বিশ্বের সেরা ১২টি প্রযুক্তি শহরের তালিকায় এবার জায়গা করে নিয়েছে বেঙ্গালুরু, যা ভারতের গর্বের এক নতুন অধ্যায়। সিবিআরই (CBRE) প্রকাশিত গ্লোবাল টেক ট্যালেন্ট গাইডবুক ২০২৫-এ দেখা গেছে, ১০ লক্ষেরও বেশি প্রযুক্তি কর্মীর ভরসায় এই শহর পৌঁছে গেছে এলিট গ্লোবাল টেক ক্লাব-এর শীর্ষে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, স্টার্টআপ, ইউনিকর্ন, ভিসি ফান্ডিং—সব মিলিয়ে বেঙ্গালুরু এখন বিশ্ব প্রযুক্তি মানচিত্রের এক উজ্জ্বল নাম। নিঃশব্দে হলেও, এই শহরের সাফল্য আজ আন্তর্জাতিক মঞ্চে এক গর্বের বার্তা।
সূচিপত্র
Toggleগ্লোবাল প্রযুক্তি মানচিত্রে বেঙ্গালুরুর নাম
গ্লোবাল টেক ট্যালেন্ট গাইডবুক ২০২৫-এ সিবিআরই(CBRE) বেঙ্গালুরুকে বিশ্বের শীর্ষ ১২টি এলিট গ্লোবাল টেক ক্লাব-এর মধ্যে স্থান দিয়েছে। বেঙ্গালুরু এই মর্যাদা পাওয়া ভারতের প্রথম শহর।
💡 রিপোর্ট অনুযায়ী, বেঙ্গালুরু ছাড়াও এই ক্লাবের সদস্য শহরগুলোর মধ্যে রয়েছে বেইজিং, বোস্টন, লন্ডন, নিউ ইয়র্ক, প্যারিস, সান ফ্রান্সিসকো, সিয়াটল, সাংহাই, সিঙ্গাপুর, টোকিও ও টরন্টো।
প্রযুক্তি কর্মশক্তির এক মাইলফলক: এক বিশ্লেষণাত্মক প্রতিবেদন
● বেঙ্গালুরু: কর্মশক্তির ভরকেন্দ্র
সিবিআরই (CBRE) প্রকাশিত গ্লোবাল টেক ট্যালেন্ট গাইডবুক ২০২৫ অনুসারে, বেঙ্গালুরু এখন এলিট গ্লোবাল টেক ক্লাব-এর অংশ, কারণ শহরটির প্রযুক্তি কর্মশক্তি ১০ লক্ষ ছাড়িয়েছে।
এই সংখ্যা শুধু ভারতের জন্য নয়, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলেও অন্যতম বৃহৎ একটি প্রযুক্তি কর্মী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচিত।
● সংখ্যার পেছনের বাস্তবতা
২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বেঙ্গালুরু-তে কর্মক্ষম জনসংখ্যা বেড়েছে ২.৪%, যা বৈশ্বিক হারে দ্রুততম বৃদ্ধি।
এই সময়ে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে চাকরির পরিমাণ বেড়েছে ১২%, যা প্রযুক্তি বাজারের বিস্তারের একটি পরিচ্ছন্ন ইঙ্গিত।
শহরটির মোট জনসংখ্যার ৭৫.৫% কর্মক্ষম বয়সে, যা এলিট গ্লোবাল টেক ক্লাব-এর অন্তর্ভুক্ত ১২টি শহরের মধ্যে চতুর্থ স্থানে।
তিন স্তরের গ্লোবাল শ্রেণিবিন্যাস: প্রযুক্তি প্রতিযোগিতার গহ্বরে ‘বেঙ্গালুরু’
● গ্লোবাল স্তরে প্রযুক্তি ট্যালেন্টের মূল্যায়ন কাঠামো
গ্লোবাল টেক ট্যালেন্ট গাইডবুক ২০২৫, যা সিবিআরই (CBRE) দ্বারা প্রকাশিত, এক অনন্য বিশ্লেষণ পদ্ধতির মাধ্যমে ১১৫টি প্রযুক্তি বাজারকে তিনটি ভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করেছে:
🔹 Powerhouse (শক্তিশালী প্রযুক্তি কেন্দ্র)
সংখ্যা: ১২টি শহর
মূল বৈশিষ্ট্য:
বিশাল ও গভীর টেক ট্যালেন্ট পুল
উচ্চমানের প্রতিযোগিতাশীলতা
