মিরিকের ধর্গাঁওয়ে Dashain উৎসবে এক আনন্দঘন পরিবারিক মিলন সভা অতি শোকের আবর্তে পরিণত হলো। ভোরের কয়েক ঘণ্টা আগে একটি ভয়াবহ landslide ঘরে আঘাত হানার ফলে চারজনের মৃত্যু ঘটেছে। এই দুর্ঘটনায় পুরো পরিবারের ধ্বংসপ্রাপ্ত কাহিনী এলাকার মানুষের মনকে শোকাচ্ছন্ন করেছে।
মৃতদের মধ্যে ছিলেন সিলিগুড়ির সালবারির অনুপ প্রধান (৪২), স্ত্রী অনিতা (৪১) এবং কন্যা স্নেহা (১৯)। তারা Dhargoan, Mirik-এর আত্মীয়দের বাড়িতে Dashain উদযাপন করতে এসেছিলেন।
চতুর্থ ব্যক্তি ছিলেন আট বছরের আরুশি চেত্রী। “আমি ঐ রাতে প্রধান পরিবারের সঙ্গে ঘুমাতে চাইছিলাম,” জানায় আরুশির চাচা নিতেন চেত্রী। আরুশি সিলিগুড়ির ফাপরি বস্তি থেকে এসেছিলেন।
শনিবার রাতের landslides এবং flash floods-এর ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩-এ পৌঁছেছে। জলপাইগুড়ি, কুচবিহার এবং হিল স্টেশন এলাকা থেকে ১০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন সম্ভবত ভুটানের নাগরিক।
Story Highlights:
Dashain-এর সময় Mirik, Dhargoan landslide-এ চারজন নিহত।
উত্তরবঙ্গের landslides এবং flash floods-এ মৃতের সংখ্যা ৩৩।
একই বাড়িতে আহত ৫ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়া বোল্ডার ৫টি বাড়ি ধ্বংস এবং ১০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত।
উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে।
ট্রাফিক বেশিরভাগ পাহাড়ি সড়কে পুনরায় শুরু হয়েছে, যদিও ডুয়ার্স রুটের ট্রেন চলাচল এখনও স্থগিত। অনেক পর্যটক, যারা রবিবার পাহাড়ে আটকে ছিলেন, সোমবার সিলিগুড়িতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন।
রাজেন চেত্রীর বাড়িতে Mirik-এ Dashain উদযাপন করতে বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৮ জন মানুষ মিলিত হয়েছিল।
“এটা এক আনন্দঘন পরিবারিক মিলন ছিল। দিনের বেলায় বয়স্করা আমাদের কপালে tika দিয়েছেন, যা দুধ, ভাত এবং কুমকুম দিয়ে তৈরি ছিল। এরপর ভোজন সম্পন্ন হয়েছিল,” বলেন পরিবারের সদস্য রঞ্জিত চেত্রী।
“সবার সঙ্গে অনেক বছর পরে দেখা হচ্ছিল। তাই রাত পর্যন্ত সবাই গল্প করছিল,” তিনি আরও জানান।
রাতের বেলা ১৮ জনের মধ্যে ৯ জন দুটি সংলগ্ন ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন, যেগুলো landslide-এর সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছিল।
রঞ্জিত স্মরণ করে, “চাচা অনুপ ভোর ২:৩০টায় পানি খেতে রান্নাঘরে গিয়েছিলেন। ধস আমাদের বাড়িতে আঘাত হানার পর তিনি শোবার ঘরে ফিরে এসেছিলেন। আমি শুধু একটি গর্জন শুনেছি।”
এই দুই ঘরে ঘুমানো ৯ জনের মধ্যে চারজন মারা গেছেন। বাকি পাঁচজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়দের মতে, landslide ভোর ২:৪৫–৩:০০টার মধ্যে আঘাত হানে। পাহাড় থেকে গাছপালা ও বড়পাথর নেমে পাঁচটি বাড়ি ধ্বংস করে এবং ১০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে।
প্রতিবেশী সন্দীপ রায় বলেন, “আমি বাইরে কিছু সরবতা শুনেছিলাম। ছেলে এবং আমি বাইরে গিয়ে দেখি মাটি সরে যাচ্ছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের সবাইকে উদ্ধার করেছি। আমার দুই কন্যা এবং স্ত্রী নিরাপদে বেরিয়ে আসে। আমি আমাদের ঠাকুমাকে সঙ্গে নিয়ে বের হয়েছিলাম, যিনি সামান্য শ্রবণহীন।”
সোমবার, দার্জিলিংয়ের সিইয়ক চা বাগানে দুটি মৃতদেহ পাওয়া যায়। কুচবিহারে চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় — দুইটি তোরসা নদী থেকে এবং দুইটি মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে। জলপাইগুড়ির নাগরকাটা ব্লকের বামানডাঙ্গা থেকে আরও চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন এবং উদ্ধারকারীরা মৃতদের পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন।
Mirik landslide-এর এই ঘটনায় Dashain-এর আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে। স্থানীয়রা সতর্ক করছেন, পাহাড়ি এলাকায় আরও ঝুঁকি রয়েছে এবং পর্যটক ও স্থানীয়রা আরও সাবধানতা অবলম্বন করুন।
এই Mirik landslide-এর ঘটনা দেখালো কীভাবে Dashain-এর আনন্দ মুহূর্তও মুহূর্তে দুঃখে বদলে যেতে পারে। Dhargoan-এর পরিবারিক মিলন অনুষ্ঠানকে প্রভাবিত করেছে এই ভয়ঙ্কর landslide। স্থানীয় প্রশাসন এবং উদ্ধারকর্মীরা সতর্কতা অবলম্বনের পাশাপাশি আহত ও মৃতদের পরিচয় শনাক্ত করার কাজে ব্যস্ত। Mirik-এর পাহাড়ি এলাকায় ভবিষ্যতের জন্য আরও সতর্ক থাকার প্রয়োজনীয়তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ! ❤️আমরা সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের জন্য তথ্যসমৃদ্ধ, আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করতে, যাতে আপনি নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পারেন। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আমাদের সঙ্গে আপনার মতামত শেয়ার করতে চান, তাহলে “যোগাযোগ করুন” ফর্ম ব্যবহার করে সরাসরি আমাদের সাথে কথা বলুন। আমরা আগ্রহের সঙ্গে আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত এবং আপনার প্রতিক্রিয়াকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করি। এছাড়াও, ভবিষ্যতের আপডেট, নতুন নিবন্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস না করতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন—একসঙ্গে জানবো, শিখবো, আর নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্ব দেখবো