পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে ফের শোরগোল। আলজেরিয়ায় এক সর্বদলীয় বৈঠকে এআইএমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি মন্তব্য করেন, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির আদর্শ আল-কায়েদা ও দায়েশের মতোই ভয়ানক, যা ধর্মের নামে রক্ত ঝরানোর অপব্যাখ্যা দেয়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, শান্তির স্বার্থে পাকিস্তানকে আবার FATF-এর গ্রে লিস্টে ফেরানো উচিত। পহেলগাঁও হামলার পর ভারত আন্তর্জাতিক মহলে সজাগ, আর সেই প্রেক্ষাপটেই ওয়াইসির বক্তব্য নতুন আলো ফেলছে দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা ঘিরে—এবার প্রশ্ন উঠছে, পাকিস্তান কি ফের নজরবন্দি হবে?

সূচিপত্র

পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদের আদর্শ: আল-কায়েদা ও দায়েশের মতো

এআইএমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি বলেন, “পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদ এখন শুধুমাত্র দক্ষিণ এশিয়ার নয়, গোটা বিশ্বের শান্তির জন্য বিপদ।”

পাকিস্তানই তাকফিরবাদের কেন্দ্রস্থল। এর অর্থ, যারা তাদের মতের বিরুদ্ধে যায়, তাদের অবিশ্বাসী ঘোষণা করে হত্যা করার অনুমতি দেওয়া।এই ধারার সঙ্গে আল-কায়েদা ও দায়েশের আদর্শের কোনো পার্থক্য নেই।

FATF গ্রে লিস্টে ফেরানো দরকার পাকিস্তানকে

পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদ রুখতে পাকিস্তানকে ফের FATF-এর গ্রে লিস্টে ফিরিয়ে আনার দাবি তুলেছেন এআইএমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি

তিনি বলেন, “২০০৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত তিনবার পাকিস্তান গ্রে লিস্টে ছিল। তখন সন্ত্রাসের উপর কিছুটা নিয়ন্ত্রণ এসেছিল।”২০১৮ সালে যখন পাকিস্তান আবার গ্রে লিস্টে যায়, তখনই জাকির উর রহমান লখভির বিচার শুরু হয়। অথচ সে জেলে বসেই সন্তানের বাবা হয়ে যায়!

FATF গ্রে লিস্টে থাকার ফল কী হয়?

সন্ত্রাসে অর্থ জোগান কঠিন হয়ে পড়ে

  • FATF গ্রে লিস্ট-এ থাকা মানে, সংশ্লিষ্ট দেশের আর্থিক কার্যকলাপ আন্তর্জাতিকভাবে সন্দেহের চোখে দেখা হয়।

  • পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদ-এর প্রধান ভিত্তি অর্থসাহায্য—তা নিয়ন্ত্রণে আসে।

  • ব্যাঙ্ক, আর্থিক সংস্থা, এমনকি দাতব্য সংস্থার ওপরেও কড়া নজরদারি চালানো হয়।

  • আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেমন IMF, World Bank ইত্যাদি বিনিয়োগ ও সাহায্যে বিধিনিষেধ আরোপ করে।

 আন্তর্জাতিকভাবে পাকিস্তান চাপে পড়ে

  • এআইএমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি বলেন, FATF-এর নজরদারির সময় পাকিস্তান অনেক ‘তৎপর’ হয়ে ওঠে।

  • FATF এর ২৭ দফা অ্যাকশন প্ল্যান কার্যকর করতে বাধ্য হয় পাকিস্তান।

  • ২০১৮-২০২২ পর্যন্ত FATF গ্রে লিস্টে থাকার সময় পাকিস্তান বেশ কিছু সন্ত্রাসবাদী সংগঠনকে নিয়ন্ত্রণে আনার আশ্বাস দেয়।

  • এই সময়ে পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদ-এর বিরুদ্ধে মামলা ও তদন্ত কিছুটা হলেও বাড়ে।

 জনসাধারণের উপর সন্ত্রাসের চাপ কিছুটা হ্রাস পায়

  • ওয়াইসি দাবি করেন, যখন পাকিস্তান FATF-এর গ্রে লিস্টে ছিল, তখন ভারতীয় সাধারণ মানুষের উপর সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা কমেছিল।

