আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
➤ জার্মানির সহযোগিতা
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সম্প্রতি জার্মানির বার্লিনে গিয়েছেন। এই সফরের একমাত্র লক্ষ্য ছিল প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তি সহযোগিতা সংক্রান্ত আলোচনায় গতি আনা। সফরের গুরুত্বপূর্ণ পর্বে তিনি জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ-এর সঙ্গে আলোচনায় বসেন।
এই আলোচনার সময় ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে খবর যে, ইউক্রেনের ড্রোন যুদ্ধজাহাজ রাশিয়ার বিমানঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে।এই পরিস্থিতির মাঝেই এমন বৈঠক এবং প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি নিয়ে বার্তা বিনিময় বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে কূটনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়।
জার্মান চ্যান্সেলরের বক্তব্য অনুযায়ী, ইউক্রেন নিজস্ব লং-রেঞ্জ ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি তৈরির কাজ শুরু করতে চলেছে।এই প্রকল্পে জার্মানি কারিগরি জ্ঞান, গবেষণা সুবিধা এবং পরিকাঠামো সরবরাহ করবে।বিশেষভাবে বলা হয়েছে—এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর ব্যবহারে পশ্চিমা কোনো সীমাবদ্ধতা থাকবে না।
এই ঘোষণা আসে একেবারে সেই সময়ে, যখন ইউক্রেনের ড্রোন যুদ্ধজাহাজ রাশিয়ার বিমানঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে বলে জানা যায়।কিয়েভের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এটি ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য একটি কৌশলগত প্রয়াস।ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নিজেই সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমরা আমাদের আকাশসীমার বাইরেও প্রতিক্রিয়া জানাতে সক্ষম হবো।”
জার্মানি এখনো পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রতিরক্ষা সরবরাহকারী দেশ।ইউক্রেনীয় মিডিয়া জানিয়েছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের খরচ প্রাথমিকভাবে প্রায় ১.৮ বিলিয়ন ইউরো হতে পারে।সমর বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইউক্রেনের এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি বিশেষভাবে লক্ষ্যস্থলে আঘাত হানার ক্ষমতা রাখবে, যার মধ্যে রাশিয়ার বিমানঘাঁটিও থাকতে পারে বলে অনুমান।
এই ঘোষণার প্রেক্ষিতে এখনো পর্যন্ত রাশিয়ার তরফে কোনো কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া প্রকাশ পায়নি।তবে ইউক্রেনের ড্রোন যুদ্ধজাহাজ রাশিয়ার বিমানঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে—এই তথ্যের সাথে জার্মানির প্রযুক্তিগত সহায়তা একযোগে উঠে আসায় বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলে নজরকাড়া হয়েছে।
এই ধরণের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সমর প্রযুক্তি উন্নয়নের মাঝে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যেভাবে কূটনৈতিক সুর বজায় রেখে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন, তা ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা বলয়ে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।