রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই এক ভয়াবহ Earthquake কেঁপে তুলল Northeast-এর বিভিন্ন এলাকা এবং সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গকে। ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.৮। এক ঘণ্টা আধার মধ্যে আরও তিনটি আফটারশক অনুভূত হয়। অসমে অন্তত দু’জন আহত হয়েছেন এবং বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

📌 Story Highlights (READ BOX)

  • Earthquake-এর মাত্রা ৫.৮; প্রথম ধাক্কা বিকেল ৪.৪১-এ

  • পরবর্তী তিনটি আফটারশক: ৩.১, ২.৯ ও ২.৭ মাত্রার

  • উপকেন্দ্র: সোনিতপুর ও উদালগুরি, অসম

  • দু’জন কিশোরী আহত, বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত

  • পশ্চিমবঙ্গে কোনো প্রাণহানি বা বড় ক্ষতির খবর নেই

প্রথম ধাক্কাটি ছিল ৫.৮ মাত্রার, রেকর্ড হয় বিকেল ৪.৪১ মিনিটে। দ্বিতীয় ধাক্কা ৩.১ মাত্রার, অনুভূত হয় ৪.৫৮ মিনিটে। তৃতীয় ধাক্কা ২.৯ মাত্রার, বিকেল ৫.২১ মিনিটে, আর চতুর্থটি ২.৭ মাত্রার, সন্ধ্যা ৬.১১ মিনিটে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, তৃতীয় Earthquake-এর উপকেন্দ্র ছিল অসমের সোনিতপুর এবং বাকি তিনটি উদালগুরি জেলায়।

অসম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা জানায়, উদালগুরিতে এক হোস্টেলের ছাদ ভেঙে দু’জন কিশোরী আহত হয়েছেন। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং Northeast-এর এই Earthquake পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নেন।

“পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, তবে আতঙ্কের কারণ নেই,”
— বলেন অসম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব দানি সুলু।

রবিবার সকালেই প্রধানমন্ত্রী অসমে ₹১৮,০০০ কোটির বেশি প্রকল্প উদ্বোধনে এসেছিলেন। বিকেলের Earthquake-এর পর তিনি তৎক্ষণাৎ রাজ্য সরকারকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চল — শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, ডুয়ার্স, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার — এই সমস্ত এলাকাতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।

অনেক মানুষ শঙ্খধ্বনি করেন, যা প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী ভূমিকম্পের প্রভাব কমায়। তবে পশ্চিমবঙ্গে কোথাও প্রাণহানি বা বড় ধরনের ক্ষতির খবর নেই বলে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

এই Earthquake আবারও মনে করিয়ে দিল যে Northeast ও উত্তরবঙ্গ ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত মহড়া ও কাঠামোগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করলেই এমন পরিস্থিতিতে ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব।

এই ৫.৮ মাত্রার Earthquake আবারও দেখিয়ে দিল যে Northeast এবং উত্তরবঙ্গের মানুষদের জন্য ভূমিকম্প সচেতনতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। অসম থেকে পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত এই কম্পন শুধু আতঙ্কই সৃষ্টি করেনি, বরং প্রমাণ করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও অবকাঠামোগত নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত মহড়া, সঠিক কাঠামো ও দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপই ভবিষ্যতের Earthquake পরিস্থিতি মোকাবিলায় একমাত্র ভরসা হতে পারে।

আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ! ❤️আমরা সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের জন্য তথ্যসমৃদ্ধ, আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করতে, যাতে আপনি নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পারেন। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আমাদের সঙ্গে আপনার মতামত শেয়ার করতে চান, তাহলে “যোগাযোগ করুন” ফর্ম ব্যবহার করে সরাসরি আমাদের সাথে কথা বলুন। আমরা আগ্রহের সঙ্গে আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত এবং আপনার প্রতিক্রিয়াকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করি। এছাড়াও, ভবিষ্যতের আপডেট, নতুন নিবন্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস না করতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন—একসঙ্গে জানবো, শিখবো, আর নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্ব দেখবো

Leave a Reply