নবান্নে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ভাঙন ঘিরে তীব্র আলোড়ন। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর সংলগ্ন ১৪ তলায় এক মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারের রহস্যময় প্রবেশ ঘটনার পর, সচিবালয় চত্বরে প্রবেশে জারি হল নিষেধাজ্ঞা। প্রশাসনের সিদ্ধান্ত—এই মুহূর্ত থেকে কোনও সিভিক ভলান্টিয়ার আর নবান্নে প্রবেশ করতে পারবেন না। তদন্তে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর প্রশ্ন—নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে এমন স্পর্শকাতর জায়গায় কীভাবে পৌঁছলেন একজন চুক্তিভিত্তিক কর্মী? ঘটনার পর চতুর্দিকে কড়া নজরদারি, পুলিশের তৎপরতা বেড়েছে বহুগুণ। প্রশ্ন, সচিবালয়ের গেটে যদি এমন ঢিলেঢালা ভাব, তবে বাকি ব্যবস্থার অবস্থা কী?
📌 গুরুত্বপূর্ণ তথ্য একনজরে (STORY HIGHLIGHTS):
নবান্নে প্রবেশে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা সিভিক ভলান্টিয়ারদের উপর
১৪ তলায় সন্দেহজনক অবস্থায় ধরা পড়েন এক মহিলা ভলান্টিয়ার
মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের কাছাকাছি ঘোরাঘুরি করায় তাঁকে আটক করে জেরা
ঘটনার তদন্তে নামানো হয়েছে শিবপুর থানা
নিরাপত্তা খুঁত নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন প্রশাসনিক মহলের একাংশ
নবান্ন চত্বরে নিরাপত্তা বলয়ে চিড় ধরল। আর তারই প্রতিক্রিয়ায় এবার মুখ্য প্রশাসনিক ভবনের গেটে বন্ধ হল সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রবেশের পথ। প্রশাসনের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রাজ্য সচিবালয় নবান্নের প্রাঙ্গণে আর কোনও সিভিক ভলান্টিয়ার ঢুকতে পারবেন না।
এই সিদ্ধান্ত সামনে আসার পর রাজ্যজুড়ে নানা মহলে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে—নিরাপত্তার এত কড়াকড়ির মাঝেও কীভাবে একজন চুক্তিভিত্তিক কর্মী এমন স্পর্শকাতর অঞ্চলে ঢুকে পড়লেন?
১৫ জুলাই, পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থেকে আগত এক মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার নবান্নের ভেতর ঢুকে পড়েন। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা পেরিয়ে তিনি উঠে যান ১৪ তলায়, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতর অবস্থিত। ওই তলায় ঘোরাফেরা করতে দেখে নিরাপত্তারক্ষীরা সন্দেহে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং পরে তাঁকে শিবপুর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
“ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। যাঁদের নিরাপত্তা বজায় রাখার দায়িত্ব, তাঁরাই যদি ছিদ্র খুঁজে বের করতে পারেন, তাহলে প্রশ্ন ওঠে গোটা ব্যবস্থাপনার ওপর,” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রশাসনিক আধিকারিক এভাবেই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
ঘটনার পর নবান্নের প্রতিটি তলায় আরও বেশি সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। চোখে পড়ার মতোই বেড়েছে চেকিং এবং নজরদারি।
“এটি নিছক কোনও অনুপ্রবেশ নয়, এটি গোটা নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি একটি সতর্কবার্তা,” বলেন রাজ্য পুলিশের এক পদস্থ কর্তা।
এদিকে, সূত্রের খবর অনুযায়ী, ভবিষ্যতে আর কোনও সিভিক ভলান্টিয়ারকে সচিবালয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না। নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁদের জন্য প্রবেশদ্বার বন্ধ করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে সিভিক ভলান্টিয়াররা মূলত অস্থায়ী চুক্তির ভিত্তিতে কাজ করেন। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, ভিড় সামলানো কিংবা ছোটখাটো প্রশাসনিক কাজেই তাঁদের ব্যবহার করা হয়। তবে তাঁরা কোনওভাবেই প্রশিক্ষিত পুলিশ কর্মী নন এবং তাঁদের হাতে তদন্ত বা গ্রেফতারের অধিকার থাকে না। সাধারণত, অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ ও অপরাধমুক্ত স্থানীয় যুবক-যুবতীরাই এই কাজে নিযুক্ত হন।
এই ঘটনার পর সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভূমিকা এবং সীমাবদ্ধতা নিয়ে নতুন করে ভাবনার সময় এসেছে বলে মনে করছেন প্রশাসনের একাংশ। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনওরকম ফাঁকফোকর মেনে নেওয়া যাবে না বলেই স্পষ্ট করে দিয়েছে প্রশাসন।
এই ঘটনার জেরেই যেন আরও একবার সামনে এল প্রশাসনিক কাঠামোর ভেতরের অদৃশ্য সুরক্ষা-সঙ্কট—যার সমাধান না হলে ভবিষ্যতে আরও বড় বিপদ অপেক্ষা করতে পারে, মত বিশেষজ্ঞ মহলের।
নবান্নে এক মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারের রহস্যজনক প্রবেশের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য প্রশাসন নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড়সড় রদবদল আনল। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ার পর প্রশ্ন উঠেছে নিরাপত্তার ঘনঘটা নিয়ে। প্রশাসনের সোজাসাপটা সিদ্ধান্ত—নবান্নে আর কোনও সিভিক ভলান্টিয়ার প্রবেশ করতে পারবে না। এই পদক্ষেপ শুধু একটি ঘটনা নয়, বরং গোটা প্রশাসনিক নিরাপত্তা কাঠামোর সতর্কতা। ভবিষ্যতে যাতে কোনওভাবেই এমন অনুপ্রবেশ না ঘটে, তার জন্যই আরও আঁটসাঁট নজরদারির পথে হাঁটছে নবান্ন কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তা এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ! ❤️আমরা সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের জন্য তথ্যসমৃদ্ধ, আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করতে, যাতে আপনি নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পারেন। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আমাদের সঙ্গে আপনার মতামত শেয়ার করতে চান, তাহলে “যোগাযোগ করুন” ফর্ম ব্যবহার করে সরাসরি আমাদের সাথে কথা বলুন। আমরা আগ্রহের সঙ্গে আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত এবং আপনার প্রতিক্রিয়াকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করি। এছাড়াও, ভবিষ্যতের আপডেট, নতুন নিবন্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস না করতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন—একসঙ্গে জানবো, শিখবো, আর নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্ব দেখবো