দশ মাসে দেশের চালচিত্র বদলে দিয়েছেন মোঃ ইউনুস। অন্তর্বর্তী সরকারের নামে যে নাটক শুরু হয়েছিল, তা এখন পরিণত হয়েছে এক দুঃস্বপ্নে—নির্বাচন নেই, গণতন্ত্র স্থগিত, আর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা একেবারে তলানিতে। শিল্পপতিরা হাঁফাচ্ছেন, কারখানার চিমনি বন্ধ, বেকারত্ব বাড়ছে, আর ইসলামী চক্রগুলো পাখা মেলছে অবলীলায়। শেখ হাসিনাকে সরিয়ে যে উৎসব শুরু হয়েছিল, তা আজ জাতীয় বিষাদের রূপ নিয়েছে। জাতি তাকিয়ে আছে সেনাবাহিনীর দিকে—উদ্ধার আসবে কি? প্রশ্ন অনেক, উত্তরের গন্ধও তীব্র। এই সময়টা শুধুই সময় নয়, ইতিহাসের মোড় ঘোরানোর ক্ষণ!

সূচিপত্র

👉 রাজনৈতিক অস্থিরতা ও গণতন্ত্রের সংকট: “শান্তিপূর্ণ অনিবার্য ধ্বংস”

নির্বাচনের নাটকীয় বিলম্ব: গণতন্ত্র না গণপ্রহসন?

  • মোঃ ইউনুস সরকার আগামী জুন ২০২৬-এ নির্বাচন করার পরিকল্পনার কথা বলেছে।

  • অথচ বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সরকার ভেঙে গেলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন বাধ্যতামূলক

  • বিএনপিসেনাবাহিনী এই বিলম্বকে ‘জনগণের সঙ্গে প্রতারণা’ বলে অভিহিত করছে।

  • এই অজুহাতে, ইউনুস সরকার নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে চাইছে—যেন “কোচিং ক্লাস দিয়ে দেশ চালানো যায়!”

🔴 আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ: জাতীয় রাজনীতিতে ব্ল্যাকআউট?

  • মে ২০২৫-এ আওয়ামী লীগের সব রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যা একটি নির্বাচিত রাজনৈতিক শক্তিকে গলা টিপে ধরার সামিল।

  • এর ফলে বাংলাদেশের বাঙালি জাতীয়তাবাদের মূলধারা চূড়ান্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

  • কেউ বলছেন, এটা ISI কিংবা মুসলিম ব্রাদারহুডের পুরনো স্বপ্নের বাস্তবায়ন!

  • আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে এমন পদক্ষেপকে “সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি” হিসেবে দেখা হচ্ছে।

🔴 সাংবাদিক দমন: কলমের ঘাড়ে চাপা সেন্সরশিপ

  • মোঃ ইউনুস সরকার সাংবাদিকদের উপর চালিয়েছে দমন-পীড়নের টর্নেডো।

  • ইতিমধ্যে ৩৫৪ জন সাংবাদিক হয়রানির শিকার, যার মধ্যে ৭৪ জনের উপর চালানো হয়েছে শারীরিক নির্যাতন

  • ফেসবুক পোস্ট, লাইভ রিপোর্টিং বা সরকারবিরোধী মত—সবই হয়ে উঠেছে অপরাধ।

  • একটি স্বাধীন দেশের চতুর্থ স্তম্ভকে যদি এভাবে ভেঙে ফেলা হয়, তাহলে গণতন্ত্র বেঁচে থাকে কেমন করে?

🔴 গণতন্ত্রের ঠোঁটে রঙ, আসলে গভীর ক্ষত!

