কলকাতার সোনাগাছি, এশিয়ার বৃহত্তম রেড লাইট এলাকা, এবার আলোচনায় এসেছে অন্য এক কারণে। নেপালের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব এসে পড়েছে এখানে কাজ করা Nepal Sex Workers-দের জীবনে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর বিতর্কিত নিষেধাজ্ঞা ঘিরে শুরু হওয়া প্রতিবাদে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী কে.পি. শর্মা অলিকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির ফলে সোনাগাছিতে কাজ করা নেপালি মহিলাদের জীবনে নেমে এসেছে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা, অর্থ পাঠানোর সমস্যাসহ মানসিক যন্ত্রণা।
📌 স্টোরি হাইলাইটস (READ BOX)
নেপালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিষেধাজ্ঞা ঘিরে প্রতিবাদে বহু মৃত্যু ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ।
সোনাগাছির প্রায় ১০০-র বেশি Nepal Sex Workers যোগাযোগ ও রেমিট্যান্স পাঠাতে অক্ষম।
নেপালে বিমানবন্দর বন্ধ, সীমান্ত সিল, যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত।
সন্তান ও পরিবারের খোঁজ পাচ্ছেন না বহু মহিলা, মানসিক যন্ত্রণা তীব্র হচ্ছে।
এনজিও ও কর্মীরা যোগাযোগ ও অর্থ পাঠানোর উপায় খুঁজছেন।
নেপালে খাদ্য সংকটের অভিযোগ, ভারতের হস্তক্ষেপের দাবি।
সোনাগাছির বিভিন্ন গলিতে এখন এক অদৃশ্য আতঙ্ক। অনেক Nepal Sex Workers সারাদিন মোবাইল ফোন রিফ্রেশ করছেন খবর পাওয়ার আশায়। কেউ জানেন না তাদের পরিবার নিরাপদ আছে কিনা।
এক নেপালি যৌনকর্মী জানালেন,
“তিন দিন ধরে মায়ের সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। ফোন করলে সবসময় বলে নেটওয়ার্ক নেই। জানি না উনি নিরাপদ আছেন কিনা।”
আরেক Nepal Sex Worker বলেন,
“প্রতি মাসে আমি আমার দুই ছেলেকে টাকা পাঠাই, যারা পোখরায় দাদু-দিদার সঙ্গে থাকে। জানি না এ মাসে টাকা পাঠাতে পারব কিনা। যদি না পাঠাতে পারি, তারা কী খাবে?”
এই পরিস্থিতি শুধুমাত্র অর্থ পাঠানো নয়, মানসিকভাবে ভেঙে পড়ারও কারণ হয়ে উঠেছে। কলকাতা থেকে পাঠানো অল্প টাকাই বহু পরিবারের বেঁচে থাকার একমাত্র ভরসা। এখন সেই সুতো ছিঁড়ে যাচ্ছে।
অন্য এক নেপালি মহিলা হতাশভাবে বললেন,
“যদি বাড়ি যেতে চাই, উপায় নেই। সীমান্ত বন্ধ, ফ্লাইট বাতিল। আমরা এখানে আটকে আছি, পরিবার ওখানে আটকে আছে।”
এদিকে যৌনকর্মীদের নিয়ে কাজ করা এক এনজিও কর্মী জানালেন,
“আমরা কিছু যৌনকর্মী ও আমাদের এনজিও-র কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করব, যাতে তারা পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে ও টাকা পাঠাতে পারেন।”
সোনাগাছির প্রতিটি গলি এখন উদ্বেগ ও আশঙ্কায় ভরা। প্রতিদিন কেউ না কেউ নতুন করে জানাচ্ছেন পরিবারের খবর না পাওয়ার কথা।
কিছু Nepal Sex Workers বলেন,
“নেপালে খাবার নেই। আমাদের পরিবার বাইরে যেতে পারছে না। খাবারও পাচ্ছে না। আমরা এখানে খুব টেনশনে আছি। আমি চাই ভারত সরকার হস্তক্ষেপ করুক এবং বিষয়টি দেখুক।”
নেপালের এই রাজনৈতিক অস্থিরতা শুধু সীমান্তের ভেতরেই আটকে নেই, তার অভিঘাত এসে পড়েছে সোনাগাছির এই অসহায় মহিলাদের জীবনে। একদিকে দেশীয় রাজনৈতিক সংকট, অন্যদিকে সীমান্তে বন্ধন — সব মিলিয়ে Kolkata-র Sonagachi-তে Nepal Sex Workers-এর জীবনে তৈরি হয়েছে গভীর অনিশ্চয়তা।
নেপালের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার ফলে কলকাতার সোনাগাছির জীবনযাত্রা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছে। বিশেষ করে Nepal Sex Workers যারা এখানে কাজ করে নিজেদের পরিবারকে চালিয়ে নিচ্ছিলেন, তারা আজ চরম সংকটে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা, রেমিট্যান্স পাঠাতে না পারা, পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্ক—সবকিছু মিলিয়ে তাদের জীবন এখন দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতায় ভরা। নেপাল ও ভারতের মধ্যে এই পরিস্থিতির সমাধান যত দ্রুত সম্ভব হবে, তত দ্রুত Kolkata-র Sonagachi-র Nepal Sex Workers-দের জীবনও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারবে। এই অস্থির সময়ে তাদের অসহায়তার কণ্ঠস্বর যেন নীতিনির্ধারকদের কানে পৌঁছায়, সেটাই এখন প্রধান চাহিদা।