পাকিস্তান ও ভারতের সাম্প্রতিক সংঘর্ষে যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে প্রশ্নের ঝড়। “ভারত বনাম পাকিস্তান” দ্বন্দ্বের এই নতুন পর্বে উঠে এসেছে পাকিস্তানি রাফায়েল ব্যবহারের দাবি, যেটি ঘিরে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। জেনারেল অনিল চৌহান স্বীকার করেছেন কিছু ভারতীয় যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যদিও সংখ্যা স্পষ্ট নয়। পাল্টা জবাবে ভারত চালিয়েছে স্কাল্প ও ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র। এই অপারেশন ‘সিন্দুর’-এ লক্ষ্য ছিল সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি ধ্বংস। কৌশলগত ভুল, সংশোধন এবং চুপিসারে পাল্টা আঘাত—এই কাহিনি যেন এক নিঃশব্দ যুদ্ধের নাটক।
সূচিপত্র
Toggle🛫 কৌশলগত ভুলেই প্রথম ধাক্কা
ভারত বনাম পাকিস্তান সংঘর্ষে শুরুতেই কিছু IAF যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানো হয় পাকিস্তানের পক্ষ থেকে।ভারতের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান বলেন, “সংখ্যা নয়, ভুলটা কোথায় হয়েছে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ।”এই কৌশলগত ভুলকে তারা চিহ্নিত করেন, সংশোধন করেন এবং দু’দিন পরেই আবার বিমান উড়িয়ে নতুনভাবে আক্রমণ চালান পাকিস্তানকে লক্ষ্য করে।
🔄 দ্রুত কৌশল বদল
পাকিস্তান প্রথমেই বাড়তি সুবিধা পেলেও ভারত দ্রুত কৌশল বদলে নেয়।জেনারেল বলেন, “আমরা বুঝেছি কোথায় ভুল হয়েছে, ঠিক করেছি, এবং আবার অভিযান চালিয়েছি দীর্ঘপাল্লার লক্ষ্যবস্তুর দিকে।”ফলে পাকিস্তান পরে আর ভারতের বিরুদ্ধে সেভাবে কিছু করতে পারেনি।
অপারেশন সিন্দুর অভিযানে ৯টি সন্ত্রাসবাদী ক্যাম্পে এবং ১৩টি সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত হানা হয়।এই হামলা পাহালগাম হামলার প্রতিক্রিয়ায় করা হয়।ভারত বনাম পাকিস্তান দ্বন্দ্বে এই অভিযান ছিল বিশেষভাবে পরিকল্পিত এবং সামরিক কৌশলের একটি দৃষ্টান্ত।কৌশলগত ভুল সংশোধন করে ভারত মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পুনরায় মিশনে নামে।ভারত বনাম পাকিস্তান সংঘর্ষে এরকম দ্রুত প্রতিক্রিয়া আগের তুলনায় অনেক বেশি লক্ষ্যনীয়।পাকিস্তানি রাফায়েল বা অন্য কোন নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের তথ্য স্পষ্ট নয়, অথচ দাবিগুলি জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।
🔍 সংখ্যা নিয়ে ধোঁয়াশা
পাকিস্তান বলছে, মে ৭ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে ভারত বনাম পাকিস্তান সংঘর্ষে তারা ছয়টি ভারতীয় বিমান গুলি করে নামিয়েছে।এর মধ্যে কিছু মিডিয়া রিপোর্টে “পাকিস্তানি রাফায়েল” দিয়ে আক্রমণ চালানোর কথাও উঠেছিল।ভারতের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট জানিয়েছেন, “এই সংখ্যা একেবারে ভুল।”
কোন বিমানগুলো নষ্ট, জানা যায়নি
সাংবাদিকরা বারবার জানতে চাইলেও ভারতীয় সেনা কর্তৃপক্ষ জানায়নি কোন বিমান নষ্ট হয়েছে, বা রাফায়েল ছিল কি না।চৌহান বলেন, “যুদ্ধ মানেই কিছু ক্ষতি হয়, সেটা সামলাতে হয় কৌশলে।”ভারত বনাম পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সব তথ্য প্রকাশ করা হয় না, কারণ তা কৌশলগত দিক থেকে স্পর্শকাতর।
রাফায়েল কি নষ্ট হয়েছে?
