ভারতের সংবিধানের অলিখিত রেখায় এক সাহসী কালি টানলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, আর সেই কলম চালনার নেপথ্যে ছিলেন দেশের অন্যতম কৌশলী শীর্ষ আইন কর্মকর্তারা। রাজ্যপালদের বিল আটকে রাখার সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে উত্থাপিত ১৪টি জটিল প্রশ্ন ভারতীয় রাজনীতিকে এক নতুন মোড়ে দাঁড় করিয়েছে। এই প্রশ্নপত্র ছিল না কেবল মাত্র কৌতূহল, ছিল এক সুস্পষ্ট বার্তা—সংবিধান নিয়ে আর আবেগ নয়, এবার ব্যাখ্যা চাই। প্রশ্ন উঠে যায়—এবার কি রচনার শুরু, এক নতুন আইনি অধ্যায়ের?

সূচিপত্র

রাষ্ট্রপতির প্রশ্নপত্রের প্রেক্ষাপট: এক নিঃশব্দ সাংবিধানিক কৌশল

ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু যখন সুপ্রিম কোর্টের দরজায় ১৪টি সংবিধানগত প্রশ্ন পাঠালেন, তখন তা ছিল না শুধুমাত্র আইনি পরামর্শ চাওয়া—বরং ছিল এক সূক্ষ্ম বার্তা। এই প্রশ্নপত্র তৈরি ছিল সম্পূর্ণ এক অন্তরালে, যেখানে মুখ্য পরিচালক ছিলেন দেশের অভিজ্ঞ ও বিচক্ষণ শীর্ষ আইন কর্মকর্তারা। নিচে প্রতিটি দিক বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো—

 রাষ্ট্রপতির প্রশ্ন: মুখবন্ধ নাকি আঘাত?

▪ রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক ক্ষমতার পূর্ণ ব্যবহার

  • ভারতের রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ১৪৩(১) ধারা ব্যবহার করে সুপ্রিম কোর্টকে সরাসরি প্রশ্ন পাঠান—a rare but potent constitutional weapon।

  • রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু কার্যত বুঝিয়ে দেন—এই পদ শুধুই আনুষ্ঠানিক নয়, বরং রাষ্ট্রের গঠনমূলক দিকনির্দেশনার এক শীর্ষ অবস্থান।

▪ প্রশ্নপত্র: রাজ্যপালের বিল আটকে রাখার যৌক্তিকতা

  • প্রশ্নগুলি মূলত রাজ্যপাল কর্তৃক রাজ্যের বিল আটকে রাখার আইনগত অধিকার, দায়িত্ব ও সময়সীমা নিয়ে।

  • শীর্ষ আইন কর্মকর্তারা প্রতিটি প্রশ্ন এমনভাবে কাঠামোবদ্ধ করেছেন, যাতে সুপ্রিম কোর্ট নিরপেক্ষ এবং স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে বাধ্য হয়।

 প্রশ্ন তৈরির নাটাই কার হাতে?

▪ গোপন পরিকল্পনার নায়করা

  • অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরামানি, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা, এবং আইন মন্ত্রণালয়ের কিছু গোপন সদস্য ছিলেন এই পরিকল্পনার কাণ্ডারী।

  • এই শীর্ষ আইন কর্মকর্তারা এক মাসব্যাপী আলোচনার মাধ্যমে ১৪টি প্রশ্ন একত্র করেন, ভাষা চয়নে ছিল অদ্ভুত সূক্ষ্মতা।

▪ ভাষা: আদালতকেও চাপে ফেলার কৌশল

  • প্রশ্নগুলো সরাসরি নয়, বরং ব্যতিক্রমী শব্দ ও কাঠামোয় সাজানো—যাতে সুপ্রিম কোর্ট সহজে পাশ কাটিয়ে যেতে না পারে।

  • উদাহরণস্বরূপ, প্রশ্নে “reasonable time” বা “constitutional discretion”-এর মতো শব্দ ব্যবহারে বাধ্য করেছেন শীর্ষ আইন কর্মকর্তারা, যা আদালতের ব্যাখ্যার দায় তৈরি করে।

 রাষ্ট্রপতির এই পদক্ষেপ: আইনি দায়িত্ব না রাজনৈতিক বার্তা?