টেকনোলজিক্যাল ইনোভেশন ও গবেষণায় বৈশ্বিক নেতৃত্ব
উল্লেখযোগ্য শহর:
বেঙ্গালুরু (ভারতের একমাত্র শহর)
নিউ ইয়র্ক, লন্ডন, সান ফ্রান্সিসকো, বেজিং, টোকিও, প্যারিস, সিয়াটল, সিঙ্গাপুর, টরন্টো, বোস্টন ও সাংহাই
প্রাসঙ্গিক তথ্য:
বেঙ্গালুরু-কে এই তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে তার ১ মিলিয়নের বেশি প্রযুক্তি কর্মশক্তি, উন্নত এআই দক্ষতা, এবং ভিসি বিনিয়োগ আকর্ষণ করার ক্ষমতা-র জন্য।
গ্লোবাল টেক ট্যালেন্ট গাইডবুক ২০২৫ অনুসারে, এই বিভাগে স্থান পাওয়া মানে এক শহর বিশ্ব প্রযুক্তি মানচিত্রে এক কেন্দ্রীয় ভূমিকায় অবস্থিত।
🔹 Established (পরিণত প্রযুক্তি বাজার)
সংখ্যা: ৬৩টি শহর
মূল বৈশিষ্ট্য:
সুসংহত ট্যালেন্ট পাইপলাইন
স্থিতিশীল প্রযুক্তি কর্মসংস্থান
নিরবিচ্ছিন্ন দক্ষতা প্রবাহ
প্রাসঙ্গিক দৃষ্টিকোণ:
এই বিভাগে থাকা শহরগুলিতে টেকনোলজি ব্যবহার ও কর্মদক্ষতা স্থিতিশীল, তবে বেঙ্গালুরু-র মতো এলিট গ্লোবাল টেক ক্লাব-এ অন্তর্ভুক্ত হবার পরিপক্কতা এখনো অর্জিত হয়নি।
🔹 Emerging (বিকাশমান প্রযুক্তি কেন্দ্র)
সংখ্যা: ৪০টি শহর
মূল বৈশিষ্ট্য:
টেক দক্ষতা উন্নয়নের প্রাথমিক পর্যায়ে
সীমিত আকারের কর্মশক্তি
অবকাঠামো ও প্রশিক্ষণের চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান
প্রাসঙ্গিক প্রেক্ষাপট:
এখানকার শহরগুলি এখনও গ্লোবাল টেক ট্যালেন্ট গাইডবুক ২০২৫-এর মূলধারায় প্রবেশের অপেক্ষায়।
বিনিয়োগ ও প্রশিক্ষণের উপর নির্ভর করে এদের উন্নয়নের গতি।
● ‘Powerhouse’ বিভাগে বেঙ্গালুরু: ব্যতিক্রম নয়, বরং নিখুঁতভাবে নিরীক্ষিত
বেঙ্গালুরু হল একমাত্র ভারতীয় শহর যাকে গ্লোবাল টেক ট্যালেন্ট গাইডবুক ২০২৫-এর Powerhouse তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে।
এই অন্তর্ভুক্তির পেছনে রয়েছে:
এআই-নির্ভর কর্মশক্তি যার সংখ্যা ভারতের মধ্যে সর্বাধিক
উন্নত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গ্লোবাল ক্যাপাবিলিটি সেন্টার (GCC) ও বিনিয়োগের প্রতি সদর্থক পরিবেশ
ভবিষ্যতপ্রবণ কর্মক্ষম জনসংখ্যা ও দ্রুত কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার
এই তথ্যভিত্তিক বিশ্লেষণ নির্দেশ করে যে, এলিট গ্লোবাল টেক ক্লাব-এ বেঙ্গালুরু-র উপস্থিতি কোনও কাকতালীয় নয়, বরং এটি একটি বহুপাক্ষিক পর্যালোচনার ফল।
AI ট্যালেন্টে অগ্রগামী বেঙ্গালুরু
● AI-নির্ভর ট্যালেন্ট মানচিত্রে বেঙ্গালুরুর সুনির্দিষ্ট অবস্থান
গ্লোবাল টেক ট্যালেন্ট গাইডবুক ২০২৫-এর তথ্য অনুযায়ী, AI ট্যালেন্টে অগ্রগামী বেঙ্গালুরু কেবলমাত্র ভারতের নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও একটি নির্দিষ্ট প্রতিযোগিতামূলক জায়গা দখল করে রয়েছে।
