বেঙ্গালুরুর ট্রাফিককে সহজ করার লক্ষ্যে নির্মিত হেব্বাল ফ্লাইওভার লুপের নতুন অংশ উদ্বোধন করা হয়েছে। তবে এই উদ্যোগ সোমবার সকালে, দীর্ঘ ছুটির পর কর্মদিবসে সম্পন্ন হওয়ায় বেঙ্গালুরুর হাজার হাজার কমিউটারকে ভোগান্তিতে ফেলে। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধরামাইয়া এবং উপমুখ্যমন্ত্রী ডি.কে. শিবকুমারের দ্বারা এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি করা হয়। ব্যস্ত সময়ে এই ধরনের সরকারি অনুষ্ঠানের কারণে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।

স্টোরি হাইলাইটস:

  • হেব্বাল ফ্লাইওভার লুপের উদ্বোধন সোমবার সকাল peak hours-এ করা হয়েছে।

  • দীর্ঘ ছুটির পর এই সময়ে উদ্বোধন ট্রাফিক জ্যামে পরিণত করেছে।

  • বাসিন্দা ও কমিউটাররা সরকারকে পরিকল্পনার অভাবে সমালোচনা করেছেন।

  • বিজেপি এমপি তেজস্বী সূর্য প্রায় ৫০ মিনিট হেব্বাল জংশনে আটকা পড়েছেন।

  • ফ্লাইওভারটি ইতিমধ্যেই ছুটির দিনে সাধারণ মানুষের জন্য খোলা ছিল।

  • ডি.কে. শিবকুমার ভিন্টেজ ইয়েজদি বাইকে ফ্লাইওভার পার করেছেন।

কমিউটারদের অসন্তোষ

বিজেপি এমপি তেজস্বী সূর্য এক পোস্টে লিখেছেন,

“হেব্বাল রোড আজ সকালে এক দুঃস্বপ্ন। দিল্লি যাওয়ার পথে প্রায় ৫০ মিনিট হেব্বাল জংশনে আটকা পড়েছি। সবই সেই কারণেই যে, সরকার সোমবার সকাল কর্মঘণ্টায় ফ্লাইওভার উদ্বোধন করতে ঠিক করেছে।”

তিনি আরও যোগ করেছেন,

“দীর্ঘ ছুটির পর এমন সময় বেছে নেওয়া মোটেই যাত্রীদের সুবিধা ভাবা হয়নি। সবই রাজনীতিকদের জন্য, রাজনীতিকদের দ্বারা।”

Bengaluru commuters set social media ablaze as gridlock intensifies in  Hebbal over peak-hour flyover inauguration | Bengaluru - Hindustan Times

ফ্লাইওভার ইতিমধ্যেই খোলা ছিল

একজন স্থানীয় কমিউটার অভিযোগ করেছেন,

“ফ্লাইওভারটি ছুটির দিনে ইতিমধ্যেই খোলা ছিল। আজ তা বন্ধ করা হয়েছে শুধু উদ্বোধনের জন্য। ৭:৪৫ এ হেব্বাল ফ্লাইওভার পার হতে ২ মিনিটের পরিবর্তে ৩০ মিনিট লাগল।”

অন্য একজন লিখেছেন,

“সিদ্ধরামাইয়া সোমবার সকালে—দীর্ঘ ছুটির পর—বেঙ্গালুরুর ব্যস্ততম জংশনে ফ্লাইওভার উদ্বোধন করেছেন। সত্যিই অসাধারণ পরিকল্পনা।”

বাসিন্দাদের প্রতিক্রিয়া

একজন বাসিন্দা সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন,

“সিদ্ধরামাইয়া হেব্বাল ফ্লাইওভার লুপ peak hours-এ উদ্বোধন করেছেন। কোনও করুণা নেই কি?”

আরেকজন আরও যোগ করেছেন,

“হেব্বাল ফ্লাইওভার পার হওয়ার পরে এয়ারপোর্ট রোডে ৫ কিমি জ্যাম। ধন্যবাদ সিদ্দু।”

এক ব্যবহারকারী লিখেছেন,

“উদ্বোধন রবিবার করতেন অথবা সোমবার ছুটি ঘোষণা করতেন। বাইতারায়ানাপুরা থেকে Esteem Mall পৌঁছতে ৬৬ মিনিট লাগল।”

Infosys urges employees to use Bengaluru's new Yellow Line metro for easier  commutes

রাজনৈতিক বার্তা এবং প্রশাসনিক প্রতিশ্রুতি

উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সময়, ডি.কে. শিবকুমার ভিন্টেজ ইয়েজদি বাইকে ফ্লাইওভার পার হয়ে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন,

“হেব্বাল জংশনে ট্রাফিক ছাড়িয়ে যাচ্ছি! প্রিয় বেঙ্গালুরুর বাসিন্দারা, আমরা গভীর উত্সাহ নিয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এবং ডেলিভারি নিশ্চিত করব।”

হেব্বাল ফ্লাইওভার লুপের উদ্বোধন বেঙ্গালুরুর ট্রাফিক পরিস্থিতিকে সাময়িকভাবে আরও জটিল করেছে। দীর্ঘ ছুটির পর কর্মদিবসে এই অনুষ্ঠান করা, বাসিন্দা এবং কমিউটারদের মধ্যে বিরক্তি সৃষ্টি করেছে। যদিও সরকারের লক্ষ্য ছিল শহরের যাতায়াত আরও সহজ করা, বাস্তবে পরিকল্পনার সময় এবং সবার সুবিধা বিবেচনা না করা জনসাধারণের অসন্তোষের কারণ হয়েছে। এই পরিস্থিতি দেখায় যে, বড় অবকাঠামো প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের জন্য শুধুমাত্র নির্মাণ নয়, বরং উদ্বোধনের সময় এবং সাধারণ মানুষের সুবিধাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ! ❤️আমরা সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের জন্য তথ্যসমৃদ্ধ, আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করতে, যাতে আপনি নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পারেন। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আমাদের সঙ্গে আপনার মতামত শেয়ার করতে চান, তাহলে “যোগাযোগ করুন” ফর্ম ব্যবহার করে সরাসরি আমাদের সাথে কথা বলুন। আমরা আগ্রহের সঙ্গে আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত এবং আপনার প্রতিক্রিয়াকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করি। এছাড়াও, ভবিষ্যতের আপডেট, নতুন নিবন্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস না করতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন—একসঙ্গে জানবো, শিখবো, আর নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্ব দেখবো

Leave a Reply