▪ সমান্তরাল বার্তা প্রশাসনের দিকে

  • দ্রৌপদী মুর্মু-র এই প্রশ্ন সুস্পষ্ট বার্তা পাঠায় রাজ্যপালদের—তাঁদের কাজের উপরে এখন রাষ্ট্রপতির চোখ রয়েছে।

  • ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রশাসনিক ভারসাম্য রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছেন, যা অতীতে খুব কমই দেখা গেছে।

▪ আইনি দায়বদ্ধতার জাল তৈরি

  • রাষ্ট্রপতির প্রশ্নপত্র এখন শুধু সুপ্রিম কোর্ট নয়, ভবিষ্যতের প্রশাসন ও রাজ্যপালদের দায়বদ্ধতার দিশা দেখাবে।

  • এই পদক্ষেপে শীর্ষ আইন কর্মকর্তারা কার্যত একটি আইনি মানদণ্ড গড়ে দিচ্ছেন, যা ভবিষ্যতের বিতর্ককে দমন করতে পারে।

 কেন এই মুহূর্তেই প্রশ্ন উত্থাপন?

▪ ৮ এপ্রিলের সুপ্রিম কোর্ট রায়: সূত্রপাত

  • ৮ এপ্রিল ২০২৪-এ সুপ্রিম কোর্ট তামিলনাড়ু রাজ্যপালের বিল আটকে রাখা প্রশ্নে রায় দেয়—এটাই ছিল রাষ্ট্রপতির প্রশ্ন তৈরির অনুপ্রেরণা।

▪ রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে কৌশলী চাপ

  • সেই রায়ের পরই ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু একটি সাংবিধানিক গতি সঞ্চার করেন, এবং শীর্ষ আইন কর্মকর্তারা তা বাস্তবায়নের দায় নেন।

এই প্রশ্নপত্র শুধুই রাষ্ট্রপতির একটি প্রশাসনিক পদক্ষেপ নয়—এটি এক সাংবিধানিক ঘূর্ণিঝড়ের সূচনা। ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং তাঁর আশেপাশের শীর্ষ আইন কর্মকর্তারা দেখিয়ে দিলেন, সংবিধানিক নীরবতা ভেঙে নেতৃত্ব দেওয়া কাকে বলে। রাষ্ট্রের শীর্ষপদ আজ শুধু ‘symbolic head’ নয়, বরং ‘strategic commander of constitutional equilibrium’—এবার তা আবারও প্রমাণিত হলো।

President Droupadi Murmu invokes Article 143(1) to question SC's ruling fixing deadlines for Guvs - The Economic Times

শীর্ষ আইন কর্মকর্তাদের ভূমিকা: নেপথ্যের আইন-যুদ্ধের কারিগর

ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু যখন সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয়ে ১৪টি অসামান্য সাংবিধানিক প্রশ্ন উত্থাপন করেন, তখন এর কারিগর হিসেবে কাজ করেন একদল সুদক্ষ, বিচক্ষণ এবং রাজনৈতিক দূরদর্শিতায় পারদর্শী শীর্ষ আইন কর্মকর্তারা। তাঁরা ছিলেন নীরব চালক, যাঁরা আইন ও প্রশাসনের মধ্যবর্তী সূক্ষ্ম সীমারেখায় এক অভূতপূর্ব কৌশল এঁকে দেন।

 শীর্ষ আইন কর্মকর্তারা: কাদের বোঝায়?

▪ মূল কেন্দ্রীয় চরিত্ররা কারা ছিলেন?

  • অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরামানি: ভারতের সর্বোচ্চ আইন উপদেষ্টা, যিনি রাষ্ট্রপতির নির্দেশে প্রথম এই প্রশ্নের কাঠামো তৈরি শুরু করেন।

  • সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা: কেন্দ্রের প্রতিনিধি হিসেবে সর্বোচ্চ আদালতে যিনি আইনের ব্যাখ্যা দেন, তাঁর পরামর্শ ছিল প্রশ্নে সুস্পষ্ট সাংবিধানিক টার্ম জুড়ে দেওয়া।

  • সঙ্গে ছিলেন আইন মন্ত্রকের বাছাই করা একাধিক সিনিয়র আইন কর্মকর্তা এবং সংবিধান বিশেষজ্ঞ।

মূল বার্তা: ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু কোনও রাজনৈতিক দল নয়, বরং শীর্ষ আইন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ ব্যাখ্যার উপর ভিত্তি করে সাংবিধানিক প্রশ্ন উত্থাপন করেন।

 গোপন মিটিং ও প্রশ্নপত্র নির্মাণ কৌশল

▪ আইনসভা নয়, নির্বাহী নয়—এ এক গোপন “লিগ্যাল ওয়ার রুম”

  • রাষ্ট্রপতির বাসভবনে আইন কর্মকর্তাদের একাধিক রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়, যেখানে প্রাসঙ্গিক রায়, সংবিধানের ধারা এবং অতীতের নজির খতিয়ে দেখা হয়।