  • জাতির সামনে যেটুকু দেখানো হচ্ছে তা ‘গণতন্ত্র’, কিন্তু ভেতরে চলছে ছাত্রনেতা-প্রধান উপদেষ্টাদের ছেলেমানুষি ক্ষমতা খেলা

  • “সংস্কার” নামক গোপন এজেন্ডার নামে শিক্ষা থেকে শুরু করে নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যন্ত সবকিছুতেই হস্তক্ষেপ

  • এটা যেন “Liberation 2.0”-এর নামে স্বার্থসিদ্ধির যজ্ঞ।

🔴সেনাবাহিনীর হুঁশিয়ারি ও সম্ভাব্য জরুরি অবস্থা

  • বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান স্পষ্ট ভাষায় মোঃ ইউনুস সরকারকে সরে যেতে বলেছেন।

  • চট্টগ্রাম করিডোরে বিদেশি হস্তক্ষেপ আনার চেষ্টা করায় সেনাবাহিনী ক্ষুব্ধ।

  • ১৪১A অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি চাইলে জরুরি অবস্থা জারি করতে পারেন, যা বর্তমান ব্যবস্থার চূড়ান্ত চ্যালেঞ্জ হবে।

  • প্রশ্ন উঠছে—ইউনুস সরকার কি সত্যিই দেশের, না অন্য কারও এজেন্ডা চালাচ্ছে?

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা: ধ্বংসের পথে

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বর্তমানে কী রকম?—এই প্রশ্নের উত্তরে উঠে আসে এক ভয়াবহ বাস্তবতা, যেখানে বাজারে হাহাকার, শিল্পে অচলাবস্থা, আর ব্যবসায়িক আস্থার ধস একসঙ্গে মুখোমুখি।

 🔥 মুদ্রাস্ফীতির আগুনে দগ্ধ জনজীবন

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ চেহারা নিয়েছে মুদ্রাস্ফীতির দিক থেকে।

🟥 খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি – ১৪%:

  • চাল, ডাল, তেল, মাংস—সব কিছুর দাম মানুষের মাথার উপরে উঠেছে।

  • নিম্নবিত্তের জন্য তিনবেলা খাবার এখন একরকম লটারির মতো ভাগ্যনির্ভর

🟥 সাধারণ মুদ্রাস্ফীতি – ১১%:

  • শাড়ি-লুঙ্গি, খাতা-কলম, ওষুধ-পানির বোতল—সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে যেন “রকেট গতিতে”।

  • বাংলাদেশ ব্যাংক বারবার দাবি করলেও, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে তারা কার্যত দাঁড়িয়ে আছে হাতে পাখা নিয়ে

 🏭 গার্মেন্টস শিল্পে ভয়াবহ বিশৃঙ্খলা

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বর্তমানে কী রকম বুঝতে হলে অবশ্যই গার্মেন্টস খাতের ধস দেখতে হবে।

🟨 কারখানা বন্ধ হওয়ার হিড়িক:

  • গত ৬ মাসে প্রায় ৪৮৬টি ছোট ও মাঝারি কারখানা বন্ধ হয়েছে

  • বিদেশি অর্ডার কমেছে ২২%—বিশেষ করে ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারে।

🟨 শ্রমিকদের আন্দোলন:

  • সময়মতো বেতন না পাওয়ায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ

  • ঢাকার আশপাশে ৩৫টির বেশি কারখানায় ধর্মঘট ও অবরোধ চলেছে গত এক মাসে।

 📉 ব্যবসায়ীদের হতাশা: ‘টাইম বোমা’র ticking sound

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এখন এমন এক জায়গায় পৌঁছেছে, যেখানে দেশের বড় বড় ব্যবসায়ীরা সরাসরি বলেছেন—“দেশটা টাইম বোমা হয়ে গেছে।”

🟥 উৎপাদন খরচ বেড়ে আকাশছোঁয়া:

  • গ্যাস, বিদ্যুৎ ও কাঁচামালের দাম বেড়েছে ৪৫%-৬০%।

  • অনেক প্রতিষ্ঠান প্রোডাকশন বন্ধ রেখে “অন্তর্জালে পোস্ট করছে সেল বিজ্ঞাপন!”

🟥 সরকার-বিরোধী শত্রুতাপূর্ণ পরিবেশ:

  • কর ব্যবস্থায় অনিশ্চয়তা, হঠাৎ ভ্যাট বৃদ্ধি, এবং ব্যবসায়িক লাইসেন্স জটিলতা বহু উদ্যোক্তাকে পিছু হটতে বাধ্য করেছে।

  • এক শিল্পপতি বলেন, “এই সরকার যেন আমাদের ইনভেস্টমেন্টের জ্যামাই!”

