২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে West Bengal election 2026 প্রস্তুতি তুঙ্গে। শুক্রবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (CEO Manoj Agarwal)–এর দপ্তরে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়, যেখানে রাজ্যের সমস্ত বড় রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের মূল বিষয় ছিল বুথ পুনর্বিন্যাস। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, একেকটি বুথে সর্বোচ্চ ১,২০০ ভোটার থাকবেন, যেখানে আগে এই সংখ্যা ছিল ১,৫০০। এর ফলে রাজ্যে অতিরিক্ত ১৪ হাজার বুথ তৈরি হবে।

STORY HIGHLIGHTS

✔ প্রতি বুথে সর্বাধিক ১,২০০ ভোটার
✔ বাড়ছে অতিরিক্ত ১৪ হাজার বুথ
✔ মোট বুথের সংখ্যা দাঁড়াবে ৯৪,৪৯৭
✔ আপত্তি জানানোর শেষ তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর
✔ SIR চালু না হওয়ার ইঙ্গিত তৃণমূলের তরফে

CEO Manoj Agarwal বৈঠকের শেষে জানান, “বুথ পুনর্বিন্যাসের ফলে ভোটারদের সুবিধা হবে। রাজনৈতিক দলগুলি এই বিষয়ে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লিখিত আপত্তি বা অভিযোগ জানাতে পারবে।” বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে বুথের সংখ্যা প্রায় ৮০,৬৬১। নতুন ১৩,৮১৬ বুথ যোগ হলে মোট বুথের সংখ্যা হবে ৯৪,৪৯৭

এত সংখ্যক বুথ বাড়ানো নিঃসন্দেহে সব রাজনৈতিক দলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ প্রতিটি বুথে এজেন্ট বসানো বাধ্যতামূলক হবে। West Bengal election 2026–এ তাই বুথ-স্তরের প্রস্তুতি নিয়েই শাসক ও বিরোধী শিবিরের মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে।

Trinamool Congress-এর অবস্থান

Trinomool Congress–এর পক্ষ থেকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি বৈঠকে বলেন—
“বুথ পুনর্বিন্যাসে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে শর্ত একটাই—অতিরিক্ত বুথ যেন একই ভোটকেন্দ্রের মধ্যে থাকে। ভোটারদের যাতে দু’কিলোমিটার দূরে গিয়ে ভোট দিতে না হয়।”

অরূপ বিশ্বাস আরও জানান—
“আমরা চাই নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থাকুক। কোনো রাজনৈতিক দলের স্বার্থে যেন কোনো পদক্ষেপ না হয়। আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি, পশ্চিমবঙ্গে Special Intensive Revision (SIR) চালু হলে আমরা তার বিরোধিতা করব।”

মন্ত্রী বলেন, “আজকের বৈঠকে SIR নিয়ে কোনো এজেন্ডা ছিল না। SIR পশ্চিমবঙ্গে হবে না।” উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, SIR চালুর চেষ্টা হলে তীব্র বিক্ষোভ হবে।

বিজেপির অভিযোগ

বিজেপি নেতা শীশির বাজোরিয়া বৈঠকে অভিযোগ করে বলেন—
“জেলা নির্বাচনী আধিকারিকরা দাবি করেছেন যে কোনো দল বুথ পুনর্বিন্যাস নিয়ে আপত্তি জানায়নি। এটা একেবারেই সত্য নয়। এছাড়া বুথ লেভেল অফিসারদের নাম তৃণমূলের অফিস থেকে এসেছে।”

কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের প্রতিবাদ

কংগ্রেসের প্রতিনিধি অশুতোষ চ্যাটার্জি, খ্বাজা আহমেদ ও মৃণাল নাস্কার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ‘No Political SIR’ লেখা পোস্টার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে। অন্যদিকে CPI(M)-এর পক্ষ থেকে সমিক লাহিড়ী বৈঠকে যোগ দেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন বুথ যোগ হওয়া শাসকদলের পাশাপাশি বিরোধী শিবিরের ওপরও সমান চাপ তৈরি করবে। কারণ প্রতিটি বুথে এজেন্ট বসানো বাধ্যতামূলক। ফলে ২০২৬ সালের নির্বাচনী লড়াইয়ে বুথ ম্যানেজমেন্ট হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

West Bengal election 2026 সামনে রেখে CEO Manoj Agarwal–এর এই সিদ্ধান্ত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে ভোটারদের সুবিধা এবং স্বচ্ছ নির্বাচনই মূল লক্ষ্য। বুথ পুনর্বিন্যাসের ফলে রাজ্যে বুথের সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ৯৪,৪৯৭, যা প্রতিটি রাজনৈতিক দলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে। Trinomool Congress ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, বুথ পুনর্বিন্যাসে তাদের আপত্তি নেই, তবে ভোটারদের দূরে গিয়ে ভোট দিতে না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলি যেমন বিজেপি, কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। সব মিলিয়ে, অতিরিক্ত বুথ তৈরির এই প্রক্রিয়া West Bengal election 2026–এর জন্য নির্বাচনী কৌশলে নতুন মাত্রা যোগ করবে।

আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ! ❤️আমরা সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের জন্য তথ্যসমৃদ্ধ, আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করতে, যাতে আপনি নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পারেন। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আমাদের সঙ্গে আপনার মতামত শেয়ার করতে চান, তাহলে “যোগাযোগ করুন” ফর্ম ব্যবহার করে সরাসরি আমাদের সাথে কথা বলুন। আমরা আগ্রহের সঙ্গে আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত এবং আপনার প্রতিক্রিয়াকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করি। এছাড়াও, ভবিষ্যতের আপডেট, নতুন নিবন্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস না করতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন—একসঙ্গে জানবো, শিখবো, আর নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্ব দেখবো

Leave a Reply