মালদা জেলার হরিশচন্দ্রপুরে মঙ্গলবার দুপুরে ঘটে গেল এক রোমাঞ্চকর অভিযান। মাত্র ২৫ মিনিটের মধ্যে অপহৃত তিন বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করে Malda Police, যা এখন জেলার আলোচ্য বিষয়। ঘটনাটি ঘটেছে Bengal-Bihar সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায়, যেখানে পুলিশ ও অপহরণকারীদের মধ্যে ঘটে টানটান উত্তেজনার তাড়া।
🟦 STORY HIGHLIGHTS READ BOX
- তিন বছরের মেয়েকে অপহরণ করে দুই মুখোশধারী
- Malda Police মাত্র ২৫ মিনিটে উদ্ধার করে
- অভিযুক্তদের তাড়া করে আটক Bengal-Bihar সীমান্তে
- এক জন গ্রেফতার, অপর অভিযুক্ত এখনও পলাতক
- শিশুটি সামান্য আহত, পরে মায়ের কোলে ফিরে
ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার দুপুর প্রায় ১২টা ৩০ মিনিট নাগাদ। মালদার হরিশচন্দ্রপুর থানার কোতোল গ্রামে মামার বাড়ির বাইরে খেলছিল ছোট্ট মেয়েটি। সেই সময় মুখোশ পরা দুই ব্যক্তি ইয়ামাহা মোটরসাইকেলে এসে তাকে তুলে নিয়ে চাঁদিপুরের দিকে পালিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা চিৎকার করলেও, অপহরণকারীরা মুহূর্তের মধ্যে চোখের আড়ালে চলে যায়।
খবর পৌঁছায় Harishchandrapur Police Station-এ, আর তখন থেকেই শুরু হয় এক অসাধারণ দ্রুততা। থানার অফিসাররা সব বহির্গমন পথে চেকপোস্ট বসিয়ে দেন। সন্দেহভাজনদের মোটরসাইকেল ও পোশাকের বিবরণ সঙ্গে সঙ্গেই পার্শ্ববর্তী থানাগুলিতে পাঠানো হয়। একাধিক ইউনিট একযোগে তৎপর হওয়ায়, অভিযুক্তদের গতিবিধি নজরে আসে খুব শিগগিরই।
এক স্থানীয় বাসিন্দা চাঁদিপুরের কাছে সন্দেহজনক বাইকটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় ধাওয়া। বুঝতে পেরে অভিযুক্তরা লক্ষ্মণপুর হয়ে ভালুকা রোড ধরে পালানোর চেষ্টা করে, যা Bengal-Bihar সীমান্তের খুব কাছেই। তবে পুলিশের জাল তখন প্রায় প্রস্তুত।
“আমরা খবর পাওয়া মাত্রই চারদিক থেকে রাস্তাগুলি বন্ধ করে দিই। প্রতিটি ইউনিটের সঙ্গে রিয়েল-টাইম যোগাযোগ ছিল,” বলেন SDPO Chanchal Somnath Saha। তিনি আরও জানান, “অভিযানটি পুরোপুরি টিমওয়ার্কের ফল। সবাই দ্রুত সাড়া না দিলে শিশুটিকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হত না।”
ইসলামপুর এলাকায় পৌঁছলে অপহরণকারীদের বাইকটি Sub-Inspector Mohammad Zakir Hossain নেতৃত্বাধীন দলের গাড়ির সামনে এসে পড়ে। শেষ মুহূর্তে পালানোর চেষ্টা করতে গিয়ে বাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যায়। “আমরা এক মুহূর্ত দেরি করিনি। তারা শিশুটিকে ফেলে পালাতে চাইছিল, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয়,” বলেন হোসেন।
ঘটনাস্থল থেকে ধৃত অপহরণকারীর নাম ছোটন নাগ, হরিশচন্দ্রপুর সদর এলাকার বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, তার বিরুদ্ধে আগেও একাধিক অপরাধমূলক অভিযোগ রয়েছে। অপর অভিযুক্ত পলাতক হলেও, তার পরিচয় নিশ্চিত বলে জানিয়েছে পুলিশ। “অন্য অভিযুক্তকে খুব শিগগিরই ধরা হবে,” বলেন IC Monojit Sarkar।
শিশুটি বাইক থেকে পড়ে মাথায় হালকা চোট পায়। তাকে দ্রুত Harishchandrapur Rural Hospital-এ নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসার পর শিশুটিকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। হাসপাতালে উপস্থিত কর্মকর্তারা জানান, “শিশুটি ভয় পেয়েছিল, কিন্তু এখন সম্পূর্ণ নিরাপদ।”
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অপহরণ থেকে উদ্ধার—পুরো ঘটনাটি সম্পন্ন হয়েছে মাত্র ২৫ মিনিটের মধ্যে। “এটি আমাদের জেলার জন্য গর্বের মুহূর্ত,” বলেন এক সিনিয়র অফিসার। “এই ঘটনার মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে, দ্রুত যোগাযোগ ও সঠিক পরিকল্পনা থাকলে কত বড় অপরাধও রোধ করা সম্ভব।”
এই সফল অভিযানে Malda Police-এর পেশাদারিত্ব ও সমন্বয়ের প্রশংসা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। Bengal-Bihar সীমান্তে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে এক সম্ভাব্য বড় অপরাধ ঠেকানো গেল বলেই মত পুলিশের।
এই ঘটনার মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে যে, Malda Police-এর দ্রুত পদক্ষেপ এবং পেশাদার দক্ষতা না থাকলে Bengal-Bihar সীমান্তে এই অপহরণের ঘটনা অন্য রূপ নিতে পারত। মাত্র ২৫ মিনিটের মধ্যে অভিযুক্তদের ঘেরাও ও শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ যে সতর্কতা ও মানবিক দায়বদ্ধতার পরিচয় দিয়েছে, তা জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। প্রশাসনিক সূত্রের মতে, এই সাফল্য প্রমাণ করে যে সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে Malda Police-এর উপস্থিতি ও তৎপরতা অপরাধ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ! ❤️আমরা সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের জন্য তথ্যসমৃদ্ধ, আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করতে, যাতে আপনি নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পারেন। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আমাদের সঙ্গে আপনার মতামত শেয়ার করতে চান, তাহলে “যোগাযোগ করুন” ফর্ম ব্যবহার করে সরাসরি আমাদের সাথে কথা বলুন। আমরা আগ্রহের সঙ্গে আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত এবং আপনার প্রতিক্রিয়াকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করি। এছাড়াও, ভবিষ্যতের আপডেট, নতুন নিবন্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস না করতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন—একসঙ্গে জানবো, শিখবো, আর নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্ব দেখবো