  • প্রতিটি প্রশ্ন এমনভাবে তৈরি করা হয় যাতে সুপ্রিম কোর্ট “অপিনিয়ন” দিতে বাধ্য হয়—এটা ছিল শীর্ষ আইন কর্মকর্তাদের মাষ্টারস্ট্রোক।

▪ শব্দচয়নের চমক: ‘রিজনেবল টাইম’ বা ‘কনস্টিটিউশনাল ডিউটি’

  • এই প্রশ্নগুলো ছিল আইনগতভাবে তীক্ষ্ণ অথচ ব্যাখ্যাযোগ্য।

  • শীর্ষ আইন কর্মকর্তারা ইচ্ছাকৃতভাবে অস্পষ্ট আইনি পরিভাষা ব্যবহার করেন, যাতে আদালতের ব্যাখ্যা একপ্রকার বাধ্যতামূলক হয়ে পড়ে।

 রাজ্যপাল বিতর্ককে আইনি কাঠামোয় বেঁধে ফেলা

▪ ‘রাজ্যপাল বনাম রাজ্য সরকার’ বিতর্কে নতুন মোড়

  • প্রশ্নগুলো বিশেষভাবে রাজ্যপালদের বিল আটকে রাখার অধিকার, দায়িত্ব ও সীমা নিয়ে—যা রাজনৈতিক বিতর্ককে আইনি প্রশ্নে পরিণত করেছে।

দ্রৌপদী মুর্মু-র পক্ষ থেকে রাজ্যপালদের ‘অশরীরী নিয়ন্ত্রক’

  • রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে, শীর্ষ আইন কর্মকর্তারা কার্যত সাংবিধানিক কাঠামোয় রাজ্যপালদের নিয়ন্ত্রণে আনার এক সাংবিধানিক পথে হেঁটেছেন।

 এই ভূমিকার তাৎপর্য: নিছক পরামর্শ নয়, ভবিষ্যতের রূপরেখা

▪ পূর্ববর্তী রাষ্ট্রপতিরা যা করেননি, তা করলেন দ্রৌপদী মুর্মু

  • অতীতে কোনও ভারতের রাষ্ট্রপতি এত সুচিন্তিত ও তীক্ষ্ণ ভাষায় প্রশ্ন তৈরি করে আদালতের কাছে যাননি।

  • শীর্ষ আইন কর্মকর্তারা এই পদক্ষেপের মাধ্যমে এক নজির সৃষ্টি করেছেন।

▪ ভবিষ্যতের প্রশাসনিক মানদণ্ড তৈরি

  • এই প্রশ্নগুলোর উত্তর শুধু এই মুহূর্তে নয়, ভবিষ্যতের রাজনৈতিক-প্রশাসনিক রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু-র মাধ্যমে শীর্ষ আইন কর্মকর্তারা দেখিয়ে দিলেন, নীরবতা মানেই দুর্বলতা নয়—তা হতে পারে এক তীক্ষ্ণ প্রতিরোধের কৌশল। এই আইন কর্মকর্তারা কোনও দলের মুখপাত্র নয়, বরং সংবিধানের চিরন্তন ব্যাখ্যাকারক। তাঁদের এই ভূমিকা ভারতীয় সংবিধানের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় রচনা করল।

Presidential reference puts Supreme Court in a bind

প্রশ্নপত্রের মূল বিষয়বস্তু: আইনের পৃষ্ঠায় রাষ্ট্রপতির সুসংহত কৌশল

ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু যে ১৪ দফা প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টে পাঠিয়েছেন, তা নিছক আইনি কৌতূহল নয়—এ এক সুপরিকল্পিত সাংবিধানিক কৌশল। শীর্ষ আইন কর্মকর্তারা এই প্রশ্নমালার মাধ্যমে রাজনৈতিক অব্যবস্থার বিরুদ্ধে এক প্রকার ‘সংবিধানিক ফাঁদ’ পেতেছেন—যার জবাব দিতে বাধ্য সুপ্রিম কোর্ট।

 প্রশ্নগুলির বৈশিষ্ট্য: আইনের ধারায় সূক্ষ্ম কৌশল

▪ সরাসরি নয়, ঘুরিয়ে করা হয়েছে প্রশ্ন

  • দ্রৌপদী মুর্মু স্পষ্ট কোনও একতরফা ব্যাখ্যা দেননি; বরং শীর্ষ আইন কর্মকর্তারা প্রশ্নগুলিতে রেখেছেন আইনি অস্পষ্টতা।

