পশ্চিমবঙ্গে বেআইনি Sand Mine ব্যবসা ঘিরে বড়সড় পদক্ষেপ নিল ED। সোমবার সকাল থেকে বিভিন্ন জেলায় একযোগে তল্লাশি চালিয়ে তদন্তকারীরা খুঁজছেন অর্থপাচারের প্রমাণ। ঝাড়গ্রামের ব্যবসায়ী শেখ জহিরুল-সহ একাধিক Sand Mine মালিকের বাড়ি ও অফিসে হানা দিয়ে আর্থিক নথি খতিয়ে দেখছে ED।

Story Highlights:

  • কলকাতা ও একাধিক জেলায় একযোগে ED-র অভিযান

  • ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে ব্যবসায়ী শেখ জহিরুলের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি

  • বেলিয়াবেরিয়া ও জামবনি ব্লকে আরও Sand Mine মালিকদের ঘরে অভিযান

  • অর্থপাচারের টাকা Insurance Company ও ব্যবসায় ঢালার সন্দেহ

কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় সোমবার সকাল থেকে একযোগে অভিযান চালাল Enforcement Directorate (ED)। বেআইনি Sand Mine থেকে অর্থপাচারের অভিযোগ ঘিরে এই তল্লাশি অভিযান চলে। জহরগ্রাম, বেহালা, রিজেন্ট পার্ক, বিধাননগর ও কল্যাণী-সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহযোগিতায় হানা দেয় তদন্তকারী সংস্থা।

মূল অভিযুক্ত শেখ জহিরুল

তদন্তে মূল কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে ঝাড়গ্রামের ব্যবসায়ী শেখ জহিরুলের নাম। সুবর্ণরেখা নদীর তীরে গোপীবল্লভপুরে তাঁর বাড়ি ঘিরেই শুরু হয় অভিযান। ইডি-র এক আধিকারিক জানিয়েছেন,
“জহিরুলের বাড়ি, অফিস ও গাড়ি সবকিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বহুদিন ধরেই বেআইনি Sand Mine থেকে মুনাফা তুলছিলেন।”

জহিরুলের অতীত নিয়েও খোঁজ নিচ্ছেন তদন্তকারীরা। একসময় তিনি গ্রাম পুলিশ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরে Sand Mine ব্যবসায় প্রবেশ করে ধীরে ধীরে বহু খনি ও ব্যবসার মালিক হয়ে ওঠেন।

অন্য Sand Mine মালিকদের ঘরে অভিযান

শুধু জহিরুল নন, আরও কয়েকজন Sand Mine মালিককেও নজরে রেখেছে ED। ঝাড়গ্রামের বেলিয়াবেরিয়া ও জামবনি ব্লকে বেশ কিছু ব্যবসায়ীর বাড়ি ও দফতরে একযোগে তল্লাশি চালানো হয়। এক আধিকারিকের কথায়,
“এই নেটওয়ার্কে আরও বহু মানুষ যুক্ত। বেআইনি Sand Mine থেকে যে আর্থিক লেনদেন হয়েছে, তার খোঁজে আমরা প্রমাণ সংগ্রহ করছি।”

অর্থপাচারের সন্দেহ

অভিযানের মূল ফোকাস আর্থিক লেনদেন ও অর্থপাচারের দিকটি। তদন্তকারীদের প্রাথমিক ধারণা, Sand Mine থেকে উপার্জিত বিপুল অর্থ Insurance Company ও অন্যান্য ব্যবসায় ঢোকানো হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর,
“আমরা বিভিন্ন বীমা সংস্থা ও ব্যবসায় বিনিয়োগের নথি খতিয়ে দেখছি। বিপুল পরিমাণ অর্থ গোপনে সরিয়ে ফেলার চেষ্টা হয়েছে।”

তদন্তে জোর

পুরো ঘটনার তদন্ত জুড়ে ED-র লক্ষ্য, বেআইনি Sand Mine ব্যবসা থেকে অর্থের উৎস ও প্রবাহ চিহ্নিত করা। একাধিক জায়গায় তল্লাশি চলার পাশাপাশি আর্থিক নথি, ব্যবসার রেকর্ড ও সম্পত্তির খোঁজ করা হচ্ছে। তদন্তকারীদের দাবি, এই অভিযান থেকে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র মিলবে, যা বৃহত্তর চক্রকে ধরতে সাহায্য করবে।

পুরো অভিযানকে ঘিরে স্পষ্ট হয়েছে যে বেআইনি Sand Mine ব্যবসা শুধু পরিবেশ নয়, আর্থিক ব্যবস্থাকেও বড়সড়ভাবে প্রভাবিত করছে। এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত অর্থপাচার ও অবৈধ বিনিয়োগের দিকটি চিহ্নিত করতে এখন সর্বশক্তি দিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে ED। সংস্থার দাবি, সংগৃহীত প্রমাণ ভবিষ্যতে আরও বড় নেটওয়ার্কের যোগসূত্র উন্মোচন করবে।
আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ! ❤️আমরা সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের জন্য তথ্যসমৃদ্ধ, আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করতে, যাতে আপনি নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পারেন। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আমাদের সঙ্গে আপনার মতামত শেয়ার করতে চান, তাহলে “যোগাযোগ করুন” ফর্ম ব্যবহার করে সরাসরি আমাদের সাথে কথা বলুন। আমরা আগ্রহের সঙ্গে আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত এবং আপনার প্রতিক্রিয়াকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করি। এছাড়াও, ভবিষ্যতের আপডেট, নতুন নিবন্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস না করতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন—একসঙ্গে জানবো, শিখবো, আর নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্ব দেখবো

Leave a Reply