প্রশ্ন উঠেছে, ভারতের রাফায়েল কি নষ্ট হয়েছে পাকিস্তানের আক্রমণে?জেনারেল চৌহান এই প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করেননি। ভারতীয় বায়ুসেনার মুখপাত্রও বলেননি কোন প্ল্যাটফর্ম নষ্ট হয়েছে।তাই “পাকিস্তানি রাফায়েল বনাম ভারতের রাফায়েল” নিয়ে যে কথাবার্তা চলছে, তা এখনো অনেকটাই ধোঁয়াশা।
🎯 পরের ধাপে পাল্টা আঘাত
ভারতের পাল্টা হামলায় পাকিস্তানের অনেক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়।সেই হামলা হয় অনেক বেশি পরিকল্পিত, প্রযুক্তিসম্পন্ন এবং দূরপাল্লার।এই সময় ভারতীয় বিমান আবার পাকিস্তান সীমান্ত পেরিয়ে সফলভাবে মিশন সম্পন্ন করে ফিরে আসে।SCALP মিসাইল রাফায়েল থেকে এবং ব্রহ্মোস মিসাইল SU-30MKI থেকে ছোড়া হয়েছে।এই আক্রমণে পাকিস্তানের ১৩টি সামরিক ঘাঁটি ও ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু করা হয়।
“লসেস আর পার্ট অফ কমব্যাট” — এয়ার মার্শাল
এয়ার মার্শাল একে ভরতি জানান, “যুদ্ধক্ষেত্রে ক্ষতি থাকেই, কিন্তু আমাদের টার্গেট সফলভাবে পূরণ হয়েছে।”সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “কত বিমান গেছে, সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা হল, সন্ত্রাসবাদী ক্যাম্প ধ্বংস হয়েছে।”সব পাইলট সুরক্ষিতভাবে ফিরে এসেছেন বলেও জানান তিনি।
যুদ্ধ চলেছে ড্রোন, মিসাইল, আর্টিলারি সহ
ভারত বনাম পাকিস্তান এই সংঘর্ষে শুধু যুদ্ধবিমানই নয়, ব্যবহার হয়েছে ড্রোন, দীর্ঘপাল্লার অস্ত্র, ভারী কামানও।পাকিস্তানের দিক থেকে যেমন পাকিস্তানি রাফায়েল এর দাবি এসেছে, তেমন ভারত থেকেও SCALP ও ব্রহ্মোস দিয়ে শক্তি প্রদর্শন হয়েছে।পাকিস্তান ও ভারত উভয়েই ড্রোনের মাধ্যমে শত্রুপক্ষের গতিবিধি নজরে রাখে।IAF-এর Heron-এর মতো নজরদারি ড্রোন ও Harop-এর মতো অস্ত্রযুক্ত ড্রোন তৎপর ছিল বলে সূত্রের খবর।পাকিস্তানি ড্রোনও নিয়মিতভাবে আকাশপথে চালিত হয়েছিল বলে জানা গেছে।ভারতীয় সেনা Bofors ও ATAGS ধরনের কামান ব্যবহার করে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে নির্দিষ্ট সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে আঘাত হানে।
ভারত বনাম পাকিস্তান সাম্প্রতিক সংঘর্ষে যুদ্ধবিমান হারানোর ঘটনা এবং পাকিস্তানি রাফায়েল ব্যবহারের দাবিকে ঘিরে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ভারতীয় বায়ুসেনার পক্ষ থেকে সংখ্যা বা নির্দিষ্ট মডেল নিয়ে কিছু জানানো না হলেও, কৌশলগত ভুল স্বীকার এবং তা সংশোধনের বিষয়টি সরকারি স্তরে নিশ্চিত করা হয়েছে। সামগ্রিকভাবে দেখা যায়, সংঘর্ষের মূল উদ্দেশ্য ছিল সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে আঘাত হানা, যেখানে ভারতীয় বাহিনী নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ চালাতে সক্ষম হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।