  • শব্দ যেমন—“উপযুক্ত সময়”, “বিলম্বহীন অনুমোদন”, “কর্তব্যবোধ”—এসবের সংজ্ঞা নেই সংবিধানে, যা সুপ্রিম কোর্টকে জবাব দিতে বাধ্য করবে।

▪ প্রতিটি প্রশ্নের নেপথ্যে ছিল রাজনৈতিক বাস্তবতা

  • রাজ্যপালদের বিল আটকে রাখার প্রবণতা, প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ, ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাত—এসবেরই সাংবিধানিক উত্তর চাওয়া হয়েছে।

 প্রশ্নগুলির শ্রেণিবিন্যাস: আইন, রাজনীতি ও প্রশাসনের সীমারেখায়

▪ প্রথম ৬টি প্রশ্ন: রাজ্যপালের বিল সংক্রান্ত ভূমিকা

  • কেন রাজ্যপালরা রাজ্য সরকারের অনুমোদিত বিল আটকে রাখেন?

  • ভারতের রাষ্ট্রপতি জানতে চেয়েছেন, এই বিলম্ব সংবিধানসম্মত কিনা।

🔍 উল্লেখযোগ্য: এক প্রশ্নে বলা হয়েছে, “রাজ্যপাল কি ইচ্ছাকৃতভাবে বিল পাস আটকে রাখতে পারেন?” — একটি মারাত্মক সাংবিধানিক প্রশ্ন।

▪ পরবর্তী ৫টি প্রশ্ন: ‘কর্তব্য বনাম ক্ষমতা’ বিতর্ক

  • প্রশ্নগুলি চ্যালেঞ্জ করেছে, রাজ্যপালের পদ সাংবিধানিক প্রতীক না কার্যকরী অভিভাবক?

  • শীর্ষ আইন কর্মকর্তারা পরোক্ষে দাবি করেছেন, রাজ্যপালের কিছু কার্যকলাপ মূল সংবিধানের পরিপন্থী।

▪ শেষ ৩টি প্রশ্ন: আদালতের মতামতের বাধ্যতামূলকতা

  • দ্রৌপদী মুর্মু জানতে চেয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ কি ভবিষ্যতে বাধ্যতামূলক দৃষ্টান্ত হতে পারে?

 প্রতিটি শব্দে কৌশল: আইনের ‘খেলা’ ভাষাতেই

▪ “রাষ্ট্রপতির বাধ্যবাধকতা” – শব্দটির কৌশলী ব্যাখ্যা

  • ভারতের রাষ্ট্রপতি নিজেই কতটা বাধ্য আদালতের মতামত মানতে—এই প্রশ্ন রাখার মাধ্যমে নিজস্ব কর্তৃত্ব বজায় রাখলেন।

▪ “নির্বাহী কর্তব্য বনাম রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত” – সূক্ষ্ম বিভাজন

  • শীর্ষ আইন কর্মকর্তারা এটিকে হাইলাইট করেছেন, যাতে আদালত বলে দেয় কোন পরিস্থিতিতে রাজ্যপালদের সিদ্ধান্ত হবে আইনগতভাবে বৈধ।

 প্রতিক্রিয়া: প্রশ্নপত্রেই ফুটে উঠল রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা

▪ এ ছিল এক সাংবিধানিক পাল্টা আক্রমণ

  • আদালতকে প্রশ্ন করা মানে কেবল ব্যাখ্যা চাওয়া নয়, এটি ছিল রাষ্ট্রপতির (এবং তার মাধ্যমে শীর্ষ আইন কর্মকর্তাদের) রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কার্যকলাপকে বেআইনি হিসেবে তুলে ধরা।

▪ সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকাকেও চ্যালেঞ্জ

  • একাধিক প্রশ্নে উঠে এসেছে আদালতের নিজস্ব সীমা ও কর্তৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন—যা অভূতপূর্ব।

ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু-র প্রেরিত ১৪টি প্রশ্ন শুধু তথ্য নয়—তা এক সাংবিধানিক সন্নিবেশ। শীর্ষ আইন কর্মকর্তারা এই প্রশ্নগুলির মাধ্যমে রাজনৈতিক চাপে না গিয়ে, আদালতের নৈতিক বাধ্যবাধকতা তৈরি করেছেন। সংবিধানের ভাষায় বাঁধা এই কৌশলী প্রশ্নমালা ভারতীয় রাজনীতিতে এক টার্নিং পয়েন্ট।

“প্রশ্ন করাই কৌশল, আর তার ভাষা ছিল অস্ত্র”—এভাবেই রাষ্ট্রপতি ও তাঁর শীর্ষ আইন কর্মকর্তারা লিখেছেন সংবিধানিক ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়।

সুপ্রিম কোর্টের প্রতিক্রিয়া: নীরবতা, না কি হিসেবি নিরপেক্ষতা?

