সুপ্রিম কোর্টে রাষ্ট্রপতি রেফারেন্স মামলার সপ্তম দিনে কর্ণাটক, পশ্চিমবঙ্গ ও হিমাচল প্রদেশ অভিযোগ তোলে যে Central Government সংবিধানের মূল কাঠামো খর্বের চেষ্টা করছে। রাজ্যগুলির দাবি, Indian Constitution অনুযায়ী গভর্নর বা রাষ্ট্রপতির পক্ষে জনগণের ইচ্ছায় গৃহীত বিল অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে রাখা যায় না। আদালতে তীব্র বিতর্কে উঠে আসে সংবিধানের ভবিষ্যৎ প্রশ্ন।

Story Highlights (মূল তথ্য এক নজরে):

  • রাষ্ট্রপতি রেফারেন্স মামলার সপ্তম দিনে তীব্র বিতর্ক

  • কর্ণাটক, পশ্চিমবঙ্গ, হিমাচল প্রদেশের অভিযোগ—Central Government সংবিধানের মূল কাঠামো নষ্ট করছে

  • কপিল সিব্বল সতর্ক করলেন—গভর্নর যেন Indian Constitution-এর কার্যকারিতায় বাধা না দেন

  • আদালতে প্রশ্ন—বিল কেন্দ্রীয় আইনের সঙ্গে সংঘর্ষ করলে গভর্নরের ভূমিকা কী?

  • পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি অব্যাহত

রাজ্যগুলির অভিযোগ: সংবিধানের উপর আঘাত

নয়াদিল্লি, বুধবার:
রাষ্ট্রপতি রেফারেন্স মামলার সপ্তম দিনে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারগুলি সরাসরি অভিযোগ তুলল যে Central Government আসলে Indian Constitution-এর মূল কাঠামো খর্ব করার চেষ্টা করছে। কর্ণাটক, পশ্চিমবঙ্গ ও হিমাচল প্রদেশের সরকার একযোগে দাবি করে, ৮ এপ্রিলের শীর্ষ আদালতের যে রায় প্রেসিডেন্ট ও গভর্নরের কাছে রাজ্য বিধানসভায় গৃহীত বিল নিষ্পত্তির নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল, তা প্রশ্নবিদ্ধ করে কেন্দ্র সংবিধান-বিরোধী পথে হাঁটছে।

কর্ণাটকের বক্তব্য

সিনিয়র অ্যাডভোকেট গোপাল সুব্রহ্মণ্যম, কর্ণাটকের পক্ষে যুক্তি রাখতে গিয়ে বলেন,
“Central Government আসলে পরোক্ষভাবে Indian Constitution-এর মেরুদণ্ড ভাঙতে চাইছে। ক্যাবিনেটভিত্তিক শাসনব্যবস্থা, যা সংবিধানের মূল কাঠামোর অংশ, সেটিই আক্রান্ত হচ্ছে।”

তিনি আরও মনে করিয়ে দেন, গণতান্ত্রিক কাঠামোতে মন্ত্রিসভার ভূমিকা এবং আইনসভা দায়বদ্ধতাই হল সংবিধানের প্রাণ।

পশ্চিমবঙ্গের সতর্কবার্তা

পশ্চিমবঙ্গের পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট কপিল সিব্বল আদালতে বলেন,
“The Indian Constitution is a living document. এটি ইতিহাস থেকে জন্ম নিয়েছে, কিন্তু ভবিষ্যতের প্রতি দায়বদ্ধ। আদালতই সেই ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে। তাই গভর্নর যেন সংবিধানের কার্যকারিতায় বাধা না হয়ে দাঁড়ান।”

তিনি স্পষ্ট ভাষায় আদালতকে সতর্ক করে বলেন,
“আদালত সময়সীমা না-ও দিতে পারে, কিন্তু স্পষ্ট বলতে হবে—একবার কোনো বিল আবার পাস হলে গভর্নর তা আটকে রাখতে পারবেন না।”

আদালতের প্রশ্ন ও সিব্বলের জবাব

আদালত বেঞ্চ থেকে প্রশ্ন ওঠে—যদি কোনো রাজ্য আইন কেন্দ্রীয় আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়, তবে কি গভর্নর সম্মতি আটকে রাখতে পারেন?

