বাঙালি পরিচালক Anuparna Roy এর নাম এখন গ্লোবাল সিনেমার মঞ্চে আলোচিত। পুরুলিয়ার নারায়ণপুর গ্রামের এই চলচ্চিত্র নির্মাতা ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে (Venice Film Festival) মর্যাদাপূর্ণ Orizzonti Award জিতে ইতিহাস গড়লেন। তাঁর এই সাফল্যকে ঘিরে রাজ্য জুড়ে গর্ব এবং আনন্দের স্রোত বইছে।
📌 Story Highlights
- ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে ওরিজোন্টি পুরস্কার জিতেছেন বাঙালি চলচ্চিত্র নির্মাতা অনুপর্ণা রায়।
-
এই বিভাগে এই স্বীকৃতি অর্জনকারী প্রথম ভারতীয়।
-
চলচ্চিত্র: ভুলে যাওয়া গাছের গান।
-
কুলটিতে বাবা-মায়ের বাস, জঙ্গলমহলের রাঙ্গামাটিতে শেকড়।
-
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল সি.ভি. আনন্দ বোস তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের মঞ্চে ঘোষণা করা হয় যে, Songs of Forgotten Trees ছবির জন্য Anuparna Roy কে দেওয়া হচ্ছে Orizzonti Award for Best Director। এই বিভাগে আগে কোনও ভারতীয় পরিচালককে সম্মানিত করা হয়নি। ফলে তাঁর এই সাফল্য শুধু বাংলার নয়, ভারতেরও বড় অর্জন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) এক্স-এ লিখেছেন—
“কোনও ভারতীয় পরিচালক এর আগে এই সম্মান এই বিভাগে পাননি। তাঁর বাবা-মা কুলতিতে থাকেন, আর শিকড় রয়েছে জঙ্গলমহলের রাঙামাটিতে। আমি বিশ্বাস করি, তাঁর এই অর্জন বাংলার মেয়েদের জয়ের প্রতীক।”
তিনি আরও যোগ করেছেন—
“Anuparna Roy এর এই সাফল্য যেন বিশ্ব সিনেমার মঞ্চে এক বিজয়ের সমান।”
অন্যদিকে, রাজ্যপাল সি.ভি. আনন্দ বোসও সামাজিক মাধ্যমে শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়ে লিখেছেন—
“Ms Roy তাঁর জন্মভূমি পুরুলিয়া এবং পশ্চিমবঙ্গকে গৌরবান্বিত করেছেন, একইসঙ্গে প্রথম ভারতীয় হিসেবে এই পুরস্কার জয়ের নজির গড়েছেন।”
রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ—সবার কাছেই এখন অনুপর্ণা রায় এক প্রেরণার নাম। জঙ্গলমহলের ছোট্ট গ্রাম থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে পৌঁছে যাওয়া তাঁর যাত্রা নতুন প্রজন্মের জন্য এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
Venice Film Festival-এর ইতিহাসে প্রথমবার কোনও ভারতীয় পরিচালকের হাতে যখন Orizzonti Award উঠল, তখন বাংলা এবং ভারতের গৌরব আরও এক ধাপ উঁচুতে উঠল।
Anuparna Roy-এর এই জয় শুধু ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং গোটা বাংলার গর্ব। পুরুলিয়ার ছোট্ট গ্রাম থেকে উঠে এসে তিনি যে উচ্চতায় পৌঁছেছেন, তা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে Venice Film Festival-এর মতো মর্যাদাপূর্ণ আসরে Orizzonti Award জয় বাংলার সংস্কৃতি ও সৃজনশীলতাকে বিশ্বের সামনে নতুনভাবে তুলে ধরল। তাঁর এই সাফল্য প্রমাণ করে যে প্রতিভা আর অধ্যবসায় থাকলে কোনও বাধাই অসম্ভব নয়।