কলকাতার এক অধ্যাপক সম্প্রতি প্রকাশিত করেছেন একটি বই, যা Bengal revolutionaries-দের ব্রিটিশ শাসনের সময়কার জেলায় জীবন ও সংগ্রামের বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরে। The Colonial Prison in Bengal, 1860-1945 শিরোনামের বইটি সাহিত্য, দলিল এবং সাক্ষ্যভিত্তিক ঘটনা থেকে তৈরি করা হয়েছে, যাতে বোঝা যায় কীভাবে বাংলার বিপ্লবীরা তাদের চিন্তা ও কর্মপদ্ধতিতে অন্য অঞ্চলের বিপ্লবীদের থেকে আলাদা ছিলেন।

বই অনুযায়ী, ১৯শ শতকের শেষভাগের ভদ্রলোক শ্রেণির যুবকরা, যারা পুনর্গঠনমূলক ও জাতীয়তাবাদী চিন্তায় নিবিষ্ট ছিলেন, তারা পশ্চিমা শিক্ষার যুক্তিবাদী মনোভাবকে আত্মীয় ঐতিহ্যের আত্মত্যাগ এবং শহীদত্বের ধারণার সঙ্গে মিলিয়ে অভিনব কৌশলে ব্যবহার করতেন।

Story Highlights:

  • Jogesh Chandra Chatterjee জেলায় Durga Puja উদযাপন করেছিলেন এবং রাতের জন্য সিনেমা প্রদর্শন করেছিলেন।

  • Panchanan Chakrabarty তার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র না দেওয়ায় জেলাশাসকদের তার সেলে আটক করেছিলেন।

  • Nanibala Devi তথ্য প্রকাশ করতে অস্বীকার করায় Varanasi জেলায় নির্যাতনের শিকার হন।

  • Bengal revolutionaries সহিংসতাকেও রাজনৈতিক প্রয়োজনে ন্যায়সঙ্গত মনে করতেন।

বইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজশাহী জেলায় Jogesh Chandra Chatterjee-এর নেতৃত্বে রাজনৈতিক বন্দিরা Durga Puja উদযাপন করার জন্য সুপারিনটেনডেন্টকে অনুরোধ করেছিলেন। জেলাশাসককে নিজสำนักงานใหญ่ থেকে অনুমতি নিতে হয়।

“একটি প্যান্ডাল নির্মাণ করা হয় প্রাঙ্গণের বাইরে, মূল গেটের ঠিক আগে। দুপুরে সব সাজাপ্রাপ্ত বন্দিরা একত্রিত হয়। সন্ধ্যায় সিনেমা প্রদর্শনও অনুষ্ঠিত হয়। মধ্যরাত পর্যন্ত সবাই খোলা আকাশের নিচে মিলিত হতে এবং উৎসব পালনে অংশ নিতে পারতেন। সুপারিনটেনডেন্টও উপস্থিত ছিলেন,” বইতে বলা হয়েছে।

অন্যদিকে, Panchanan Chakrabarty-এর কাহিনী উল্লেখযোগ্য। তিনি তার সেলে জেলাশাসক, ডেপুটি জেলাশাসক, জেল ডাক্তার এবং কয়েকজন গার্ডকে আটক করেছিলেন।

“আমার বারবার অনুরোধ উপেক্ষা করা হচ্ছিল। প্রয়োজনীয় বস্ত্র, বিছানা এবং অন্যান্য জিনিসপত্র পাওয়া যাচ্ছিল না। সেই উত্তেজনায় আমি জেলাশাসকদের আমার সেলে আটক করি,” তিনি লিখেছেন। এই ঘটনা British jails-এ বন্দিদের শক্তি ও agency-এর বিরল উদাহরণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

Varanasi জেলায় Nanibala Devi-এর ঘটনা আরও তীব্র। Deputy Police Superintendent Jiten Banerjee-এর নির্দেশে, দুজন ওয়ারড্রেস তাকে একটি কক্ষে নিয়ে যান, মাটিতে ফেলে দেন, জামা-কাপড় খুলে মরিচের লেপ smeared করেন।

“আমি ব্যথায় চিৎকার করছিলাম। ওরা আমাকে এমন একটি punishment cell-এ রাখে যেখানে জানালা নেই, শুধুমাত্র সামনের দরজার মাধ্যমে বাতাস এবং আলো আসত,” বইতে উল্লেখ আছে। পরে তাকে Presidency Jail, Kolkata-তে স্থানান্তর করা হয় এবং মুক্তি দেওয়া হয়।

বইটি স্পষ্ট করছে, এই ধরনের seemingly trivial কর্মকাণ্ডও Bengal revolutionaries-দের প্রতিরোধ এবং ক্ষমতার প্রকাশ হিসেবে দেখা যায়। “বন্দিরা British jails-এ নিঃসঙ্গ বা ক্ষুদ্র চরিত্র ছিলেন না। তাদের প্রতিরোধ ও কর্মকাণ্ড colonial authority-এর শক্তি কমিয়েছে এবং বন্দিদের agency প্রতিষ্ঠা করেছে,” লেখক উল্লেখ করেছেন।

ব্রিটিশ শাসনের সময়কার এই বন্দিদশা আমাদের শেখায় যে, Bengal revolutionaries শুধু শারীরিক সাহসী ছিলেন না, বরং তারা কৌশল, জ্ঞান এবং আত্মত্যাগের মাধ্যমে British jails-এও স্বাধীনতার স্বর প্রকাশ করেছিলেন।

Kolkata-র colonial prison-এ বন্দি থাকা বিপ্লবীদের জীবনের এই গল্প প্রমাণ করে, তারা কখনও নিষ্ক্রিয় ছিলেন না। Durga Puja উদযাপন থেকে শুরু করে জেলাশাসকদের নিজের সেলে আটক দেওয়া, এবং তথ্য প্রকাশে অস্বীকার—সবকিছুই তাদের সাহস, কৌশল ও প্রতিরোধের পরিচায়ক। এই ঘটনাবলি দেখায় কিভাবে Kolkata-র বিপ্লবীরা ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে নিজের agency ব্যবহার করে সীমিত বন্দিদশা থেকেও স্বাধীনতার বার্তা ছড়িয়েছেন। Kolkata-র colonial prison-এ তাদের কর্মকাণ্ড আজও ইতিহাসে একটি শক্তিশালী প্রেরণার উৎস হিসেবে চিহ্নিত।

আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ! ❤️আমরা সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের জন্য তথ্যসমৃদ্ধ, আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করতে, যাতে আপনি নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পারেন। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আমাদের সঙ্গে আপনার মতামত শেয়ার করতে চান, তাহলে “যোগাযোগ করুন” ফর্ম ব্যবহার করে সরাসরি আমাদের সাথে কথা বলুন। আমরা আগ্রহের সঙ্গে আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত এবং আপনার প্রতিক্রিয়াকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করি। এছাড়াও, ভবিষ্যতের আপডেট, নতুন নিবন্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস না করতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন—একসঙ্গে জানবো, শিখবো, আর নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্ব দেখবো

Leave a Reply