টেকনোলজিক্যাল কর্মীসংখ্যা:
সিবিআরই (CBRE)-এর তথ্য বলছে, AI-নির্ভর পেশাজীবীর সংখ্যা বেঙ্গালুরুতে প্রায় ১.১ মিলিয়ন।
এই কর্মীসংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক বা সান ফ্রান্সিসকো-র মতো শহরের সঙ্গে সরাসরি তুলনাযোগ্য।
AI ট্যালেন্টের প্রোফাইল বিশ্লেষণ:
বড় অংশটাই মেশিন লার্নিং, জেনারেটিভ AI, প্রেডিক্টিভ অ্যানালিটিক্স-এর ক্ষেত্রে দক্ষ।
গ্লোবাল ফার্মের জন্য পরিচালিত প্রকল্পে অংশগ্রহণকারী AI কর্মীদের সংখ্যা বেঙ্গালুরুতে গত পাঁচ বছরে দ্বিগুণ হয়েছে।
বেঙ্গালুরুর GCC নেটওয়ার্ক:
এই শহরে ৩৮০+ গ্লোবাল ক্যাপাবিলিটি সেন্টার রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সংস্থাগুলির জন্য AI ও অটোমেশন সমাধান সরবরাহ করে।
Microsoft, Google, IBM, SAP-র মতো প্রতিষ্ঠান বেঙ্গালুরুকে তাদের AI গবেষণা ও ডেভেলপমেন্ট হাব হিসেবে ব্যবহার করে।
AI ট্যালেন্টে অগ্রগামী বেঙ্গালুরুর ভিত্তি:
এই GCC গুলোর মাধ্যমে বেঙ্গালুরুতে তৈরি হয়েছে AI ভিত্তিক কর্পোরেট অ্যাপ্লিকেশন নির্মাণের বিশাল পুল।
প্রযুক্তি শিক্ষা ও গবেষণা:
আইআইএসসি (IISc), আইআইটি বেঙ্গালুরু (IIT-B), এনআইটি (NIT)-র মতো প্রতিষ্ঠানগুলি AI, Robotics, Data Science-এ বিশেষায়িত গবেষণা চালাচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে AI কোর্সে এনরোলমেন্ট হার বেঙ্গালুরুতে গত চার বছরে ৭৫% বেড়েছে।
প্রাতিষ্ঠানিক একাডেমিয়া-ইন্ডাস্ট্রি সংযোগ:
প্রতিষ্ঠানগুলি ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন ও ইন্টার্নশিপ প্ল্যাটফর্ম-এর মাধ্যমে AI স্কিল ট্রেনিং ও চাকরির সংযোগ তৈরি করে।
এই সংযোগের ফলে AI ট্যালেন্টে অগ্রগামী বেঙ্গালুরু ধারাবাহিকভাবে দক্ষ কর্মী তৈরি করছে।
AI-তে ভাষাগত গবেষণা:
Indic ভাষা প্রসেসিং ও নেটিভ ল্যাঙ্গুয়েজ বট ডেভেলপমেন্ট বেঙ্গালুরুর স্টার্টআপ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম ফোকাস।
AI ট্যালেন্টে অগ্রগামী বেঙ্গালুরু এই ক্ষেত্রে ভারতের অন্যতম মূল কেন্দ্র।
দক্ষতার বহুবিধতা:
AI-নির্ভর শুধু আইটি নয়, বরং হেলথটেক, এডটেক, ফিনটেক-এও বেঙ্গালুরুর AI দক্ষতা বর্তমানে গ্লোবালি প্রশংসিত।
সিবিআরই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, AI ট্যালেন্টে অগ্রগামী বেঙ্গালুরু এই সমস্ত সেক্টরে উচ্চ দক্ষতার কারণে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
স্টার্টআপ ও ইউনিকর্ন শক্তি: বেঙ্গালুরুর প্রযুক্তিগত পরিসরের গভীরে
● সিবিআরই(CBRE) রিপোর্ট অনুসারে স্টার্টআপ ও ইউনিকর্ন ইকোসিস্টেমের অবদান
ইউনিকর্নের সংখ্যা
সিবিআরই(CBRE) তথ্য অনুযায়ী, বেঙ্গালুরুতে বর্তমানে ২৮টি ইউনিকর্ন সংস্থা অবস্থিত, যা শহরটিকে এলিট গ্লোবাল টেক ক্লাব-এর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