প্রতিক্রিয়ার ধরন: প্রথার ভেতরেই অস্পষ্টতা

নোটিস না জারি, কিন্তু জনস্বার্থ স্বীকৃত

  • ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু-র ১৪টি প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্ট সরাসরি কোনও নোটিস জারি করেনি

  • কিন্তু মামলাটিকে ‘গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রশ্ন’ হিসেবে গ্রহণ করে, শুনানির দিন নির্ধারণ করেছে।

  • এই আচরণ শীর্ষ আইন কর্মকর্তাদের কৌশল যে কতটা কার্যকর, তা স্পষ্ট। তারা আদালতকে চাপে না ফেলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু বানাতে পেরেছেন।

আদালতের নীরবতা: সূক্ষ্ম বার্তা

  • বিচারপতিদের সরাসরি মন্তব্য অনুপস্থিত। কিন্তু এটি কোনও অস্বীকৃতি নয়, বরং কৌশলী নিরপেক্ষতা।

  • সুপ্রিম কোর্ট ইচ্ছাকৃতভাবে ‘সংবিধানের ভাষা’কে কেন্দ্রে রেখে অতি সূক্ষ্ম ভারসাম্য বজায় রেখেছে।

 প্রতিক্রিয়ার ব্যাকরণ: আইন ও প্রথার সংঘাত

সংবিধান বনাম বিচারব্যবস্থার নিজস্ব শৈলী

  • ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু যখন প্রশ্ন করেন, “রাজ্যপালের বিল আটকে রাখা কি অসাংবিধানিক?”, তখন তা সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের বিচার্য।

  • তবে শীর্ষ আইন কর্মকর্তারা প্রশ্নের আঙ্গিকে এমনভাবে কৌশল প্রয়োগ করেছেন, যাতে আদালতকে ‘ব্যাখ্যার গণ্ডি’তেই সীমাবদ্ধ থাকতে হয়।

বিচারপতিদের মনোভাব: প্রশ্নের প্রাসঙ্গিকতা মেনে নিলেও, সিদ্ধান্ত নয়

  • এখনো পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে কোনো ‘রায়’ দেয়নি, বরং শুনানি স্থগিত রেখেছে।

  • এটি একটি ‘ধৈর্যের খেলা’ যেখানে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুশীর্ষ আইন কর্মকর্তারা কৌশলগত জয় পেয়েছেন, কারণ প্রশ্নগুলি আলোচনা ও জনমত তৈরি করতে সফল হয়েছে।

 প্রতিক্রিয়ার রাজনৈতিক প্রতিধ্বনি

আদালতের ‘প্রতিক্রিয়াহীন প্রতিক্রিয়া’র রাজনৈতিক তাৎপর্য

  • শাসক ও বিরোধী—উভয় শিবিরই আদালতের নীরবতা নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে ব্যস্ত।

  • ভারতের রাষ্ট্রপতির পাঠানো প্রশ্নে শীর্ষ আইন কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে জাতীয় স্তরে উত্তেজনা স্পষ্ট।

  • একে কেউ দেখছেন সাংবিধানিক শুদ্ধিকরণ হিসেবে, কেউ আবার রাজনৈতিক স্টান্ট হিসেবে।

শীর্ষ আইন কর্মকর্তারা পরিকল্পিতভাবে আদালতের নীরবতাকে ব্যবহার করছেন

  • তাঁরা জানেন, সুপ্রিম কোর্ট যতদিন স্পষ্ট রায় না দেয়, ততদিন জনমনে এই প্রশ্নগুলি রয়ে যাবে—এটাই তাঁদের রাজনৈতিক কৌশলের কেন্দ্রবিন্দু।

 ‘প্রতিক্রিয়া’র ভবিষ্যৎ: ন্যায় কি নীরব?

রাষ্ট্রপতির প্রশ্ন কি নজির হবে?

