাকরির অভাবে বহু যুবক মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ছে। হতাশা, অবসাদ এবং আত্মবিশ্বাসের সংকট ক্রমেই গ্রাস করছে তাদের মনোবল।

  • চাইলে হবেই – এই মোহ:
    অনেকেই মনে করেন, “যতদিন না সরকারি চাকরি পাচ্ছি, ততদিন লড়াই চালিয়ে যাব।” কিন্তু এই দীর্ঘ অপেক্ষার পথে তারা নিজের দক্ষতা বাড়ানো বা বিকল্প পথের সন্ধান থেকে দূরে সরে যান।

  • পরিবারের প্রত্যাশার চাপ:
    চাকরি না পেয়ে বাড়িতে বসে থাকলে সমাজ ও পরিবারের চাপ ক্রমেই বাড়তে থাকে। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের যুবকদের ক্ষেত্রে এই চাপ তীব্র হয়।

 বিকল্প পথে আয়ের সুযোগ: সমস্যায় সমাধানের আলো

চাকরি না পেয়ে হতাশ না হয়ে বিকল্প পথে এগিয়ে গেলে শিক্ষিত যুবকদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হতে পারে। এখন বাজারে এমন অনেক ক্ষেত্র রয়েছে, যেখানে দক্ষতা থাকলেই আয় নিশ্চিত।

  • ফ্রিল্যান্সিং: অনলাইন বিশ্বে দক্ষতার বিকাশ:
    চাকরি না পেলেও ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে (Upwork, Fiverr, Freelancer) কাজ করে কনটেন্ট রাইটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, কোডিং, ডিজিটাল মার্কেটিং-এ আয় করা যায়।
    অজানা তথ্য: পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৪০,০০০+ যুবক বর্তমানে রিমোট ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে আয় করছেন।

  • স্টার্টআপ উদ্যোগ:
    শুধু চাকরি নয়, উদ্যোগপতি হয়ে ওঠাও বিকল্প পথ। ছোট ব্যবসা শুরু করে স্বনির্ভর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
    বাস্তব উদাহরণ: পূর্ব মেদিনীপুরের একজন যুবক, চাকরি না পেয়ে নিজেই জৈব কৃষিপণ্য বিক্রি শুরু করেন। আজ তার ব্যবসা বছরে ১০ লাখ টাকার টার্নওভার ছাড়িয়েছে।

  • উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য সরকারি প্রকল্প:
    পশ্চিমবঙ্গে সরকারের “কর্ম সাথী” প্রকল্পের মাধ্যমে যুবকদের স্বনির্ভর হওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। কম সুদে ঋণ নিয়ে স্টার্টআপ গড়ে তোলার সুযোগ আছে।

 শিক্ষাক্ষেত্রে বদল: চাকরির উপযোগী শিক্ষা

শিক্ষা ব্যবস্থায় বদল আনতে হবে, যাতে শিক্ষিত যুবকদের চাকরির উপযোগী করা যায়।

  • স্কিল-বেইজড শিক্ষা:
    কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রোগ্রামিং, বিজনেস এনালিটিক্স, এআই-এর মতো বিষয় বাধ্যতামূলক করতে হবে, যাতে ছাত্ররা বাজারের উপযোগী হয়।

  • ইন্টার্নশিপ বাধ্যতামূলক করা:
    শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টার্নশিপ বাধ্যতামূলক করা হলে চাকরির বাজারে তাদের চাহিদা বাড়বে।

পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষিত যুবকদের ভবিষ্যৎ শুধুই চাকরির বাজারের ওপর নির্ভরশীল নয়। বিকল্প পথ ধরে দক্ষতা বাড়ালে, নিজেকে আপডেট রাখলে, তাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হতে পারে।

ডিগ্রির বাইরে গিয়ে বাস্তব দক্ষতা অর্জন করাই হল আজকের দিনের মূলমন্ত্র। চাকরির বাজারে না টিকলে, নিজের বাজার তৈরি করুন – এটাই সময়ের দাবি!

Why Majority of West Bengal Youths are not getting Sustainable Jobs?

পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান চাকরির বাজারের চিত্র: বাস্তবতা বনাম প্রত্যাশা

পশ্চিমবঙ্গে চাকরির বাজার যেন এক বিষণ্ণ আয়নার প্রতিচ্ছবি—প্রত্যাশার মুখোশের আড়ালে বাস্তবতার কর্কশ রূপ। চাকরি প্রার্থীদের দীর্ঘ লাইন, হাতেগোনা সুযোগ, আর প্রতিযোগিতার অগ্নিপরীক্ষায় দিনরাত পুড়ছে শিক্ষিত যুবসমাজ। চলুন, খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করি এই বাজারের চলমান চিত্র।

 সরকারি চাকরির বাজার: মরীচিকার পিছনে ছোটা

সরকারি চাকরির প্রতি বাংলার মানুষের মোহ চিরকালীন। সরকারি চাকরির মানে যেন আজও নিশ্চিত ভবিষ্যৎ, সামাজিক মর্যাদা, আর “জীবন সাজানো”র নিশ্চয়তা। কিন্তু বাস্তবে এই চাকরির বাজার এখন এক দুঃস্বপ্ন।

  • অতিরিক্ত প্রতিযোগিতা:
    একটা সরকারি চাকরির জন্য হাজার হাজার আবেদন। WBPSC, SSC, WBCS, RRB—প্রতিটি পরীক্ষায় আবেদনকারীর সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। উদাহরণ হিসেবে, ২০২৩ সালে WBCS প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ২.৫ লক্ষ প্রার্থী অংশ নিয়েছিল, আর পদ ছিল মাত্র ২০০! এই অসম প্রতিযোগিতায় স্বপ্নের চাকরি যেন অনেকের কাছেই দূরাশা।

  • নিয়োগে বিলম্ব আর দুর্নীতি:
    সরকারি চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলেও ফলপ্রকাশে বছরের পর বছর পেরিয়ে যায়। অনেকে পরীক্ষা দিয়েও চাকরি পান না। এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি এই অচলাবস্থার বড় উদাহরণ। ফলে শিক্ষিত যুবসমাজের মধ্যে আস্থাহীনতা বাড়ছে।

 বেসরকারি চাকরির বাস্তবতা: চাকরি আছে, বেতন নেই

বেসরকারি ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ তুলনামূলক বেশি হলেও বেতন আর স্থায়িত্ব নিয়ে রয়েছে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন।

  • কম বেতনে দীর্ঘ পরিশ্রম:
    কলকাতা বা শিলিগুড়ির মতো শহরে বিপণন, কাস্টমার সার্ভিস, ব্যাক-অফিস কাজের সুযোগ থাকলেও, বেতন থাকে ১০-১৫ হাজার টাকার মধ্যে। জীবনযাত্রার ব্যয় বিবেচনায় এই বেতন নিতান্ত নগণ্য।

  • চুক্তিভিত্তিক চাকরি:
    অনেক বেসরকারি সংস্থা চুক্তিভিত্তিক বা আউটসোর্সিং নিয়োগ করছে, যেখানে চাকরির স্থায়িত্ব নেই। ৬ মাস বা ১ বছরের চুক্তির পরে পুনরায় চাকরি খুঁজতে হয়, যা অনিশ্চয়তা বাড়ায়।

 প্রযুক্তির প্রভাব: মানুষের কাজ কেড়ে নিচ্ছে যন্ত্র!

AI এবং অটোমেশন চাকরির বাজারে ইতিমধ্যেই বিশাল প্রভাব ফেলেছে। বহু কোম্পানি মানুষ বদলে সফটওয়্যার বা যন্ত্র ব্যবহার করছে, ফলে চাকরির সুযোগ কমছে।

  • ডিজিটালাইজেশনের কারণে ছাঁটাই:
    ব্যাংক ও ফিনান্স সেক্টরে প্রযুক্তির প্রসারে বহু পদ বিলুপ্ত হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, এখন ব্যাঙ্কিং কাজের বড় অংশ অনলাইনে হওয়ায় ক্লার্ক বা অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে নিয়োগের সংখ্যা কমছে।

  • আইটি সেক্টরে অস্থিরতা:
    পশ্চিমবঙ্গে আইটি সেক্টরে সম্প্রতি ছাঁটাইয়ের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। স্টার্টআপ কোম্পানিগুলো ফান্ডিং সংকটে ভুগছে, যার ফলে অনেকেই চাকরি হারাচ্ছে।

Unemployment Rate in West Bengal, 1993-94 to 2017-18 | Download Scientific  Diagram

 শিল্প সংকট: বিনিয়োগের অভাবে কাজের সুযোগ কম

পশ্চিমবঙ্গে বড় শিল্পের অভাব দীর্ঘদিনের সমস্যা। বাণিজ্যিক শহর হিসেবে কলকাতার নাম থাকলেও, বড় বিনিয়োগের সংকটে কর্মসংস্থান সীমিত।