এর উত্তরে সিব্বলের যুক্তি ছিল,
“এটি বিরলতম ক্ষেত্রে হতে পারে। Indian Constitution অনুযায়ী আইন যদি অসাংবিধানিক হয়, তা আদালতেই চ্যালেঞ্জ করা উচিত। নাগরিক বা সংশ্লিষ্ট পক্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে। গভর্নরের পক্ষে এই প্রশ্নে হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই, শুধুমাত্র ব্যতিক্রমী অবস্থাতেই সম্ভব।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, স্বাধীনতার পর থেকে সংসদে গৃহীত কোনো বিল রাষ্ট্রপতি প্রত্যাখ্যান করেননি, কারণ তা জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন।

বেঞ্চের সামনে বিস্তৃত আলোচনা

প্রধান বিচারপতি বি. আর. গাভাইয়ের নেতৃত্বে বিচারপতি সুর্যকান্ত, বিক্রম নাথ, পি. এস. নারসিমহা ও অতুল এস. চাঁদুরকর—এই পাঁচ বিচারপতির সংবিধান বেঞ্চে শুনানি হয়। বিচারপতিরা একাধিক প্রশ্ন তোলেন গভর্নরের ক্ষমতা, আইনসভার অধিকার এবং Indian Constitution-এর মৌলিক কাঠামো নিয়ে।

সুপ্রিম কোর্টে আরও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা

বিদেশি দোষীদের নীতি:
এক বিদেশি প্রতারণার মামলায় জামিন নিয়ে পলাতক হওয়ায় আদালত জানায়, দেশে অপরাধে যুক্ত বিদেশিদের জন্য কঠোর নীতি প্রয়োজন। আদালত স্পষ্ট করে দেয়, ন্যায় থেকে পালানোর সুযোগ কোনোভাবেই দেওয়া উচিত নয়।

অকাল জামিন আবেদনে অসন্তোষ:
২০০ কোটি টাকার চাঁদাবাজি মামলায় অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের স্ত্রী লীনা পাল্লোসের জামিনের দ্রুত শুনানি চেয়ে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রবণতাকে বিচারপতিরা গ্রহণযোগ্য মনে করেননি। বেঞ্চের বক্তব্য, আদালতের সময়সীমাকে এভাবে এড়িয়ে যাওয়া সংবিধানসম্মত নয়।

রাষ্ট্রপতি রেফারেন্স মামলার সপ্তম দিনের শুনানি স্পষ্ট করল যে Indian Constitution-এর মূল কাঠামো ও গণতান্ত্রিক দায়বদ্ধতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। রাজ্যগুলির বক্তব্য, Central Government যেন সংবিধানের প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ না করে। আদালতের রায় এখন নির্ধারণ করবে—গভর্নরের ক্ষমতার সীমা কোথায় এবং ভবিষ্যতে আইনসভা ও জনগণের ইচ্ছার প্রতি কতটা অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ! ❤️আমরা সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের জন্য তথ্যসমৃদ্ধ, আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করতে, যাতে আপনি নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পারেন। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আমাদের সঙ্গে আপনার মতামত শেয়ার করতে চান, তাহলে “যোগাযোগ করুন” ফর্ম ব্যবহার করে সরাসরি আমাদের সাথে কথা বলুন। আমরা আগ্রহের সঙ্গে আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত এবং আপনার প্রতিক্রিয়াকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করি। এছাড়াও, ভবিষ্যতের আপডেট, নতুন নিবন্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস না করতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন—একসঙ্গে জানবো, শিখবো, আর নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্ব দেখবো

Leave a Reply