বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে West Bengal-এর বিভিন্ন জেলায়, যখন Enforcement Directorate বা ইডি একযোগে অভিযান শুরু করে একাধিক স্থানে। অভিযোগ, এই সমস্ত জায়গাগুলিতে সক্রিয় একটি বড়সড় বালি পাচার চক্রের আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি ও সংস্থাগুলিকে লক্ষ্য করেই অভিযান চলছে।

🟩 Story Highlights (Read Box):

  • Enforcement Directorate অভিযান শুরু করেছে West Bengal-এর বিভিন্ন স্থানে

  • কলকাতা, ঝাড়গ্রাম (লালগড়, গোপীবল্লভপুর) এবং আসানসোলে অভিযান

  • বালি পাচার চক্রের আর্থিক নথি ও সম্পত্তি খতিয়ে দেখছে ইডি

  • ভোরবেলা থেকেই অভিযান শুরু হয়, একাধিক জায়গায় তল্লাশি চলছে

অভিযোগের ভিত্তিতে Enforcement Directorate এর দল প্রথমেই অভিযান চালায় কলকাতার বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের কিছু অফিসে। একইসঙ্গে ঝাড়গ্রামের লালগড় ও গোপীবল্লভপুরে একাধিক ব্যবসায়িক কেন্দ্রেও তল্লাশি শুরু হয়। পাশাপাশি, পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও চলে ইডির হানা।

এক সিনিয়র ইডি আধিকারিক বলেন,

“এই অভিযানগুলি মূলত অবৈধ বালি খনন ও পাচারের সঙ্গে যুক্ত আর্থিক লেনদেনের খোঁজে পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের দল ভোর থেকেই বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালাচ্ছে।”

ইডি সূত্রে জানা গেছে, এই তল্লাশি অভিযানে ব্যবসায়িক হিসাব, ব্যাংক ট্রান্সাকশন, সম্পত্তি সংক্রান্ত কাগজপত্র এবং আর্থিক রেকর্ড খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারীরা সন্দেহ করছেন, বালি পাচারের টাকায় রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে বিনিয়োগের মাধ্যমে একটি বড় আর্থিক নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে।

আরও এক আধিকারিক জানান,

“আমরা বর্তমানে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত নথি যাচাই করছি। বালি পাচারের মাধ্যমে যে অর্থ লেনদেন হয়েছে, তার উৎস ও ব্যবহার — উভয় দিকই আমাদের নজরে।”

Enforcement Directorate কর্তৃপক্ষের মতে, এই অভিযান শুধুমাত্র পাচার নয়, বরং তার সঙ্গে যুক্ত আর্থিক দুর্নীতির দিকও উন্মোচন করতে সহায়তা করবে। ইডির তদন্তকারীরা অনুমান করছেন, এই চক্রটি বহুদিন ধরে West Bengal-এর বিভিন্ন জেলা জুড়ে সক্রিয় ছিল।

রাজ্যের প্রশাসনিক সূত্র অনুযায়ী, ইডি অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। একাধিক ব্যবসায়িক গোষ্ঠী এবং ঠিকাদারদের ওপরও তদন্তের পরিধি বাড়ানো হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই মুহূর্তে Enforcement Directorate তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, তবে কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে আরও কিছু সংস্থা ও ব্যক্তির নাম আসতে পারে আগামী দিনগুলোতে। পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক অপরাধ তদন্তে এই অভিযানকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।

Enforcement Directorate–এর এই তল্লাশি অভিযান স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে, West Bengal-এ অবৈধ বালি পাচার চক্র এবং তার আর্থিক সংযোগের উপর কেন্দ্রীয় নজরদারি আরও কড়া হচ্ছে। ইডির এই পদক্ষেপ রাজ্যের আর্থিক অপরাধ তদন্তে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে দেখা হচ্ছে। কর্মকর্তাদের মতে, আসন্ন দিনে আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান হতে পারে, কারণ তদন্ত এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এই ধারাবাহিক Enforcement Directorate অভিযান ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, West Bengal-এর অর্থনৈতিক লেনদেনে স্বচ্ছতা আনার প্রয়াস এখন নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে।

আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ! ❤️আমরা সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের জন্য তথ্যসমৃদ্ধ, আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করতে, যাতে আপনি নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পারেন। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আমাদের সঙ্গে আপনার মতামত শেয়ার করতে চান, তাহলে “যোগাযোগ করুন” ফর্ম ব্যবহার করে সরাসরি আমাদের সাথে কথা বলুন। আমরা আগ্রহের সঙ্গে আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত এবং আপনার প্রতিক্রিয়াকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করি। এছাড়াও, ভবিষ্যতের আপডেট, নতুন নিবন্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস না করতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন—একসঙ্গে জানবো, শিখবো, আর নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্ব দেখবো

Leave a Reply