  • কারখানা কমে যাচ্ছে:
    এক সময়ে পশ্চিমবঙ্গে জুট, চা, এবং টেক্সটাইল শিল্পে প্রচুর কর্মসংস্থান ছিল। কিন্তু শিল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হাজার হাজার শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন। ডানলপ, হিন্দমোটর, শ্রীনিবাস কটন মিল—এসব কারখানা বন্ধ হয়ে আজ শুধুই স্মৃতি।

  • নতুন বিনিয়োগের অভাব:
    বিনিয়োগ আকর্ষণে পশ্চিমবঙ্গ এখনও অনেক পিছিয়ে। শিল্পবান্ধব নীতির অভাবে বড় কোম্পানিগুলি এখানে আসতে চাইছে না। ফলে চাকরির সুযোগও কম।

 স্টার্টআপ ও ফ্রিল্যান্সিং: নতুন আশার আলো

চাকরির বাজারে সংকট থাকলেও, স্টার্টআপ ও ফ্রিল্যান্সিং পশ্চিমবঙ্গে নতুন আশার আলো জ্বালিয়েছে।

  • স্টার্টআপ সংস্কৃতি:
    রাজ্যের যুবকদের মধ্যে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। জৈব কৃষি, হ্যান্ডিক্রাফ্ট, ফুড ডেলিভারি, ই-কমার্স-এর মতো স্টার্টআপ বাড়ছে। ২০২৪ সালে পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৮০০+ নতুন স্টার্টআপ রেজিস্টার হয়েছে।

  • ফ্রিল্যান্সিংয়ে নতুন দিগন্ত:
    চাকরি না পেয়ে অনেকেই কনটেন্ট রাইটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, কোডিং, ভিডিও এডিটিং-এ ফ্রিল্যান্সিং করছে। কাঁথি বা বর্ধমানের মতো ছোট শহরের যুবকরাও ফ্রিল্যান্সিংয়ে মাসে ৩০-৪০ হাজার টাকা আয় করছে।

কর্মসংস্থানের বিকল্প উপায়: সংকটে বাঁচার সৃজনশীল দিশা

পশ্চিমবঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি চাকরির সীমিত সুযোগে শিক্ষিত যুবকদের সামনে এখন বিকল্প কর্মসংস্থানের পথই ভবিষ্যতের সম্ভাবনা। মনের ক্যানভাসে চাকরির ছকে আঁকা স্বপ্ন ছাড়িয়ে স্বনির্ভরতার রঙে নিজেকে রাঙিয়ে তোলা-ই আজকের বাস্তবতা। কিন্তু এই বিকল্প পথ সহজ নয়, বরং সাহস, দক্ষতা আর ধৈর্যের এক লড়াই।

 স্টার্টআপ: ঝুঁকি আছে, তবুও সম্ভাবনার ঝলকানি

স্টার্টআপের হাত ধরে কর্মসংস্থানের নতুন দরজা খুলছে। যেখানে চাকরির সন্ধান নয়, বরং নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সংকল্পই মূল চালিকাশক্তি।

  • নতুন ধারণায় ব্যবসার সূচনা:
    চাকরির বাজারে ধাক্কা খেয়ে অনেক তরুণ-তরুণীই এখন উদ্যোক্তা হওয়ার দিকে ঝুঁকছেন। হ্যান্ডক্রাফ্ট, ফুড ডেলিভারি, ই-কমার্স, ডিজিটাল মার্কেটিং, ক্লাউড কিচেন, ওরগ্যানিক ফার্মিং—এমনই কিছু স্টার্টআপে বিনিয়োগের হার বাড়ছে।

  • উদাহরণ হিসেবে:
    কলকাতার ‘বেকারস হাট’ নামক একটি স্টার্টআপ মাত্র দুই বছরেই বিশাল পরিচিতি পেয়েছে। কয়েকজন তরুণ মিলে বেকারত্বের হতাশা থেকে বেরিয়ে পিঠেপুলি, মিষ্টি আর ফিউশন খাবারের ব্যবসা শুরু করেছিলেন। আজ তারা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ফ্র্যাঞ্চাইজি খুলেছেন।

  • সফলতার চাবিকাঠি:
    স্টার্টআপে সফলতা আসে সঠিক পরিকল্পনা, বাজার বিশ্লেষণ, ডিজিটাল মার্কেটিং এবং গ্রাহক পরিষেবার দক্ষতা দিয়ে। তবে ঝুঁকিও আছে। বিনিয়োগ না পেলে স্টার্টআপ মুখ থুবড়ে পড়ে।

2: Unemployment in India is concentrated among educated youth | Download  Scientific Diagram

 ফ্রিল্যান্সিং: স্কিল থাকলে রাস্তায় রুটি নয়, রেমিটেন্স!

