Police in Krishnanagar শনিবার বড় সাফল্য পেয়েছে Ishita Mullik হত্যাকাণ্ডের তদন্তে। অভিযুক্ত দেশরাজ সিংয়ের মামা কুলদীপ সিংকে গুজরাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনা কৃষ্ণনগরের মানুষকে নাড়া দিয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিশের একাধিক চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে।
STORY HIGHLIGHTS
Police in Krishnanagar, Ishita Mullik হত্যাকাণ্ডে প্রথম গ্রেপ্তার করল
দেশরাজ সিংয়ের মামা কুলদীপ সিং অভিযুক্তকে পালাতে সাহায্য করেছেন অভিযোগ
জামনগর থেকে গ্রেপ্তার, চার দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে
দেশরাজের বাবার ভূমিকাও সন্দেহজনক, জিজ্ঞাসাবাদে জোর দিচ্ছে পুলিশ
পরিবারের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে
শনিবার গুজরাটের জামনগর থেকে কুলদীপ সিংকে আটক করে Police in Krishnanagar। পুলিশের দাবি, দেশরাজ সিংকে পালাতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ৪৩ বছরের কুলদীপ সিং উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়ার বাসিন্দা। পুলিশের মতে, “তিনি অভিযুক্তের পালানোর জন্য টিকিটের ব্যবস্থা করেছিলেন এবং আশ্রয় দিয়েছিলেন।”
পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় আদালত কুলদীপকে চার দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে দিয়েছে। রবিবার সকালে বিমানযোগে তাকে দমদমে আনা হয় এবং সেখান থেকে কৃষ্ণনগরে নিয়ে যাওয়া হয়। এক সিনিয়র অফিসার বলেন,
“তিনি এখন জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে আছেন। তার সঠিক ভূমিকা জানার চেষ্টা চলছে।”
পুলিশের পরিকল্পনা অনুযায়ী, সোমবার কুলদীপ সিংকে কৃষ্ণনগরের আদালতে তোলা হবে। অফিসিয়াল বিবৃতিতে পুলিশ জানিয়েছে,
“দেশরাজ সিংয়ের পালাতে কুলদীপ সিংয়ের সাহায্যের যথেষ্ট প্রমাণ হাতে এসেছে।”
ঘটনার পুনর্গঠন
২৫ আগস্ট কৃষ্ণনগরের মানিকপাড়ায় ভয়ঙ্কর এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। পুলিশ সূত্রের খবর অনুযায়ী, ওই দিন অভিযুক্ত দেশরাজ সিং Ishita Mullik-র বাড়ির প্রথম তলার শোবার ঘরে ঢুকে মাথায় তিনবার গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ১৮ বছরের ইশিতার।
পুলিশের দাবি, এই হত্যার পিছনে রয়েছে সম্পর্কের টানাপোড়েন। Ishita Mullik সম্প্রতি দেশরাজের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় দেশরাজ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তদন্তকারীদের কথায়,
“সম্পর্ক ভাঙার সিদ্ধান্ত দেশরাজ মেনে নিতে পারেনি। প্রত্যাখ্যান তার পক্ষে সহ্য করা সম্ভব হয়নি।”
অভিযুক্তের পালানোর পরিকল্পনা
পুলিশ জানিয়েছে, হত্যার পরদিন অর্থাৎ ২৬ আগস্ট দেশরাজ পালিয়ে যায়। হাওড়া–বরাকার–আসানসোল রুট ধরে সে উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া পৌঁছয়। তদন্তকারীরা বলেন,
“তখনই কুলদীপ সিং সক্রিয় হয়। পালানোর টিকিট, থাকার ব্যবস্থা সবই তার তত্ত্বাবধানে হয়েছিল।”
এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন,
“আমরা তার মোবাইলের ডেটা, কল রেকর্ড এবং লেনদেন খতিয়ে দেখছি।”
পরিবারের ভূমিকায় প্রশ্ন
এই ঘটনায় দেশরাজের পরিবারের একাধিক সদস্য পুলিশের নজরে এসেছে। শুধু কুলদীপ নন, তার বাবা রঘবেন্দ্র প্রতাপ সিংয়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তিনি বিএসএফের জওয়ান। পুলিশ ইতিমধ্যেই বিএসএফ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েছে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
তদন্তকারী এক অফিসার জানান,
“দেশরাজের বাবার বক্তব্যে অসংখ্য অসঙ্গতি রয়েছে। প্রয়োজনে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।”
সূত্রের খবর, গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, পরিবারের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে। অভিযোগ, তারা তথ্য গোপন করেছেন এবং অভিযুক্তকে পালাতে সাহায্য করেছেন।
নেপালে পালানোর আশঙ্কা
পুলিশের অনুমান, দেশরাজ হয়তো নেপালে পালিয়েছে। এই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তদন্তকারীরা বলছেন,
“সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। আমরা সব সূত্র খতিয়ে দেখছি।”
সম্পর্কের টানাপোড়েন থেকে রক্তাক্ত পরিণতি
Ishita Mullik এবং দেশরাজ সিং একসময় কান্চরাপাড়ার কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে সহপাঠী ছিল। তাদের মধ্যে সম্পর্ক গাঢ় হলেও ইশিতা সম্প্রতি সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দেশরাজের রাগী স্বভাবের কারণেই ইশিতা দূরত্ব তৈরি করে। প্রত্যাখ্যান মেনে নিতে না পেরে ঘটে গেল ভয়ঙ্কর এই হত্যাকাণ্ড।
Ishita Mullik হত্যাকাণ্ডে Police in Krishnanagar তদন্তে বড় সাফল্য পেয়েছে। কুলদীপ সিংয়ের গ্রেপ্তারি মামলার জটিলতা আরও বাড়িয়েছে। অভিযুক্ত দেশরাজ সিংয়ের বাবাসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, দেশরাজকে ধরার জন্য তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে। নেপালে পালানোর আশঙ্কাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড শুধু কৃষ্ণনগর নয়, সমগ্র রাজ্যকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এখন সবার চোখ Police in Krishnanagar-এর পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।
আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ! ❤️আমরা সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের জন্য তথ্যসমৃদ্ধ, আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করতে, যাতে আপনি নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পারেন। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আমাদের সঙ্গে আপনার মতামত শেয়ার করতে চান, তাহলে “যোগাযোগ করুন” ফর্ম ব্যবহার করে সরাসরি আমাদের সাথে কথা বলুন। আমরা আগ্রহের সঙ্গে আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত এবং আপনার প্রতিক্রিয়াকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করি। এছাড়াও, ভবিষ্যতের আপডেট, নতুন নিবন্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস না করতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন—একসঙ্গে জানবো, শিখবো, আর নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্ব দেখবো