লোকসভায় নতুন তিনটি বিল প্রবর্তনের পর তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই বিল অনুযায়ী, যে কোনো নির্বাচিত প্রতিনিধিকে, যারা গুরুতর অপরাধে গ্রেফতার হয়ে ৩০ দিনের বেশি কারাবন্দি থাকবেন, ৩১তম দিনে পদত্যাগ করতে হবে অথবা স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের পদ বাতিল হবে। প্রধান লক্ষ্যবস্তুতে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী, Union Ministers, রাষ্ট্র ও Union Territory-এর মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রীরা।

বিরোধীপক্ষের দাবি, এই বিলের মাধ্যমে রাজ্যস্তরের opposition সরকারের প্রতি আক্রমণ করা হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি জনসেবায় সততা এবং নৈতিকতা বাড়ানোর একটি পদক্ষেপ।

কাহিনী হাইলাইটস:

  • Bills প্রবর্তিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের জন্য, যারা গুরুতর অপরাধে ৩০ দিনের বেশি কারাবন্দি থাকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পদত্যাগ করবেন।

  • Congress Leader KC Venugopal-এর প্রশ্ন: অতীতে Amit Shah কি নৈতিকতা বজায় রেখেছিলেন?

  • Senior Congress Leader Priyanka Gandhi Vadra মন্তব্য করেছেন, বিল ‘draconian’, সংবিধানের বিরোধী।

  • AIMIM নেতা Asaduddin Owaisi মন্তব্য করেছেন, দেশকে ‘police state’-এ পরিণত করার চেষ্টা হচ্ছে।

  • Bills-গুলি Joint Parliamentary Committee-তে পাঠানো হয়েছে, opposition-এর মতামত পাওয়া যাবে।

Congress Leader KC Venugopal-এর প্রশ্ন

Congress Leader KC Venugopal এই বিলকে দেশের সংবিধান এবং ফেডারেল সিস্টেমের জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন,

“এই বিল দেশের ফেডারেল সিস্টেমকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে এবং সংবিধানের মৌলিক নীতি লঙ্ঘন করতে তৈরি। BJP নেতা বলছেন, এই বিল রাজনীতিতে নৈতিকতা আনবে। আমি Home Minister-এর কাছে প্রশ্ন করতে চাই, যখন তিনি গুজরাটের হোম মিনিস্টার ছিলেন, তখন তিনি গ্রেফতার হন। তখন কি তিনি নৈতিকতা বজায় রেখেছিলেন?”

তার এই মন্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে, opposition বিশ্বাস করছে যে বিলটি মূলত বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের চাপে রাখার জন্য তৈরি।

কেন গুজরাটের হোম মিনিস্টার থাকা অবস্থায় গ্রেফতার হয়েছিলেন Amit Shah?

২০১০ সালে, গুজরাটের তৎকালীন হোম মিনিস্টার Amit Shah-কে CBI গ্রেফতার করে Sohrabuddin Sheikh-এর ‘ফেক এনকাউন্টার’ মামলায়। এই মামলায় Sohrabuddin ও তাঁর স্ত্রী Kauserbi-কে হত্যা করা হয়েছিল। CBI অভিযোগ করে যে, Sohrabuddin রাজস্থানের মার্বেল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করছিলেন এবং তাঁকে হত্যা করতে Amit Shah-এর সঙ্গে পুলিশের কর্মকর্তারা যোগসাজশ করেছিলেন।

Amit Shah নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং বলেন যে, এই অভিযোগগুলি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি বলেন, “Congress আমাকে জেলে পাঠিয়েছে, এটা ছিল একটি কঠিন সময়।” The New Indian Express

২০১৪ সালে, বিশেষ CBI আদালত Shah-কে সমস্ত অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়, কারণ প্রমাণের অভাব ছিল। Hindustan Times

এই ঘটনা তাঁর রাজনৈতিক জীবনে একটি বড় বাঁক ছিল, কিন্তু পরবর্তীতে তিনি আবার শক্তিশালী অবস্থানে ফিরে আসেন।

Amit Shah-এর প্রতিক্রিয়া

প্রধানমন্ত্রীর কাছাকাছি অবস্থানে থাকা Home Minister Amit Shah, KC Venugopal-এর প্রশ্নের জবাবে বলেন,

“সত্যটি স্পষ্ট করতে চাই। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছিল, তবুও আমি নৈতিকতা এবং নৈতিক মান বজায় রেখে পদত্যাগ করেছি এবং সমস্ত সংবিধানিক পদ গ্রহণ করিনি যতক্ষণ না সব অভিযোগ মিটে যায়। আমরা কি নৈতিকতা শিখতে চাই? আমি গ্রেফতার হওয়ার আগে পদত্যাগ করেছি।”