  • উদাহরণস্বরূপ, তিনি জাকি উর রহমান লখভি-র নাম উল্লেখ করেন, যিনি গ্রে লিস্ট চলাকালীন সময়ে জেলবন্দি ছিলেন এবং মামলার অগ্রগতি ত্বরান্বিত হয়।

  • অর্থাৎ, গ্রে লিস্ট কার্যকর হলে পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদ সাময়িকভাবে হলেও ধাক্কা খায়।

 দক্ষিণ এশিয়ায় নিরাপত্তা বাড়ে

  • ওয়াইসি বলেন, এটা শুধু ভারতের প্রশ্ন নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে এই পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

  • FATF গ্রে লিস্টে থাকলে পাকিস্তানের ওপর নজরদারি আন্তর্জাতিক স্তরে বেড়ে যায়, ফলে সন্ত্রাস রফতানির গতি কিছুটা হলেও শ্লথ হয়।

  • তিনি আলজেরিয়ায় বলেন, “বিশ্বশান্তির স্বার্থে পাকিস্তানকে ফের গ্রে লিস্টে ফেরানো জরুরি”—এটাই ছিল তাঁর বার্তা।

 রাজনৈতিকভাবে পাকিস্তান একঘরে হয়ে পড়ে

  • FATF গ্রে লিস্টে থাকার ফলে কূটনৈতিক স্তরেও পাকিস্তানকে মুখোমুখি হতে হয় বহু প্রশ্নের।

  • পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদ নিয়ে তখন আন্তর্জাতিক আলোচনায় অংশগ্রহণ সীমিত হয়ে যায়।

  • ভারত এই সুযোগে বিভিন্ন দেশে সর্বদলীয় প্রতিনিধি পাঠিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অবস্থান তুলে ধরে।

  • যেমন এখন, একপক্ষ আমেরিকায় যাচ্ছে, অন্যপক্ষ ইউরোপে—এর পিছনে FATF-এর মঞ্চই বড় হাতিয়ার।

 অভ্যন্তরীণ চাপ বাড়ে পাকিস্তানের সরকারের উপর

  • FATF গ্রে লিস্টে থাকলে পাকিস্তানের সরকারের উপর দেশীয় চাপও বাড়ে।

  • ব্যবসা, বিনিয়োগ, চাকরি—সব ক্ষেত্রেই নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

  • এআইএমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি বলেন, এই চাপের ফলে পাকিস্তানকে কিছুটা হলেও জবাবদিহি করতে হয়, যার ফলে পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদ-এর ঘনত্ব কমে।

পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদী হামলার প্রেক্ষাপটে ভারতের উদ্যোগ

২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলায় ২৬ জন সাধারণ মানুষ নিহত হন।এই ঘটনা ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, কীভাবে পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদ ভারতের অভ্যন্তরে নাশকতা চালাচ্ছে।ভারতের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দেশে সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল পাঠানো হচ্ছে যাতে পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত তথ্য আন্তর্জাতিক মহলের সামনে আনা যায়।

ওয়াইসির সতর্কবার্তা: সন্ত্রাস ছড়াবে গোটা দক্ষিণ এশিয়ায়

এআইএমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি স্পষ্ট করে বলেছেন, পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদ আজ আর শুধু ভারতের সীমান্তে আটকে নেই।তিনি উল্লেখ করেন, এই পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদ সহজেই ছড়াতে পারে নেপাল, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান-এর মতো দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে।তাঁর মতে, এই অঞ্চলগুলির ভৌগোলিক অবস্থান এবং সীমান্তের দুর্বলতা পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর জন্য সহায়ক।

এআইএমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি-র কথায়, “ভারত এখন বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি”—এই পর্যায়ে যদি সন্ত্রাস ছড়ায়, পুরো অঞ্চলেরই ক্ষতি হবে।এই পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদ আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের মনোবল দুর্বল করতে পারে।অর্থনীতিতে চরম অনিশ্চয়তা তৈরি হয়—যা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশেও আর্থিক সংকট ডেকে আনতে পারে।বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত এবং প্রতিবেশী দেশগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা আলাদা হলেও পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদ সীমান্ত পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থেকেই যায়।

