জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৬০তম অধিবেশনে জেনেভায় ভারত ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে এক কূটনৈতিক টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে সুইস প্রতিনিধির মন্তব্যের জবাবে ভারত তার বক্তব্য প্রকাশ করেছে।
ভারতের স্থায়ী মিশনের কাউন্সেলর ক্ষিতিজ ত্যাগী মঙ্গলবার বলেন, সুইজারল্যান্ডের এই মন্তব্য “surprising, shallow and ill-informed”। তাঁর মতে, “আমরা সুইজারল্যান্ডের কাছ থেকে এই ধরনের মন্তব্য আশা করিনি, কারণ দেশটি ভারতের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার।”
📰 Story Highlights
ভারত সুইজারল্যান্ডের মন্তব্যকে “surprising, shallow and ill-informed” আখ্যা দিয়েছে
মন্তব্য করেছেন ক্ষিতিজ ত্যাগী, ভারতীয় স্থায়ী মিশনের কাউন্সেলর
সুইস প্রতিনিধি ভারতের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান
ভারত বলেছে, সুইজারল্যান্ডের নিজস্ব racism, systematic discrimination ও xenophobia সমস্যার দিকে নজর দেওয়া উচিত
ভারত নিজেকে বিশ্বের বৃহত্তম, বৈচিত্র্যময় ও প্রাণবন্ত গণতন্ত্র হিসেবে তুলে ধরে
সুইস প্রতিনিধি পরিষদে বলেন, “আমাদের দেশ ভারত সরকারকে আহ্বান জানায় যাতে তারা সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয় এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বজায় রাখে।”
এই বক্তব্যের জবাবে ক্ষিতিজ ত্যাগী আলাদা করে তুলে ধরেন যে, সুইজারল্যান্ড বর্তমানে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের সভাপতিত্ব করছে। তাঁর মতে, “এই অবস্থানে থেকে পরিষদের সময় নষ্ট করে এমন বর্ণনা দেওয়া উচিত নয় যা বাস্তবতার সঙ্গে মেলে না। এই ধরনের বিবৃতি শুধু surprising নয়, বরং shallow and ill-informed।”
তিনি আরও বলেন, “বরং সুইজারল্যান্ডকে তার নিজস্ব সমস্যাগুলির দিকে মনোযোগ দিতে হবে—racism, systematic discrimination এবং xenophobia।”
ভারত তার বক্তব্যে তুলে ধরে যে, বিশ্বের বৃহত্তম, বৈচিত্র্যময় ও প্রাণবন্ত গণতন্ত্র হিসেবে এবং সভ্যতার বহুত্ববাদী মূল্যবোধের ধারক হিসেবে দেশটি প্রস্তুত রয়েছে সুইজারল্যান্ডকে তার এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করতে।
এইভাবে ভারতের বক্তব্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে সুইজারল্যান্ডের মন্তব্যের প্রেক্ষাপটে একটি স্পষ্ট ও দৃঢ় প্রতিক্রিয়া হিসেবে প্রতিধ্বনিত হয়েছে, যা “surprising, shallow and ill-informed” শব্দবন্ধকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক মহলে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের এই অধিবেশনে ভারত ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে প্রকাশ্য কূটনৈতিক বক্তব্য আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ভারতের মতে সুইস মন্তব্য শুধু “surprising, shallow and ill-informed” নয়, বরং তা বাস্তবতার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। একই সঙ্গে ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে বিশ্বের বৃহত্তম ও বৈচিত্র্যময় গণতন্ত্র হিসেবে তারা সংখ্যালঘু অধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতিশ্রুতিতে অটল। আর সুইজারল্যান্ডের উচিত তার নিজস্ব racism, systematic discrimination ও xenophobia সমস্যাগুলি সমাধানে মনোনিবেশ করা। এইভাবে “surprising, shallow and ill-informed” মন্তব্যের জবাবে ভারতের প্রতিক্রিয়া আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পৌঁছে দিয়েছে।