  • যদি আদালত ভবিষ্যতে এই প্রশ্নগুলির ভিত্তিতে রায় দেয়, তবে সেটি হবে ভারতের ইতিহাসে প্রথমবার রাষ্ট্রপতির এমন ভূমিকা

  • এই দৃষ্টান্ত স্থাপন করলে দ্রৌপদী মুর্মু-র সাংবিধানিক গুরুত্ব বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।

শীর্ষ আইন কর্মকর্তারা সময় ও বক্তব্যে কৌশলী

  • তাঁরা আদালতের সময়ক্ষেপণের সুযোগকে তাঁদের বক্তব্য ‘গণচেতনায়’ ঢুকিয়ে দিতে ব্যবহার করছেন।

ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু যে সাংবিধানিক প্রশ্নগুলি তুলেছেন, তা নিছক আলোচনার বিষয় নয়, তা আদালতের নীরবতার মধ্যেই এক ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। শীর্ষ আইন কর্মকর্তারা জানতেন—সব প্রতিক্রিয়া কথায় হয় না, কিছু প্রতিক্রিয়া নীরবতায় আরও তীব্র হয়।

এই প্রতিক্রিয়া এক সাংবিধানিক কূটকৌশল, যা রাষ্ট্রপতির প্রশ্নপত্রকে ইতিহাসে স্থায়ী করে তুলেছে।

Why Did President Murmu Go Against Convention in Asking Modi to Form the Government?

সংবিধানের ১৪৩(১) অনুচ্ছেদ: রাষ্ট্রপতি ও শীর্ষ আইন কর্মকর্তাদের কৌশলগত অস্ত্র

১৪৩(১) অনুচ্ছেদ: সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ও প্রাসঙ্গিকতা

  • সংবিধানের ১৪৩(১) অনুচ্ছেদ ভারতের রাষ্ট্রপতিকে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ নেওয়ার ক্ষমতা প্রদান করে।

  • এই অনুচ্ছেদ একাধারে শীর্ষ আইন কর্মকর্তারাভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু-র জন্য এক ‘কৌশলগত হাতিয়ার’ হিসেবে বিবেচিত।

  • পরামর্শ নেওয়া বাধ্যতামূলক নয়, কিন্তু এর গুরুত্ব সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক উভয় দিক থেকেই অসীম।

 দ্রৌপদী মুর্মু ও শীর্ষ আইন কর্মকর্তাদের ব্যবহার: সংবিধানের পরিধির বাইরে?

▪ ১৪৩(১) অনুচ্ছেদের ‘প্রতিক্রিয়া’ হিসেবে প্রশ্নাবলী প্রেরণ

  • ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু শীর্ষ আইন কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে, ১৪৩(১) অনুচ্ছেদের অধীনে ১৪টি জটিল প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টে প্রেরণ করেছেন।

  • এটি একটি অসাধারণ ঘটনা, যেখানে অনুচ্ছেদের আওতায় ‘পরামর্শ’ জিজ্ঞাসা নয়, বরং ‘প্রশ্নাবলী’ পাঠানো হয়েছে—যা একটি নতুন আইনি ধারার সূচনা।

▪ ঐতিহাসিক ব্যতিক্রম: পরামর্শ বনাম প্রশ্নপত্র

  • সাধারণত, ১৪৩(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ‘পরামর্শ’ মুলত আইনি বিষয়াদি সংক্রান্ত হয়।

  • কিন্তু এই ক্ষেত্রে, শীর্ষ আইন কর্মকর্তারা সূক্ষ্ম কৌশলে রাষ্ট্রপতির জন্য প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করেছেন যা বিচারব্যবস্থার সীমারেখা ও সংবিধানের ব্যাখ্যা উভয়ই চ্যালেঞ্জ করেছে।

 ১৪৩(১) অনুচ্ছেদের সীমাবদ্ধতা ও এর ব্যবহার

▪ বাধ্যতামূলক নয়, তবে রাজনৈতিক ও আইনি প্রভাব বিশাল

  • ১৪৩(১) অনুচ্ছেদতে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ বাধ্যতামূলক নয়।

  • তবে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং শীর্ষ আইন কর্মকর্তারা এই অনুচ্ছেদকে ব্যবহার করে এমন এক প্রভাব বিস্তার করেছেন যা ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে নজরকাড়া।

▪ সংবিধানের ছায়ায় রাজনীতির খেলা

  • রাষ্ট্রপতি যখন ১৪৩(১) অনুচ্ছেদের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্ন পাঠান, তখন সেটি রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলায় আইনি ব্যাবস্থা হিসেবে পরিগণিত হয়।

  • এই ধরনের ব্যবহার আগেও নজিরবিহীন ছিল, যা আজকের রাজনৈতিক-আইনি জটিলতার সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত।

 ১৪৩(১) অনুচ্ছেদের ভবিষ্যৎ প্রভাব ও মূল্যায়ন

▪ রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক দিক থেকে নতুন সূচনা

  • শীর্ষ আইন কর্মকর্তারা যে ভাবে ১৪৩(১) অনুচ্ছেদের আওতায় রাষ্ট্রপতির প্রশ্নমালা সাজিয়েছেন, তা ভবিষ্যতের জন্য একটি নতুন আইনগত রূপরেখা স্থাপন করেছে।