 ⛽ জ্বালানি সংকট: কারখানা নয়, ‘ড্রাম’ চলছে গ্যাসে

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও সংকটময় হয়েছে জ্বালানি ঘাটতির কারণে

🟧 গ্যাস সংযোগ বন্ধ:

  • হাজার হাজার কারখানা দিনে ৪-৬ ঘণ্টার বেশি গ্যাস পাচ্ছে না।

  • “এক লাইন গ্যাস, আর পাঁচ লাইন ক্ষোভ”—এটাই এখন শিল্পাঞ্চলের কথা।

🟧 জ্বালানি তেল আমদানিতে ডলার সংকট:

  • সরকারের ডলার মজুত সংকটের কারণে তেল আমদানি ব্যাহত।

  • একপর্যায়ে চট্টগ্রাম বন্দরে তেলবাহী জাহাজকে অপেক্ষা করতে হয়েছে সাত দিন

 📊 আন্তর্জাতিক রেটিং ও বিনিয়োগ সংকেত

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বর্তমানে কী রকম তা স্পষ্ট বোঝা যায় আন্তর্জাতিক আর্থিক বিশ্লেষণে।

🔻 আন্তর্জাতিক রেটিং:

  • ফিচ (Fitch) ও মুডিস (Moody’s) দুই সংস্থা বাংলাদেশের ক্রেডিট রেটিং নিচে নামিয়েছে

  • ফলস্বরূপ, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ‘রিস্ক ফ্যাক্টর’ বলে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।

🔻 রেমিটেন্স প্রবাহ হ্রাস:

  • হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানো বেড়ে যাওয়ায় রেমিটেন্স প্রবাহে ১৯% কমতি

  • প্রবাসীরা বলছেন, “বিপদে পড়লেই ট্যাক্সি ভাড়া বাড়ে, বাংলাদেশও তাই করছে!”

🔥 উগ্রপন্থার উত্থান ও সংখ্যালঘুদের উপর হামলা: অর্থনীতির ভিত নাড়িয়ে দেওয়া অশনি সংকেত

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বর্তমানে কী রকম? উত্তর খুঁজতে গেলে শুধু বাজারমূল্য বা রেমিটেন্সের দিকে তাকালেই চলবে না, দেখতে হবে সামাজিক স্থিতিশীলতাও—যেখানে উগ্রপন্থা ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা আজ ভয়াবহ ছায়া ফেলে দিয়েছে অর্থনীতির ভবিষ্যতে।

 ⚔️ উগ্রপন্থার উত্থান: রাষ্ট্র যেন চুপিচুপি সমর্থনকারী!

🟥 জামায়াত, হেফাজত ও খিলাফত মজলিসের মাঠ দখল

  • জামায়াত-ই-ইসলামী, হেফাজতে ইসলাম, ও খিলাফত মজলিসের মতো উগ্রপন্থী সংগঠন মাঠে নেমেছে পুনরায়—আর প্রশাসন যেন চুপচাপ পেছনে বাঁশি বাজাচ্ছে

  • ২০২৪ সালের জুলাই-ডিসেম্বরে ঢাকার ভিতরেই উগ্রপন্থী সংগঠনের ১৭টি সভা ও ১১টি মিছিল অনুমতি পেয়েছে।

🟥 হিজবুত তাহরীর: নিষিদ্ধ সংগঠনের সাহসী প্রত্যাবর্তন

  • আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে হিজবুত তাহরীর ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্রে প্রকাশ্যে জনসভা করেছে, যা গত এক দশকে নজিরবিহীন।

  • কোনো গ্রেপ্তার হয়নি, বরং “তদারকি” নামে নিরাপত্তা বাহিনী দাঁড়িয়ে ছিল দূর থেকে!

🟥 রাজনৈতিক ছাড়ের অভিযোগ

  • বিরোধী দল ও নাগরিক সমাজের অভিযোগ—মোঃ ইউনুস সরকারের অঘোষিত ছাড় না পেলে এমন উগ্রতা সম্ভব নয়।

  • এই অবস্থান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা-কে আরো অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

 ⚠️ সংখ্যালঘুদের উপর হামলা: রাষ্ট্রীয় নিস্পৃহতা নাকি গোপন প্রশ্রয়?