ওয়াইসি বলেন, পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদ আজ এক আন্তর্জাতিক সমস্যা।আল-কায়েদা, দায়েশ—এই গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে পাকিস্তানের ভিতরের সংগঠনগুলির আদর্শগত মিল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।তাঁর মতে, এই পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদ ধর্মের নামে ‘তাকফিরি’ মতবাদের প্রসার ঘটায়, যা আন্তর্জাতিক শান্তির পরিপন্থী।ওয়াইসি আলজেরিয়ায় বলেন, “পাকিস্তান হচ্ছে তাকফিরবাদের কেন্দ্র”—একটি মতবাদ যা ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধেই শুধু নয়, বরং মুসলিম সমাজের মধ্যেও বিভাজন তৈরি করে।

ইসলাম ও সন্ত্রাসবাদ: স্পষ্ট অবস্থান

এআইএমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি বলেন, “ইসলাম কোনওভাবেই অন্য ধর্মাবলম্বীদের হত্যা করতে বলে না। এটা পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদ-এর বিকৃত ব্যাখ্যা।”এই মতবাদ বিশ্বের শান্তির পরিপন্থী।

আন্তর্জাতিক প্রচারাভিযান ও ভারতের ভূমিকা

সর্বদলীয় মঞ্চ: আন্তর্জাতিক স্তরে নতুন সক্রিয়তা

  • ভারতের তরফে সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল গঠনের ঘটনা নজর কেড়েছে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলে।

  • এই প্রতিনিধি দলে বিজেপি ছাড়াও বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা রয়েছেন, যার মধ্যে অন্যতম কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর।

  • এই দলটির প্রাথমিক লক্ষ্য পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদ-কে আন্তর্জাতিক পরিসরে নথিভুক্ত করা।

▪︎ যুক্তরাষ্ট্রে সফর পরিকল্পনা

  • আমেরিকায় ভারতের প্রতিনিধি দল একাধিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, মানবাধিকার সংগঠন এবং সরকারি মহলে আলোচনায় অংশ নেবে।

  • আলোচনার মূল বিষয়: FATF-এর সামনে পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদ তুলে ধরা ও পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সংগঠনগুলির কার্যকলাপ।

  • সফরের সময় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বর্ণনামূলক প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরিকল্পনাও করা হয়েছে।

 পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদের দলিল ও তথ্য উপস্থাপন

▪︎ একত্র করা হয়েছে দীর্ঘ সময়ের নথি

  • গত দশকে হওয়া ২৬/১১, পুলওয়ামা, পাঠানকোট-সহ একাধিক হামলার বিচারিক তথ্য ও আন্তর্জাতিক রিপোর্ট একত্রিত করা হয়েছে।

  • এ ছাড়াও, পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত UN রিপোর্ট, FATF পর্যবেক্ষণ ও ইন্টারপোল নোটিশ-সহ নথি প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

▪︎ কূটনৈতিক পদ্ধতিতে প্রচার

  • ভারতীয় দলের বক্তব্য কোনও একতরফা রাজনৈতিক অভিযোগ নয়, বরং তথ্য ও বিচারমূলক দৃষ্টিকোণ থেকে করা হবে।

  • তাদের দাবি, এই দলিলগুলিই যথেষ্ট FATF-এর সামনে পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদ তুলে ধরা-র জন্য।

 বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসের হুমকির কাঠামো

  • দক্ষিণ এশিয়ার বাইরেও পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদ-এর নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে পড়ার প্রমাণ থাকায় বিষয়টি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আফ্রিকান নিরাপত্তা পরিষদের নজরে এসেছে।

  • ভারতীয় প্রতিনিধি দলের পরিকল্পনায় আছে—FATF ছাড়াও, UNODC ও EU Terrorism Prevention Branch-এ রিপোর্ট পেশ করা।