চাকরির সংকটে অনেকেই আজ ফ্রিল্যান্সিং-এর মাধ্যমে আয় করছেন আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টদের থেকে। দক্ষতা থাকলে এই বিকল্প উপায়ে আয় যেমন বেশি, তেমন স্বাধীনতার স্বাদও মেলে।

  • জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্র:

    • কনটেন্ট রাইটিং: ব্লগ, আর্টিকেল, স্ক্রিপ্ট লেখায় প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
    • গ্রাফিক ডিজাইন ও ভিডিও এডিটিং: সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য পোস্টার, ব্যানার বা ভিডিও তৈরি করে অনেকেই মাসে ৩০-৫০ হাজার টাকা আয় করছেন।
    • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ও কোডিং: পশ্চিমবঙ্গের বহু যুবক আজ ফাইভার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডটকম-এ কাজ করছেন, যেখানে আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে ডলার বা ইউরোয় পেমেন্ট আসে।
  • ফ্রিল্যান্সিংয়ের চ্যালেঞ্জ:
    যদিও এখানে প্রতিযোগিতা প্রবল, তবুও ধারাবাহিকভাবে কাজ পেলে এই পেশা অত্যন্ত লাভজনক।

 ভোকেশনাল ট্রেনিং: দক্ষতা বাড়িয়ে বাজার দখল

চাকরির বাজারে এখন শুধু ডিগ্রি নয়, বরং স্পেসিফিক স্কিল বা দক্ষতা-ই বড় প্রভাব ফেলছে। তাই অনেকেই এখন ভোকেশনাল ট্রেনিং নিয়ে বিকল্প উপায়ে চাকরি বা স্বনির্ভর জীবনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।

  • কেন গুরুত্বপূর্ণ?
    টেকনিক্যাল দক্ষতা থাকলে চাকরি খোঁজার ঝামেলা কমে। ওয়েল্ডিং, ইলেকট্রিশিয়ান, মোবাইল রিপেয়ারিং, গাড়ি সার্ভিসিং, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং—এইসব ট্রেনিং নিয়ে যুবকরা সহজেই কাজ পাচ্ছেন।

  • উদাহরণ:
    দক্ষিণ ২৪ পরগনার একদল যুবক ইলেকট্রিক্যাল ট্রেনিং নিয়ে নিজস্ব সার্ভিস সেন্টার খুলেছেন। এখন তারা মাসে ৭০-৮০ হাজার টাকা আয় করছেন, যেখানে আগে ১০ হাজার টাকার বেতনেও চাকরি পেতেন না।

 ক্ষুদ্র ব্যবসা: ছোট থেকে বড় হওয়ার লড়াই

বেকারত্বের মোকাবিলায় ক্ষুদ্র ব্যবসা এখন অনেকের জন্য বিকল্প পথ হয়ে উঠেছে। সামান্য পুঁজি নিয়ে খুচরো ব্যবসা, অনলাইন বিক্রি বা ফুড স্টল খুলে রোজগারের পথ তৈরি করছেন অনেকে।

  • জনপ্রিয় ব্যবসার ধরণ:

    • ফুড ট্রাক বা স্টল: কম পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা। কলকাতায় অনেক তরুণ এখন চটপটি, মোমো, বেকারি পণ্য নিয়ে স্টল খুলছেন এবং মাসে ৩০-৪০ হাজার টাকা আয় করছেন।
    • হোমমেড প্রোডাক্ট: ঘরোয়া খাবার, পিঠে-পুলি, আচার, মোমবাতি বা সাবান তৈরি করে অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে রমরমিয়ে।
  • বিপণনের নতুন কৌশল:
    আজকের বাজারে শুধু দোকান নয়, অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনেকেই ক্রেতা আকর্ষণ করছেন।

