পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় ভোটার তালিকায় এক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে, যিনি ২০২৪ সালে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সরকারবিরোধী বিদ্রোহে অংশ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। নির্বাচন কমিশনের তালিকায় তার ছবি এবং নাম বাংলাদেশি প্রতিবাদকারী আবদুল হাকিমের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

📌 স্টোরি হাইলাইটস

  • ভোটার তালিকায় বাংলাদেশের বিদ্রোহী আবদুল হাকিমের নাম ও ছবি

  • বনগাঁর তালিকায় ৩১ বছর বয়সী ‘নিউটন দাস’-এর নাম

  • বাংলাদেশে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে যুক্ত থাকার অভিযোগে তিনি গ্রেফতার

  • নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস

কে এই নিউটন দাস?

নিউটন দাসকে দেখা গেছিল বাংলাদেশের কোটা আন্দোলনের সময় ঢাকার রাস্তায় মিছিল করতে। সেই আন্দোলন ছিল শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে, যেটা পরবর্তীতে এত বড় হয় যে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে আসেন।
এই নিউটন দাসই এখন পশ্চিমবঙ্গের ভোটার? তার আধার, প্যান কার্ড, এমনকি ভোটার কার্ডও নাকি আছে! নিজে বলছেন, ২০১4 সাল থেকেই তিনি ভারতীয় নাগরিক। আর তৃণমূলের এক এমএলএ (মন্তুরাম পাখিরা) নাকি হারিয়ে যাওয়া ভোটার কার্ড নতুন করে বানাতে সাহায্য করেছিলেন।

 বিরোধিতা ও সন্দেহের ছায়া

তবে গ্রামেরই আরেক আত্মীয় টাপন দাস জানাচ্ছেন, নিউটন আসলে বাংলাদেশেরই বাসিন্দা। করোনার পর ভারতে এসেছে পৈত্রিক জমি বিক্রি করতে। তাহলে প্রশ্ন উঠছেই—দু’দেশের ভোটার হওয়া কি সম্ভব?

 বিজেপি একহাত নিল তৃণমূলকে

বিজেপি নেতারা এই ঘটনাকে একেবারে হাতছাড়া করেননি।
 • রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, এটা “এগিয়ে বাংলা” না, বরং “ভোটের জন্য অনুপ্রবেশ করাও মডেল”।
 • শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এরকম লাখ লাখ বাংলাদেশি নাকি পশ্চিমবঙ্গে ভোট দিচ্ছেন।
 • আরও অভিযোগ—জঙ্গিরাও নাকি ভুয়া পরিচয়ে ভোটার তালিকায় নাম তুলেছে!

 তৃণমূল পাল্টা কী বলছে?

তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলছেন, ভোটার তালিকা তৈরির দায়িত্ব কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের, আর সীমান্ত পাহারা দেওয়া BSF-এর। ওদের কাজ ঠিকঠাক হলে এসব হতো না।তবে তৃণমূল যুবনেতা দেবাশিস যিনি নিউটন দাসের সঙ্গে ছবি তুলেছিলেন, তিনিও বলেছেন—ওর বিষয়ে কিছু জানতেন না এবং কড়া তদন্ত দরকার।

নির্বাচন কমিশনের তদন্ত শুরু

পুরো বিষয়টি নিয়ে রাজ্য নির্বাচন দফতর এবং নির্বাচন কমিশন তদন্ত শুরু করেছে। এখন দেখা যাক, আদৌ নিউটন দাস ভারতীয় নাগরিক কি না, না কি একটা বড়সড় অনুপ্রবেশের ষড়যন্ত্র চলছে।

 ভারতের প্রশ্ন—আমার ভোট, আমার নিরাপত্তা, আমার দেশ

এভাবে যদি বাইরের দেশের লোক ভোটার তালিকায় ঢুকে পড়ে, তবে সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার ও ভারতের সার্বভৌমত্বই বা কোথায় থাকে?
দেশপ্রেমিক ভারতবাসী হিসেবে আমাদের সবাইকেই সাবধান হতে হবে। ভোটার তালিকায় যাতে কোনও অনুপ্রবেশকারী না ঢোকে—সেটা নিশ্চিত করতেই হবে। আর এটাই এখন ভারতবাসীর বড় দায়িত্ব।

এই ঘটনায় রাজ্যজুড়ে আবারও উঠে এল পরিচয় যাচাই, সীমান্ত নিরাপত্তা এবং ভোটার তালিকা শুদ্ধিকরণের প্রশ্ন। সরকারি দপ্তর থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিক পর্যন্ত এখন একটাই প্রশ্ন—কেন এই ভুল, আর তার পেছনে কী উদ্দেশ্য?

আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ! ❤️আমরা সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের জন্য তথ্যসমৃদ্ধ, আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করতে, যাতে আপনি নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পারেন। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আমাদের সঙ্গে আপনার মতামত শেয়ার করতে চান, তাহলে “যোগাযোগ করুন” ফর্ম ব্যবহার করে সরাসরি আমাদের সাথে কথা বলুন। আমরা আগ্রহের সঙ্গে আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত এবং আপনার প্রতিক্রিয়াকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করি। এছাড়াও, ভবিষ্যতের আপডেট, নতুন নিবন্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস না করতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন—একসঙ্গে জানবো, শিখবো, আর নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্ব দেখবো

Leave a Reply