কলকাতার গবরা গোরস্থান রোডে শুক্রবার ঘটে গেল চাঞ্চল্যকর ঘটনা। Durga Puja চাঁদা নিয়ে এক ব্যবসায়ীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ঘিরে উত্তাল এলাকা। পুলিশ সূত্রে খবর, স্থানীয় একটি ক্লাবের পক্ষ থেকে ১০,০০০ টাকা চাঁদা দাবি করা হলে ব্যবসায়ী অমিত সরকার সেই টাকা দিতে অস্বীকার করেন। সেই কারণেই নাকি তাঁকে মারধর করা হয়। এই ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় TMC সদস্যদের নাম উঠে এসেছে।
📌 STORY HIGHLIGHTS
Durga Puja চাঁদা নিয়ে ব্যবসায়ীর উপর হামলার অভিযোগ
দাবি করা হয় ১০,০০০ টাকা চাঁদা
ব্যবসায়ীর পরিবারকেও হেনস্থা
স্থানীয় TMC সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ
মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন
তপসিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের
অভিযোগকারী অমিত সরকার জানিয়েছেন, “হঠাৎ করেই চাঁদার অঙ্ক ১০,০০০ টাকা করে দেয়। তারা যখন আমার বাড়িতে আসে, প্রথমে আমার ভাইকে গালাগালি করতে থাকে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি সেখানে গেলে উত্তপ্ত কথা কাটাকাটি হয়। হঠাৎ কয়েকজন আমাকে মারধর শুরু করে। আমার স্ত্রী, বাবা ও ভাই থামাতে গেলে তাঁদেরও হেনস্থা ও মারধর করা হয়। আমাদের বাঁশ, লোহার রড দিয়ে মারা হয়।”
অমিত সরকারের কথায় উঠে এসেছে তাঁর পূর্বেকার সম্পর্কের বিষয়ও। তিনি বলেছেন, “যারা এসেছিল, সবাই স্থানীয় TMC-র সঙ্গে যুক্ত। আমি ২০১২ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত এই ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। আমি ক্লাবের সচিব ও Durga Puja কমিটির সচিবও ছিলাম। তবে ২০২৪ সালে ক্লাব ছেড়েছি। যদিও আমি এখনো TMC-র সঙ্গে যুক্ত আছি।”
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়াও দেখা দিয়েছে। BJP নেতা সাজল ঘোষ এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “TMC এখন অপরাধীদের দল হয়ে গেছে। তারা সবসময় তোলাবাজি বা দুর্নীতিতে যুক্ত। এই দুষ্কৃতীরা কারোর ভয় পায় না কারণ তারা জানে পুলিশ কিছু করতে পারবে না।”
অন্যদিকে TMC-র পক্ষ থেকে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া এসেছে। TMC নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য ঘটনাটিকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, “এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। এরকম ঘটনা রোধ করতে মুখ্যমন্ত্রী Durga Puja কমিটিগুলোর জন্য ভাতা চালু করেছিলেন। তাই এমন ঘটনা গ্রহণযোগ্য নয়, পুলিশকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।”
এই ঘটনার পর Durga Puja চাঁদা ও স্থানীয় ক্লাব রাজনীতি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়েও নানা মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, প্রশাসন যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেয় এবং Durga Puja-কে কেন্দ্র করে এমন ঘটনা আর না ঘটে।
কলকাতার গবরা গোরস্থান রোডের এই ঘটনা স্পষ্ট করে দিল যে Durga Puja-কে কেন্দ্র করে চাঁদা ও ক্লাব রাজনীতি এখন কতটা তীব্র আকার নিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগে TMC-র নাম উঠে আসায় রাজনৈতিক বিতর্ক আরও বাড়ছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে, কিন্তু এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে—Durga Puja-র মতো এক সামাজিক উৎসবের আবহে চাঁদা তোলার নামে কীভাবে এমন হিংসা হতে পারে এবং TMC-র নেতৃত্বাধীন প্রশাসন কি সত্যিই কঠোর পদক্ষেপ নেবে? সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা, Durga Puja ও সামাজিক উৎসবের নামে আর যেন কোনও চাঁদাবাজি বা হিংসা না ঘটে এবং আইনশৃঙ্খলা অটুট থাকে।