Curious Case of Educated Unemployment Problem in India

 কৃষি ও কৃষিভিত্তিক উদ্যোগ: গ্রামীণ বিকল্প সম্ভাবনা

শহুরে চাকরির বাজারের বাইরে গ্রামে বসেই বিকল্প কর্মসংস্থানের এক বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে।
অনেকেই এখন কৃষিভিত্তিক উদ্যোগে সফল হচ্ছেন।

  • জৈব চাষ:
    রাসায়নিক মুক্ত শাকসবজি চাষ করে অনলাইন বা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে অনেক যুবক রোজগার করছেন।
    মুর্শিদাবাদের রাজীব পাল জৈব সবজি চাষ করে মাসে ৬০ হাজার টাকা আয় করছেন, যেখানে আগে তিনি শহরে চাকরির জন্য হন্যে হয়ে ঘুরতেন।

  • দুগ্ধ ও মৎস্যচাষ:
    পশ্চিম মেদিনীপুরে একদল শিক্ষিত যুবক চাকরি না পেয়ে মিলিতভাবে ডেইরি ফার্ম খুলেছেন। মাসে তারা ১.৫ লক্ষ টাকা আয় করছেন, যা চাকরির চেয়েও বেশি।

চাকরির বাজার সংকুচিত হলেও শিক্ষিত যুবকদের বিকল্প পথ খুঁজে নেওয়াই এখন সময়ের দাবি। স্টার্টআপ, ফ্রিল্যান্সিং, ভোকেশনাল ট্রেনিং বা ক্ষুদ্র ব্যবসা—এসবের মধ্যেই লুকিয়ে আছে আত্মনির্ভরতার সম্ভাবনা।

যে সমাজ চাকরিকে জীবনের একমাত্র লক্ষ্য মনে করে, সেই ধারণাকে পাল্টে “চাকরি না পেলে, কাজ তৈরি করবো”—এই মানসিকতা নিয়েই এগোতে হবে। কারণ, বিকল্প উপায়ই আজকের পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থানের আসল চাবিকাঠি!

চাকরি নয়, দক্ষতায় ভবিষ্যৎ

বাঙালির রন্ধ্রে রন্ধ্রে আজও চাকরির মোহ। কিন্তু বাস্তবতার কঠিন অভিঘাতে চাকরির মোহমায়া ছিন্ন করে দক্ষতাকে অস্ত্র করে এগিয়ে যাওয়াই ভবিষ্যতের দিশা। এখন আর শুধুই ডিগ্রির সার্টিফিকেট নয়, প্রয়োজন বাস্তবমুখী দক্ষতা আর সৃজনশীলতা, যা কর্মসংস্থানের নতুন পথ খুলে দিতে পারে।

 বদলে যাওয়া দৃষ্টিভঙ্গি: চাকরির মোহ থেকে মুক্তি

একটা সময় ছিল, যখন সরকারি চাকরিই ছিল জীবনের সর্বোচ্চ লক্ষ্য। কিন্তু আজকের বাস্তবতা ভিন্ন।

  • “চাকরি পেলে জীবন সফল”—এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হচ্ছে।
  • শিক্ষিত তরুণ প্রজন্ম বিকল্প কর্মসংস্থান খুঁজতে বাধ্য হচ্ছেন, কারণ সরকার বা কর্পোরেট জগতে চাকরির সংখ্যা সীমিত, কিন্তু জনসংখ্যার চাপ অপ্রতিরোধ্য।
  • এখন নতুন দক্ষতা রপ্ত করাই বাঁচার মূল অস্ত্র, যেখানে চাকরি না পেয়েও কর্মক্ষমতা হারিয়ে যেতে দেয় না।

 দক্ষতা দিয়ে চাকরিকে হার মানানো

চাকরি না পেলে জীবন থেমে থাকে না। বরং দক্ষতার জোরে নিজের পথ নিজেই গড়ে তোলা সম্ভব।

  • ফ্রিল্যান্সারদের আয় এখন অনেক ক্ষেত্রেই চাকরির চেয়েও বেশি।
    পশ্চিমবঙ্গের অনেক তরুণ-তরুণী গ্রাফিক ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং-এর মাধ্যমে প্রতি মাসে ৫০-৭০ হাজার টাকা রোজগার করছেন।
  • হস্তশিল্প ও অনলাইন ব্যবসায় উত্থান:
    দক্ষতা থাকলে নিজের কাজকে পণ্য করে বাজারজাত করাই আজকের বাস্তবতা। অনেকে অনলাইনে হ্যান্ডক্রাফ্ট, পেইন্টিং বা হোমমেড প্রোডাক্ট বিক্রি করে সফল হচ্ছেন।