  • এই ব্যবহারের ফলে পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রপতি ও সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের ‘সীমারেখা’ নির্ধারিত হতে পারে।

▪ বিচারব্যবস্থায় নতুন মাত্রা

  • ১৪৩(১) অনুচ্ছেদের প্রয়োগে দেখা যাচ্ছে, আদালত কখনো কখনো ‘পরামর্শ’ দিয়েই সীমাবদ্ধ থাকে না—তার জবাবদিহিতার ক্ষেত্র বৃদ্ধি পাচ্ছে।

  • ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুশীর্ষ আইন কর্মকর্তারা এই পরিবর্তনের সূচনাকারী হিসেবে ইতিহাসে আবির্ভূত হচ্ছেন।

সংবিধানের ১৪৩(১) অনুচ্ছেদ আজ শুধু আইনি প্রক্রিয়ার অংশ নয়, বরং তা ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুশীর্ষ আইন কর্মকর্তারা ব্যবহার করেছেন এক শক্তিশালী সাংবিধানিক অস্ত্র হিসেবে। এই অনুচ্ছেদের কৌশলগত প্রয়োগ ভারতীয় রাজনীতির এবং সংবিধানিক ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায় উন্মোচিত করছে, যেখানে আইনের গঠন ও প্রয়োগের মধ্যে সূক্ষ্ম ভারসাম্য রক্ষাই মূল চ্যালেঞ্জ।

President Droupadi Murmu Flags Judicial Overreach, Asks SC To Clarify 14 Key Questions On Governor's Powers Over State Legislation

ভবিষ্যৎ প্রভাব: রাষ্ট্রপতি ও শীর্ষ আইন কর্মকর্তাদের যুগলবন্দি কি নয়া সাংবিধানিক দৃষ্টান্ত?

 সাংবিধানিক কৌশলের নবযাত্রা

  • ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু যে পদ্ধতিতে শীর্ষ আইন কর্মকর্তাদের সহায়তায় সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্ন পাঠালেন, তা একটি অঘোষিত সাংবিধানিক পরিবর্তনের আভাস দেয়।

  • পূর্বে রাষ্ট্রপতির ভূমিকা ছিল প্রতিক্রিয়াশীল; কিন্তু বর্তমান ব্যবহারে তা হয়ে উঠেছে প্রতিক্রিয়ার আগেই সক্রিয়—এই সূক্ষ্ম পার্থক্যই ভবিষ্যৎ ব্যাখ্যার মূল চাবিকাঠি।

▪ রাষ্ট্রপতির সক্রিয়তা:

  • এটি নিছক পরামর্শ নয়, বরং পরিকল্পিত সাংবিধানিক প্রশ্নবাণ।

  • দ্রৌপদী মুর্মু-র সক্রিয়তা ভবিষ্যতের রাষ্ট্রপতিদের কাছে একটি উদাহরণ হয়ে দাঁড়াতে পারে—শীর্ষ আইন কর্মকর্তাদের সহায়তায় ‘silent power’ কীভাবে ‘strategic power’-এ রূপ নেয়, তা এখানে পরিলক্ষিত।

 বিচারব্যবস্থার সীমারেখা ও স্বনির্ধারণ

▪ আদালতের নিজস্বতা বনাম রাষ্ট্রপতির অনুপ্রবেশ?

  • সুপ্রিম কোর্ট এই প্রশ্নগুলিকে কেবল পরামর্শ হিসেবেই দেখবে, না কী এটিকে বিচারযোগ্য ইস্যু হিসেবে পরিগণিত করবে—এই দ্বন্দ্বটি ভবিষ্যতের আইনত বিতর্কের জন্ম দেবে।

  • এখানে প্রশ্ন ওঠে: শীর্ষ আইন কর্মকর্তারা কী উদ্দেশ্য নিয়ে এত নির্দিষ্ট প্রশ্ন তৈরি করলেন?

▪ সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া:

  • আদালতের প্রত্যুত্তর হয়তো সাংবিধানিক ব্যাখ্যার বাইরে গিয়ে রাজনৈতিক ব্যুৎপত্তিরও ইঙ্গিত দিতে পারে।

  • রাষ্ট্রপতির সক্রিয়তা যদি রীতি হয়ে দাঁড়ায়, তবে তা সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শপ্রদান প্রথাকে কার্যত রাজনৈতিক চাপের মুখে ফেলে দেবে।

 প্রশাসনিক ভারসাম্য ও দায়িত্ববোধের বিবর্তন

▪ তিন স্তম্ভে সম্পর্কের পুনর্নির্মাণ:

  • কার্যনির্বাহী (রাষ্ট্রপতি), আইন বিভাগ (শীর্ষ আইন কর্মকর্তারা), এবং বিচারব্যবস্থা (সুপ্রিম কোর্ট) — এই ত্রিস্তম্ভীয় ভারসাম্যে এবার এক সূক্ষ্ম চালচিত্র ফুটে উঠেছে।

  • প্রশ্ন উঠছে, এই প্রশ্নপত্রের মধ্য দিয়ে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু কি আদালতের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন?

