ধর্মতলায় একুশে জুলাইয়ের তৃণমূল কংগ্রেসের বার্ষিক সমাবেশ ঘিরে ট্রাফিক ব্যবস্থা ছিল আদালতের কড়া নজরে। কয়েকদিন আগেই কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ যানজটে জনদুর্ভোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু সোমবার সকালেই শহরের স্বাভাবিক যান চলাচল দেখে পাল্টে গেল দৃশ্যপট। রাস্তায় নেমে কলকাতা পুলিশের প্রশংসা করলেন স্বয়ং বিচারপতি। আইনজীবীরাও জানালেন, নির্ধারিত সময়েই তাঁরা পৌঁছেছেন হাই কোর্টে। হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ট্রাফিক পুলিশের সময়োচিত এবং পরিশৃঙ্খল তৎপরতাই এবার বিচারাঙ্গনে পেল গর্বের স্বীকৃতি।
📌 STORY HIGHLIGHTS READ BOX:
হাই কোর্টের নির্দেশ ছিল মিছিল ঢোকার সময়সীমা সকাল ৯টা পর্যন্ত
ট্রাফিক সমস্যায় সাধারণ মানুষ যেন না পড়ে, ছিল বিশেষ নজরদারির বার্তা
বিচারপতি স্বয়ং রাস্তায় নেমে যানচলাচলের অবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করেন
নিউ আলিপুর থেকে হাই কোর্ট পৌঁছাতে আইনজীবীরাও সময় মতো পৌঁছেছেন
সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত মধ্য কলকাতায় ট্রাফিক ছিল পুরোপুরি নিয়ন্ত্রিত
মাত্র ক’দিন আগেই কলকাতা শহরের ব্যস্ততম অঞ্চলে—ধর্মতলায়—একুশে জুলাইয়ের তৃণমূল কংগ্রেসের বার্ষিক সমাবেশ ঘিরে আশঙ্কার মেঘ জমেছিল আদালতের মহলে। বিশেষ করে যান চলাচলের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। তাঁর পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছিল, **“মিছিলের ভিড়ে যেন সাধারণ নাগরিকের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত না হয়”—**এই বার্তাই ছিল সর্বাগ্রে।
কিন্তু ঠিক তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই দৃশ্যপট যেন বদলে গেল। সোমবার সকালে রাস্তায় নেমে বিচারপতি ঘোষ নিজেই দেখলেন এক অন্য কলকাতা—যেখানে গতি, শৃঙ্খলা ও নিয়ন্ত্রণ এক সুতোয় বাঁধা। ফলত, আদালতে বসেই তাঁর কণ্ঠে উঠে এল অকুণ্ঠ স্বীকৃতি—“কলকাতা পুলিশ অত্যন্ত ভালোভাবে ট্রাফিক পরিচালনা করেছে।”
২১ জুলাইয়ের সকাল যেন ছিল পরীক্ষার দিন, আর পরীক্ষার্থী—কলকাতা পুলিশ। হাই কোর্টের কঠোর নির্দেশ ছিল, “সকাল ৯টার মধ্যে সমস্ত মিছিল কলকাতায় প্রবেশ করতেই হবে।” তার পর শহরের বুকে যেন না নামে আর কোনও বিক্ষুব্ধ ঢেউ—এই মর্মে দেওয়া হয়েছিল কড়া বার্তা। সেই নির্দেশ মেনেই সকালের আলো ফুটতেই ট্রাফিক বিভাগ নেমে পড়ে কাজে।
সেইসব নিয়ন্ত্রণ, পরিকল্পনা আর তৎপরতার ফসলই কি তবে সোমবারের কলকাতা?
বিচারপতি ঘোষ নিজেই জানালেন, “সকালে আমি আদালতে ঠিক সময়েই পৌঁছে গেছি। শহরের কোথাও কোনও গতি-বিঘ্ন ছিল না।”
একইসঙ্গে এক প্রবীণ আইনজীবীও বলেন, “নিউ আলিপুর থেকে হাই কোর্টে পৌঁছতে আমি প্রতিদিন ২০–২৫ মিনিট সময় নিই। আজও তেমনই হয়েছে।”
এই অভিজ্ঞতা এক নতুন আশ্বাসের বার্তা বহন করে—যেখানে উৎসব, মিছিল ও প্রশাসনিক দায়িত্ব একে অপরকে ব্যাহত না করে, সহাবস্থানের নতুন দৃষ্টান্ত গড়তে পারে।
উল্লেখযোগ্য, হাই কোর্টের পূর্ব নির্দেশে ট্রাফিক পুলিশ আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল। সকাল ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে ধর্মতলা ও মধ্য কলকাতার রাস্তাগুলি ছিল কার্যত মসৃণ এবং নিরবিচারে সচল। কোনও জট, কোনও ভিড়, কোনও অভিযোগ—এসব যেন এদিন পথ ছেড়ে গিয়েছিল পেশাদারিত্বকে।
আর সেই প্রেক্ষাপটে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতির মুখে পুলিশের প্রশংসা যেন শুধুই কৃতিত্ব নয়, একধরনের নাগরিক আশ্বাস—যেখানে প্রশাসন ও আইন একযোগে কাজ করলে শহরের ছন্দ থেমে যায় না, বরং নব ছন্দে গতি পায়।
২১ জুলাইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সমাবেশের দিনে কলকাতার মতো ব্যস্ত শহরে যান চলাচল সচল রাখা প্রশাসনের পক্ষে ছিল এক কঠিন চ্যালেঞ্জ। তবে হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে এবং সময়নিষ্ঠ পরিকল্পনায় কলকাতা পুলিশ যে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে, তা বিচারপতির সরাসরি মন্তব্যেই স্পষ্ট। নাগরিক স্বাচ্ছন্দ্য রক্ষায় পুলিশের এই দায়িত্বশীল পদক্ষেপ এক নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করল। এটি শুধুই প্রশংসা নয়, বরং ভবিষ্যতের পথনির্দেশও—যেখানে প্রশাসনিক দক্ষতা ও আইনি নির্দেশ একসঙ্গে শহরের ছন্দ বজায় রাখতে পারে।
আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ! ❤️আমরা সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের জন্য তথ্যসমৃদ্ধ, আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করতে, যাতে আপনি নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পারেন। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আমাদের সঙ্গে আপনার মতামত শেয়ার করতে চান, তাহলে “যোগাযোগ করুন” ফর্ম ব্যবহার করে সরাসরি আমাদের সাথে কথা বলুন। আমরা আগ্রহের সঙ্গে আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত এবং আপনার প্রতিক্রিয়াকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করি। এছাড়াও, ভবিষ্যতের আপডেট, নতুন নিবন্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস না করতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন—একসঙ্গে জানবো, শিখবো, আর নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্ব দেখবো