🟨 সহিংসতার পরিসংখ্যান—সংখ্যা নয়, বেদনার প্রতিচ্ছবি

  • বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ২,০১০টি সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঘটেছে।

  • এর মধ্যে ২৩ জন সংখ্যালঘু নিহত, ৫১২ জন আহত এবং ৩৩৬টি মন্দির, গির্জা ও বৌদ্ধ বিহার আক্রমণের শিকার হয়েছে।

🟨 অর্থনীতির উপর প্রভাব: বিনিয়োগকারীদের আতঙ্ক

  • এ ধরনের ঘটনা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বর্তমানে কী রকম—এই প্রশ্নে বিনিয়োগকারীদের বিশ্বাস দুর্বল করছে।

  • আন্তর্জাতিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি বলেছে, “সংখ্যালঘু নিরাপত্তা ছাড়া সাসটেইনেবল গ্রোথ অসম্ভব।”

 🧨 সামাজিক অস্থিরতা অর্থনীতির গলার কাঁটা

🟦 মন্দির পোড়ালে পুঁজি পোড়ে

  • মন্দিরে আগুন মানে শুধু ধর্মীয় সন্ত্রাস নয়—এটি স্থানীয় পর্যটন, ক্ষুদ্র ব্যবসা ও সম্প্রীতির বাজার ধ্বংস করে।

  • কুমিল্লার দৃষ্টান্তে দেখা গেছে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে একটিমাত্র ঘটনার জেরে ৪৭টি দোকান বন্ধ হয়েছে এবং ২০০ শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন।

🟦 সংখ্যালঘু পলায়ন অর্থনীতির পেছনের ফাঁকা চেয়ার

  • সংখ্যালঘু ব্যবসায়ীরা দেশের অর্থনীতিতে ১২.৪% অবদান রাখেন।

  • সহিংসতার কারণে অসংখ্য পরিবার দেশত্যাগ করছে, ফলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বর্তমানে কী রকম—এ প্রশ্নের উত্তরে আসছে “মানবসম্পদের অনুপস্থিতি”।

 🧭 নিরাপত্তাহীনতা মানেই বিদেশি বিনিয়োগের হিমবাহ

🔻 ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সতর্কতা

  • ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ইইউ পার্লামেন্টে উত্থাপিত একটি প্রস্তাবে বলা হয়—“বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিরাপত্তা না থাকলে জিএসপি সুবিধা পুনর্মূল্যায়ন করা হবে।”

🔻 ফিচ ও মুডিসের রিপোর্টে সরাসরি উল্লেখ

  • এই দু’টি রেটিং সংস্থা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নির্ধারণে “সামাজিক স্থিতিশীলতা”কে ঝুঁকির উপাদান হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।

সেনাবাহিনীর ভূমিকা ও সম্ভাব্য হস্তক্ষেপ: এক অপ্রকাশ্য রাজনৈতিক দাবার চাল!

 🎖️ সেনাপ্রধানের অস্বস্তি: পদ থেকে নয়, নীতিতেও বিদ্রোহ?

🔻 সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান মোঃ ইউনুস-এর বিস্ফোরক অবস্থান

  • সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে তুমুল জল্পনা চলছে।

  • সেনাপ্রধান সরাসরি “দ্রুত নির্বাচন” ও “অন্তর্বর্তী সরকার বাতিলের” দাবি জানিয়েছেন—যা প্রকারান্তরে সরকারের রাজনৈতিক অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ করছে।

  • সেনাপ্রধানের এ বক্তব্য স্বাভাবিক নয়, বরং তা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বর্তমানে কী রকম—এই প্রশ্নে এক নতুন সংকেত দিচ্ছে।

🔻 চট্টগ্রাম করিডোর খুলে দেওয়ার বিরোধিতা

  • ভারত-চীন ট্রানজিটের অংশ হিসেবে প্রস্তাবিত “চট্টগ্রাম করিডোর” সম্পর্কে সেনাপ্রধানের কড়া আপত্তি সামনে এসেছে।

  • তিনি একে “সার্বভৌমত্বের সম্ভাব্য লঙ্ঘন” বলে উল্লেখ করেছেন, যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ও কূটনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বিপজ্জনক।

 🚨 জরুরি অবস্থার ধোঁয়া: কি তবে নতুন ২০০৭ আসছে?

