পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) সরকার রাজ্যজুড়ে ৩৯৯টি সরকার-অনুদানপ্রাপ্ত কলেজের প্রতিটি কলেজকে ₹৫ লক্ষ করে বই ও জার্নাল কেনার জন্য দিচ্ছে। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এ বছর বিশেষভাবে অনুকূল না হলেও এই পদক্ষেপকে অধিকাংশ অধ্যক্ষ ও শিক্ষাবিদ স্বাগত জানিয়েছেন। বড় কলেজগুলোর ক্ষেত্রে হয়তো এই অঙ্কটি তুলনামূলকভাবে ছোট, কিন্তু ছোট কলেজগুলোর জন্য এটি এক বড় সহায়ক পদক্ষেপ। মূল উদ্দেশ্য হল National Education Policy 2020 অনুযায়ী নতুন পাঠ্যক্রমের চাহিদা পূরণ করা।
📌 STORY HIGHLIGHTS
West Bengal সরকার ৩৯৯টি সরকার-অনুদানপ্রাপ্ত কলেজে প্রতিটি ₹৫ লক্ষ করে অনুদান ঘোষণা করেছে।
মোট বরাদ্দের অঙ্ক ₹১৯.৯৫ কোটি।
National Education Policy 2020 অনুযায়ী নতুন পাঠ্যক্রমে বই ও জার্নাল কেনার প্রয়োজন মেটানোই মূল লক্ষ্য।
দীর্ঘদিন বইয়ের ঘাটতিতে ভুগেছে কলেজগুলোর গ্রন্থাগার।
শিক্ষকদের আশা, এই উদ্যোগ ছাত্রছাত্রীদের আবার লাইব্রেরিতে ফিরিয়ে আনবে।
সাম্প্রতিক এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,
“গভর্নর নিম্নলিখিত প্রকল্পের ‘In Principle Approval’ দিয়েছেন: নতুন সিলেবাসের জন্য ৩৯৯টি সরকার-অনুদানপ্রাপ্ত কলেজে বই ও জার্নাল সংগ্রহ। মোট বরাদ্দ ₹১৯,৯৫,০০,০০০ (প্রতিটি কলেজে ₹৫,০০,০০০)।”
যদিও অতীতে বই কেনার জন্য সরকারি অর্থ বরাদ্দ হয়েছে, অনেক শিক্ষাবিদ মনে করছেন এই প্রথম সব কলেজকে একসাথে অর্থ দেওয়া হচ্ছে।
নব বালিগঞ্জ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ অয়ন্তিকা ঘোষ এই উদ্যোগকে শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য নতুন প্রাণশক্তি হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেন,
“অভূতপূর্ব ভর্তির দেরি এবং নতুন ছাত্রছাত্রীদের দ্বিধার মাঝে এই ₹৫ লক্ষের অনুমোদন নিঃসন্দেহে এক নতুন প্রাণশক্তি যোগাল যে শিক্ষা ব্যবস্থা এখন মরিয়া হয়ে চাঙা হতে চাইছে।”
তিনি আরও যোগ করেন,
“National Education Policy 2020 (২০২৩ থেকে কার্যকর) অনুযায়ী নতুন পাঠ্যক্রম ছাত্রকেন্দ্রিক ও বহুমুখী। এতে বহু নতুন পাঠ্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছে যা আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ছিল না। গত তিন বছর বইয়ের অভাবে শিক্ষকদের ছাত্রদের সমৃদ্ধ করতে বেগ পেতে হয়েছে। এই বহুল প্রতীক্ষিত উদ্যোগ অন্তত আপাতত পাঠ্যক্রমের প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করবে।”
অনেক শিক্ষকই মনে করছেন সর্বশেষ জার্নাল ও নতুন বইয়ের সংগ্রহ ছাত্রছাত্রীদের আবার গ্রন্থাগারে ফিরিয়ে আনতে পারে। কারণ কোভিড-পরবর্তী সময়ে তারা ই-বুক, ই-জার্নাল, ইউটিউব লেকচার এবং AI-ভিত্তিক টুলের সাথে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন।
কলকাতার নিউ আলিপুর কলেজের অধ্যক্ষ জয়দীপ সারঙ্গি বলেন,
“এই অনুদান কলেজ লাইব্রেরিকে বর্তমান Curriculum & Credit Framework অনুযায়ী বই ও রেফারেন্স কিনতে সাহায্য করবে। আমাদের কলেজ বিভাগভিত্তিক তালিকা তৈরি করছে। বইয়ের চেয়ে বড় বন্ধু আর কিছু নেই।”
এই বরাদ্দের ফলে West Bengal-এর কলেজগুলো নতুন পাঠ্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় বই ও জার্নাল সংগ্রহ করতে পারবে। National Education Policy 2020 অনুযায়ী যে বহুমুখী ও ছাত্রকেন্দ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে, এই অনুদান সেই কাঠামোকে বাস্তবায়িত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ফলে কলেজগুলোর গ্রন্থাগারে নতুন বই ও জার্নালের সমৃদ্ধি যেমন ঘটবে, তেমনি ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার পরিবেশও হবে আরও শক্তিশালী।
এই নতুন উদ্যোগে West Bengal সরকারের অনুদান রাজ্যের ৩৯৯টি সরকার-অনুদানপ্রাপ্ত কলেজকে নতুন প্রাণ দিচ্ছে। প্রতিটি কলেজের জন্য ₹৫ লক্ষ বরাদ্দের ফলে বই ও জার্নালের ঘাটতি মিটবে এবং ছাত্রছাত্রীদের শেখার পরিবেশ আরও সমৃদ্ধ হবে। সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, National Education Policy 2020 অনুযায়ী বহুমুখী ও ছাত্রকেন্দ্রিক পাঠ্যক্রম কার্যকর করতে এই সহায়তা একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে। ফলে West Bengal-এর উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় আধুনিকতা, দক্ষতা ও মানোন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।