বৃহস্পতিবার বড়সড় পতনের পর আবারও শেয়ার মার্কেটে স্থিতি ফিরে পেল Clean Science and Technology Limited। বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্টের ট্রেডে শেয়ারের দাম হঠাৎ ৭ শতাংশ পর্যন্ত নেমে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। তবে কোম্পানি জানিয়েছে, এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি ঘটেছে একটি ‘পাঞ্চিং এরর’-এর কারণে।

READ HIGHLIGHTS

  • Clean Science and Technology Limited-এর শেয়ার বৃহস্পতিবার ৭% নেমেছিল।

  • ব্রোকারেজ স্পার্ক অ্যাভেন্ডাস-এর ‘পাঞ্চিং এরর’ এর জন্য এই দোলাচল।

  • ব্লক ডিলে ৬ কোটির বেশি শেয়ার হাতবদল, যেখানে নির্ধারিত ছিল ২.৫ কোটি।

  • ২৪% স্টেক বিক্রি, মোট মূল্য প্রায় ₹২,৬২৬ কোটি।

  • তিন বছরের লক-আপ পিরিয়ড সহ চুক্তি।

কী ঘটেছিল বৃহস্পতিবারের ট্রেডে?

ব্রোকারেজ সংস্থা স্পার্ক অ্যাভেন্ডাস-এর একটি ত্রুটির কারণে ব্লক ডিলে নির্ধারিত শেয়ারের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণ শেয়ার হাতবদল হয়েছে। কোম্পানির বক্তব্য,

“প্রথমে ২.৫ কোটি শেয়ার ব্লক ডিলে হাতবদলের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু পাঞ্চিং-এর ভুলের কারণে ৬ কোটিরও বেশি শেয়ার ট্রেড হয়েছে।”

এই অস্বাভাবিক লেনদেনের জেরেই শেয়ারের দাম একসময় ৭ শতাংশ কমে যায়।

বাজারের বর্তমান চিত্র

ঘটনার পর বাজার কিছুটা সামলে উঠেছে। সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে, এনএসই-তে Clean Science and Technology Limited-এর শেয়ার ছিল ₹১,১৩৭.৯-এ, যা আগের দিনের তুলনায় ৩.৬ শতাংশ কম।

কারা বিক্রি করল এই শেয়ার?

প্রোমোটার গ্রুপের পক্ষ থেকে বড়সড় শেয়ার বিক্রির পরিকল্পনা ছিল। প্রোমোটার অশোক রামনারায়ণ বুব, কৃষ্ণকুমার রামনারায়ণ বুব এবং তাঁদের পরিবার মিলিয়ে প্রায় ২৪ শতাংশ শেয়ার ব্লক ট্রেডে বিক্রি করেছেন।

রিপোর্ট অনুযায়ী, এই বিক্রির মাধ্যমে প্রায় ₹২,৬২৬ কোটি টাকা তোলার আশা করা হচ্ছে, যা প্রায় ৩০২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে ₹১,০৩০, যা আগের দিনের ক্লোজিং প্রাইসের তুলনায় প্রায় ১৩ শতাংশ ছাড়।

ডিলের শর্তাবলি

এই ট্রানজ্যাকশনে একাধিক শর্ত রয়েছে। কোম্পানি জানিয়েছে,

“চুক্তি অনুযায়ী তিন বছরের লক-আপ পিরিয়ড থাকবে। তবে প্রোমোটার গ্রুপের মধ্যে ইন্টার-সে ট্রান্সফার, কন্ট্রোল পরিবর্তন বা কোর্ট অনুমোদিত স্কিমের মাধ্যমে বিক্রির ক্ষেত্রে ছাড় থাকবে।”

এই ব্লক ট্রেডের জন্য স্পার্ক ইনস্টিটিউশনাল ইকুইটিজ (অ্যাভেন্ডাস ক্যাপিটালের সহযোগী সংস্থা) এবং জেপি মরগান যৌথ ব্রোকার হিসেবে কাজ করছে।

প্রোমোটারদের বর্তমান অবস্থান

বর্তমানে Clean Science and Technology Limited-এর প্রোমোটারদের হাতে রয়েছে ৭৪.৯ শতাংশ শেয়ার। সংস্থা গত জুলাইয়ের আর্নিংস কল-এ জানিয়েছিল,

“এস্টেট প্ল্যানিং ও ম্যানেজমেন্টের জন্য আমরা সংখ্যালঘু স্টেক বিক্রির সম্ভাবনা বিবেচনা করছি।”

ফার্মের শেয়ারহোল্ডিং প্যাটার্ন অনুযায়ী, এফআইআই-এর হাতে রয়েছে ৬.২ শতাংশ, ডিআইআই-এর হাতে ৫.৯ শতাংশ এবং পাবলিক শেয়ারহোল্ডিং ১২.৯ শতাংশ।

আর্থিক ফলাফল কী বলছে?

জুন কোয়ার্টারে Clean Science and Technology Limited মোট ₹২৪০ কোটি টাকার রাজস্ব অর্জন করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ শতাংশ বেশি। এছাড়া, ইবিটিডিএ (EBITDA) বছরে ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বোঝা যাচ্ছে যে, Clean Science and Technology Limited-এর শেয়ারের এই অস্বাভাবিক পতন কোনো বাজার সংকেত নয়, বরং প্রযুক্তিগত ত্রুটির ফল। প্রোমোটারদের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই এই ব্লক ডিল সম্পন্ন হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হলো—কোম্পানির মৌলিক দিক শক্তিশালী এবং আর্থিক ফলাফল স্থিতিশীল। তাই, এই হঠাৎ দোলাচলকে বাজারের প্রকৃত মানদণ্ড হিসেবে দেখার প্রয়োজন নেই।

আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ! ❤️আমরা সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের জন্য তথ্যসমৃদ্ধ, আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করতে, যাতে আপনি নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পারেন। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আমাদের সঙ্গে আপনার মতামত শেয়ার করতে চান, তাহলে “যোগাযোগ করুন” ফর্ম ব্যবহার করে সরাসরি আমাদের সাথে কথা বলুন। আমরা আগ্রহের সঙ্গে আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত এবং আপনার প্রতিক্রিয়াকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করি। এছাড়াও, ভবিষ্যতের আপডেট, নতুন নিবন্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস না করতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন—একসঙ্গে জানবো, শিখবো, আর নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্ব দেখবো

Leave a Reply