Amit Shah-এর বক্তব্যে ফুটে উঠেছে, তিনি নিজের নৈতিকতা বজায় রাখার প্রমাণ দিতে চেয়েছেন এবং সরকারকে নৈতিকতার মান বজায় রাখার জন্য দৃঢ় অবস্থানে রাখার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

নতুন তিনটি বিলের প্রেক্ষাপট

Amit Shah মঙ্গলবার তিনটি বিল প্রবর্তন করেন –

  1. Constitution (One Hundred And Thirtieth Amendment) Bill, 2025

  2. Government of Union Territories (Amendment) Bill, 2025

  3. Jammu and Kashmir Reorganisation (Amendment) Bill, 2025

এই বিল অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী, Union Ministers, রাষ্ট্র ও Union Territory-এর মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রীরা, যারা গুরুতর অপরাধে গ্রেফতার হয়ে ৩০ দিনের বেশি কারাবন্দি থাকবেন, ৩১তম দিনে পদত্যাগ করতে বাধ্য হবেন।

প্রসঙ্গত, প্রাক্তন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী Arvind Kejriwal এবং তামিলনাড়ুর মন্ত্রী V Senthil Balaji গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও পদত্যাগ করেননি।

বিরোধী পক্ষের উদ্বেগ

Senior Congress Leader Priyanka Gandhi Vadra বলেন,

“আমি এই বিলকে সম্পূর্ণ draconian মনে করি। এটি সংবিধানের বিরুদ্ধে যায়। এটি শুধুমাত্র জনগণের চোখে আড়াল ফেলছে। আগামীকাল যে কোনো chief minister-এর বিরুদ্ধে মামলা করে ৩০ দিনের বেশি কারাবন্দি রাখলে তিনি পদ হারাবেন। এটি সম্পূর্ণ অ-সংবিধানিক এবং অ-গণতান্ত্রিক।”

AIMIM প্রধান Asaduddin Owaisi বলেন,

“এই বিল সংবিধানের বিরুদ্ধে। কে প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেফতার করবে? BJP সরকার আমাদের দেশকে police state-এ পরিণত করতে চাচ্ছে। আমরা এর বিরুদ্ধে থাকব। BJP ভুলে যাচ্ছে যে ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়।”

Joint Parliamentary Committee-এর রোল

বর্তমানে বিলগুলি Joint Parliamentary Committee-তে পাঠানো হয়েছে। কমিটি পরবর্তী সংসদীয় অধিবেশনের প্রথম দিনে রিপোর্ট দেবে। Amit Shah স্পষ্ট করে বলেছেন, opposition-এর পক্ষ থেকে মতামত পেশ করার সুযোগ দেওয়া হবে।

লোকসভায় প্রবর্তিত এই বিতর্কিত বিল দেশের রাজনৈতিক ও সংবিধানিক আলোচনাকে কেন্দ্র করে। Congress Leader KC Venugopal-এর সমালোচনা এবং Amit Shah-এর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, কীভাবে নৈতিকতা, ক্ষমতা এবং রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে দেশীয় রাজনীতিতে তীব্র দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হচ্ছে। সরকারের দাবি—জনসেবায় সততা নিশ্চিত করা, বিরোধী পক্ষের দাবি—রাজনৈতিক ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করা,—এই দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য তৈরি হওয়া সহজ নয়। Joint Parliamentary Committee-এর রিপোর্ট এবং opposition-এর মতামত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরবর্তী ধাপে বিলের গতি নির্ধারিত হবে, যা ভারতের সংবিধান ও গণতান্ত্রিক মানদণ্ডের প্রতি নজর রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ! ❤️আমরা সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের জন্য তথ্যসমৃদ্ধ, আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করতে, যাতে আপনি নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পারেন। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আমাদের সঙ্গে আপনার মতামত শেয়ার করতে চান, তাহলে “যোগাযোগ করুন” ফর্ম ব্যবহার করে সরাসরি আমাদের সাথে কথা বলুন। আমরা আগ্রহের সঙ্গে আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত এবং আপনার প্রতিক্রিয়াকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করি। এছাড়াও, ভবিষ্যতের আপডেট, নতুন নিবন্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস না করতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন—একসঙ্গে জানবো, শিখবো, আর নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্ব দেখবো

 

Leave a Reply