▪ দ্বৈততার কৌশল:

  • একদিকে রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক নিরপেক্ষতা, অন্যদিকে শীর্ষ আইন কর্মকর্তাদের কৌশলগত অংশগ্রহণ—এই দ্বৈততা যদি প্রাতিষ্ঠানিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রশ্নবিদ্ধ হয়, তবে তা ভারতীয় গণতন্ত্রে গভীর স্পন্দন সৃষ্টি করবে।

রাজনীতি, আইন ও ইতিহাসের মেলবন্ধন

▪ ভবিষ্যতের রাষ্ট্রপতিরা এখন কি আরও সক্রিয় হবেন?

  • এই দৃষ্টান্ত ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু-কে এক নতুন ‘সংবিধান-প্রেরিত রাষ্ট্রনায়ক’-এর ভূমিকায় স্থাপন করে।

  • অতীতে রাষ্ট্রপতিরা অনেক বিষয়ে নীরব থেকেছেন। এই পদক্ষেপ তা ভেঙে, শীর্ষ আইন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে নতুন একটি দৃশ্যপট তৈরি করল।

▪ ইতিহাস রচনা করছে বিচারপতিদের না হয় রাষ্ট্রপতি নিজেই?

  • সুপ্রিম কোর্টের যে উত্তর আসবে, তা ভবিষ্যতের দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণ করবে।

  • কিন্তু প্রশ্নপত্র প্রস্তুতকারক হিসেবে শীর্ষ আইন কর্মকর্তারা যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন, তা দীর্ঘমেয়াদে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু-র ভূমিকা ও গুরুত্বকে প্রভাবিত করবে।

শীর্ষ আইন কর্মকর্তারাভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সম্মিলিতভাবে এক সাংবিধানিক অভিযাত্রায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যা ভবিষ্যতের রাষ্ট্রপতি-আদালত সম্পর্কের কাঠামো বদলে দিতে পারে। সংবিধানের নিঃশব্দ অনুচ্ছেদগুলিকে তাঁরা ‘শব্দের অস্ত্র’ বানিয়ে তুলছেন—এটাই হয়তো ভবিষ্যতের গণতন্ত্রের সর্বাধিক তাৎপর্যপূর্ণ শৈল্পিক রাজনৈতিক ব্যুৎপত্তি।

ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুশীর্ষ আইন কর্মকর্তারা যে কৌশলী পরামর্শমূলক উদ্যোগ নিয়েছেন, তা নিছক একটি সাংবিধানিক অনুশীলন নয়—এ এক অভূতপূর্ব রাজনৈতিক ও আইনত দৃষ্টান্ত। রাষ্ট্রপতির ভূমিকা এখানে শুধুমাত্র প্রতীকী নয়, বরং সক্রিয় ও সুপরিকল্পিত। শীর্ষ আইন কর্মকর্তাদের সহায়তায় রাষ্ট্রপতি যেভাবে সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্ন পাঠিয়েছেন, তা ভবিষ্যতে রাষ্ট্রপতি-পদকে আরও প্রভাবশালী ও নীতিনির্ধারক করে তুলতে পারে। এই যুগলবন্দি যদি সাংবিধানিক চর্চার নতুন ধারা তৈরি করে, তবে তা নিঃসন্দেহে ভারতীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক শাণিত পরিবর্তনের সূচনা।

আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ! ❤️আমরা সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের জন্য তথ্যসমৃদ্ধ, আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করতে, যাতে আপনি নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পারেন। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আমাদের সঙ্গে আপনার মতামত শেয়ার করতে চান, তাহলে “যোগাযোগ করুন” ফর্ম ব্যবহার করে সরাসরি আমাদের সাথে কথা বলুন। আমরা আগ্রহের সঙ্গে আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত এবং আপনার প্রতিক্রিয়াকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করি। এছাড়াও, ভবিষ্যতের আপডেট, নতুন নিবন্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস না করতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন—একসঙ্গে জানবো, শিখবো, আর নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্ব দেখবো

Leave a Reply