এই ইউনিকর্ন গুলো বিভিন্ন খাতে, যেমন ফিনটেক, এডটেক, হেলথটেক, এবং এআই-এ নেতৃত্ব দেয়।
ইউনিকর্ন সংখ্যা বেড়ে ওঠা শহরের স্টার্টআপ শক্তি ও সম্ভাবনার একটি সূচক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
অর্থায়ন এবং বিনিয়োগ প্রবাহ
২০২৪ সালে, বেঙ্গালুরুতে ১৪০টি ভিসি ডিল হয়েছে যার মোট মূল্য ৩.৩ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ AI-সংক্রান্ত প্রকল্প।
এই বিনিয়োগ শহরের স্টার্টআপ ও ইউনিকর্ন শক্তিকে সমৃদ্ধ করছে এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রের উন্নয়নে অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে।
গ্লোবাল টেক ট্যালেন্ট গাইডবুক ২০২৫-এর স্থানাঙ্ক
গ্লোবাল টেক ট্যালেন্ট গাইডবুক ২০২৫-এ বেঙ্গালুরু স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমকে পাওয়ারহাউস ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করেছে, যা এলিট গ্লোবাল টেক ক্লাব-এর অংশ হিসাবে এর গুরুত্ব নির্দেশ করে।
সিবিআরই(CBRE) এই গাইডবুকের মাধ্যমে বেঙ্গালুরুর স্টার্টআপ ও ইউনিকর্ন শক্তির সামগ্রিক প্রতিচ্ছবি তুলে ধরেছে।
টেক এমপ্লয়মেন্ট ও বিনিয়োগ: বেঙ্গালুরুর গ্লোবাল টেক শক্তির আর্থিক ও মানবসম্পদ বিন্যাস
প্রযুক্তি কর্মসংস্থানে ধারাবাহিক বৃদ্ধির চিত্র
সিবিআরই(CBRE) রিপোর্ট অনুযায়ী, বেঙ্গালুরুতে ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে প্রযুক্তি কর্মসংস্থান বেড়েছে প্রায় ১২%, যা শহরের এলিট গ্লোবাল টেক ক্লাব-এ অন্তর্ভুক্তির প্রমাণ।
এই ১২% বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে বিভিন্ন কারণ: উচ্চশিক্ষিত ও দক্ষ প্রযুক্তি কর্মী প্রবাহ, গ্লোবাল ক্যাপিটাল ইনফ্লো, এবং নতুন স্টার্টআপ ও প্রযুক্তি সংস্থার স্থাপনা।
গ্লোবাল টেক ট্যালেন্ট গাইডবুক ২০২৫-এ এই বৃদ্ধিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, যা বেঙ্গালুরুর প্রযুক্তি খাতের স্থিতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে।
ভেঞ্চার ক্যাপিটাল (VC) বিনিয়োগের পরিসর ও প্রবাহ
২০২৪ সালে বেঙ্গালুরুতে ১৪০টি ভিসি ডিল সম্পন্ন হয়েছে, যার মোট মূল্যমান দাঁড়িয়েছে ৩.৩ বিলিয়ন ডলার, যা এলিট গ্লোবাল টেক ক্লাব-এর শহর হিসেবে বেঙ্গালুরুর অবস্থানকে দৃঢ় করে।
এই ভিসি ডিলগুলোর মধ্যে বিশেষত ৩৪টি AI সম্পর্কিত প্রকল্পে বিনিয়োগ হয়েছে, যা বেঙ্গালুরুর এআই প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নেতৃত্বের প্রমাণ।
বিনিয়োগের এই প্রবাহ গ্লোবাল টেক ট্যালেন্ট গাইডবুক ২০২৫-এ স্পষ্ট রূপে চিহ্নিত হয়েছে, যা সিবিআরই(CBRE) রিপোর্টের মাধ্যমে প্রকাশিত।
