ধর্মস্থল Mass Burial Case, Bengaluru-এ চাঞ্চল্যকর মোড়। যিনি এতদিন হুইসেলব্লোয়ার হিসেবে পরিচিত ছিলেন, সেই সিএন চিন্নাইয়া ওরফে চেন্না গ্রেপ্তার হয়েছেন মিথ্যা শপথের অভিযোগে। তাঁর সমস্ত দাবি মিথ্যা ও মনগড়া বলে জানিয়েছে SIT। এদিকে নিখোঁজ কন্যার দাবিও নতুন মোড় নিয়েছে, আরও রহস্য তৈরি করছে। রাজনৈতিক মহলে তোলপাড়, বিজেপি বলছে “অ্যান্টি-হিন্দুত্ব চক্রান্ত”, কংগ্রেসের জবাব—“তদন্ত হোক, রাজনীতি নয়।” ধর্মস্থল Mass Burial Case এখন শুধু অপরাধ নয়, রাজনীতির অঙ্গনেও বড় ইস্যু।এতদিন চেন্না পরিচিত ছিলেন শুধু ‘মুখোশধারী ব্যক্তি’ হিসেবে। পরিচয় গোপন রেখে তিনি সাক্ষী সুরক্ষার দাবিও করেছিলেন। কিন্তু আজ সবকিছু উল্টে গেছে।

STORY HIGHLIGHTS

  • ধর্মস্থল Mass Burial Case–এ অভিযোগকারীর গ্রেপ্তার

  • চেন্নার বিরুদ্ধে মিথ্যা শপথের অভিযোগ

  • নিখোঁজ মেয়ের দাবিতেও নতুন মোড়

  • বিজেপি: “অ্যান্টি-হিন্দুত্ব চক্রান্ত”

  • কংগ্রেস: “রাজনীতি নয়, তদন্ত হোক”

তদন্ত চলাকালীন চেন্না ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নিজের বয়ান দেন। কিন্তু Special Investigation Team (SIT)-এর কাছে তাঁর বক্তব্যে অসংগতির প্রমাণ মেলে। জেরায় ফাঁস হয়ে যায় মিথ্যার জাল। এরপর তাঁর সাক্ষী সুরক্ষা তুলে দেওয়া হয় এবং গ্রেপ্তার করা হয় মিথ্যা শপথের অভিযোগে।

আজ সকালে চেন্নাকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়। এই দৃশ্যের ছবি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

দ্বিতীয় বড় মোড়: নিখোঁজ কন্যা, পরে উল্টো দাবি

তদন্ত চলাকালীন আরও এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে আসে। সুজাতা ভাট নামে এক মহিলা দাবি করেছিলেন যে তাঁর মেয়ে অনন্যা ভাট, যিনি নাকি এমবিবিএস ছাত্রী, হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে গেছেন। কিন্তু পরে তিনি এক স্থানীয় ইউটিউব চ্যানেলকে জানান, “অনন্যা বলে কেউ নেই, আমি ভুল বলেছিলাম।”

কিন্তু এখানেই শেষ নয়। পরে সুজাতা নতুন দাবি করেন—তাঁকে নাকি জোর করে এমন কথা বলানো হয়েছিল। ফলে পুরো ঘটনার রহস্য আরও গভীর হচ্ছে।

কীভাবে শুরু হয়েছিল এই বিতর্ক?

জুলাই মাসে এই মামলা ঘিরে ব্যাপক তোলপাড় হয়। চেন্না একটি খুলি হাতে থানায় গিয়ে জানান যে, তিনি গ্রামে শতাধিক দেহ কবর দেওয়ার কাজে জড়িত ছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, নিহতদের মধ্যে অনেক তরুণীও ছিলেন, যাঁদের উপর নাকি যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছিল। তিনি আরও বলেন—

“আমি যদি না মানতাম, আমাকে খুন করে ফেলা হতো।”

নিজেকে অপরাধবোধে জর্জরিত বলে দাবি করে চেন্না পুলিশকে জানান যে, তিনি সাক্ষী হতে রাজি। তাঁর কথায়—

