ডেঙ্গুতে এক কিশোরীর মর্মান্তিক মৃত্যু ফের একবার দমদমকে শোকাহত ও চিন্তিত করল। মনজেন্দ্র দত্ত রোডের বাসিন্দা সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সারানি বন্দ্যোপাধ্যায় টপসিয়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রাণ হারায় শনিবার ভোরে। মাত্র ১৩ বছর বয়সেই প্রাণ কাড়ল ডেঙ্গুর বিষ। পুরসভা সূত্রে এলাকায় দু’টি সংক্রমণের খবর মিলেছে। বর্ষার শুরুতেই ডেঙ্গুর ছায়া ফের আতঙ্ক ছড়াচ্ছে শহরতলির ঘরে ঘরে। স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও প্রতিরোধ নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। শহরবাসী এখন একটাই প্রশ্ন করছেন—এই মৌসুমে আরও কতটা প্রস্তুত প্রশাসন?
📌 STORY HIGHLIGHTS
মৃত কিশোরীর নাম সারানি বন্দ্যোপাধ্যায়
দমদমের মনজেন্দ্র দত্ত রোডের বাসিন্দা
ভর্তি হয় ১৯ জুন, দক্ষিণ কলকাতার টপসিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে
শনিবার সকাল ৫:৪৫ মিনিটে মৃত্যু
দমদম এলাকায় বর্তমানে দুটি ডেঙ্গুর ঘটনা চিহ্নিত
দমদমে ফের একবার ডেঙ্গু সংক্রমণ ঘিরে চাঞ্চল্য। শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন এক ১৩ বছরের কিশোরী শনিবার ভোরবেলা মৃত্যুবরণ করে। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের শীর্ষ সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে। ঘটনাটি সামনে আসতেই ডেঙ্গু প্রতিরোধে পুরসভার ভূমিকা ও স্থানীয় জনসচেতনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মৃত কিশোরী সারানি বন্দ্যোপাধ্যায় দমদমের মনজেন্দ্র দত্ত রোডে পরিবারের সঙ্গে থাকত এবং একটি বেসরকারি স্কুলের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত। কয়েক দিন ধরেই জ্বর ও শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিল সে। পরিবারের সদস্যরা প্রথমে স্থানীয় ডাক্তার দেখানোর পর, ১৯ জুন তাকে দক্ষিণ কলকাতার টপসিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, ভর্তি হওয়ার পর থেকেই সারানির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল না। চিকিৎসকেরা যথাসাধ্য চেষ্টা চালালেও শেষ পর্যন্ত শনিবার ভোর ৫:৪৫ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের এক উচ্চপদস্থ কর্তা এই খবর নিশ্চিত করে বলেন, “কিশোরীর শরীরে ডেঙ্গু সংক্রমণ নিশ্চিত হয়েছিল এবং শারীরিক অবস্থা ক্রমাগত খারাপ হচ্ছিল। সবরকম চিকিৎসা দেওয়া হলেও তাকে বাঁচানো যায়নি।”
এই ঘটনার জেরে দমদম এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, দমদম অঞ্চলে বর্তমানে দুটি ডেঙ্গু সংক্রমণের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। যদিও সংখ্যাটি আপাতত কম, তবুও বর্ষার শুরুতেই এমন মৃত্যু প্রশাসন এবং নাগরিকদের জন্য এক সতর্কবার্তা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, এলাকা নিয়মিত জীবাণুনাশক ছিটানো এবং নিকাশি ব্যবস্থার আরও উন্নতি প্রয়োজন। যদিও পুরসভা দাবি করেছে, তারা এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছে এবং যেখানে-যেখানে জলে জমে থাকার প্রবণতা, সেখানে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ডেঙ্গুর মতো রোগে এক কিশোরীর এমন মর্মান্তিক মৃত্যু ফের একবার মনে করিয়ে দিল শহরে কতটা সচেতনতা এবং সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। প্রশ্ন উঠছে, আগামী দিনে এই ধরনের ঘটনা রুখতে কতটা প্রস্তুত স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ও নাগরিক পরিকাঠামো।
আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ! ❤️আমরা সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের জন্য তথ্যসমৃদ্ধ, আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করতে, যাতে আপনি নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পারেন। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আমাদের সঙ্গে আপনার মতামত শেয়ার করতে চান, তাহলে “যোগাযোগ করুন” ফর্ম ব্যবহার করে সরাসরি আমাদের সাথে কথা বলুন। আমরা আগ্রহের সঙ্গে আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত এবং আপনার প্রতিক্রিয়াকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করি। এছাড়াও, ভবিষ্যতের আপডেট, নতুন নিবন্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস না করতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন—একসঙ্গে জানবো, শিখবো, আর নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্ব দেখবো