🟥 সংবিধানের ১৪১(ক): ক্ষমতার চাবি রাষ্ট্রপতির হাতে

  • সংবিধানের ১৪১(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার বাতিল করে দিতে পারেন।

  • রাষ্ট্রপতির ঘন ঘন সামরিক ও বেসামরিক নিরাপত্তা বৈঠকে অংশগ্রহণ ইঙ্গিত দেয়, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বর্তমানে কী রকম, তা সামরিক চোখে দেখা শুরু হয়েছে।

🟥 সেনা হস্তক্ষেপের অতীত—ইতিহাস কি নিজেকে ফিরিয়ে আনছে?

  • ২০০৭ সালের জরুরি অবস্থার আগেও সেনাপ্রধান প্রকাশ্যে বিরক্তি জানিয়েছিলেন, ঠিক আজকের মতোই।

  • রাজনৈতিক অস্থিরতা, প্রশাসনিক পক্ষপাত ও নির্বাচন-পাল্টি নীতির পটভূমিতে সেনাবাহিনী মাঠে নামলে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বড় ধসের দিকে যেতে পারে।

 🧨 সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের সম্ভাব্য প্রভাব: বাজেট নয়, বুলেট রাজনীতি?

🔵 বিনিয়োগে চুম্বক না চোরাবালি?

  • আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী সংস্থা ব্ল্যাকস্টোন ও বার্কলে রিসার্চ জানিয়েছে—“রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ভেঙে গেলে সোনালী অর্থনীতি কালো হয়ে যাবে।”

  • সেনা হস্তক্ষেপ হলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বর্তমানে কী রকম—সে প্রশ্নের উত্তরে থাকবে ‘অনিশ্চয়তা’ ও ‘রুগ্নতা’।

🔵 আঞ্চলিক রাজনৈতিক চাপ

  • সেনা হস্তক্ষেপে প্রতিবেশী দেশগুলো যেমন ভারত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের রাজনৈতিক অবস্থান পুনর্মূল্যায়ন করতে পারে, যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা-কে আন্তর্জাতিকভাবে অবহেলিত করে তুলতে পারে।

 🧮 সম্ভাব্য হিসাব-নিকাশ: কারা উপকৃত, কারা অস্বস্তিতে?

✅ হস্তক্ষেপে উপকৃত হতে পারে:

  • সামরিক-ঘনিষ্ঠ আমলাতন্ত্র ও চিরস্থায়ী রাজনৈতিক বিরোধীরা

  • তদবিরে অভ্যস্ত করপোরেট ঘরানার একাংশ, যারা বিশৃঙ্খলায় ব্যবসা ফেঁদে রাখে

❌ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন:

  • স্থানীয় শিল্পপতি, রপ্তানিকারক, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী, এবং চাকরিপ্রার্থী যুবসমাজ

  • যারা ইতোমধ্যে প্রশ্ন করছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বর্তমানে কী রকম—তারা উত্তর পাচ্ছে না, বরং পাচ্ছে নতুন আশঙ্কা

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বর্তমানে কী রকম, তা নির্ধারণে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অপরিহার্য। সেনাবাহিনীর সম্ভাব্য হস্তক্ষেপ এবং জরুরি অবস্থার ঝুঁকি দেশের অর্থনৈতিক পরিবেশ ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক অংশীদারের দায়িত্ব হলো সংবিধান সম্মত ও গণতান্ত্রিক পথেই সমস্যার সমাধান করা, যাতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি অব্যাহত থাকে এবং দেশের সুনাম রক্ষা পায়।

আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ! ❤️আমরা সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের জন্য তথ্যসমৃদ্ধ, আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করতে, যাতে আপনি নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পারেন। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আমাদের সঙ্গে আপনার মতামত শেয়ার করতে চান, তাহলে “যোগাযোগ করুন” ফর্ম ব্যবহার করে সরাসরি আমাদের সাথে কথা বলুন। আমরা আগ্রহের সঙ্গে আপনার কথা শুনতে প্রস্তুত এবং আপনার প্রতিক্রিয়াকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করি। এছাড়াও, ভবিষ্যতের আপডেট, নতুন নিবন্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস না করতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন—একসঙ্গে জানবো, শিখবো, আর নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্ব দেখবো

Leave a Reply