“আমি পাপ করেছি। তাই আমি সত্যিটা বলতে চাই। শুধু আমাকে নিরাপত্তা দিন।”

পরে পুলিশ অভিযোগ নথিভুক্ত করে এবং তদন্ত শুরু হয়।

রাজনৈতিক মহলে ঝড়: বিজেপি বনাম কংগ্রেস

এই মামলা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে আগুন জ্বলে ওঠে। বিজেপি অভিযোগ তোলে, কংগ্রেস ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় স্থানকে কলঙ্কিত করছে। অপরদিকে কংগ্রেসের দাবি, বিজেপি বিষয়টিকে রাজনৈতিক ইস্যু বানাতে চাইছে।

বিজেপি রাজ্য সভাপতি বি ওয়াই বিজয়েন্দ্র সরাসরি অভিযোগ করেন—

“এটি কোনও সাধারণ ঘটনা নয়। এটি একটি বিশাল চক্রান্ত। এই চক্রান্তের পিছনে অ্যান্টি-হিন্দুত্ব এজেন্ডা রয়েছে। আজ ধর্মস্থল, কাল অন্য মন্দির। এর পেছনে বামপন্থী এবং কমিউনিস্ট শক্তির হাত রয়েছে।”

বিজেপি বিধায়ক ভরত শেট্টি বলেন—

“‘মুখোশধারী’ ব্যক্তি এবং সুজাতা ভাট সামনে থেকে খেলা করছিলেন। কিন্তু তাদের নির্দেশ দিচ্ছিল অন্য কেউ। আমরা সন্দেহ করছি, এই নাটকের পিছনে বিপুল অর্থের যোগ রয়েছে।”

তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন—

“স্থানীয় পুলিশ যখন নার্কো-অ্যানালিসিসের অনুরোধ করেছিল, তখনই কেন এসআইটি গঠন করা হলো? এর পিছনে কি কোনও উদ্দেশ্য আছে?”

অন্যদিকে কংগ্রেস এই অভিযোগ খণ্ডন করেছে। উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার বলেন—

“ধর্মস্থল পরিবারের লোকজন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আমাদের কাজের প্রশংসা করেছেন। আমরা কারও পক্ষপাতী নই। যে দোষী হবে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধর্মকে নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়।”

এই মুহূর্তে ধর্মস্থল Mass Burial Case নিয়ে রহস্য আরও গভীর হচ্ছে। চেন্নার গ্রেপ্তারের পর তদন্ত নতুন দিকে মোড় নিয়েছে। একই সঙ্গে নিখোঁজ মেয়ের ঘটনাও নতুন প্রশ্ন তুলছে—এই চক্রান্তের পেছনে কে বা কারা?

ধর্মস্থল Mass Burial Case, Bengaluru এখন রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে। অভিযোগকারীর গ্রেপ্তার, মিথ্যা শপথের অভিযোগ এবং নিখোঁজ কন্যার রহস্য তদন্তকে আরও জটিল করেছে। বিজেপি অভিযোগ তুলছে অ্যান্টি-হিন্দুত্ব চক্রান্তের, আর কংগ্রেস বলছে, তদন্ত চলুক এবং দোষীদের শাস্তি হোক। তবে একটাই প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে—এই সমস্ত নাটকের আসল কুশীলব কে? তদন্তের পরই প্রকাশ পাবে ধর্মস্থল Mass Burial Case–এর প্রকৃত সত্য।

আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ! ❤️আমরা সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের জন্য তথ্যসমৃদ্ধ, আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করতে, যাতে আপনি নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পারেন। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আমাদের সঙ্গে আপনার মতামত শেয়ার করতে চান, তাহলে “যোগাযোগ করুন” ফর্ম ব্যবহার করে সরাসরি আমাদের সাথে কথা বলুন। আমরা আগ্রহের সঙ্গে আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত এবং আপনার প্রতিক্রিয়াকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করি। এছাড়াও, ভবিষ্যতের আপডেট, নতুন নিবন্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস না করতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন—একসঙ্গে জানবো, শিখবো, আর নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্ব দেখবো

Leave a Reply