বিনিয়োগের প্রভাব ও প্রযুক্তি শিল্পের প্রবৃদ্ধি
বেঙ্গালুরুর প্রযুক্তি কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগের বৃদ্ধি শহরের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিকাঠামোর উন্নয়নে প্রভাব ফেলছে।
ভিসি বিনিয়োগের ফলে নতুন প্রযুক্তি সংস্থা ও স্টার্টআপ গড়ে উঠছে, যা প্রযুক্তি কর্মসংস্থানের পরিধি প্রসারিত করছে।
এই প্রবণতা গ্লোবাল টেক ট্যালেন্ট গাইডবুক ২০২৫-এ উল্লেখিত অন্যান্য প্রধান প্রযুক্তি কেন্দ্রে বেঙ্গালুরুর সমতা প্রতিষ্ঠিত করছে।
বেঙ্গালুরুর বৈশ্বিক প্রযুক্তি মানচিত্রে অবদান
প্রযুক্তি কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির ফলে বেঙ্গালুরুর অবস্থান বিশ্বের শীর্ষ ১২টি প্রযুক্তি হাব-এর মধ্যে সুদৃঢ় হচ্ছে।
এই উন্নয়ন এলিট গ্লোবাল টেক ক্লাব-এর সদস্যপদ প্রাপ্তির যৌক্তিকতা পুনরায় নিশ্চিত করছে।
সিবিআরই(CBRE)-এর গবেষণা ও গ্লোবাল টেক ট্যালেন্ট গাইডবুক ২০২৫-এ এর স্পষ্ট উল্লেখ বেঙ্গালুরুর গ্লোবাল প্রযুক্তি প্রভাব প্রতিপাদন করছে।
সংক্ষেপে, বেঙ্গালুরুর টেক এমপ্লয়মেন্ট ও বিনিয়োগ উভয় ক্ষেত্রেই স্থিতিশীল এবং বর্ধমান প্রবণতা রয়েছে, যা এলিট গ্লোবাল টেক ক্লাব-এ তার অবস্থানের সঠিক ব্যাখ্যা প্রদান করছে। সিবিআরই(CBRE) এবং গ্লোবাল টেক ট্যালেন্ট গাইডবুক ২০২৫ এই তথ্যাবলী প্রামাণিকভাবে তুলে ধরেছে।
আন্তর্জাতিক ও ভারতীয় প্রযুক্তি শহরগুলোর ভিসি ডিল ও বিনিয়োগ তুলনা
শহর | ভিসি ডিল সংখ্যা | মোট বিনিয়োগ (USD) | AI ডিল সংখ্যা | ইউনিকর্ন সংখ্যা | IPO সংখ্যা |
---|---|---|---|---|---|
বেঙ্গালুরু | ১৪০ | ৩.৩ বিলিয়ন | ৩৪ | ২৮ | — |
দিল্লি-NCR | ১৮৩ | ১.৯ বিলিয়ন | ৪২ | ১৫ | ১৬ |
মুম্বাই | ১৬৭ | ৪.৯ বিলিয়ন | ২৬ | ৭ | ৪৭ |
সান ফ্রান্সিসকো বে এরিয়া | ২৫০+ | ১০+ বিলিয়ন | ৫০+ | ৫০+ | ৩০+ |
লন্ডন | ২০০+ | ৮+ বিলিয়ন | ৪৫+ | ৩০+ | ২৫+ |
ভবিষ্যতের দিকনির্দেশ
সিবিআরই(CBRE)-এর চেয়ারম্যান ও সিইও অংশুমান ম্যাগাজিন বলেছেন:
“বেঙ্গালুরুর এলিট গ্লোবাল টেক ক্লাব-এ অন্তর্ভুক্তি ভারতের ডিজিটাল উদ্ভাবনের প্রমাণ।
এই ট্রেন্ড শুধু বেঙ্গালুরু-তেই নয়, বরং দিল্লি, মুম্বাই, আহমেদাবাদ, ও জয়পুরেও সমান্তরালভাবে বিকাশ পাচ্ছে।”
বেঙ্গালুরুর এলিট গ্লোবাল টেক ক্লাব-এ অন্তর্ভুক্তি এবং গ্লোবাল টেক ট্যালেন্ট গাইডবুক ২০২৫-এর তথ্য অনুযায়ী, শহরটির প্রযুক্তি কর্মীবৃন্দ ও উদ্ভাবনক্ষমতা বিশ্বমানের পর্যায়ে পৌঁছেছে। সিবিআরই(CBRE) রিপোর্টে বেঙ্গালুরুর স্থায়ীত্ব ও দ্রুত বর্ধনশীল প্রযুক্তি পরিকাঠামো স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে, যা এটিকে এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।