  • আফগানিস্তান ও ইরান সীমান্তে পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদ সক্রিয় থাকায়, মধ্যপ্রাচ্যও এখন এই আলোচনার পরিধিতে।

 গণমাধ্যম ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার

▪︎ সামাজিক মাধ্যমে প্রচারের ছক

  • ভারত সরকার-সমর্থিত মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ছাড়াও, বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশের পরিকল্পনা হয়েছে।

  • ইউটিউব, এক্স (পূর্বতন টুইটার) এবং লিঙ্কডইনেও প্রচারণা চালানো হচ্ছে তথ্যচিত্র ও সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন আকারে।

▪︎ বিশেষভাবে টার্গেট করা হচ্ছে FATF সদস্য দেশগুলো

  • ফ্রান্স, জার্মানি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন—এদের কাছে সরাসরি রিপোর্ট পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

  • FATF-এর পরবর্তী প্লেনারি বৈঠকের আগে এই প্রচার শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

 কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রচার

  • পাকিস্তানও পাল্টা প্রচার শুরু করেছে, দাবি করছে—ভারত “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে” তথ্য ব্যবহার করছে।

  • ইসলামাবাদ একাধিক মানবাধিকার সংগঠনের মাধ্যমে পাল্টা ব্যাখ্যা পাঠাচ্ছে, যেখানে পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদ বিষয়টি আড়াল করা হয়েছে।

  • আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই প্রচার ও পাল্টা প্রচারের লড়াই ভবিষ্যতের কূটনৈতিক নীতিনির্ধারণে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

 সতর্ক নজর ও ভবিষ্যৎ প্রেক্ষাপট

  • ভারতের সর্বদলীয় প্রচারকে অনেকেই ২০০৮ সালের পর অন্যতম বৃহৎ কূটনৈতিক ধাপ বলে মনে করছেন।

  • যদিও সিদ্ধান্ত নেওয়া সংস্থাগুলি এখনো অবস্থান স্পষ্ট করেনি, তবুও এই উদ্যোগ FATF-এর সামনে পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদ তুলে ধরা নিয়ে এক আলোচনার দ্বার খুলেছে।

নেতৃত্ব ও দলগঠন

  • কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের নেতৃত্বে আলাদা একটি প্রতিনিধি দল আমেরিকায় পাঠানো হচ্ছে।

  • সরকারি বা বিজেপি ঘরানার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না থেকেও, এই দল পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত ভারতের অবস্থান তুলে ধরবে ভিন্ন কূটনৈতিক পরিসরে।

  • শশী থারুর একজন সাবেক কূটনীতিক এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রাক্তন কর্মকর্তা হওয়ায় তাঁর সফর আলাদা গুরুত্ব পাচ্ছে।

পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণে একাধিক কৌশল নিচ্ছে ভারত। এআইএমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি থেকে শুরু করে কংগ্রেসের শশী থারুর—সব পক্ষই এখন এক সুরে পাকিস্তানকে FATF-এর গ্রে লিস্টে ফেরানোর আর্জি জানাচ্ছে। FATF-এর সামনে পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদ তুলে ধরা এখন শুধু কূটনৈতিক দায়িত্ব নয়, বরং আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রশ্নেও তা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই প্রচেষ্টার সফলতা আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের অবস্থানকে যেমন জোরদার করতে পারে, তেমনি বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অবস্থানেও বড় বার্তা দিতে পারে।

আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ! ❤️আমরা সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের জন্য তথ্যসমৃদ্ধ, আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করতে, যাতে আপনি নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পারেন। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আমাদের সঙ্গে আপনার মতামত শেয়ার করতে চান, তাহলে “যোগাযোগ করুন” ফর্ম ব্যবহার করে সরাসরি আমাদের সাথে কথা বলুন। আমরা আগ্রহের সঙ্গে আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত এবং আপনার প্রতিক্রিয়াকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করি। এছাড়াও, ভবিষ্যতের আপডেট, নতুন নিবন্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস না করতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন—একসঙ্গে জানবো, শিখবো, আর নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্ব দেখবো

Leave a Reply