 নতুন প্রজন্মের মানসিকতা: চাকরি নয়, উদ্যোক্তা হওয়ার আকাঙ্ক্ষা

আজকের যুবসমাজ আর শুধু চাকরির পেছনে ছোটে না, বরং উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছে।

  • স্টার্টআপ কালচার:
    পশ্চিমবঙ্গের অনেক তরুণ ‘ফুড ট্রাক’, ‘ডিজিটাল এজেন্সি’, ‘ওরগ্যানিক ফার্মিং’-এ বিনিয়োগ করে সফলতা পেয়েছেন।
  • উদ্যোক্তা মানসিকতা বাড়ছে:
    এখন তরুণেরা বিশ্বাস করেন—”চাকরি চাই না, চাকরি দেবো।”
    নিজের দক্ষতা ও সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে বাজারের চাহিদা মেটানোই ভবিষ্যতের পথ।

MacroScan (Printable Version) - Employment trends in West Bengal

 প্রযুক্তির হাত ধরে দক্ষতার বিকাশ

প্রযুক্তি শুধু জীবনকে সহজ করছে না, বরং দক্ষতার বিকাশের নতুন নতুন সুযোগও করে দিচ্ছে।

  • অনলাইন কোর্স:
    প্রথাগত শিক্ষার বাইরে, এখন তরুণরা অনলাইনে প্রোগ্রামিং, ডিজাইনিং, ভিডিও এডিটিং, ব্লগিং শিখছেন এবং আয় করছেন।
  • গ্লোবাল প্ল্যাটফর্মে কাজ:
    ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে কাজ করে কলকাতা, বাঁকুড়া, মেদিনীপুরের তরুণরা আমেরিকা, ইউরোপের ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে ডলার-ইউরোয় পেমেন্ট পাচ্ছেন।

 বিকল্পের মধ্যেই ভবিষ্যৎ: কাজ মানেই চাকরি নয়

আগামী দিনে কর্মসংস্থানের সংজ্ঞাই বদলে যাবে।

  • চাকরি হবে বিলাসিতা, দক্ষতা হবে বাঁচার হাতিয়ার।
  • দক্ষতা থাকলে মানুষ নিজের পথ নিজেই তৈরি করতে পারবে—কখনও উদ্যোক্তা, কখনও ফ্রিল্যান্সার, আবার কখনও কৃষিভিত্তিক বা শিল্পকেন্দ্রিক কর্মসংস্থান গড়ে তুলবে।
  • ভবিষ্যতের দুনিয়ায় “চাকরি না পেয়ে বেকার” নয়, বরং “চাকরি না পেয়ে বিকল্প পথ খুঁজে নেয়”—এই মানসিকতাই এগিয়ে দেবে।

পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষিত বেকারত্বের সংকট আজ কঠিন বাস্তবতা। শুধুমাত্র সরকারি বা বেসরকারি চাকরির অপেক্ষায় বসে থাকলে সমাধান মিলবে না। নতুন যুগে চাকরির বাইরে বিকল্প কর্মসংস্থানের পথই ভবিষ্যৎ গড়বে। দক্ষতা উন্নয়ন, স্টার্টআপ উদ্যোগ, ফ্রিল্যান্সিং ও ভোকেশনাল ট্রেনিং-এর মাধ্যমে শিক্ষিত যুবকদের আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠাই জরুরি।
“চাকরি না পাওয়া মানে হেরে যাওয়া নয়”—এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে এসে, দক্ষতা আর উদ্ভাবনকে অস্ত্র করেই আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গের তরুণ প্রজন্ম নতুন দিশা দেখাবে।

আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ! ❤️আমরা সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের জন্য তথ্যসমৃদ্ধ, আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করতে, যাতে আপনি নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পারেন। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আমাদের সঙ্গে আপনার মতামত শেয়ার করতে চান, তাহলে “যোগাযোগ করুন” ফর্ম ব্যবহার করে সরাসরি আমাদের সাথে কথা বলুন। আমরা আগ্রহের সঙ্গে আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত এবং আপনার প্রতিক্রিয়াকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করি। এছাড়াও, ভবিষ্যতের আপডেট, নতুন নিবন্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস না করতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন—একসঙ্গে জানবো, শিখবো, আর নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্ব দেখবো

Leave a Reply